নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিচিত্র চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত এ অভিনেতা। টিভি, ওটিটিসহ নানা মাধ্যমে নিয়মিত তার অভিনীত নাটক প্রচার হচ্ছে। তবে টেলিভিশন নাটকের চেয়ে এ অভিনেতা বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফরমের কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত রয়েছেন। সর্বশেষ তিনি ‘পুনর্জন্ম ৩’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটি প্রচারে আসার পর দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
তবে জনপ্রিয়তা এবং ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও এ অভিনেতা আগের চেয়ে নাটকের কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, গতানুগতিক গল্প ও চরিত্রের কারণেই নাটকে কম অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে তার এ সিদ্ধান্ত টিভি নাটকের প্রযোজ্য। অন্যদিকে তিনি ব্যস্ত হচ্ছেন ওটিটি প্ল্যাটফরমে। এরই মধ্যে ‘কাইজার’, ‘রেডরাম’, ‘সিন্ডিকেট’ নামের ওয়েব নাটকগুলোতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বর্তমানে এ অভিনেতার হাতে রয়েছে কয়েকটি ওয়েব ফিল্ম ও সিরিজের কাজ। সেগুলোর স্ক্রিপ্ট নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আফরান নিশো বলেন, ‘আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি ভিন্ন ধাঁচের চরিত্রে কাজ করতে। একটি চরিত্রের সঙ্গে আরেকটির যেন মিল না থাকে সে বিষয় নিয়ে সব সময়ই যত্নবান হওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হাতে আছে। এগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছি। শিগ্গির শুটিং শুরু করব।’ এ ছাড়া আফরান নিশো অভিনীত কয়েকটি একক নাটক প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো শিগ্গির অনলাইন মাধ্যমে প্রচার হবে বলে নির্মাতারা জানিয়েছেন।
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের কাছ থেকে এবার জন্মদিনে একটি হীরার ‘নাকফুল’ উপহার পেয়েছেন বলে জানান শবনম বুবলী। ২০ নভেম্বর ঢালিউডের এই তারকা ৩৩ পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পা রাখেন। বুবলীর হীরার নাকফুল উপহার পাওয়ার খবরে ফেসবুকে পোস্ট দেন অপু বিশ্বাস। ‘শাকিবের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল পেয়ে বুবলীর চোখে জল’, এমন শিরোনামের একটি সংবাদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে একাধিক হাসির ইমোটিকন দেন অপু। শুধু তা-ই নয়, অপু লিখেছেন, ‘কী যে মজা, মজা।’ হীরার নাকফুল উপহারের কেন্দ্রে যেহেতু শাকিব খান, তাই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। শাকিব খান সরাসরি জানালেন, তিনি বুবলীকে কোনো হীরার নাকফুল উপহার দেননি।
এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ জানা যায়, শাকিব খান ও শবনম বুবলী মা-বাবা হয়েছেন। এই তারকা জুটির পুত্রসন্তানের বয়স আড়াই বছর। জানা যায়, বুবলী মা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড জ্যুইশ মেডিকেল হাসপাতালে। ২০২০ সালের ২১ মার্চ তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের নাম রাখা হয় শেহজাদ খান বীর। এর ঠিক দুদিন পর বুবলী তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান, তাঁর জীবনের দুটি স্মরণীয় তারিখের কথা। বুবলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জীবনের স্মরণীয় দুটো তারিখ। ২০ জুলাই ২০১৮, এটি আমাদের বিয়ের তারিখ। আর ২১ মার্চ ২০২০ আমার ছেলের জন্মতারিখ।’ এরপর থেকে শাকিব খান ও বুবলীকে ঘিরে চলে আলোচনা।
তবে ঘোষণার ঠিক দুদিন পর ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ ছবির গানের শুটিংয়ে দেখা যায়, তাঁরা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেননি। এমনকি দুজনের বিশ্রামের জন্য পাঁচতারা সেই হোটেলে ছিল আলাদা দুটি কক্ষ। এরপর থেকে গুঞ্জন রটে, শাকিব–বুবলী কি আদৌ একসঙ্গে আছেন, নাকি সম্পর্ক ঘোষণার আগেই শেষ হয়ে গেছে। শাকিব গণমাধ্যমে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে ইঙ্গিত দেন, তাঁদের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে বুবলী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁদের সম্পর্ক আছে। দুজনের এমন কথায় শাকিব খানের ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দোটানায় পড়েন।
কিংবদন্তি গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার তার মেয়ে সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ারের জন্য একটি গান লিখে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই গানটি রেকর্ডিং করা হয়েছে। ‘মেঘলা আকাশ একলা রাতে হারিয়ে যাওয়া তারার হিসেব’-কথার এ গানটির সুর সংগীতায়জোন করেছেন নতুন প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সংগীত পরিচালক অপু আমান। দিঠির সঙ্গে অপু আমান দ্বৈতভাবে গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন। জানা গেছে, শিগগির গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হবে। মিউজিক ভিডিওতে দিঠি অভিনয়ও করবেন।
বাবার গাওয়া শেষ গান প্রসঙ্গে দিঠি আনোয়ার বলেন, ‘এবারের গানটি গাইতে গিয়ে আমি ভীষণভাবে ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। কারণ আমার গাওয়া প্রায় প্রতিটি গান রেকর্ডিংয়ের সময় বাবা উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু বাবা এবার বাবা নেই। রেকর্ডিংয়ের সময় বাবাকে অনেক মিস করেছি।’
গানটি প্রসঙ্গে দিঠি আরও বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের সংগীত পরিচালকদের মধ্যে অপু আমান অনেক ভালো কাজ করছেন। আমার গানটিরও অনকে সুন্দর সুর করেছেন। আশা করছি গানটি শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এত দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোনো বদ উদ্দেশ্য আছে? কোনো মতলবে কি তারা এটা চায়?
বিএনপি সমাবেশ ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে। আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে।
সচিবালয়ে আজ এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি কেন ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে, এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১০ ডিসেম্বর সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক, এই দুজনকে পাক-হানাদার বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংঘটিত হয়।
‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান। বিশাল জায়গা সেখানে। আওয়ামী লীগ সব সমাবেশ, জাতীয় সম্মেলন করে এখানে। তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনে, ছোট এলাকায়, যেখানে ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিটের মতো জায়গা, সেখানে তাদের সমাবেশের জন্য বেছে নিলো?’
ব্যাংকের বিষয়ে
কোনও
নেতিবাচক তথ্য
থাকলে
সে
বিষয়ে
লিখিত
তথ্য
চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ
হ
ম
মুস্তফা কামাল। গতকাল মঙ্গলবার (২৯
নভেম্বর) সচিবালয়ে এক
অনুষ্ঠানে ইসলামী
ব্যাংকসহ কয়েকটি
ব্যাংকের ঋণ
জালিয়াতি নিয়ে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তিনি
এ
কথা
বলেন।
গৃহনির্মাণ ঋণ
ব্যবস্থাপনা মডিউলের উদ্বোধন উপলক্ষে অর্থ
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
অর্থমন্ত্রী। দেশের
ব্যাংকগুলোর বর্তমান হালচাল
নিয়ে
বিভিন্ন মহলের
সমালোচনার বিষয়ে
জানতে
চাইলে
সাংবাদিকদের তিনি
বলেন,
ব্যাংকের অবস্থা
কোথায়
খারাপ
লিখিত
দিয়ে
যান।
আমরা
খতিয়ে
দেখবো।
অর্থ
বিভাগের সিনিয়র
সচিব
ফাতিমা
ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও
বক্তব্য রাখেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
আব্দুর
রউফ
তালুকদার, আর্থিক
প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব
শেখ
মোহাম্মদ সলীম
উল্লাহ,
হিসাব
মহানিয়ন্ত্রক মো.
নুরুল
ইসলাম
এবং
অগ্রণী
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবীর।
তিনি
বলেন,
ঋণ
আবেদন
প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা
হলে
এ
ধরনের
সমস্যা
দূর
হবে
বলে
আশা
করা
যায়।
একইসঙ্গে আবেদনকারী সরাসরি
অনলাইনে অর্থ
বিভাগে
আবেদন
করতে
পারবেন। ব্যাংক
ও
মন্ত্রণালয় মিলে
খুব
অল্প
সময়ের
মধ্যে
অর্থ
বিভাগ
থেকে
সুদ
ভর্তুকির মঞ্জুরি আদেশ
জারি
করা
সম্ভব
হবে।
সচিবালয়ে গৃহনির্মাণ ঋণ
ব্যবস্থাপনা মডিউলের উদ্বোধন উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী বলেন,
সরকার
যে
সর্বজনীন পেনশন
স্কিম
করেছে
তা
দ্রুত
বাস্তবায়ন করতে
হবে।
মুস্তফা কামাল
বলেন,
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে সরকারি
কর্মচারীদের জন্য
আবাসন
ব্যবস্থা নিশ্চিত করার
লক্ষ্যে ২০১৮
সালের
৩০
জুলাই
‘সরকারি
কর্মচারীদের জন্য
ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ
প্রদান
নীতিমালা’ প্রণয়ন
করা
হয়।
বর্তমানে সরকারি
কর্মচারী, পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয় ও
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক/কর্মচারী এবং প্রধান বিচারপতি ও
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য
গৃহনির্মাণ ঋণ
কার্যক্রম চলমান।
অর্থমন্ত্রী বলেন,
গৃহনির্মাণ ঋণের
জন্য
এখন
যে
ব্যবস্থা চালু
রয়েছে
তাতে
দেখা
যায়
অধিকাংশ সময়
একজন
আবেদনকারীর আবেদন
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে
বেশ
সময়
লেগে
যায়।
আবেদনের অবস্থা
কী
বা
কোন
পর্যায়ে আছে
সেটা
জানারও
কোনও
সুযোগ
আবেদনকারীর থাকে
না।
ধোঁয়া
কোথায় যাচ্ছো তুমি?
দূরে যাচ্ছো এটুকু আমি নিশ্চিত।
উড়ে যাচ্ছো এটুকুও নিশ্চিত।
তোমার চুল যখন সূর্যের শিখার মতো
রং মশাল জ্বালিয়ে স্ফুলিঙ্গ হয়ে জ্বলছে...
তুমি পুড়ে যাচ্ছো সেটুকুও আমি নিশ্চিত।
তুমি আকাশে যা দেখছো,
আমিও ঠিক তা-ই দেখি।
পার্থক্য এটুকুই...
তুমি দেখে থেমে যাও;
আমি লিখি।
একটু আগুন দেবে?
পোড়াবে আমাকে?
আমি পুড়ে পুড়ে
ধোঁয়া হয়ে মেঘের কাছে বার্তা পাঠাবো;
বৃষ্টি নামানোর বার্তা।
ঝুম বৃষ্টি না হলেও চলবে।
মেঘের পকেটে থাকা দু’চারটে ভাঙতি বৃষ্টিই যথেষ্ট।
দেখো, বৃষ্টি নামবেই।
আমি তো ধোঁয়া হয়ে হারিয়েই গেছি।
বৃষ্টি নামলে নিজেকে তুমি
খুব দরদে ভিজিয়ে রেখো।
ভিজতে ভিজতে সূর্য থেকে
শীতল একটা চাঁদ হয়ে ঘুমিয়ে থেকো।
****
এ মুহূর্তই কি শেষ
আমাদের কতটা হারিয়ে গেছে? কতটা বাকি আছে হারানোর?
একটা জীবন পেয়ে হারাতে হবে, জেনেই তো এসেছিলাম।
তবু হারাবার দুঃখ; হারাবার ভয়।
শেষ বিকেলে মানুষ কী ভাবে?
হিসেব-নিকেষ করে কোনো?
কিংবা বিলাপ…
জবাব দিয়ে যেতে পারে না কেউ;
পৃথিবীর পুরো পর্বে ওটুকুই তো একান্ত সময়।
আমার মৃত্যুর আগে আমি কী ভাববো?
ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি খুঁজবো আমার চোখের ওপর;
কেউ যেন দেখতে না পায়,
পৃথিবী ছেড়ে যেতে কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার!
যেমন কষ্ট হয় বাড়ি ছেড়ে যেতে;
কিংবা বেড়াতে গিয়ে আবার বাড়ি ফিরতে।
যাত্রাই তো কষ্টের। যাত্রাই তো ক্লান্তির।
মানুষ এক জায়গায় থিতু হতে চায়; আজীবন।
অথচ ভুলে যায়, সে জায়গাটাই তার ছিল না কোনোদিন।
শেষমেষ মানুষগুলো-
চিনির দানার মতো পানিতে গলে যায়;
দোকানের পুরাতন চায়ের কাপে।
এই সময়ের আলোচিত সুপারমডেল কারা ডেলেভিন। মডেলিংয়ের সঙ্গে অভিনয়টাও ভালো পারেন। আলোচিত সুপারহিরো সিনেমা ‘সুইসাইড স্কোয়াড’-এ দেখা গেছে তাঁকে। অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত ফরাসি পরিচালক লুক বেসোঁর সিনেমাতেও। ৩০ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকা এখন নানা কারণে আলোচনায়। সম্প্রতি তাঁর সম্পদের পরিমাণ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছর ব্যাপকভাবে বেড়েছে তাঁর আয়। সব মাধ্যম থেকে পাওয়া আয় হিসাব করলে ২০২১ সালে দিনপ্রতি ৩০ হাজার পাউন্ড আয় করেছেন ডেলেভিন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।
কেবল নতুন এই পরিসংখ্যানই নয়, কয়েক সপ্তাহ আগে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী তারকাদের তালিকা প্রকাশ করেছে হিটস সাময়িকী। তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন ডেলেভিন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ড।
কারা ডেলেভিনের আয়ের বড় অংশ আসে মডেলিং থেকে। এখন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ব্রিটিশ মডেল তিনি। এ ছাড়া গত বছর থেকে নিজের পানীয় কোম্পানিও চালু করেছেন তিনি।
বছর দুই আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকরে নিজের ধনসম্পদ নিয়ে কারা ডেলেভিন বলেছিলেন, ‘অর্থ অবশ্যই সব নয়। হতে পারে অনেক অর্থ রোজগার করি, কিন্তু আমি খুবই অসুখী ও একা।’
চলতি বছর কারা ডেলেভিনকে দেখা গেছে হুলুর আলোচিত সিরিজ ‘অনলি মার্ডারাস ইন দ্য বিল্ডিং’-এর দ্বিতীয় কিস্তিতে। যেখানে সেলেনা গোমেজের সঙ্গে তাঁর অভিনয়ও প্রশংসা পেয়েছে।
আগামীকাল মুক্তি পাবে তাঁর আলোচিত সিরিজ ‘প্ল্যানেট সেক্স উইথ কারা ডেলেভিন’। বিবিসির ছয় পর্বের সিরিজটিতে যৌনতা নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
শীত প্রায় আসন্ন। হিমেল হাওয়া বইছে। কুয়াশাও পড়ছে। এ সময়ে বেড়ে যায় হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগীর শ্বাসকষ্টের আকস্মিক টান। বিশেষ করে হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ায়, ধুলাবালু লাগলে, ঘর ঝাড়-মোছ করলে বা ফুলের রেণুর সংস্পর্শে রোগীর হাঁপানির টান ওঠে। ভাইরাস সংক্রমণ, সর্দিকাশিও এ সমস্যার জন্য দায়ী। এ ছাড়া ধূমপানও একটি কারণ সমস্যা বাড়ার।
শীতের শুরুতে বায়ুদূষণ অনেক বেড়ে যায়, যা শ্বাসকষ্ট বাড়ার অন্যতম কারণ। এমনিতেই যখন তাপমাত্রা কমতে শুরু করে, তখন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। তাই কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
· যাঁরা ভোরে বা সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হন, তাঁরা এ সময়টা পরিহার করুন। কারণ, এ সময় পরিবেশের তাপমাত্রায় তারতম্য হয় বেশি, শিশির পড়ে, কুয়াশা হয়। তাই ঠান্ডা লাগার আশঙ্কাও বেশি। একটু বেলা করে হাঁটুন বা ঘরে ব্যায়াম করুন।
· পরিবেশে ধুলাবালু ও উড়ন্ত ফুলের রেণু, কণা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। বাইরে গেলে মাস্ক পরুন, যা আপনাকে উড়ন্ত ধুলাবালু থেকে রেহাই দেবে।
· যথোপযুক্ত গরম কাপড় ব্যবহার করুন। গরম কাপড় এখনই বাক্স থেকে বের করে লন্ড্রিতে দিয়ে দেওয়া ভালো। কারণ, এক বছর বাক্সে বা আলমারিতে রাখা উলের কাপড় পরিষ্কার না করে পরলে অ্যালার্জি বাড়বে, বাড়বে শ্বাসকষ্ট। গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়েও নিতে পারেন বা ভালো করে আয়রন করে নিতে হবে, যাতে মাইট না থাকে।
· ঘরে কার্পেট রাখবেন না। কাপের্টের মধ্যে মাইট বাড়ে। আর ঘর ঝাড়ু না দিয়ে মুছে ফেলবেন।
· যাঁদের হাঁপানি আছে, তাঁরা ঝুল ঝাড়বেন না। এগুলো থেকে সাবধান হতে হবে।
· ঠান্ডায় বা সকালে বাইরে বের হওয়ার সময় একটা মাফলার বা কানঢাকা টুপি পরে নিতে পারেন, যা ঠান্ডা হাওয়া থেকে বাঁচাবে। পায়ে মোজা পরুন।
· অনেকের আবার উলের কাপড়েও হাঁপানি বাড়ে, তাঁরা মোটা সুতি কাপড়, সুতি মোজা পরুন। বাড়িতে খালি পায়ে হাঁটবেন না।
· শীতের শুরুতে হাঁপানি রোগীদের ফ্লু আর নিউমোনিয়ার টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।
· বাড়িতে ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধের মজুত আছে কি না, মেয়াদ আছে কি না, দেখে নিন।
· কেউ কেউ বাড়িতে নেবুলাইজার ব্যবহার করেন, তাঁরাও পরখ করে নিন যন্ত্র কাজ করছে কি না বা প্রয়োজনীয় তরল আছে কি না।
· শীতের শুরুতেই একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ ও ইনহেলারের ডোজ ঠিক করে নিন।