রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪ মিনিটে একটি গ্রিড লাইনে সমস্যার কারণে এই অঞ্চলে ব্ল্যাক আউটের ঘটনা ঘটেছে। কখন এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর খবর পাওয়া গেছে।
পিডিবি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক
কর্মকর্তা জানান,
আমাদের
বলা
হয়েছে
সন্ধ্যা ৭টার
মধ্যে
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে
শুরু
করবে।
তবে
একসঙ্গে দেশের
সব
কেন্দ্র চালু
হবে
না।
ক্রমান্বয়ে দেশের
সব
জায়গায়
সরবরাহ
স্বাভাবিক করা
হবে।
এক্ষেত্রে আজ
রাতের
মধ্যে
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে
পারে সন্ধ্যা ৬টার
দিকে
রাজধানীর রামপুরা,বনানী ও
উত্তরা
এলাকায়
বিদ্যুৎ আসার
খবর
পাওয়া
গেছে।
এদিকে
কয়েক
ঘণ্টা
ধরে
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে
ভোগান্তিতে পড়েছেন
সাধারণ
মানুষ।
দুপুর
২টায়
বিদ্যুৎ যাওয়ার
পর
প্রথম
ঘণ্টায়
অনেকেই
এটিকে
লোডশেডিং মনে
করেন।
তবে
পরের
কয়েক
ঘণ্টায়
বুঝতে
পারেন
সমস্যা
অন্য
কিছুতে। এমনিতে
ভ্যাপসা গরম,
তার
ওপর
ঘণ্টার
পর
ঘণ্টা
বিদ্যুৎ না
থাকায়
অবস্থা
জটিল
আকার
ধারণ
করেছে।
সরকারের অন্যতম
প্রধান
কার্যালয় সচিবালয়েও একই
সময়
বিদ্যুৎ বন্ধ
হয়ে
যায়।
একদিকে
লাইট-ফ্যান-এসি বন্ধ,
অন্যদিকে ফটোকপিসহ ডিজিটাল সব
কাজ
বন্ধ
হয়ে
যায়।
একই
অবস্থা
হয়
মতিঝিলসহ বেশিরভাগ অফিসেই। কিছু
কিছু
অফিসে
জেনারেটর দিয়ে
বিদ্যুৎ সরবরাহ
করলেও
তা
বেশিক্ষণ থাকছে
না।
থেমে
থেমে
বিদ্যুৎ দিচ্ছে। আবার
কোথাও
কোথাও
জেনারেটরের তেল
ফুরিয়ে
যাওয়ায়
বিপাকেও পড়ছেন
অনেকে।
তেল
সংকটের
কথাও
অনেকে
জানিয়েছেন।
সচিবালয়ের এক
কর্মচারী জানান,
দুপুর
২টায়
বিদ্যুৎ যাওয়ার
পর
ফটোকপি
করা,
কম্পিউটারের কাজগুলো সব
বন্ধ
হয়ে
যায়।
এরপর
এসি-ফ্যান-বন্ধ হলে
সবাই
গরমে
ভোগান্তিতে পড়েন।
অফিস
ছুটির
সময়
লিফট
বন্ধ
থাকায়
নিচে
নামতে
গিয়েও
বিপদে
পড়েন
কর্মচারীরা। অনেক
বয়স্ক
ব্যক্তি আছেন
যারা
সিঁড়ি
দিয়ে
নামতে
পারেন
না।
তাদের
সবচেয়ে
বেশি
কষ্ট
হয়।
একই
ধরনের
অভিজ্ঞতার কথা
জানান
পিডিবির এক
কর্মকর্তা। বিদ্যুৎ না
থাকায়
প্রায়
সব
কাজই
বন্ধ
হয়ে
যায়।
এখন
বিকালে
মোবাইলের চার্জও
ফুরিয়ে
আসার
কথা
জানান
তিনি।
বাসাবাড়িতে মূল
সমস্যা
গরম।
কোনও
বিল্ডিং জেনারেটর টানা
চালাতে
পারছে
না
তাৎক্ষণিক তেল
সংকটের
কারণে।
কারণ,
এতদিন
কখনও
এতক্ষণ
টানা
জেনারেটর চালাতে
হয়নি।
ফলে
তেলের
ঘাটতি
দেখা
দিয়েছে। কেউ
কেউ
ঘণ্টাখানেক পর
পর
জেনারেটর চালিয়ে
সামাল
দেওয়ার
চেষ্টা
করলেও
তা
পর্যাপ্ত না।
ফলে
গরমে
হাঁসফাঁস করছেন
সবাই।
বিশেষ
করে
বৃদ্ধ
ও
শিশুদের বেশি
কষ্ট
হচ্ছে।
বিল্ডিংয়ের জেনারেটরের তেলও
শেষ
হয়ে
যাচ্ছে। এখন
তেল
কিনতে
গিয়ে
দারোয়ান জানালেন পাওয়া
যাচ্ছে
না।
এদিকে
রামপুরা থেকে
সামশুল
জানান,
অফিসের
কাজও
করতে
পারিনি। এখন
বাসায়
এসে
উঠতেও
পারছি
না।
কারণ,
লিফট
বন্ধ।
জেনারেটর ঘণ্টাখানেক চালিয়ে
বন্ধ
রাখতে
হচ্ছে।
সর্বশেষ অবস্থা
সম্পর্কে জানতে
চাইলে
পিডিবির একজন
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান,
টঙ্গী
ও
বিয়ানিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু
হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ও
গাজীপুরের কিছু
এলাকায়
বিদ্যুৎ সরবরাহ
শুরু
হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদী ও সাগরে মা ঈলিশ এবং সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এজন্য দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে ট্রলার নিয়ে ফিরছেন জেলেরা।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটেরর মৎস্য গবেষক ড. মো. আনিসুর রহমান বলেন, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমায় মা ইলিশ সবচেয়ে বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই বড় পূর্ণিমার দিন পড়েছে ৯ অক্টোবর। আবার একই মাসের অমাবস্যা বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই অমাবস্যা দিন পড়েছে ২৪ অক্টোবর। এ কারণে বড় পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তারিখ ঠিক রেখে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
জেলেরা জানান, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এ চার মাস ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এর মধ্যে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ঘূর্ণিঝড়সহ বেশ কয়েকটি নিম্নচাপও ছিল। তাই অল্প কিছুদিন ইলিশ শিকার করতে পারলেও লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা। নিষেধাজ্ঞার ফলে বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। এদের পরিবার চালাতে চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশে মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর দাবি, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের জেলেরা মাছ না ধরলেও দেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করবে ভারত ও মিয়ানমারে জেলেরা। তাই ভিনদেশি জেলেদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে ব্যর্থ হবে এ নিষেধাজ্ঞা।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে তারা কঠোর অবস্থানে থাকবো। এ ২২ দিন কোনোভাবেই সাগর ও নদীতে কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফল সম্পর্কে জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করবো।
পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে সরকার। এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে খুব শিগগিরই। বুধবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একজন সদস্য এ সরকার।
পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও খুচরাপর্যায়ে বাড়ছে না। বিতরণ কোম্পানি লাভে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম পাইকারিতে (বাল্ক) বাড়াচ্ছে সরকার। এ নিয়ে সব প্রস্তুতি শেষ। খুব শিগগির এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে। তবে খুচরাপর্যায়ে এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না। বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভে থাকায় ভোক্তাপর্যায়ে এখনই বাড়ছে না দাম। ফলে পাইকারিতে দাম বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে না।
‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে ছিলেন। তিনি ফিরলেও আবার দুর্গাপূজার ছুটি। এ কারণে চলতি সপ্তাহে ঘোষণা নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ৮ অক্টোবরের পর এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।’
এদিকে
গত ১৮ মে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানি হয়। নিয়ম অনুযায়ী- ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শুনানির রায় ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৩ অক্টোবরের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে হবে।
সে হিসেবে হাতে সময় খুব কম বলছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় খুবই কম (এ সপ্তাহে)। তবে যে কদিন আছে, তার মধ্যেই অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাম ঘোষণা করবো।’
তিনি বলেন, ‘৫০ থেকে ৬০ পৃষ্ঠার একটা রায়ের প্রতিটি শব্দ বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখে দিতে হয়। এজন্য একটু সময় লাগছে। রায় ঘোষণার কাজটি ফাইনাল স্টেজে (চূড়ান্তপর্যায়ে) আছে। এটি দু-একদিনের মধ্যেও হতে পারে, আবার ৪-৫ দিনেও হতে পারে।’
জানা গেছে, গত ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদনের
ওপর গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে বিদ্যুতের দাম প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি। আইন অনুযায়ী—৯০ কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে হবে। এ হিসেবে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিইআরসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইকারিপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এখনই বাড়ছে না। কারণ বিদ্যুৎ বিতরণকারী সব কোম্পানি বর্তমানে মুনাফায় রয়েছে। তাই বাল্ক বিদ্যুতের দাম ২০-২৫ শতাংশ বাড়ালে তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।’
বিইআরসির একাধিক সূত্র জানায়, কমিশন ১৫-২৫ শতাংশের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত করে রেখেছে। এরই মধ্যে তা বিদ্যুৎ বিভাগে জমাও দেওয়া হয়েছে। সরকার চাইলে এটি কিছুটা বাড়াতে বা কমাতেও পারে। এক্ষেত্রে সরকার কতটা ভর্তুকি দেবে তার ওপর নির্ভর করবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর হার।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা। গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ইউনিটপ্রতি ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে আট টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল পিডিবি।
তবে বিইআরসির কারিগরি কমিটি গণশুনানিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ভর্তুকি ছাড়া আট টাকা ১৬ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করে। ফলে সরকার যদি ভর্তুকি দেয়, সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কম বাড়ানো হতে পারে। সরকার ভর্তুকি দিতে না চাইলে দাম কিছুটা বেশি বাড়তে পারে।
ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে। আর এটি যেন দেশের মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে আলোচনার প্রাণকেন্দ্র। এর মধ্যে আবার আছে শাকিবিয়ানদের সঙ্গে নানা মানুষের তর্ক-বিতর্ক। এতদিন ব্যক্তিজীবন প্রসঙ্গে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন শাকিব, বলেছেন নানা কথা।
চলমান সমালোচনার জবাবে এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘সিনেমার নায়কের ঊর্ধ্বে আমি কিন্তু একজন মানুষ। আর মানুষ হিসেবে আমারও ব্যক্তিগত একটি জীবন আছে। সেই জীবনে নানা ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই বলে তাতে ঝড়-ঝঞ্ঝার তো কিছু নেই। আমাকে নায়ক হিসেবে দেশ-বিদেশের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে। তাই আমার সব ব্যাপারে তাদের জানার আগ্রহটা একটু বেশি। এটা দোষের কিছু নয়।’
বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমারও তো নিজস্ব কিছু চিন্তা ও পরিকল্পনা আছে। সেই চিন্তা থেকে আমার মনে হয়েছে, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলব না। সময় হলে ঘটা করে সবাইকে জানাব। কিন্তু আমাকে ভুল বুঝে, সেই পরিকল্পনা নষ্ট করে দেয়। আর এ কারণেই আমাকে সমস্যায় পড়তে হয়। প্রেম-বিয়ে তো মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো কখনই মানুষের সামনে আনতে চাই না।’
আপনার বেলাই কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে জানতে চাইলে এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘বিষয়টি কিন্তু এমন না, ক্যারিয়ারে আমি এ পর্যন্ত শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছি। তাই বলে আমি কি প্রত্যেক নায়িকার সঙ্গেই প্রেম-বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছি। সবার সঙ্গে কি আমার স্ক্যান্ডাল আছে? আমি তো মাত্র দুজনকে বিয়ে করেছি। বাকি যেসব খবর রটেছে সবই গুঞ্জন।’
আব্রাম খান জয় ও শেহজাদ খান বীরের আগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে কি ভাবছেন? উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘দুজনই আমার আদরের সন্তান। আমি দুই পুত্রকেই প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত করে রেখে যেতে চাই। দুই সন্তানকেই সমান টেক কেয়ার করে যাব। তাদের জীবনে অপূর্ণতা বলে যেন কিছু না থাকে, সে চেষ্টাই আমার প্রধান দায়িত্ব। ওরা বড় হয়ে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে। আমি তাদের প্রকৃত ও আদর্শ মানুষ হিসেবে দেখতে চাই।
অনেক জল্পনা কল্পনা পর অবশেষে স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিলেন ক্রিকেটার আল-আমিন। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে লিখিত জবাবে এমনটি জানানো হয়।
আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন আল-আমিন। পরে তার আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন।লিখিত জবাবে বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি।
এর আগে আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। সেদিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
একসাথে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে এ মামলা করেন বাদী। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজী ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না ও খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাথারী কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় যৌতুক আইনের একটি মামলাও হয়।
সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সাথে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে একাজ করেছেন এবং একজন নারীর সাথে উঠানো ছবি ইসরাতে কাছে পাঠান।
মামলায় বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে
বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি দায়ের করলেন। জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় বলা হয়।
উল্লেখ্য, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান আরেকটি মামলা করেন। সে মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন পান আল আমিন।
চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক যৌগ আছে, যেগুলো শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। আমাদের অনেকেই আছেন যারা সারাদিন কাজের ফাঁকে ঘন ঘন চা খান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়, কাজের ব্যস্ততায়, ছুটির সন্ধ্যায়- সব কিছুরই সঙ্গী এই চা। এর অনেক গুণ রয়েছে। চা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে বলেও এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ‘ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব ডায়াবেটিস’-এর করা এক সমীক্ষা বলছে, দিনে কমপক্ষে চার কাপ চা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে ১৭ শতাংশ
চায়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক উপাদানগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সারাদিনে বেশ কয়েকবার চা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি কমাবে
৫০-৬৫ বছর বয়সী প্রায় ৩০০ জনের ওপর একটি সমীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কয়েক জন ছাড়া অধিকাংশই ডায়াবেটিসের সমস্যায় আক্রান্ত।
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা নেই, তাদের জীবনযাপন নিয়ে আলাদা একটা সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, কয়েক জন আছেন যারা সারাদিনে বেশ কয়েকবার চা খান। আবার যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের চা খাওয়ার প্রতি তেমন ঝোঁক নেই। খেলেও পরিমাণে কম খান।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শুধু ডায়াবেটিস নয়, চায়ের ফ্ল্যাভোনয়েডস,
ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান হার্টের সমস্যা দূর করতেও সক্ষম। চা যত্ন নেয় হৃদ্যন্ত্রেরও। মৌসুমী গলাব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা তাড়াতেও চায়ের বিকল্প নেই।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি। তবে গবেষকরা জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা প্রতিদিন ১-৩ কাপ চা পান করেন তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪ শতাংশ কমে। আর যারা প্রতিদিন কমপক্ষে চার কাপ পান করেন তাদের ঝুঁকি কমে ১৭ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, চায়ের নির্দিষ্ট উপাদান যেমন পলিফেনল, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোটবোন শেখ রেহানাসহ সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে গেছেন।
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া সাতটায় তাদের গাড়িবহর গণভবন থেকে যাত্রা শুরু করে।
জাতির পিতার দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার গাড়িবহর টোল দিয়ে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করে। শেখ রেহানা গাড়িবহরের ১৭টি গাড়ির টোল প্রদান করেন।
পরে তারা পদ্মা সেতু পার হয়ে সার্ভিস এরিয়া-২ এ যাত্রা বিরতি করেন। সেখান থেকে যাত্রা করে সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা।
গত দুই বছর মহামারির পর বাংলা সিনেমার নতুন জোয়ার শুরু হয়েছে। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখছে সিনেমা। কিছু দিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শক গ্রহণ করেছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে দুটি প্রেমের সিনেমা। তার একটি হলো চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ‘যাও পাখি বলো তারে’। অন্যটি চিত্রনায়িকা পূজা চেরির ‘হৃদিতা’।
‘যাও পাখি বলো তারে’
বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের নতুন সিনেমা ‘যাও পাখি বলো তারে’। এ সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন মাহিয়া মাহি ও আদর আজাদ। আগামী ৭ অক্টোবর রাজধানীর সিনে কমপ্লেক্সসহ সারাদেশের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পরিচালক মানিক বলেন, এটি এমন একটি যা বিশুদ্ধ প্রেমের সিনেমা। অন্যরকম বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার গল্প দেখবেন দর্শক। একজন দর্শকও যদি সিনেমাটি দেখে তাহলে তাদের মন ছুঁয়ে যাবে। প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি আমরা ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিচ্ছি। তারপর আস্তে আস্তে সারাদেশে এবং বিদেশে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
মাহিয়া মাহি বলেন, এ ছবিতে অনেকগুলো সুন্দর সংলাপ আছে। যেগুলো আপনাদের মনে দাগ কাটবে। আমার বিশ্বাস এটি আরেকটি ‘পোড়ামন’ হবে।
ক্লিওপেট্রা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন অপু, সুব্রত, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু (বড়দা মিঠু), মাসুম বাশার, অভিনেত্রী রেবেকা রউফ, মিলি বাশার, লাবণ্য প্রমুখ। সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক তমালিকা আকরাম।
‘হৃদিতা’
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘হৃদিতা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করেছেন যুগল নির্মাতা ইস্পাহানী আরিফ জাহান। সিনেমার নামও রেখেছেন ‘হৃদিতা’। আজ শুক্রবার(৭ অক্টোবর) দেশের ২১টি হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ‘দিন দ্যা ডে’, ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’ সিনেমা দেখতে দর্শক যেভাবে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছেন, আশা করছি আমাদের সিনেমা ‘হৃদিতা’ দেখতেও যাবেন। সিনেমাটিতে একটা রোমান্টিক গল্প আছে। অনেক বার্তা আছে। দর্শকের ভালো লাগবে।
নায়িকা পূজা বলেন, সিনেমায় আমি একজন শান্ত, ভদ্র, চুপচাপ একটা মেয়ে। যে কি না আপনমনে কথা বলে। সব মিলিয়ে দারুণ একটা চরিত্র।
এবিএম সুমন বলেন, আনিসুল হকের গল্প সবসময় দারুণ। এ গল্পটাও অসাধারণ। দর্শকদের মনে ধাক্কা দেওয়ার মতো সিনেমা হবে আশা করি।
‘হৃদিতা’ সিনেমা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। তার বিপরীতে একজন কবির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন। সিনেমার সংলাপও লিখেছেন আনিসুল হক। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক ইস্পাহানী আরিফ জাহান।