জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ কার্যালয়ে দুই পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু জয়পুরহাট জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি, ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডসিট, প্রেজেন্টেশন এবং কম্পিউটারের সমস্যা সমাধানে দক্ষতা, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে ধারণা, সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে ন্যূনতম বাংলায় ৪৫ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দের গতিসম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
পদের নাম: হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, স্প্রেডসিট ও প্রেজেন্টেশনে দক্ষতা, কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিংয়ে কমপক্ষে বাংলায় ২০ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
বয়সসীমা: ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে প্রার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর।
আবেদন ফি
পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোনের মধ্যে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি ২০২২ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে রাষ্ট্রপতির সংলাপ কার্যত একটি নাটকীয় আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। চলমান সংলাপ দেশবাসীর কাছে আগের মতোই চাতুর্যপূর্ণ সংলাপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। এতে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ না করতে আরেক অংশের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে দেওয়া চিঠি পড়ে শোনান দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।ড. কামাল হোসেনকে দেওয়া চিঠিতে রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আপনার পরামর্শ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতির ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংলাপের অভিজ্ঞতার আলোকে গণফোরামের নির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২ জানুয়ারি রোববার গণফোরাম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যেমন বিএনপি, কমিউনিষ্ট পার্টি, বাসদসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ ইতিমধ্যে সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ কার্যত একটি নাটকীয় আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। চলমান সংলাপ দেশবাসীর কাছে আগের মতোই চাতুর্যপূর্ণ সংলাপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কাজেই উক্ত সংলাপে গণফোরামের নামে অংশগ্রহণ করা অপ্রত্যাশিত এবং বর্তমান সরকারের অপশাসন ও জনগণের ভোটাধিকার হরণের রাজচালাকির সহযোগী হিসেবে গণ্য করা হবে। এমতাবস্থায় গণফোরামের ঐতিহ্য এবং সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে আপনাকে এবং গণফোরামের পক্ষে উক্ত সংলাপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্রপতির কথিত ‘সংলাপের নাটক’ বাংলাদেশে ইতিপূর্বে দুবার অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথমবার ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে ও দ্বিতীয়বার ২০১৮ সনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাহেবের সঙ্গে। দুবারই জাতিকে কীভাবে প্রতারিত করা হয়েছিল, যা জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন দশম ও একাদশ তামাশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছিল। এমনকি নিশি দুর্বৃত্তরা দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে, যা বিশ্ব গণতন্ত্রের ইতিহাসে ঘৃণ্য রেকর্ড হয়ে থাকবে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে গণফোরাম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলমান সংলাপ একটি তামাশা মাত্র। যার মাধ্যমে কোনো কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিজের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। বাকি সব করতে হয় প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়ে। সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এর বাইরে যা হবে, তা যদি সংবিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। সার্চ কমিটি তো আইনেই নেই, যেটা বাতিল বলে গণ্য হবে। এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি যেই কাজটি করছেন, এটা কি বৈধ?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নির্বাহী সভাপতি মহসীন রশিদ।
বহিষ্কার নেতারা হলেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. হুমায়ুন কবির, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. রশিদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. শেখ কামাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম মিয়া, সদস্য মো. মিস্টার মিয়া ও সদস্য মো. কঙ্কন মিয়া।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ না নিয়ে দলের কয়েকজন নেতা সক্রিয়ভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় ওই নেতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২২ উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসরের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী রপ্তানি উৎসাহিত করতে আইসিটি পণ্য ও সেবাকে ২০২২ সালের ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন।
দেশের রপ্তানি পণ্যের প্রবৃদ্ধি ও বাজার বৈচিত্র্যের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য সহায়ক সংস্থা এ মেলার আয়োজন করছে।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী ভেন্যুতে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে এই মেলা হতো রাজধানীর আগারগাঁওয়ে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, গত বছর কোভিড মহামারির কারণে মেলার আয়োজন করা সম্ভব না হলেও এখন প্রথমবারের মতো স্থায়ী ভেন্যুতে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্য মেলা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এ মেলা চলবে।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হলে সব স্টল বরাদ্দ হয়েছে। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্ট গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।
সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ৪০ টাকা ও শিশুদের ২০ টাকা।
মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নেতা-কর্মীরা চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। এর আগে গত বুধবার তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে একই দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্তত পাঁচজন নেতা বলেন, স্থানীয় সাংসদের অবৈধ হস্তক্ষেপে ষষ্ঠ পর্বের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা দেওয়া ও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নীরবতার প্রতিবাদে শুক্রবার এ মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধন চলার সময় সরষপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্যসচিব গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছেও আবেদন করেছিলাম। কোনো কাজ হয়নি। আমরা ট্রেজারি চালান কেটে বসে আছি। কিন্তু মনোনয়ন ফরম নিতে পারছি না।’
মানববন্ধনে অংশ নেন ঝলম উত্তর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সরষপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জসিম উদ্দিন, বিপুলাসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, বিপুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সৌদি আরবের রিয়াদ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেন, বাইশগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তোফায়েল আহাম্মদ, আবু বক্কর প্রমুখ।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া আট ব্যক্তি সন্ত্রাসীদের দিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে সরষপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন গোলাম সারোয়ারের সহধর্মিণী ফাতেমা বেগম। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী এ বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর পক্ষে ফরম সংগ্রহ করতে গেলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়।’
জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো আমরা একক প্রার্থী চূড়ান্ত করিনি। কাউকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ায় বাধা দিচ্ছি না আমরা। যাঁরা অভিযোগ করছেন, দল ও এলাকায় তাঁদের কোনো জনসমর্থন নেই।’
১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। ১৩ জানুয়ারি মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন ৩১ জানুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন, তা কোনো সমাধান নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
মুসলিম লীগের নেতারা বলছেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হতে পারে। কারণ, ইতিপূর্বে সংলাপের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে দুটি কমিশন হয়, যারা কার্যত দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মুলতবি সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
সভায় নেতারা বলেন, সব মহলের আপত্তি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এরপর ভোটারবিহীন নির্বাচন, মধ্যরাতের ভোট, সর্বশেষ দেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীনেরা কার্যত দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শেষ করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে সভায় দলের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টনে ফেনী সমিতি মিলনায়তনে এ দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হয়।
বিএনপি অবাধে গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চায় কি না, এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার শামসুল হকের বীরত্বগাথা অবলম্বনে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’-এর মহরত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন, বিকেলে একবার করেন, আবার মাঝেমধ্যে সন্ধ্যাবেলায়ও করেন। তাঁদের নেতৃবৃন্দ সারা দেশে ঘুরে ঘুরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক স্বাধীনতার চেয়ে বেশি কী চান? তাঁরা কি অবাধে গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চান? দিনের পর দিন হরতাল ডেকে মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চান, যা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে করেছেন, যেগুলো মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।’
চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনসের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভির। উপপুলিশ কমিশনার বিজয় বসাকের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, ‘দামপাড়া’ ছবির নায়ক ফেরদৌস খান, নায়িকা আশনা হাবীব ভাবনা, ছবির সংলাপ-রচয়িতা আনন জামান, পরিচালক শুদ্ধমান চৈতন, শহীদ শামসুল হকের সহধর্মিণী মাহমুদা হক চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যদি রাজপথেই খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তাহলে সরকারের কাছে কেন আবেদন জানায় তাঁকে বিদেশ পাঠানোর জন্য। এই দ্বিচারিতা তো পরিহার করা উচিত তাদের। গাড়ি পোড়ানো এবং মানুষকে জিম্মি করে বোমা নিক্ষেপ করার হুকুমের মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও যে ধরনের রাজনৈতিক স্বাধীনতা তারা ভোগ করছে, সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদ্গার করছে, অন্য কোনো দেশে এতটুকু করতে পারত কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়ে তাঁর দণ্ড স্থগিত রেখে তাঁকে মুক্ত রেখেছেন এবং তিনি তাঁর মতো করেই অর্থাৎ তাঁর পরিবার এবং দলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। সরকারের অধীনে তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন না। সুতরাং খালেদা জিয়ার যদি এখন স্বাস্থ্যের কোনো হানি হয়, এটির জন্য দায়ী হবে বিএনপি এবং তাঁর পরিবারের যাঁরা চিকিৎসক এবং যাঁরা তাঁর স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তাঁরা।
এর আগে মহরত অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, দামপাড়া জায়গাটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা। ১৯৩০ সালে এখানেই ছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার। মাস্টারদা সূর্যসেন তাঁর বিপ্লবী বাহিনীকে নিয়ে এই অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ১১ দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। সেই ইতিহাস কিন্তু সবাই জানে না।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দামপাড়ায় ১৯৩০ সালের ঘটনা আর ১৯৭১ সালের ঘটনার মধ্যে একটি বৈপরীত্য আছে। সেই বৈপরীত্যটি হচ্ছে ১৯৩০ সালে এখান থেকে অস্ত্র লুণ্ঠন করতে হয়েছিল। অস্ত্র লুণ্ঠন করে বিপ্লবীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলকে তাঁরা ১১ দিন স্বাধীন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। অন্যদিকে ১৯৭১ সালে লুণ্ঠন করতে হয়নি। বরং অস্ত্রাগারের যিনি রক্ষক ছিলেন পুলিশ সুপার শামসুল হক, তিনিই অস্ত্রগুলো বিতরণ করে দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ব্যবসায়ী রুবেল আহমেদকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশ তাঁদের সখীপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলের কালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান (৩০) ও তাঁর বাবা লাল মিয়া (৫৫)। আজ শনিবার তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে রুবেল আহমেদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওইদিন সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তির ভাই রাসেল আহমেদ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিহত রুবেল আড়াইপাড়া গ্রামের হাজিবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি সখীপুর বাজারে একটি কাপড়ের দোকান চালাতেন। রুবেল গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফরের চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের বাড়ির পাশের একটি জমি লুৎফরের বাবা লাল মিয়া পাশের গ্রামের মোন্তাজ আলীর কাছে বিক্রি করেন। ওই জমিতে মোন্তাজ আলী ঘর তুলতে গেলে রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিস-বিচারও হয়েছে। গতকাল ওই জমিতে মোন্তাজ আলী পুনরায় ঘর তুলতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে রুবেল অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাঁর স্বজনেরা বেলা দুইটার দিকে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাড়ির পাশেই ওই জমি। আমরাই ওই জমি কিনতে চেয়েছি। কিন্তু লুৎফর ক্ষমতার দাপটে ওই জমি পাশের গ্রামের মোন্তাজ আলীর কাছে বিক্রি করেছেন। এ নিয়ে ঝগড়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাইকে আমাদের সামনেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’
জানতে চাইলে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন বলেন, লুৎফর রহমানকে সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবং তাঁর বাবা লাল মিয়াকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, মামলার প্রধান আসামি মোন্তাজ আলীসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।