logo
Breaking News
আইনমন্ত্রীর আশ্বাস ডিজিটাল–আতঙ...

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁকে সমন দিতে হবে। মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক আদালতে জামিন চাওয়ার সুযোগ পাবেন। গত বৃহস্পতিবার ওকাবের ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের জন্য এ অভয়বাণী শুনিয়েছেন।

ওই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু তিনি বলেননি যে আইনের অপব্যবহার বা দুর্ব্যবহার কারা করছে। অপব্যবহার কিংবা ব্যবহার দুটোই করছে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। যখন তাঁরা দেখেন কোনোভাবে সাংবাদিকের কলম ও মুখ বন্ধ করা যাচ্ছে না, তখন শায়েস্তা করার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে এটি ব্যবহার করছেন। যঁারা মামলা করেন, তাঁরাও জানেন এই মামলার বিচার দুই-চার বছরে হবে না। তত দিন অভিযুক্ত সাংবাদিক হোন আর ভিন্নমতের লোক হোন জেলখানায় বন্দী থাকুন। এতে দুটি সুবিধা পাওয়া যায়। যে সাংবাদিকের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অপকর্ম ফাঁস করেছেন, তঁার মুখ বন্ধ করা গেল। দ্বিতীয়ত যাঁরা ভবিষ্যতে অপকর্ম ফাঁস করতে পারেন, তাঁদের কাছেও এই বার্তা পাঠানো হলো যে সমঝে না চললে ভয়াবহ বিপদ আছে।

লেখক মুশতাক আহমদ, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল কিংবা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, এমন কোনো কাজ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত মনে করলে তিনি মানহানির মামলা করতে পারতেন। তারপরও ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে লৌহপ্রাচীরের ভেতরে আটকে রাখা হলো। এর মধ্যে মুশতাক গত ফেব্রুয়ারিতে কারাগারেই অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। ছয়বার তিনি জামিনের আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। আর একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে অপহৃত হন। কয়েক মাস পর তাঁর খোঁজ মেলে বেনাপোল সীমান্তে; প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় বিনা পাসপোর্ট আইনে। এরপর এক সাংসদের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন। এখনো মামলার খড়্গ ঝুলছে। কার্টুনিস্ট কিশোরও জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।

এর আগে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, যঁারা আইনের অপব্যবহার করেছেন, তঁাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানা যায়নি। ২৯ ডিসেম্বর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বলেছেন, ‘আপনারা হয়তো জিজ্ঞাসা করবেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে কী পদক্ষেপ নিয়েছি? গত বছরই ইউনাইটেড নেশনসে ডায়ালগ শুরু করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে করণীয় কী হতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেস্ট প্র্যাকটিস যাতে হয়, আইনের ক্ষমতাবলে বিধিতে সেসব রাখা যাবে, যাতে আইনের অপব্যবহার না হয়।’

আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে জাতিসংঘে মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আইনটি জারির সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে যেসব আপত্তি তোলা হয়েছিল, তা আমলে নেননি। সাংবাদিকেরা যেহেতু জাতিসংঘের মতো শক্তিশালী নন, সে কারণে তঁাদের সঙ্গে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেন না আমাদের নীতিনির্ধারকেরা।

আইনমন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না, তখন বাস্তব অবস্থা কী? মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। সাংবাদিকেরাও বেশি মামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন। তঁাদের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল ৬৩১টি, এর মধ্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ২১৩টি। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৭২টি মামলায় আসামি হয়েছেন ৩১২ জন, যাঁদের মধ্যে সাংবাদিক ৭০ জন।

অন্যদিকে ২০২১ সালে (জানুয়ারি-নভেম্বর) মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ৪৪২টি। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের সংখ্যা ৪৬২। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ২২৫টি, আসামি ৪১৭। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩২টি মামলায় আসামি ৬৮ জন। এ সময় মানহানি ও হয়রানিমূলক হামলা হয়েছে ৩৮টি এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক ১৩৩ জন। আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে আটক আছেন ২৬ জন।

দেখার বিষয় হলো, যে ২৬ সাংবাদিক বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের আইনমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করেছিল কি না? এর আগে আইসিটি আইন ও মানহানি মামলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সরকার বলছে, পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া মানহানি মামলায় কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না, কিন্তু মামলা হওয়ামাত্র পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রধান আপত্তির বিষয় হলো এই আইনের ১৪টি ধারাই হলো অজামিনযোগ্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একবার মামলা করে কাউকে জেলে পাঠালে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন।

আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, আইনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, অপব্যবহার হবেই। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কোনটি হুমকি কিংবা কার কথা অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবে, সেই বিচার কে করবেন? পুলিশ না আদালত? সুনামগঞ্জের ঝুমন দাশ তো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, তারপরও তঁার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ঠুকে ১০ মাস তঁাকে জেলে রাখা হয়েছিল। অতএব শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করে সরকারের উচিত আইনটি পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, প্রচলিত আইনেই তার বিচার করা সম্ভব। এ জন্য ডিজিটাল আইনের প্রয়োজন নেই।


ডিজিটাল আইন সংশোধনের কমিটিতে গ...

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এ ছাড়া, আইনের চোখে সবাই সমান—এই নীতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে শুধু সাংবাদিক নয়, ডিজিটাল আইনে করা মামলায় দেশের সাধারণ নাগরিকদেরও তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার দাবি জানিয়েছে টিআইবি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার এসব দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনটির নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ সংশোধন করা বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যকে সতর্ক সাধুবাদ জানাচ্ছে টিআইবি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে স্বীকার করে, বিশ্বের সেরা চর্চাসমূহের অনুসরণে আইনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই এটির বেশকিছু ধারা বিশেষ করে ২৫ ও ৩১ নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এটি খড়্গ্‌হস্ত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছিল; কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি। এটির অপব্যবহার রোধে আইনমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটিরও বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি; বরং অল্পদিনেই আইনটি ভিন্নমত দমন ও ভয়ের পরিবেশ তৈরির কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের কাছে। এমন বাস্তবতায় আইনটির অপব্যবহার রোধে যেকোনো ধরনের সংশোধনে গঠিত কমিটিতে সব অংশীজন, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। নয়তো নতুন উদ্যোগও ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হবে না- এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্য অনুযায়ী, এ আইনে ২০২১ সালের ১১ মাসে মামলা হয়েছে ২২৫টি; যেখানে ৪ শয়ের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৬ জনকেই আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার এসব মামলার বড় অংশই হয়েছে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কটূক্তি করার জন্য। অর্থাৎ আইনটি শুধু গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই নয়, সাধারণ নাগরিকদের ভিন্ন চিন্তা ও সরকারের সমালোচনা রোধে ব্যবহারের সুস্পষ্ট নজির তৈরি করেছে; যার বড় উদাহরণ এই আইনে করা মামলায় কারাগারে থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু। তাই শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও এ আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের নীতি থেকে সরে আসতে হবে।

একই সঙ্গে ডিজিটাল আইনে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার যে সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর মৌখিকভাবে থানাগুলোতে জানানো হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে, তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার ও সবার জন্য সমানভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদি...

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁকে সমন দিতে হবে। মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক আদালতে জামিন চাওয়ার সুযোগ পাবেন।

ওভারসিজ করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত মিট দ্য ওকাব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন । আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওকাব।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে আইসিটি অ্যাক্ট ২০০৬–এর একটি সেলের কাছে চলে যাবে। সেই সেল তদন্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার মতো উপাদান পেলে মামলাটি নেওয়া হবে। অফিস আদেশ না দেওয়া হলেও এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা থানাগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছুটা অপব্যবহার ও কিছুটা দুর্ব্যবহার হয়েছে বলে স্বীকার করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর কারণে একটা ধারণা জন্মেছে যে এই আইন বাক্‌ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ করতে করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইন এর কোনোটাকেই বন্ধ বা বাদ দেওয়ার জন্য করা হয়নি।

দণ্ডবিধিতে যেসব অপরাধ আছে, সেসব অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জারি হয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, যে অপরাধগুলো আগে ডিজিটালি করা হতো, এখন দেখা গেছে, অনেকগুলো ডিজিটালি করা হয় না। ডিজিটালি অপরাধ না করা, সেটা থেকে ফিরে আসার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার।

ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুজনে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, তাৎক্ষণিক সেই মামলা আদালতে গ্রহণ করে আদালত এর প্রসিডিউর শুরু করবেন না। আরেকটা আইন আছে আইসিটি অ্যাক্ট ২০০৬, সেখানে একটি সেল আছে, যারা তদন্ত করতে পারে যে মামলাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয় কি না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হবে, তাৎক্ষণিকভাবে সেটা সেই সেলে যাবে। সেই সেলের তদন্তের পর যদি সাব্যস্ত হয় এই যে হ্যাঁ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপরাধে নালিশ করা হয়েছে, তাতে সেই অপরাধের ইনগ্রেডিয়েন্টস (উপাদান) এই নালিশের মধ্যে আছে, তাইলেই মামলাটা নেওয়া হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আরেকটি বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম মামলা করলে একজন সাংবাদিককে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করার যে ধারণা, তা এই ধারণাকে (বাক্‌ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ) জ্বালানি দিচ্ছে। সে জন্যই তাৎক্ষণিক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত সম্পন্ন না হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ থাকলেও একজন সাংবাদিককে কারাগারে নেওয়া যাবে না। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন, গত ছয় মাসে এ রকম ঘটনা খুব একটা ঘটেনি।’
অফিস আদেশ জারি করার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ নির্দেশনা আমরা নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে দিতে পারি না। যেটা করা হচ্ছে, তা হলো পুলিশ যেখানে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখে, সেখানে ইন্টারনালি প্রতিটি থানাতে এ রকম জানানো হয়েছে বলে আমার কাছে খবর আছে।’

এক সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন করেন, এ জন্যই কি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছিল? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অপরাধ না করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কি এই আইনে মামলা হবে? রোজিনা নিশ্চয় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপরাধ করেননি। সে জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তাঁর ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়নি।’

সেই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, ‘কিন্তু আমরা তো প্রথমে শুনেছিলাম, রোজিনা ইসলাম ছবি তুলছিলেন। সেটা ডিজিটাল ফরম্যাটে এসেছে। এ কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে শোনা যায়, আইন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রেসস্ক্রিপশনের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে না করে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে ল মিনিস্ট্রির প্রেসক্রিপশন বা আমার আলোচনার একটা ইমপ্যাক্ট হয়েছে।’

আমলারা এখন আকাশে উঠে গেছে: মির...

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার ক্ষমতায় এসেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংসদে বিরোধী দল নেই। আমলারা এখন একেবারে আকাশে উঠে গেছে। রাজনৈতিক নেতা, আওয়ামী লীগের নেতা, তাঁদের কোনো মূল্য নেই। রাজনীতি পুরোপুরিভাবে সরিয়ে দিয়ে একটি আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি আয়োজিত ‘ভোটাধিকার হরণের কালো দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ভোট ডাকাতি হয়েছে, তখন ছিনিয়ে নিত। কিন্তু এভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আগের রাতে ভোট চুরি করা ২০১৮ সালে প্রথম।
২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে দেওয়া হয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি একজন আমলা। তিনি সব আমলাকে একসঙ্গে নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করেন। মাঠের ভূমিকা পালন করে পুলিশ। পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়েই এই নির্বাচন করেছে। বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে এই অবস্থায় হঠাৎ নিয়ে আসা হয়নি। বহু আগে থেকেই বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জীবিত একমাত্র নেত্রী খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। উড়ে এসে জুড়ে বসে প্রধানমন্ত্রী হননি। তিনি এখন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে বন্দী।

বিএনপির সাম্প্রতিক সমাবেশ, আন্দোলন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি। লড়াই বেগবান হয়েছে। বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ লড়াই দুর্বার গণ–আন্দোলনে পরিণত হবে। এ গণ–আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।’ একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই সরকারের পতন ঘটাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের গত তিনটি নির্বাচনের কৌশল বিএনপি বুঝতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘পরপর তিনটি নির্বাচন তিন কৌশলে পার করেছে। তাদের নির্বাচনের কৌশল আমরা নির্বাচনের আগে বুঝিনি। নির্বাচনের পরে বুঝছি।

গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্বলতা একটা জায়গায় যে শেখ হাসিনা কী করবে, এটা আমরা আগে বুঝতে পারি না। ঘটনা ঘটার পরে বুঝতে পারি। দিনের ভোট রাত করবে, এটা কে বুঝবে?’

মানুষ এখন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন আন্দোলনের বাইরে ছিল। ডাক পড়লে কর্মীরা চলে আসেন। রাজপথ মোকাবিলার সাহস তাঁদের আছে। আপসহীন নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন ছাড়া হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।


খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হবেন...

খালেদা জিয়াকে ‘প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা’ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তিযোদ্ধা হবেন না তো কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন? যারা পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল আর ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, তারা মুক্তিযোদ্ধা হবে?’

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন, তখন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের (সেনানিবাস) বাসায় তাঁর দুই শিশুপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ছিলেন। ওই সময় অষ্টম বেঙ্গলের সেনারা চলে এসে বলেছিল, “পাকিস্তানি সেনারা বলছে অস্ত্র সমর্পন করতে। আমরা অস্ত্র সমর্পণ করব কি না?’’ তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘‘তোমাদের অধিনায়ক মেজর জিয়ার নির্দেশ ছাড়া তোমরা কোনো অস্ত্র সমর্পণ করবে না।’’ সেই দিন থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যখন খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বললাম, তখন আওয়ামী লীগের লোকেরা ভীষণ বেজার হয়ে গেলেন। তাঁরা বকাবকি শুরু করলেন। এমনকি একজন নামকরা মুক্তিযোদ্ধা বললেন, হায় আল্লাহ, তিনিও মুক্তিযোদ্ধা!’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা। সেদিন সেনাবাহিনীকে না বলার মধ্য দিয়ে ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে আত্মীয়ের বাসায় থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। একপর্যায়ে মির্জা ফখরুল প্রশ্ন করেন, ‘তিনি মুক্তিযোদ্ধা হবেন না তো কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন? যারা পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল আর ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, তারা মুক্তিযোদ্ধা হবে?’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন গণতন্ত্রকে হরণ করে এরশাদ সামরিক শাসন জারি করল, যখন সবাই ভেবে নিয়েছিল বিএনপি শেষ, গণতন্ত্র শেষ, তখন এই নেত্রী (খালেদা জিয়া) স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্রের পতাকাটা হাতে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ ৯ বছর তিনি গ্রামেগঞ্জে, হাটে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গান গেয়ে বেড়িয়েছেন। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি বা মিড নাইট নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসেননি। রাজপথে সংগ্রাম করে এরশাদকে উৎখাত করে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন।’

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে আমরা সারা দেশে আন্দোলন শুরু করেছি। অনেকেই বলছেন আন্দোলন দেন। আন্দোলন শুধু হরতাল-অবরোধ নয়। এই যে হাজার হাজার মানুষ চিৎকার করে বলছে, ‘‘খালেদা জিযার মুক্তি চাই’’, এটাও একটা শক্তিশালী আন্দোলন। আপনারা ফুটবল খেলা দেখেছেন। খেলা শুরুর আগে টিমগুলো ওয়ার্মআপ করে। এটা হচ্ছে সেই ওয়ার্মআপ। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাঁও থেকে চট্টগ্রামে—সব জায়গাতেই আন্দোলনের ওয়ার্মআপ শুরু হয়েছে। এ আন্দোলন ততক্ষণ বন্ধ হবে না, যতক্ষণ না দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন আর তাঁর সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠোনো হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আমরা ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করছি। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতে হয়ে গিয়েছিল। ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চাই। এই হাসিনা সরকারকে যদি আমরা সরাতে না পারি, তবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভোমত্ব বিপন্ন হবে। এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই যত দিন পর্যন্ত এই সরকারকে সরাতে না পারছি, তত দিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। আমাদের আন্দোলন চলবে, চলবে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রমুখ

খালেদাকে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা বল...
বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক সভায় মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন, তখন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের (সেনানিবাস) বাসায় তাঁর দুই শিশুপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ছিলেন। ওই সময় অষ্টম বেঙ্গলের সেনারা চলে এসে বলেছিলেন, “পাকিস্তানি সেনারা বলছে অস্ত্র সমর্পণ করতে। আমরা অস্ত্র সমর্পণ করব কি না?” তিনি সেদিন বলেছিলেন, “তোমাদের অধিনায়ক মেজর জিয়ার নির্দেশ ছাড়া তোমরা কোনো অস্ত্র সমর্পণ করবে না।” সেই দিন থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।’

তবে বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য নাকচ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা করা মানে রাও ফরমান আলী ও নিয়াজীকে মুক্তিযোদ্ধা করা। এই হাস্যকর, এই পাগলামি যাঁরা করছেন, তাঁদের তো এই সমাজে জায়গা থাকতে পারে না।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে অপসারণের দাবিতে ওই এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের স্বজনেরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি তাঁদের সমর্থনে, যাঁরা তাঁদের স্বামী, পিতা, ভাইকে হারিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের সেই দিনগুলোতে খুনি জিয়াউর রহমান শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে বিচারের প্রহসনের নামে হত্যা করেছিলেন। জাপানি এয়ারলাইনসের বিমান হাইজ্যাক হওয়ার পর খুনি জিয়া যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে খুন করেছিলেন, বিচারের নাটক সাজিয়েছিলেন, সেটি আইনের কোনো অর্থেই বিচার ছিল না।’

সর্বোচ্চ আদালতের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় যা যা মানতে হয়, তার কোনোটিই সেখানে মানা হয়নি। তাঁদের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি আত্মপক্ষ সমর্থনের। এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রায় দেওয়া হয়েছে পরে। আরও দুঃখজনক হলো যাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর না করে সেটি হয় নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়তো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই হলো জিয়ার কাজ, যিনি কিনা ইতিহাসের সেই চেঙ্গিস খান, তৈমুর লং, নাদির শাহর চেয়েও বেশি নির্মম ব্যক্তি ছিলেন। জিয়া কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার পর যাঁরা পথে ব্যারিকেড দিচ্ছিলেন, তাঁদের খুন করেছিলেন। সেই কারণে জিয়া কিন্তু একজন ‘যুদ্ধাপরাধীও বটে’।

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সবার দাবি, জিয়ার মরণোত্তর বিচারের জন্য আইন করা হোক। আমাদের সংবিধানে এ ধরনের আইন করতে কোনো বাধা নেই। আইন করে শুধু জিয়া নন, অন্য যাঁরা এই ধরনের বেআইনি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তাঁদের সবারই বিচার করা হোক। এর মধ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছেন। কালবিলম্ব না করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন এবং মরণোত্তর বিচারের জন্য আইন করা হোক।’

জিয়াকে ‘খুনি ও যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘একজন খুনি, একজন যুদ্ধাপরাধীর প্রতীকী কবর এই সংসদের কাছে থাকতে পারে না। আমরা জানি, এখানে খুনি জিয়ার দেহ নেই। প্রতীকী একটি কবর সাজিয়েছেন তাঁরা। এটি অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে এবং অবিলম্বে এটি করতে হবে।’

মানববন্ধনে সার্জেন্ট আবুল বাশার খানের মেয়ে বিলকিস চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজও জানি না আমার বাবার কবর কোথায়। খুনি জিয়া অন্যায়ভাবে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমার বাবার কবর কোথায় আমরা জানতে চাই। আমার বয়স তখন চার বছর ছিল। সারা জীবন আমি আমার মাকে কাঁদতে দেখেছি। এখনো আমার মা কেঁদে চলেছেন। অথচ এই খুনের বিচার হয়নি।’

সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন–অর–রশীদ বলেন, জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিদ্রোহের নামে কিছু সৈনিক ও অফিসারকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করা হয়। তাঁদের বিচার না করেই হত্যা করা হয়েছে। যে কয়েকটি বিচার হয়েছিল, সেটা ছিল প্রহসন। এমনও হয়েছে, বিচারে রায় দিয়েছে, ফাঁসি হোক। অথচ ফাঁসির রায় আগেই কার্যকর হয়েছে। আজ এখানে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা সবাই স্বজন হারিয়েছেন। স্বজনদের হত্যার বিচার চাইতে এখানে এসেছেন। অবিলম্বে এই গণহত্যার বিচার হওয়া জরুরি।

করপোরাল মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম বলেন, ‌তাঁর বাবাকে যখন ফাঁসি দেওয়া হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। এরপর তাঁর বেড়ে ওঠা যে কত কষ্টের, সেটা বলার মতো ভাষা নেই। মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। তখন তিনি পেট ভরে ভাতও খেতে পারেননি।



বছর শেষে বাজার মূলধনে মার্কিন...

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোই আকারে তুলনামূলকভাবে বেশি বড় হয়েছে। আবার খাত ভিত্তিতে সবচেয়ে এগিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।

একটি কোম্পানির বাজার মূলধন হলো, সেটির সব শেয়ারের মোট মূল্য। সেই হিসাবে গত এক বছরে সবচেয়ে অগ্রগতি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও মাইক্রোসফট। বিদায়ী বছরে উভয় প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য বেড়ে প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা তিন লাখ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও সোশ্যাল মিডিয়া তথা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা বাজারমূল্যে প্রথমবারের মতো এক লাখ কোটি (এক ট্রিলিয়ন ডলার) ডলারের মাইলফলকে ছুঁয়েছে। প্রসঙ্গত, এক লাখ কোটিতে এক ট্রিলিয়ন হয়।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ান ট্রিলিয়ন তথা এক ট্রিলিয়ন ক্লাবে প্রবেশ করা এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে, যা দু–তিন বছর আগেও এত সহজ ছিল না। মার্কিন সফটওয়্যার ও তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টসেটের তথ্য অনুসারে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ছয়টি কোম্পানির বাজার মূলধন এক লাখ কোটি (১ ট্রিলিয়ন) ডলারের বেশি। এর মধ্যে কেবল সৌদি আরবভিত্তিক তেল কোম্পানি আরামকো ছাড়া বাকি পাঁচটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। আর মূলধনের শীর্ষে থাকা প্রথম দশটির মধ্যে সাতটিই হল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভেস বলেন, মহামারির প্রকোপ থেকে বেরিয়ে এসে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন একটি অনন্য অবস্থানে পৌঁছেছে। ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য হিসাব করে ফ্যাক্টসেট জানিয়েছে, গত এক বছরে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট (গুগল), আমাজন, টেসলা ও ফেসবুকের (মেটা) বাজার মূলধন সম্মিলিতভাবে ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার বেড়েছে।

অ্যাপল
সাপ্লাই চেইন তথা সরবরাহ সমস্যার কারণে অ্যাপলের আইফোনের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। তা সত্ত্বেও অ্যাপল ২০২১ সালে তিন ট্রিলিয়ন ডলার বাজার মূলধনের কোম্পানি হওয়ার পথে দ্রুতই এগিয়েছে। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির মূলধনের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার। বিদায়ী ২০২১ সালে কোম্পানিটির শেয়ারবাজারের আয় ৩০ শতাংশ বা ৬৫ হাজার ৯৮০ কোটি ডলার বেড়েছে। প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার মূলধন নিয়ে অ্যাপল এখন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত। স্টিভ জবস (প্রয়াত), স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন মিলে ১৯৭৬ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করেছিলেন।

মাইক্রোসফট
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী বিল গেটসের প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফট গত কয়েক বছরে ব্যবসায়িকভাবে বেশ সফল হয়েছে। শুধু ২০২১ সালেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গত জুন মাসে প্রথমবারের মতো কোম্পানিটির বাজার মূলধন দুই ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার অতিক্রম করে। এরই মধ্যে এই কোম্পানি অ্যাপলের সঙ্গে বিশ্বের সর্বাধিক বাজার মূলধনবিশিষ্ট কোম্পানি হওয়ার দৌড়ে রয়েছে। অর্থাৎ বছর শেষে এসে মাইক্রোসফটের বাজার মূলধনও প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি এসে গেছে।

অ্যালফাবেট (গুগল)
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের বাজার মূলধন গত নভেম্বর মাসের শুরুতে দুই ট্রিলিয়ন ডলারে উঠেছে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে বাজার মূলধন এক লাখ কোটি ডলার বাড়ানোর মতো সফলতা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া বিদায়ী বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গুগলের ডিজিটাল পণ্য ও পরিষেবা পেতে ভোক্তাদের আগ্রহ তথা চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বড় উল্লম্ফন ঘটে।

আমাজন
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে ক্রেতারা দোকানে ফেরায় কিছু ধাক্কা লেগেছে বৈশ্বিক ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের আয়ে। তারপরও বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের কোম্পানিটি গত তিন মাসে প্রায় ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলার আয়ের কথা জানিয়েছে। গত তিন মাসে ওয়েব পরিষেবা, বিজ্ঞাপন ও প্রাইম সাবস্ক্রিপশন খাতের আয় প্রতিষ্ঠানটির খুচরা বিক্রিকে ছাড়িয়ে গেছে। বছরের শেষ দিকে আমাজনের বাজার মূলধন বেড়ে প্রায় দুই ট্রিলিয়নের কাছাকাছি এসে যায়।

টেসলা
বিদায়ী ২০২১ সালে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি টেসলার শেয়ার দর ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টেসলা প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন তথা এক লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধনবিশিষ্ট কোম্পানি হয়ে ওঠে।

মেটা (ফেসবুক)
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফেসবুক নাম বদলে হয়ে যায় মেটা। মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠিত ফেসবুক (বর্তমানে মেটা) বিদায়ী বছরের শুরুতে বাজার মূলধনে ওয়ান ট্রিলিয়ন ক্লাবে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁসের কারণে চাপে থাকলেও তা প্রতিষ্ঠানটির স্টকের দামে খুব কমই বাধা পেয়েছে। সূত্র: সিএনবিসি।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়ে...

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজের স্বীকৃতি পেলেন ১৫ জন ইনফ্লুয়েন্সার। ইনফ্লুয়েন্সারভিত্তিক রেড কার্পেট মেগা ইভেন্ট ‘দ্য মার্ভেল অব টুমরো’র অংশ হিসেবে তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠান দ্য ইয়োরস ট্রুলির গবেষণাভিত্তিক ইনফ্লুয়েন্সার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য মার্ভেল-বি ইউ’ এ ইভেন্ট আয়োজন করে।  

ইভেন্টের ১৫টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী যারা—ফুড ব্লগিংয়ে রাফসান দ্য ছোট ভাই, ফ্যাশনে হাবিবা আক্তার, লেখালেখিতে সাদাত হোসাইন, ওয়েল বিংয়ে (সুস্বাস্থ্য) চিকিৎসক সাকলায়েন রাসেল ও সোহেল তাজ, আর্টে (শিল্প) অন্তিক মাহমুদ, সংগীতে প্রীতম হাসান, মেকআপে নাভিন আহমেদ, নাচে হৃদি শেখ, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে থটস অব শামস ও রাশেদুজ্জামান রাকিব, রান্নায় ফারদিন শরীফ (বাংলার রান্নাঘর), ভ্রমণে নাদির অন দ্য গো ও নিয়াজ মোর্শেদ (ট্রাভেলারস অব বাংলাদেশ), কমিউনিটি এনগেজমেন্টে মুনজেরিন শহীদ, আলোকচিত্রে মুনেম ওয়াসিফ, স্ট্যান্ডআপ কমেডিতে রাফসান সাবাব ও বিজনেস নেক্সট জেন ক্যাটাগরিতে আয়মান সাদিক।

এ ছাড়া কমিউনিটি এনগেজমেন্টে জুবায়ের তালুকদার, মাহমুদা চৌধুরী মলি ও শাহ রাফায়েত চৌধুরী এবং মেকআপে শিমারগার্ল বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।