১৬৮ রান জয়ের জন্য খুব বেশি বড় লক্ষ্য নয়। উইকেট ধরে রেখে রানের চাকা ঠিক রাখতে পারলে জয় সম্ভব। সে লক্ষ্য নিয়েই শুরুতে ব্যাট করছিলেন দুই মেকশিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমান।
দু’জনের জুটিতে ২৫রানও উঠে গিয়েছিল। কিন্তু মোহাম্মদ ওয়াসিমের বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে বল উপরে তুলে দিলেন মিরাজ। ডিপ স্কোয়ার লেগে বল চলে যায় আসিফ আলির হাতে। ১১ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
কিন্তু এ সময়ই ঘটে বিপর্যয়। পাকিস্তানি স্লো বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের পরপর দুই বলে উইকেট হারান লিটন দাস এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। হ্যটট্রিকের সুযোগ ছিল। তবে হ্যাটট্রিক না হলেও দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ বিপদে ফেলে দিয়েছেন নওয়াজ।
একপাশ আাগলে দারুণ খেলছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন তিনিও। ২৩ বলে ২৫ রান করে শাহনাওয়াজ ধানির বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে পারেন। এ কারণে তারওপর প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু ৯ বল খেলে ৮ রান করে বিদায় নেন তিনিও। বোলার শাদাব খান এবং ক্যাচ নেন ইফতিখার আহমেদ।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৫.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৩। ৩ রান নিয়ে ইয়াসির আলী রাব্বি এবং শূন্য রান নিয়ে ব্যাট করছেন তাসকিন আহমেদ।
প্রায় একই ভুল করে আউট হলেন সাব্বির রহমানও। লিটন দাসের সঙ্গে তার জুটিটা বড় হলো না। মাত্র ১২ রানের। ৬ষ্ঠ ওভারের ৫ম বলে হারিস রউফের বলকে ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু এখানেও বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় এবং হারিস রউফ নিজেই সেই ক্যাচ তালুবন্দী করেন।
২৬ বলে ৩৫ রান করেন লিটন দাস। নওয়াজের বলে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে হায়দার আলির হাতে ধরা পড়েন লিটন। মোসাদ্দেক হোসেন এসেই এলবিডব্লিউর শিকার হন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৭৮ রানের ওপর ভর করে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ৩১ রান করেন শান মাসুদ, ২২ রান করেন বাবর আজম এবং ১৩ রান করে ইফতিখার আহমেদ। তাসকিন নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ।
চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সঠিক চিকিৎসার জন্য যাতে সঠিক মূল্য রাখা হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার।কারও কাছ থেকে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য যাতে অতিরিক্ত ফি নেওয়া না হয়, সরকার সে ব্যাপারে কাজ করছে।ফি নির্ধারণের বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষ সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুতই তা বাস্তবায়ন হবে।
বৃহস্পতিবার ( ৬ অক্টোবর ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আহমেদুল কবির প্ৰমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও হাসপাতালে একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার আবার কোথাও ৫০ হাজার নেয়। এই যে বিরাট বৈষম্য এটি আমরা দূর করতে চাচ্ছি। জনগণ যাতে প্রতারিত না হয়, আমাদের দরিদ্র জনগণ যাতে কষ্ট না পায়, সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক মূল্য যাতে দেয় এবং বাড়তি মূল্য যেন না দেওয়া লাগে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে বিদেশে যাওয়ার হার কমে যাবে। বিদেশ চিকিৎসার জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যায়, সেটি আশা করি কমবে। ফি নির্ধারণের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, আশা করি খুব দ্রুত কাজটি আমরা করতে পারবো।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার-ক্লিনিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। সেবার মান উন্নয়ন করতে গেলে আমরা ক্যাটাগরি করে দেবো। 'এ' , 'বি' , 'সি' ক্যাটাগরি করে দেবো। ক্যাটাগরি নির্ভর করবে তাদের ব্যবস্থাপনার ওপরে। যে প্রতিষ্ঠান যেসব স্বাস্থ্য সেবার উপযোগী তারা শুধু সেটি দেবে, অন্য কোনও স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালের বিভিন্ন চার্জ আছে, ফি আছে। সেটি আমরা আলোচনা করে নির্ধারণ করে দেওয়ার চেষ্টায় আছি।
বলিউডের ‘জাতীয় ক্রাশ’ খ্যাত অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা এরই মধ্যে তার রূপ আর অভিনয় গুণে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন।ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চা একেবারে কম নেই তার। বিজয় দেবারকোন্ডার সঙ্গে প্রেমের কানাঘুষা তিনি নিজেও উপভোগ করেন।তাদের দুজনের কেউই এখনো সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি। শুধু ‘ভালো বন্ধু’ বলে নিজেদের হাজির করেছেন বারবারই।
‘ভালো বন্ধু’ বিজয়ের সঙ্গে অনেকটা গোপনে মালদ্বীপে ছুটি কাটাতে গেলেন দক্ষিণী হার্টথ্রব অভিনেত্রী রাশমিকা। গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছে বলিউডে তার প্রথম হিন্দি ছবি ‘গুডবাই’। ওই দিন সকালেই মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে ক্যামেরাবন্দি হন বিজয়-রাশমিকা। প্রথমে বিমানবন্দরে আসেন বিজয়, এরপর রাশমিকা। এসময় অভিনেত্রী মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের গন্তব্য মালদ্বীপ। কোনো
ছবির শুটিং নয়, স্রেফ ছুটি কাটাতেই যাচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে তার ‘ভালো বন্ধু’ বিজয়।
বছর চার আগে তেলেগু সিনেমা ‘গীতা গোবিন্দাম’-এ একসঙ্গে পর্দায় ধরা দেন বিজয় ও রাশমিকা। এরপর ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতেও দেখা যায় এ জুটিকে। তখন থেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন শুনা যায়।
সম্প্রতি বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ শোতে এসে বিজয় এক প্রশ্নে জানিয়েছিলেন, দুই ছবিতে কাজ করার সুবাদে রাশমিকা তার খুব ভালো বন্ধু। রাশমিকাকে তার ভালো লাগে। সে তার কাছে খুব প্রিয়। এমনকি রাশমিকাকে ‘ডালিং’ বলেও অভিহিত করেন এ অভিনেতা।
এদিকে বলিউডে বিজয়ের প্রথম সিনেমা ‘লাইগার’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে সেটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। জানা গেছে, মালদ্বীপ থেকে ফিরেই আলাদা ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন
বিজয় ও রাশমিকা। এছাড়াও সদ্য মুক্তি পাওয়া বিকাস বেহেল পরিচালিত ‘গুডবাই’ ছবিতে রাশমিকা ছাড়াও অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও নীনা গুপ্তার মতো শিল্পীরা।
পাকিস্তানি সিনেমা ‘জয়ল্যান্ড’ বিদেশি সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ২০২৩ সালের অস্কারে মনোনীত হয়েছে।
ছবিটির কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন নারীশিক্ষা কর্মী নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা বিভাগে ছবিটি মনোনীত হয়েছে।
মালালার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘এক্সট্রা কারিকুলার প্রোডাকশন’ এর তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’। বছরের শুরুতেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে এ ছবির প্রদর্শনী হয়েছিল। এরই মধ্যে ছবিটি ‘ক্যুইয়ার পাম’ ও ‘বিশেষ জুরি পুরস্কার’ জিতে নিয়েছে। খবর ইন্ডিয়া উইকলির।
মালালা সিনেমাটি প্রসঙ্গে যা বলেছেন, আমি ভীষণভাবে গর্বিত এমন একটি সিনেমার সঙ্গে থাকতে পেরে। এ ছবি প্রমাণ করে, পাকিস্তানি শিল্পীরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে সেরাদের তালিকায় রয়েছে। এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যা আমাদের পরিপার্শ্বের মানুষদের চোখ খুলে দিতে পারে।
গল্পের রেশ টেনে তিনি বলেন, প্রত্যেকের উচিত পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা কাছের মানুষদের এমন দৃষ্টিতে দেখা যা তাদের মৌলিকত্ব। প্রতিটি মানুষ যেমন আদতে তাকে সেভাবেই গ্রহণ করা উচিত। নিজের আকাঙ্ক্ষা বা সামাজিক পক্ষপাত নিয়ে কাউকে বিচার করা উচিত
না।
মূলত, সমাজে
পুরুষতান্ত্রিক যৌনতার প্রথাবদ্ধ ধারণার বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্মিত হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’ সিনেমা। যেখানে পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের সদস্যরা পুত্রসন্তান জন্মের প্রত্যাশা করে। অথচ পরিবারের ছোট ছেলেটি বড় হয়ে পুরুষসুলভ জীবনযাপনের বিপরীতে এক বৃহন্নলার প্রেমে মজে। যোগ দেয় নাচের থিয়েটারে। শুরু করে নাচ-গান-নাটক। এ ছবির মধ্য দিয়ে ভেঙে যায় যৌনতার সামাজিক ও প্রথাগত ধারণা।বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’। সায়েম সাদিক পরিচালিত এবং অপূর্ব গুরু চরণ, সারমাদ সুলতান খুসাত ও লরেন মান প্রযোজিত এ ছবিতে আলি জুনেজো, রাস্তি ফারুক, আলিনা খান, সারওয়াত গিলানি, সোহেল সামির, সালমান পীরজাদা ও সানিয়া সাইদ অভিনয় করেছেন।
ভুটানের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেললো বাংলাদেশ। ভুটান সে অর্থে লড়াই করতে পারলো না। তবে বাংলাদেশের জয়টা কেন আরও বড় হলো না, সেই আক্ষেপ রয়েই গেলো।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল
(শুক্রবার) এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপ বাছাইয়ে ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ, তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়।
অষ্টম মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার থেকে কিকটি করে বাংলাদেশ। তবে ভুটানের বিপদ হয়নি। বরং কাউন্টার অ্যাটাকে পরের মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ভুটান।
বাংলাদেশের গোলরক্ষক সোহান অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন। ভুটানের নয় নম্বর জার্সিধারী কামাল শটও নিয়েছিলেন, একটুর জন্য সেটি ফাঁকা পোস্টের বাঁদিক দিয়ে চলে যায়।
এর দুই মিনিট পরই (দশম মিনিট) গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ডানদিক থেকে আসাদুলের উঁচু ক্রস নাজিমুদ্দিন দারুণ এক হেডে জড়িয়ে দেন জালে। ১-০তে এগিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
ঠিক একই ভাবে দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ভুটান সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি
নিজেদেরকে মেলে ধরতে । বরং রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাদের।
এরপর ৭৩ মিনিটে ইমরানের দূর থেকে নেওয়া মাপা ফ্রি-কিক আর আটকাতে পারেনি ভুটান। বক্সের মধ্যে হিমেল হেড করে দলকে এগিয়ে দেন ২-০ ব্যবধানে। অবশেষ সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
৯ অক্টোবর ইয়েমেনের বিপক্ষে গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে
নামবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল।
দুর্গাপূজা আর ঈদে মিলাদুন্নবীর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে প্রায় পাঁচ দিনের বন্ধে লাখো পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত; তবে সব জায়গাতেই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
হোটেল-মোটেল
কর্তৃপক্ষ এ
ধরনের অভিযোগ
নাকচ করলেও
জেলা প্রশাসন
বলছে, তারাও বিষয়টি জেনেছেন।
যাচাই বাছাই
করা হচ্ছে।
এদিকে
পর্যাটকরা বলছেন, “চার দিন আগে
বান্দরবান থাকতে
কক্সবাজারের ২৫টা
হোটেলে অনলাইনে
বুকিংয়ের জন্য
চেষ্টা করেছি।
কিন্তু কোনো
হোটেলই পাইনি।
শেষ পর্যন্ত
কক্সবাজার হিলটনে
রুম পেয়েছি,
তবে এক
রুম এক
রাতের জন্য
চার হাজার
টাকা দিতে
হয়েছে।
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
“কিন্তু এর
আগে এই
হোটেলে অনেকবার
রাত্রিযাপন করেছি
মাত্র দুই
হাজার টাকা
ভাড়ায়। টানা
ছুটিতে মানুষ
বেশি এসেছে
তাই হোটেল
কর্তৃপক্ষ এভাবে
বেপরোয়া হয়ে
উঠেছে।“
তবে এ
ধরনের অভিযোগ
অস্বীকার করে
হোটেল হিলটনের
ব্যবস্থাপক ঊর্মি
বড়ুয়া বলেন,
“তাদের কক্ষ
ভাড়া সর্বোচ্চ
দুই হাজার
টাকা। এর
বেশি নেওয়া
হয় না।
বেশি বললে
এটা অপপ্রচার।”
তবে কক্সজার
হোটেল-মোটেল
মালিক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক
সেলিম নেওয়াজ
বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া
আদায়ের অভিযোগ
আমাদের কাছেও
এসেছে। বিষয়টি
খুব অন্যায়।
এ ব্যাপারে
সমিতি ও
প্রশাসন যৌথভাবে
ব্যবস্থা নেওয়ার
উদ্যোগ নেওয়া
হচ্ছে।”
দুর্গাপূজার দশমী
উপলক্ষে গত
বুধবার ছিল
সরকারি ছুটি,
শুক্র ও
শনিবার সরকারি
অফিসে সাপ্তাহিক
ছুটি, রোববার রয়েছে
ঈদে মিলাদুন্নবীর
সরকারি ছুটি।
মাঝখানে যারা
বৃহস্পতিবারও অফিস
থেকে ছুটি
নিতে পেরেছেন
তারা পাঁচ
দিনের ছুটি
পেয়েছেন।
এই ছুটি
উপভোগ করতে
অনেকেই পরিবার
নিয়ে ছুটেছেন
বিশ্বের বৃহত্তম
সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজারে। অনেকে
এখান থেকে
যাচ্ছেন সেন্ট
মার্টিনে। চলতি
মৌসুমে এই
পর্যটকদের নিয়েই
কক্সবাজার ও
চট্টগ্রাম থেকে
জাহাজ যাচ্ছে
বঙ্গোপসাগরের এই
দ্বীপে।
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
জেলা প্রশাসনের
পর্যটন সেলের
দেওয়া তথ্যমতে,
কক্সবাজারে ৫২৬টি
হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও
কটেজ রয়েছে।
যেখানে প্রতিদিন
রাত্রিযাপন করতে
পারে প্রায়
সোয়া লাখ
পর্যটক।
শুক্রবার সকাল
থেকে দুপুর
পর্যন্ত কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতের
লাবণী, সুগন্ধা থেকে
কলাতলী পয়েন্ট
পর্যন্ত তিন
কিলোমিটার সমুদ্র
সৈকতজুড়ে দেখা
যায় মানুষের
ভীড়। গোটা
এলাকা মানুষে
ঠাসা।
তীব্র গরম
উপেক্ষা করে
পর্যটকরা শরীর
ভাসিয়ে দিচ্ছেন
নোনাজলের ঢেউতে।
সাগর কিছুটা
শীতল আর
ঢেউয়ের তীব্রতাও
কম। তাই
ঢেউয়ে মেতেছেন
ভ্রমণ পিপাসুরা।
সুগন্ধা পয়েন্টে
কথা হয়
ঢাকা থেকে
আসা ইপ্সিতা
ইয়াছমিনের সঙ্গে।
তিনি বলেন,
“এখানে প্রচণ্ড
গরম। তারপরও
টানা ছুটিতে
কক্সবাজার আসলাম
বাচ্চাদের নিয়ে
একটু ঘুরে
বেড়ানোর জন্য।
খুব ভালো
লাগছে। সমুদ্র
যেন মন
ও মনন
জুড়িয়ে দিচ্ছে।”
আরেক পর্যটক
ফরিদা বেগম
জানালেন, পরিবার-পরিজন
নিয়ে কক্সবাজারে
খুব আনন্দ
হচ্ছে।
“এই আনন্দ আরও
বেশি উপভোগ
করা যেত
যদি হয়রানির
শিকার হতে
না হতো।
এখানে যানবাহন
থেকে শুরু
করে খাবার
হোটেল- সবখানে অতিরিক্ত
টাকা নেওয়া
হচ্ছে। মনে
হচ্ছে, ফায়দা লুটছে।”
লাবণী পয়েন্টে
পর্যটক তৌহিদ
হোসেন বলেন,
“টানা ছুটি
কিংবা কোনো
উৎসব হলেও
কক্সবাজারের হোটেল,
রিসোর্ট বা
গেস্ট হাউসগুলো
কয়েকগুণ ভাড়া
বাড়িয়ে দেয়।
তার সঙ্গে
রেস্তোরাঁ থেকে
শুরু করে
বার্মিজ পণ্যের
দোকান ও
যানবাহনের চালকরা
অতিরিক্ত অর্থ
আদায়ে মেতে
উঠেন।
“স্থানীয় বলে
তারা আবার
পর্যটকদের সঙ্গে
খারাপ ব্যবহার
করতেও ভুলেন
না। তবে
এসব বিষয়ে
প্রশাসনের নজর
দেওয়া দরকার।”
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
‘হোটেল অভিসার’ নামের
একটি আবাসিক
হোটেলের দুই
হাজার টাকার
কক্ষের ভাড়া
সাড়ে আট
হাজার টাকা
নেওয়ার অভিযোগ
করেছেন তৌহিদুল
ইসলাম।
এই পর্যটকের
অভিযোগ, “যেখানে তারকা
মানের হোটেলের
ভাড়া পাঁচ
হাজার সেখানে
সাড়ে আট
হাজার টাকা
নেওয়া অত্যন্ত
খারাপ। তার
সঙ্গে একদিনের
জন্য রুম
ভাড়া দিতে
রাজী নন
কর্তৃপক্ষ; দুই দিনের জন্য
ভাড়া নিতে
হবে। এটা
অন্যায়।”
যদিও হোটেল
অভিসারের প্রধান
নির্বাহী জসিম
উদ্দিন বলেন,
“আমাদের একটি
কক্ষের ভাড়া
একদাম ছয়
হাজার টাকা।
এর কম-বেশি হবে না।”
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
সৈকতে আরও
কয়েকজন পর্যটকের
সঙ্গে কথা
হলে তারা
অভিযোগ করেন,
হোটেল থেকে
শুরু করে
খাবার দোকান
সব জায়গাতেই
অতিরিক্ত টাকা
আদায় করা
হচ্ছে। কিন্তু
কেউ দেখার
নেই; কোথাও অভিযোগ দেওয়া
যায় না।
এই প্রবণতা
পর্যটনের জন্য
ক্ষতিকর।
জেলা প্রশাসনের
পর্যটন সেলের
দেওয়া তথ্যমতে,
কক্সবাজারের তারকা
মানের হোটেল
ছাড়া অন্য
কোনো আবাসিক
হোটেল ভ্যাট
প্রদানের ক্ষেত্রে
প্রতি কক্ষ
তিন হাজার
টাকার বেশি
ভাড়া নেওয়ার
কোনো তথ্য
উল্লেখ্য করে
না।
কক্সবাজার জেলা
প্রশাসনের পর্যটন
সেলের নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো.
মাসুম বিল্লাহ
বলেন, “টানা চার-পাঁচ
দিনের সরকারি
ছুটি রয়েছে।
তাই এই
ছুটিকে কেন্দ্র
করে কক্সবাজারে
বিপুল সংখ্যক
পর্যটক এসেছে।
সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যা
না জানলেও
বিভিন্ন মাধ্যমে
জেনেছি, কক্সবাজারে লাখো
পর্যটক অবস্থান
করছেন।”
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
তিনি আরও
বলেন, “হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও
গেস্ট হাউসে
অতিরিক্ত ভাড়া
আদায়ের অভিযোগ
জেলা প্রশাসনের
কাছেও এসেছে।
এ ব্যাপারে
হোটেল কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে যোগাযোগ
করা হলে
তারা জানিয়েছেন,
নির্দিষ্ট ভাড়ার
বাইরে অতিরিক্ত
কোনো ভাড়া
নেওয়া হচ্ছে
না। তবে
ছাড় কম
দেওয়া হচ্ছে
এই ধরনের
একটি ব্যাখ্যা
দিয়েছেন তারা।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
বলেন, “তবে এ ব্যাপারে
যাচাই-বাছাই
করে দেখা
হচ্ছে। যদি
সুনির্দিষ্ট ভাড়ার
বাইরে কেউ
অতিরিক্ত ভাড়া
আদায় করে
তাহলে তাদের
বিরুদ্ধে বিধি-মোতাবেক ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।”
দুর্গাপূজা আর ঈদে মিলাদুন্নবীর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে প্রায় পাঁচ দিনের বন্ধে লাখো পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত; তবে সব জায়গাতেই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
হোটেল-মোটেল
কর্তৃপক্ষ এ
ধরনের অভিযোগ
নাকচ করলেও
জেলা প্রশাসন
বলছে, তারাও বিষয়টি জেনেছেন।
যাচাই বাছাই
করা হচ্ছে।
এদিকে
পর্যাটকরা বলছেন, “চার দিন আগে
বান্দরবান থাকতে
কক্সবাজারের ২৫টা
হোটেলে অনলাইনে
বুকিংয়ের জন্য
চেষ্টা করেছি।
কিন্তু কোনো
হোটেলই পাইনি।
শেষ পর্যন্ত
কক্সবাজার হিলটনে
রুম পেয়েছি,
তবে এক
রুম এক
রাতের জন্য
চার হাজার
টাকা দিতে
হয়েছে।
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
“কিন্তু এর
আগে এই
হোটেলে অনেকবার
রাত্রিযাপন করেছি
মাত্র দুই
হাজার টাকা
ভাড়ায়। টানা
ছুটিতে মানুষ
বেশি এসেছে
তাই হোটেল
কর্তৃপক্ষ এভাবে
বেপরোয়া হয়ে
উঠেছে।“
তবে এ
ধরনের অভিযোগ
অস্বীকার করে
হোটেল হিলটনের
ব্যবস্থাপক ঊর্মি
বড়ুয়া বলেন,
“তাদের কক্ষ
ভাড়া সর্বোচ্চ
দুই হাজার
টাকা। এর
বেশি নেওয়া
হয় না।
বেশি বললে
এটা অপপ্রচার।”
তবে কক্সজার
হোটেল-মোটেল
মালিক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক
সেলিম নেওয়াজ
বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া
আদায়ের অভিযোগ
আমাদের কাছেও
এসেছে। বিষয়টি
খুব অন্যায়।
এ ব্যাপারে
সমিতি ও
প্রশাসন যৌথভাবে
ব্যবস্থা নেওয়ার
উদ্যোগ নেওয়া
হচ্ছে।”
দুর্গাপূজার দশমী
উপলক্ষে গত
বুধবার ছিল
সরকারি ছুটি,
শুক্র ও
শনিবার সরকারি
অফিসে সাপ্তাহিক
ছুটি, রোববার রয়েছে
ঈদে মিলাদুন্নবীর
সরকারি ছুটি।
মাঝখানে যারা
বৃহস্পতিবারও অফিস
থেকে ছুটি
নিতে পেরেছেন
তারা পাঁচ
দিনের ছুটি
পেয়েছেন।
এই ছুটি
উপভোগ করতে
অনেকেই পরিবার
নিয়ে ছুটেছেন
বিশ্বের বৃহত্তম
সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজারে। অনেকে
এখান থেকে
যাচ্ছেন সেন্ট
মার্টিনে। চলতি
মৌসুমে এই
পর্যটকদের নিয়েই
কক্সবাজার ও
চট্টগ্রাম থেকে
জাহাজ যাচ্ছে
বঙ্গোপসাগরের এই
দ্বীপে।
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
জেলা প্রশাসনের
পর্যটন সেলের
দেওয়া তথ্যমতে,
কক্সবাজারে ৫২৬টি
হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও
কটেজ রয়েছে।
যেখানে প্রতিদিন
রাত্রিযাপন করতে
পারে প্রায়
সোয়া লাখ
পর্যটক।
শুক্রবার সকাল
থেকে দুপুর
পর্যন্ত কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতের
লাবণী, সুগন্ধা থেকে
কলাতলী পয়েন্ট
পর্যন্ত তিন
কিলোমিটার সমুদ্র
সৈকতজুড়ে দেখা
যায় মানুষের
ভীড়। গোটা
এলাকা মানুষে
ঠাসা।
তীব্র গরম
উপেক্ষা করে
পর্যটকরা শরীর
ভাসিয়ে দিচ্ছেন
নোনাজলের ঢেউতে।
সাগর কিছুটা
শীতল আর
ঢেউয়ের তীব্রতাও
কম। তাই
ঢেউয়ে মেতেছেন
ভ্রমণ পিপাসুরা।
সুগন্ধা পয়েন্টে
কথা হয়
ঢাকা থেকে
আসা ইপ্সিতা
ইয়াছমিনের সঙ্গে।
তিনি বলেন,
“এখানে প্রচণ্ড
গরম। তারপরও
টানা ছুটিতে
কক্সবাজার আসলাম
বাচ্চাদের নিয়ে
একটু ঘুরে
বেড়ানোর জন্য।
খুব ভালো
লাগছে। সমুদ্র
যেন মন
ও মনন
জুড়িয়ে দিচ্ছে।”
আরেক পর্যটক
ফরিদা বেগম
জানালেন, পরিবার-পরিজন
নিয়ে কক্সবাজারে
খুব আনন্দ
হচ্ছে।
“এই আনন্দ আরও
বেশি উপভোগ
করা যেত
যদি হয়রানির
শিকার হতে
না হতো।
এখানে যানবাহন
থেকে শুরু
করে খাবার
হোটেল- সবখানে অতিরিক্ত
টাকা নেওয়া
হচ্ছে। মনে
হচ্ছে, ফায়দা লুটছে।”
লাবণী পয়েন্টে
পর্যটক তৌহিদ
হোসেন বলেন,
“টানা ছুটি
কিংবা কোনো
উৎসব হলেও
কক্সবাজারের হোটেল,
রিসোর্ট বা
গেস্ট হাউসগুলো
কয়েকগুণ ভাড়া
বাড়িয়ে দেয়।
তার সঙ্গে
রেস্তোরাঁ থেকে
শুরু করে
বার্মিজ পণ্যের
দোকান ও
যানবাহনের চালকরা
অতিরিক্ত অর্থ
আদায়ে মেতে
উঠেন।
“স্থানীয় বলে
তারা আবার
পর্যটকদের সঙ্গে
খারাপ ব্যবহার
করতেও ভুলেন
না। তবে
এসব বিষয়ে
প্রশাসনের নজর
দেওয়া দরকার।”
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
‘হোটেল অভিসার’ নামের
একটি আবাসিক
হোটেলের দুই
হাজার টাকার
কক্ষের ভাড়া
সাড়ে আট
হাজার টাকা
নেওয়ার অভিযোগ
করেছেন তৌহিদুল
ইসলাম।
এই পর্যটকের
অভিযোগ, “যেখানে তারকা
মানের হোটেলের
ভাড়া পাঁচ
হাজার সেখানে
সাড়ে আট
হাজার টাকা
নেওয়া অত্যন্ত
খারাপ। তার
সঙ্গে একদিনের
জন্য রুম
ভাড়া দিতে
রাজী নন
কর্তৃপক্ষ; দুই দিনের জন্য
ভাড়া নিতে
হবে। এটা
অন্যায়।”
যদিও হোটেল
অভিসারের প্রধান
নির্বাহী জসিম
উদ্দিন বলেন,
“আমাদের একটি
কক্ষের ভাড়া
একদাম ছয়
হাজার টাকা।
এর কম-বেশি হবে না।”
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
সৈকতে আরও
কয়েকজন পর্যটকের
সঙ্গে কথা
হলে তারা
অভিযোগ করেন,
হোটেল থেকে
শুরু করে
খাবার দোকান
সব জায়গাতেই
অতিরিক্ত টাকা
আদায় করা
হচ্ছে। কিন্তু
কেউ দেখার
নেই; কোথাও অভিযোগ দেওয়া
যায় না।
এই প্রবণতা
পর্যটনের জন্য
ক্ষতিকর।
জেলা প্রশাসনের
পর্যটন সেলের
দেওয়া তথ্যমতে,
কক্সবাজারের তারকা
মানের হোটেল
ছাড়া অন্য
কোনো আবাসিক
হোটেল ভ্যাট
প্রদানের ক্ষেত্রে
প্রতি কক্ষ
তিন হাজার
টাকার বেশি
ভাড়া নেওয়ার
কোনো তথ্য
উল্লেখ্য করে
না।
কক্সবাজার জেলা
প্রশাসনের পর্যটন
সেলের নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো.
মাসুম বিল্লাহ
বলেন, “টানা চার-পাঁচ
দিনের সরকারি
ছুটি রয়েছে।
তাই এই
ছুটিকে কেন্দ্র
করে কক্সবাজারে
বিপুল সংখ্যক
পর্যটক এসেছে।
সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যা
না জানলেও
বিভিন্ন মাধ্যমে
জেনেছি, কক্সবাজারে লাখো
পর্যটক অবস্থান
করছেন।”
প্রায় পাঁচ দিনের
ছুটিতে লাখো
পর্যটকে মুখরিত
হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত।
তিনি আরও
বলেন, “হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও
গেস্ট হাউসে
অতিরিক্ত ভাড়া
আদায়ের অভিযোগ
জেলা প্রশাসনের
কাছেও এসেছে।
এ ব্যাপারে
হোটেল কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে যোগাযোগ
করা হলে
তারা জানিয়েছেন,
নির্দিষ্ট ভাড়ার
বাইরে অতিরিক্ত
কোনো ভাড়া
নেওয়া হচ্ছে
না। তবে
ছাড় কম
দেওয়া হচ্ছে
এই ধরনের
একটি ব্যাখ্যা
দিয়েছেন তারা।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
বলেন, “তবে এ ব্যাপারে
যাচাই-বাছাই
করে দেখা
হচ্ছে। যদি
সুনির্দিষ্ট ভাড়ার
বাইরে কেউ
অতিরিক্ত ভাড়া
আদায় করে
তাহলে তাদের
বিরুদ্ধে বিধি-মোতাবেক ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।”
নির্বাচন হলো একটি দেশের গণতন্ত্র এর মাপকাঠি।আগামী বছরের শেষ বা ২০২৪ সালের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাষ্ট্রের মূল প্রশাসনিক ইউনিট, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা আপনারা। পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের কাছে থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকেন।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অন্যান্য কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত রয়েছেন ।
সিইসি বলেন, প্রথমেই আমি ও আমার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের আন্তরিক স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মানিত সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকও উপস্থিত আছেন। আপনাদেরও আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমেই আপনারা আজকের সভার উদ্দেশ্য জেনেছেন।
‘সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংসদ নির্বাচন পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকলেও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন প্রতি বছরই, কোনো না কোনো কারণে চলমান থাকে। যেমন আগামী ১৭ তারিখে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয় সংসদের দুটো উপ-নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন।’
তিনি বলেন, আজকের সভার উদ্দেশ্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সব নির্বাচনের বিষয়ে আপনাদের ও কমিশনের সমন্বিত দায়িত্ব, ভূমিকা, করণীয় নিয়ে আলোচনা এবং মতবিনিময় করা। আশা করি কার্যকর আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে আজকের সভা সফল ও ফলপ্রসূ হবে।