logo
Breaking News
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্র...

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। সোমবার সকালে ( ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসসহ প্রতিনিধি দল উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে পৌছেন। সেখানে তিনি গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিব উল্লাহ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।

এরপর প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার বেশ কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। এসময় ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা তার সঙ্গে ছিলেন। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যূত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন সংস্থার মানবিক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন তারা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. খালিদ হোসেন জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রতিনিধি দল ক্যাম্পে লানিং সেন্টার, ফুডস ডিস্ট্রিবিউশনসহ প্রতিবন্ধিদের একটি সেন্টারে কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।   

উখিয়া ক্যাম্প- এর হেড মাঝি সৈয়দ করিম জানান, মার্কিন প্রতিনিধি দল তার শিবিরসহ কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেছেন। এসময় রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নেয় তারা।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস কক্সবাজার ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ আসছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সফরকালে মিয়ানমারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যায়ের বিষয়টি বিবেচনা করে রোহিঙ্গা অন্যান্য শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে উদারতার পরিচয় দেওয়ায় নয়েস সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ধন্যবাদ জানাবেন। ডিসেম্বর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাইল্যান্ডের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।

জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস ২০২২ সালে ৩১ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যাক্টিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

এক ই কাতারে সামিল জায়েদ খান ও...

ঢালিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা জায়েদ খান ও নিপুণ।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার পরস্পরের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু একটি জায়গায় দুজনেরই মিল রয়েছে। চলছে বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপে দুজনেরই পছন্দের দলের নাম আর্জেন্টিনা। আর তাঁরা উভয়ই আবার মেসিভক্ত। ম্যারাডোনার খেলা দেখে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক হয়েছেন জায়েদ খান। অন্যদিকে নিপুণের বাবা আর্জেন্টিনার ভক্ত ছিলেন। বাবার কোলে বসেই তিনি আর্জেন্টিনার খেলা দেখতেন। বাবাকে দেখেই আর্জেন্টিনার ভক্ত বনে যান তিনি।

আর্জেন্টিনাকে সমর্থন প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, বাবার কারণেই আর্জেন্টিনা দলের ভক্ত আমি। খেলা শুরুর আগে বাবা ছাদে পতাকা টানাতেন। ম্যারাডোনা, আর্জেন্টিনা নিয়ে বাবার মধ্যে খুব উন্মাদনা দেখতাম। সেটি একটা সময় আমার মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। আর্জেন্টিনার ভক্ত হলেও ব্রাজিলের খেলাও তাঁর ভালো লাগে। আর্জেন্টিনার হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চাইলেও ব্রাজিলের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।

ছাড়া পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর খেলাও নিপুণের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
অন্যদিকে স্কুলজীবন থেকেই ম্যারাডোনার খেলায় মুগ্ধ জায়েদ খান। তিনি বলেন, আমি স্কুলে থাকতে ভালো ফুটবল খেলতাম। তখন থেকেই ম্যারাডোনার খেলায় আমি মুগ্ধ।
কাতার বিশ্বকাপে নিয়মিত আর্জেন্টিনার খেলা দেখেন জায়েদ। সৌদি আরবের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে হতাশ হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, সৌদি আরবের পর মেক্সিকোর সঙ্গেও খুব ভালো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কিন্তু পোল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ছন্দে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। জায়েদের প্রিয় দলের পছন্দের খেলোয়াড় মেসি, ডি মারিয়া হলেও ব্রাজিলের নেইমার, পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পের খেলা তাঁর ভালো লাগে। এবারের বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার হাতেই দেখতে চান এই অভিনেতা।

 

এই প্রথম বলিউড সিনেমায় জয়া আহস...

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।বাংলাদেশের পাশাপাশি এক দশক ধরে ভারতের বাংলা সিনেমায় অভিনয় করছেন জয়া আহসান। সেখানে তৈরি হয়েছে তাঁর শক্ত অবস্থান। এবার আর বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র নয়। হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে দেখা যাবে পঙ্কজ ত্রিপাঠী সানজানা সঙ্গীকে। নাম চূড়ান্ত না হওয়া অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পরিচালিত এই ছবির শুটিং গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। শুটিং হবে কলকাতা মুম্বাইয়ে। আগামী বছর ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন ছবিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এরই মধ্য নাম ঠিক না হওয়া জয়া আহসানের বলিউডি এই সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহরত অনুষ্ঠানে জয়া বলেন, আমার প্রথম হিন্দি সিনেমা। চরিত্রটিও দারুণ। এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম। তাই হ্যাঁ বলতেও সময় নিইনি। কারণ, ছবির পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী এবং আমার সহ-অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী রয়েছেন৷ আমি সব সময় অনিরুদ্ধ এবং পঙ্কজের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কাজ করা এবং তা প্রথম হিন্দি ছবিতে, আনন্দ দ্বিগুণ করে।

বাবা-মেয়ের সম্পর্কের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। এতে দেখা যাবে সংকটের মুখে একটি পরিবারের একত্র হওয়ার হৃদয়ছোঁয়া গল্প। এটি লিখেছেন রিতেশ শাহ, বিরাফ সরকারি অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। চিত্রগ্রহণ করছেন অভিক মুখোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনায় শান্তনু মৈত্র। সম্পাদনা করবেন অর্ঘ্যকমল মিত্র। নাম ঠিক না হওয়া এই ছবিতে জয়া আর পঙ্কজ ত্রিপাঠী ছাড়া আরও অভিনয় করছেন পার্বতী থিরুভোথু, দিলীপ শঙ্কর, পরেশ পাহুজা, বরুণ বুদ্ধদেবসহ অনেকে।

অনুরাগ কাশ্যাপের গ্যাংস অব ওয়াসিপুর সিনেমায় সুলতান চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পান পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় আছে মিমি (২০২১), লুডো (২০২০), স্ত্রী (২০১৮), মাসান (২০১৫) প্রভৃতি। নিউটন (২০১৭) ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারে স্পেশাল মেনশন স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বেশ কিছু ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মির্জাপুর বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে দিল বেচারা (২০২০) সিনেমায় কাজ করে লাইমলাইটে আসেন সানজানা সঙ্গী। গত জুলাই মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওম: দ্য ব্যাটেল উইদিন এই তারকার হাতে আরও আছে ধাক ধাক এতে তাঁর সহশিল্পী ফাতিমা সানা শেখ দিয়া মির্জা। এবার তিনি সহশিল্পী হিসেবে পাচ্ছেন বাংলাদেশের জয়া আহসানকে।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী এর আগে দুটি হিন্দি চলচ্চিত্র বানিয়েছেন। ছবি দুটি হচ্ছে পিঙ্ক (২০১৬) এবং লস্ট (২০২২) এর মধ্যে অমিতাভ বচ্চন তাপসী পান্নু অভিনীত পিঙ্ক ভারতের জাতীয় পুরস্কারে সামাজিক ইস্যুতে সেরা সিনেমা স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁর পরিচালিত অনুরণন জাতীয় পুরস্কারে সেরা বাংলা সিনেমা হয়েছে ২০০৮ সালে। ছাড়া অন্তহীন জাতীয় পুরস্কারে সেরা সিনেমার সম্মান পেয়েছে। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর আরও তিনটি বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে একটি তারার খোঁজে (২০১০), অপরাজিতা তুমি (২০১২) এবং বুনো হাঁস (২০১৪)

 

জয়া আহসানের বলিউডি ছবিটির সহপ্রযোজনা করেছেন শ্যাম সুন্দর ইন্দ্রাণী মুখার্জি। মহরত অনুষ্ঠানে পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী বলেন, আমি ছবিটি করতে পেরে আনন্দিত। এই ছবিতে একটি চমৎকার গল্প আছে, যা বেশ সমসাময়িক। আমি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান উইজ ফিল্মস এবং অভিনয়শিল্পী পঙ্কজ ত্রিপাঠী, জয়া আহসান, সানজানা সাঙ্গী, পার্বতী থিরুভোথু এবং কলাকুশলী অভিক মুখোপাধ্যায়, রিতেশ শাহ, শান্তনু মৈত্র এবং অর্ঘ্যকমল মিত্রের মতো একটি দারুণ টিমের সঙ্গে কাজ করছি। আমি নিশ্চিত, আমাদের একসঙ্গে একটা দুর্দান্ত যাত্রা হবে।

 

দুই বন্ধুর চরিত্রে জাহিদ হাসান...

দুই জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান  তৌকীর আহমেদ কেনামের একটি ওয়েব সিরিজে দুই লেখক বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করবেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপের জন্য সিরিজটি নির্মাণ করছেন গৌতম কৈরী।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা- স্টুডিওর প্রযোজনায় নির্মিত সিরিজে দেখা যাবে, জীবনের জটিলতার মুখোমুখি হয়ে দুই বন্ধু দেখতে পান, সত্য মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা খুব কঠিন। ওয়েব সিরিজটিতে দেখানো হবে প্রতারণা, মিথ্যা হ্যালুসিনেশন; সঙ্গে খুঁজে বের করা হবেকে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার জিপি হাউসের ইনোভেশন ল্যাবে ওয়েব সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তৌকীর আহমেদ বলেন, রহস্যকেন্দ্রিক এই গল্প দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। তা ছাড়া অনেক দিন পর আমি জাহিদ হাসানের সঙ্গে অভিনয় করলাম। গল্প, অভিনয় নির্মাণ সব মিলিয়ে কাজটি দর্শকদের পছন্দ হলে সবার পরিশ্রম সার্থক হবে।

জাহিদ হাসান বলেন, গল্পের প্রাথমিক প্লট শোনার পর আমার কাছে গল্পটি চমৎকার মনে হয়েছে। এই ওয়েব সিরিজে সাসপেন্স থ্রিল আছে। ছাড়া গৌতম খুবই গুছানো আন্তরিক পরিচালক। আমার মনে হয়, এটি সব ধরনের দর্শকের খুবই ভালো লাগবে। বায়োস্কোপকে ভালো কাজের সঙ্গে থেকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
গৌতম কৈরী বলেন, দুই দিকপাল অভিনেতাকে আমার প্রথম সিরিজে এক ফ্রেমে বন্দী করতে পেরেছি, এটা আমার জন্য একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সানজিদা প্রীতি, দিলরুবা দোয়েল, তানজিকাসহ ওয়েব সিরিজের অভিনয়শিল্পীরা; পরিচালক গৌতম কৈরী; প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল; গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফিসার সোলায়মান আলম প্রমুখ।

 

রামোস এখন পর্তুগালের আশার আলো,...

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেঞ্চে বসে থাকবেন। তার জায়গায় তার সামনে অখ্যাত এক তরুণকে বাজির ঘোড়া হিসেবে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হবেতা ম্যাচের আগে কে ভেবেছিল? পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো সান্তোষ সেই ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন। আর তাতেই বাজিমাত।

রোনালদোর জায়গায় গঞ্জালো মাতিয়াস রামোস শুরু থেকে একাদশে খেলে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম তোলপাড় করে ফেললেন। প্রতিপক্ষকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে করলেন কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক! ২১ বছর বয়সে এমন পারফরম্যান্স দেখিয়ে রামোস এখন পর্তুগালের আশার আলো, উদীয়মান সূর্য।

তাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে পর্তুগাল তথা তাদের সমর্থকরা। অথচ রামোস এই বিশ্বকাপে মাত্র দুটি ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিছু সময়ের জন্য নেমে যদিও সেভাবে পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ হয়নি।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে খেলতে পারবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি বেনফিকার অ্যাকাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা ফরোয়ার্ড। আর যখন সুযোগ পেলেন, এরপর যা হয়েছে, তা তো ইতিহাসের চেয়ে কম কিছু নয়। তাই তো সুইজারল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়ে ম্যাচ শেষে রামোসের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই।

ম্যাচ শেষে নিজেই জানালেন,‘ আমি স্বপ্নেও ভাবিনি নকআউট পর্বের ম্যাচে প্রথম একাদশে থাকবো। খেলতে পারবো। এখন একটি করে ম্যাচ খেলে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মনোযোগ এখন এক জায়গাতে। মরক্কোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রোনালদোর জায়গায় নেমে রামোস অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছেন। নিশ্চিতভাবে মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে একাদশে জায়গা করে নেওয়াটা বলতে গেলে স্থায়ী করে নিচ্ছেন। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে রোনালদোকে ব্যাকফুটে ফেলেছেন। আবারও বদলি হয়ে মাঠে নামতে হতে পারে সিআর সেভেনকে। তবে পাঁচবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী তারকার প্রতি চরম শ্রদ্ধা ভালোবাসার কথা উচ্চারণ করতে ভুল করেননি রামোস, ‘রোনালদো আমাদের নেতা। আমরা সবসময় তার পাশে থাকার জন্য উন্মুখ। তিনি আমার উদাহরণ। রোনালদো, লেভানডোভস্কি ইব্রাহিমোভিচ- এই খেলোয়াড়রাই আমার রোল মডেল।

 

বর্তমান টালমাটাল অবস্থায় আন্তর...

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার তদন্ত করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি। তদন্ত শেষ হওয়া ওই নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বাংলাদেশ।

গতকাল মঙ্গলবার ( ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং আইসিসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রিয়াজ হামিদুল্লাহ আইসিসির ২১তম বার্ষিক সম্মেলনে একথা বলেন।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তার বিচার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সহায়তার জন্য রোম স্ট্যাটুটের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন ইস্যু এবং জটিল ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণের জন্য রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো বর্বর নির্যাতনের প্রতি দুঃখজনকভাবে বিশ্ব আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।’ 

রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সাধ্যের অতিরিক্ত করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা এখন মনে করে, রোহিঙ্গাদের পাশে এখন তারা ছাড়া আর কেউ নেই। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমর্থনেরও প্রয়োজন দরকার।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বর্তমান টালমাটাল অবস্থায় আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থা যেন রোহিঙ্গাদের কথা ভুলে না যায়।

 

এই দুর্ঘটনা নাকি বেশি লোক ওঠার...

 

ঢাকার একটি বিপণিবিতানের চলন্ত সিঁড়িতে দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর সেই বিপণিবিতানের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে গতকাল ফেসবুকে যে পোস্ট করেছিলেন, তা সরিয়ে নিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার মধ্যে আজ দুপুরে ফেসবুকে আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটেছে।

 গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দুর্ঘটনায় তাঁর দুই পা জখম হয়েছে, দুর্ঘটনার পর তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ফারিণ, তাতে সেই বিপণিবিতানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আনেন তিনি।

গতকালের পোস্টে ফারিণের অভিযোগ ছিল, দুর্ঘটনার পর তাঁর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। সেই বিপণিবিতানে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও ছিল না। পনেরো-বিশ মিনিট তাঁরা (বিপণিবিতানের কর্মকর্তা) শুধু এই ফার্মেসি, সেই ফার্মেসিতে ফোন করলেন। কেউ নাকি দোকান ছেড়ে আসতে পারবেন না। অবশেষে আধা ঘণ্টা পর একজন আসেন, আর ওই দুই ব্যক্তির চিকিৎসা করেন। কিন্তু নারী চিকিৎসক ছাড়া আমার চিকিৎসা সম্ভব ছিল না।

ফারিণ লিখেছিলেন, তাঁদের মতে (বিপণিবিতানের প্রতিনিধি) এই দুর্ঘটনা নাকি বেশি লোক ওঠার কারণে হয়েছে! তার মানে কি আপনারা আগে থেকেই জানতেন? নাকি ধারণক্ষমতার বেশি লোড নিয়ে আগে থেকে এই অবস্থায় ছিল, তা আপনারা টেরই পাননি? আর একজনের সঙ্গে এটা হওয়ার পরও কেন কোনো পদক্ষেপ নেননি আপনারা? এস্কেলেটরের দায়িত্বে থাকা কাউকে ডাকতে বললে বলে সে আসেনি।
পোস্ট দেওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সেই পোস্টটি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে নেন ফারিণ,

তিনি লিখেছেন,  প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তদের সঙ্গে কথা বলে আমার ভালো লেগেছে। একজন কর্মকর্তার জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করাটা ঠিক না এবং ব্যাপারে হয়তো আমার আরেকটু বোঝার প্রয়োজন ছিল। সে জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বিষয়টি এত গুরুত্বসহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।...আসলে আমার জন্য ব্যক্তিগত সম্মানের জায়গাটা অনেক বড়। সেটা নিশ্চিত করতে আপনারা যা করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আশা রাখছি, যেসব জায়গায় কমতি রয়েছে, সেগুলোর সমাধান করে ক্রেতাদের একটি নিরাপদ সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ।


আগের পোস্টটি কেন দিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ঘটনা পরবর্তী যেসব কার্যক্রম নিয়ে আমার অভিযোগ ছিল, তার বেশির ভাগই তৃতীয় পক্ষ দ্বারা সংঘটিত। মধ্যম ব্যক্তি আমাদের এসে একটা কথা বলেছেন এবং ম্যানেজমেন্টকে আমাদের নামে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। শুক্রবার হওয়ার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবাই ছুটিতে ছিলেন এবং সদ্য চলতি মাসে জয়েন করা সে কর্মচারীর কারণে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, যা ওই কর্মকর্তার পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলো দেখে আরও পরিষ্কার বুঝতে পারি।
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আপাতত বিশ্রামে আছেন ফারিণ, চিকিৎসকেরা তাঁকে আগামী দিন বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানান।
১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ফারিণের আলোচিত ওয়েব সিরিজ কারাগার-এর দ্বিতীয় কিস্তি। চলতি মাসেই আরও এক পৃথিবী দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে গেছে।

 

কিসের টানে এসেছে হাজার হাজার ট...

বর্ষায় গুমাই বিলের যে থই থই রূপ, হেমন্তে তার লেশমাত্র নেই। চারদিকে এখন পাকা ধানের সোনালি আভা। মিষ্টি রোদে গন্ধ। যেন নবান্নরই গন্ধ। শুধু মানুষ না, টিয়া পাখির দলকেও যেন আমন্ত্রণ জানিয়ে ডেকে এনেছে এই নবান্ন। বিলের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে তারা। কখনো উড়োজাহাজের মতো বাঁ দিক ডান দিকে বাঁক নিচ্ছে। কখনো নিম্নগামী মেঘের ওপরে, আবার কখনো নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে তাদের ওড়াউড়ি দেখে মনে হয়, নীল আকাশেই যেন সাগরের ঢেউ লেগেছে। উড়তে উড়তে অকস্মাৎ ডুব দেয় নুয়ে পড়া পাকা ধানের খেতে। ধানের শিষ ঠোঁটে নিয়ে মুহূর্তে উড়ে গিয়ে বসে কোনো গাছের ডালে। পেটপূজা শেষে আবার ওড়াউড়ি।

বিলের চার হাজার একর জমিতেই বলতে গেলে ধান চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হবে বলে কৃষকদের আশা। তবে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে এই টিয়ার দল। দেড় শতক জমি চাষ করেছেন এবার কৃষক আবুল বাশার। বলছিলেন, এক ঝাঁকে প্রায় ১৫-২০ হাজার টিয়া একসঙ্গে থাকে। যে জমিতে বসে, সেখানে সব শেষ করে দেয়।

বিলের পাশের গাছের কাছাকাছি যেতেই কানে আসে কিচিরমিচির শব্দ। বিলের পাশের বড় বড় গাছে অস্থায়ী বাসা বেঁধেছে তারা। কয়েক বছর ধরেই গুমাই বিলে আসছে টিয়ার দল। টিয়া পাখিরা সাধারণত নিরুপদ্রব এলাকা পছন্দ করে। একবার বাধা পেলে সাধারণত আর ওমুখো হয় না। রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিল পাখিদের কাছে নিরুপদ্রব মনে হয়েছে।

সাধারণত ঘন গাছপালা, যেমন বড় বড় শিরীষ, নানা জাতের ফুল, আম, কড়ই ইত্যাদি গাছে তারা থাকতে পছন্দ করে। গুমাই বিলের পাশে ধরনের গাছের অভাব নেই।

পাখিগুলোর ঠোঁট লাল। আর লেজসহ পিঠ পাখা পুরোটা সবুজ। গাছে বসলে আর দেখা যায় না, কেবল লাল ঠোঁট ছাড়া। তখন দেখতে মনে হয় ফুল। একবার যে স্থানে গিয়ে টিয়া শান্তিতে সময় কাটাতে পারে, সেখানে বারবার যেতে বেশি পছন্দ করে। বানিয়ে তোলে অভয়াশ্রম। ধান কাটা শেষে এই অস্থায়ী আবাস ছেড়ে আবার ফিরে যাবে তারা।