মুক্তি পেয়েছে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত নতুন সিনেমা ‘থ্যাংক গড’। এখানে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগন ও রাকুল প্রীত সিং। সিনেমাটিতে একটি বিশেষ গান রয়েছে, যেটাতে হালের বলিউড সেনসেশন নোরা ফাতেহির সঙ্গে পারফর্ম করেছেন সিদ্ধার্থ। এর মাধ্যমে অনেকদিন ধরে পুষে রাখা ইচ্ছে পূরণ হয়েছে বলে জানালেন এ অভিনেতা।
গানটির শিরোনাম ‘মানিকে’। এটি মূলত শ্রীলংকান গায়িকা ইয়োহানির গান; যেটা গত বছরের আগস্টে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ‘থ্যাংক গড’ সিনেমায় ইয়োহানিকে দিয়েই নতুন করে গানটি গাওয়ানো হয়েছে।
গানটির দৃশ্যে সিদ্ধার্থ ও নোরার আবেদনময়ী নৃত্য নজর কেড়েছে দর্শকের। প্রকাশের মাত্র এক মাসেই এটির ভিউ ছাড়িয়েছে ১০৯ মিলিয়ন। দর্শকের এমন সাড়া পেয়ে আনন্দিত অভিনেতা। তার ভাষ্য, ‘এটি সিনেমার মূল গান। নোরা খুব মজার একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন; শুধু গানের জন্যই তাকে উপস্থাপন করা হয়নি। এটা কেবল আইটেম গান নয়, সিনেমার গল্পের সঙ্গে দারুণভাবে সমন্বিত হয়েছে।’
সিদ্ধার্থ জানান, তিনি এর আগেও নোরা ফাতেহির সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে একসঙ্গে নাচার সুযোগ হয়নি। তাই ভেবে রেখেছিলেন, পরের প্রজেক্টে অবশ্যই এই আইটেম গার্লের সঙ্গে কোমর দোলাবেন। সেই ইচ্ছেটা পূরণ হয়েছে ‘মানিকে’র মাধ্যমে।
তিনি বলেন, “নোরা ও আমি অনেকগুলো গান করেছি; তবে এবারই প্রথম আমরা একসঙ্গে নাচলাম। ‘মারজাভা’ সিনেমায় আমরা ‘এক তো কাম জিন্দেগি’ গানে ছিলাম, কিন্তু সেখানে আমি শুধু ওর নাচ দেখেছি। ওই সময় আমি তাকে বলেছি, পরেরবার আমরা একসঙ্গে একটি গান করবো এবং তোমার সঙ্গে যেন নাচতে পারি সেটা নিশ্চিত করবো।”
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্র কুমার পরিচালিত ‘থ্যাংক গড’। দুইদিনে সিনেমাটি আয় করেছে ১৪ কোটি ১০ লাখ রুপি।
ভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু বিরল রোগে আক্রান্ত। মায়োসাইটিস নামের এই রোগ মূলত শরীরের সুস্থতাকে শত্রু মনে করেন। আর এ জন্যই এটি সুস্থ ও সবল কোষগুলোকেই আক্রমণ করে বসে। এর ফলে ক্লান্তভাব আসে, পেশিতেও প্রবল ব্যথা হয়।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে এ তথ্য জানান সামান্থা। ওই ছবিতে দেখা যায় তার হাতে একটি নল লাগানো রয়েছে।
দক্ষিণী ছবিতে দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করছেন সামান্থা। তবে দর্শকের কাছে তিনি প্রশংসা পান ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’সিরিজের মাধ্যমে। সিরিজে রাজির ভূমিকায় অভিনয় করেন সামান্থা। এর জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় সামান্থার আইটেম নাচও তুমুল জনপ্রিয় হয়। আগামীতে তেলুগু সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ‘যশোধা’য় দেখা যাবে তাকে।
কিছুদিন আগেই সামান্থার ‘যশোধা’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। শনিবার ট্রেলার দেখার জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানান সামান্থা। এরপরই জানান, মায়োসাইটিস নামের এক বিরল অটোইমিউন কন্ডিশন রয়েছে তার। এই ধরনের কন্ডিশনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো ও সবল কোষগুলিকেই শত্রু মনে করে। ফলে নানা সমস্যা দেখা যায়। ক্লান্তভাব আসে, পেশিতেও প্রবল ব্যথা হয়।
তবে এ রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন এ অভিনেত্রী এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে তার জন্য সময় লাগবে।
আজ শ্রীলঙ্কা মাঠে নামছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে দিনের প্রথম ম্যাচ এবং নিজেদের চতুর্থ খেলায়। ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
এ ম্যাচে একটি করে পরিবর্তন এনেছে দুই দল। আফগানিস্তান দলে হযরতুল্লাহ জাজাই এর স্থানে এসেছেন গুলবাদিন নায়েব। এবং লঙ্কান দলে চামিকা করুণারত্নে যায়গায় এসেছেন প্রামোদ মাদুসান।
এর আগে দুই দলই তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিলো। তারপর আর তাদের মাঠে নামা হয়নি; পরপর দুই ম্যাচে বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে আফগানদের।
অন্যদিকে সুপার টুয়েলভে তিনটি ম্যাচ খেলে প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইেকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। এরপরের দুইটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হেরেছে। বর্তমানে দুই দলের পয়েন্টই সমান সমান, তবে রানরেটে এগিয়ে আছে লঙ্কানরা।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নায়েব, উসমান ঘানি, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, ফরিদ আহমেদ, ফজল হক ফারুকি।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
কুশাল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), পাথুম নিশাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, চারিথ আসালঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রামোদ মাদুসান, মাহিশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক তানাইস এবছর কার কাস রিভিউ পুরস্কার পেয়েছেন।
নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে ‘ইন সেন্সোরিয়াম : নোটস ফর মাই পিপল’ বইয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।
তানাইস ব্রুকলিন-ভিত্তিক প্রসাধনী প্রস্তুতকারী কোম্পানি তানাইসের (TANAÏS) প্রতিষ্ঠাতা। প্রসাধনী কাঠামোকে কেন্দ্র করে তিনি সমাজের নারী, লিঙ্গ এবং বিভিন্ন বর্ণের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত দিকগুলো তার বইতে তুলে ধরেন।
এছাড়া কথাসাহিত্যে হার্নান দিয়াজের উপন্যাস ‘ট্রাস্ট’ এবং তরুণপাঠক ক্যাটাগরিতে হারমনি বেকারের ‘হিমাওয়ারী হাউস’ পুরস্কার পান।
গত বৃহস্পতিবার অস্টিন সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে কার কাস রিভিউ তাদের ‘নবম বার্ষিকী কার কাস পুরস্কার ২০২২’-এর অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
গত বছরে কার কাস স্টার পাওয়া ১৪৩৬টি বই থেকে গত মাসে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে এই তালিকা থেকে ৫০ হাজার ডলার মূল্যের ‘কার কাস রিভিউ পুরস্কার’ ২০২২-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
‘সাহসী মনোভাব, উদ্ভাবনশীলতা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং গীতিমূলক আখ্যানের জন্য আমরা তানাইসের নন-ফিকশনটিকে নির্বাচন করেছি। সুগন্ধি এবং ঘ্রাণের কাঠামো ব্যবহার করে তিনি আমাদের সমাজের নারী, লিঙ্গ এবং বিভিন্ন বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্কিত দিকগুলোর মুখোমুখি করেন। যা প্রলোভনসঙ্কুল, গুরুত্বপূর্ণ এবং অতুলনীয়।’ ‘ইন সেন্সোরিয়াম : নোটস ফর মাই পিপল’ বইটি নিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিচারকরা।
হার্নান দিয়াজের নদী কেন্দ্রীক উপন্যাস ‘ট্রাস্ট’ নিয়ে বিচারকদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ বছর চূড়ান্তভাবে মনোনীত হওয়া উপন্যাসগুলো বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। কিন্তু হার্নান দিয়াজের ‘ট্রাস্ট’ একাধিক দৃষ্টিকোণ এবং ফর্ম ব্যবহার করার মাধ্যমে উপন্যাস যে কী করতে পারে তা দেখিয়েছেন।’
তরুণপাঠক সাহিত্য নিয়ে বিচারকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হারমনি বেকারের হিমাওয়ারী হাউসকে গ্রাফিক নভেল কনভেনশনের অসাধারণ দক্ষতা এবং আবেগের অনুরণিত এর উপলব্ধিমূলক অনুসন্ধানের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। পরিবার, বন্ধুত্ব এবং আত্মপরিচয় সম্পর্কিত চিরকালীন প্রাসঙ্গিক থিম এটি। বইটির প্রামাণিক সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং লেখকের সৃজনশীল উপস্থাপনা উভয়ের মধ্যেই প্রখরতা দীপ্তমান যা সমস্ত পাঠককে আকর্ষণ করে।’
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) থেকে চলছে নতুন ছবি ‘দামাল’। দুটি ছবির মূল নারী চরিত্রে আছেন বিদ্যা সিনহা মিম। প্রেক্ষাগৃহে একসঙ্গে দুই সিনেমা, নিজের ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তিনি। তাই উচ্ছ্বাস-আনন্দের ভেলায় ভাসছেন অভিনেত্রী।
বললেন, ‘‘এর আগে কখনও এমনটা হয়নি। গত শুক্রবারও ‘পরাণ’র হাউজফুল শো গেছে। একসঙ্গে দুই সিনেমা চলছে এবং দুটোই ভালো যাচ্ছে, এটা সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার।’’
‘দামাল’-এ হাসনার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিম। এ চরিত্রে যেমন সারল্য-মিষ্টতা আছে, তেমনি আছে ভয়ংকর অগ্নিরূপ। মিমের ভাষ্য, ‘এমন চরিত্রে আমাকে আগে কখনও দেখা যায়নি। তাই দর্শকরা খুব উৎসাহ দিচ্ছেন। টিমের সঙ্গে হল ভিজিটে যাচ্ছি, দর্শকের প্রচুর ভালোবাসা পাচ্ছি। যারাই দেখছেন, খুবই ভালো বলছেন।’
‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ দুটি সিনেমারই নির্মাতা রায়হান রাফী। আবার বিদ্যা সিনহা মিমের পাশাপাশি দুই সিনেমায় আছেন শরিফুল রাজও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সিনেমা দুটির মধ্যে তুলনা চলে আসে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘পরাণ’র সাফল্যের ধারা কতখানি ধরে রাখতে পারবে ‘দামাল’?
অনন্যা ও হাসনাকে পর্দায় জীবন্ত করে তোলা মিমের জবাব, “পরাণ’ কিন্তু ধীরে ধীরে এগিয়েছে। আমরা মনে করি, ‘দামাল’ও সেভাবে এগোবে। মাত্র তো দু’দিন গেলো। তাছাড়া এখন কোনও উৎসব নেই। ‘পরাণ’ তো ঈদের সময় মুক্তি পেয়েছিল। তখন খুব বেশি প্রচারণা না করলেও দর্শক দেখেছে। কারণ, ঈদের সময় প্রচুর মানুষ সিনেমা দেখেন। আর ‘দামাল’র বিষয়বস্তুও কিন্তু ব্যতিক্রম; এরপরও মানুষ দেখছে, এটাই তো বড় বিষয়।”
২০২২ সালকে অভিনেত্রী মিমের পুনর্জন্মের বছর বলেও মনে করেন অনেকে। কেননা, বছরের আলোচিত দুই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ তিনি; পাশাপাশি এগুলোতে তার অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে এবং পাচ্ছে।
বর্তমানে এই অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে ‘অন্তর্জাল’ নামের একটি ছবি। যেটার নির্মাতা দীপংকর দীপন। এটি ছাড়া আপাতত নতুন কোনও ছবিতে যুক্ত হননি মিম।
উল্লেখ্য, ‘দামাল’-এ মিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, শরিফুল রাজ, শাহনাজ সুমি, ইন্তেখাব দিনার, নাসিরউদ্দিন খান, রাশেদ মামুন অপু, সুমিত সেনগুপ্ত প্রমুখ। দেশের ২২টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে শাহরুখ খান এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে বলিউডে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস রচনা করতে গেলে বিশেষ অংশজুড়েই রাজত্ব করবেন শাহরুখ- একথা নির্দিধায় বলা যায়।
অনেক কিছুর পালা বদলে বলিউড আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। শুধু সিনেমা জগতের পালবদল নয়, বদলেছে দুনিয়ার অনেক কিছুই। কিন্তু বলিউডে যাত্রা শুরু করেই সিনেমাপ্রেমীদের কাছে যখন থেকে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া শুরু করেছিলেন, পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা- সেই ধারাবাহিকতা আজও ধরে রেখেছেন শাহরুখ।
বলিউড যাত্রার সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেও দর্শকের কাছে শাহরুখের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আজও অটুট-অম্লান। অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘কিং খান’ বা বলিউড বাদশার সম্মান-ভালোবাসার আসন করে নিয়েছেন। আজ এই বলিউড বাদশার ৫৭তম জন্মদিন। এখন তিনি রোমান্টিক চরিত্রে সাবলীল। শুধু তা-ই নয় যেকোনো চরিত্রে শাহরুখ এখনও নিখুঁতভাবে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তাই বলা-ই ‘সবকিছু বদলালেও বদলাননি শাহরুখ।’
আজকে শাহরুখ যে অবস্থানে এসেছেন-এই যাত্রা মোটেই সুখকর ছিল না। অনেক কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ মাড়িয়ে এখানে এসে দাঁড়িয়েছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ।
শাহরুখের জীবনযুদ্ধের এমন কাহিনি ডার্ক থ্রিলারের চেয়ে রহস্যময়। তবে তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাই শাহরুখ এসবের তোয়াক্কা করেননি কখনো। যেমন মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ১৫০০ রুপি হাতে নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে পা রেখেছিলেন ভারতীয় এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শাহরুখ।
একটা সামান্য নামকে নেমপ্লেট করে তোলার কঠিন যুদ্ধে বেশি কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিনয়ের প্রতি প্রেম, চরম আত্মবিশ্বাস আর মানসিক জোর নিয়ে এমন এক শহরে পা রাখলেন যেখানে তার কোনো পরিজন নেই।
প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও এই স্বপ্ন দেখার সাহস পান না অনেকেই। কিন্তু তিনি তো সেই ফিলগুড স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, যার নাম ‘শাহরুখ খান’। আশ্চর্য তার জীবন কাহিনি। অতিবাস্তব তার জীবনের প্রতিটি বাঁক। ধীরে ধীরে বিশ্বায়নের দুনিয়ায় সারা পৃথিবীতে ভারতীয় সিনেমার, সংস্কৃতির বাহক হয়ে উঠলেন তিনি।
বিশ্বের দরবারে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের অন্য নাম হয়ে উঠলেন শাহরুখ খান। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে তার অতি সাধারণ নামকে স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন দিল্লির মধ্যবিত্ত পরিবারের এই ছেলে, যা এখন অস্বীকার করার ক্ষমতা ইতিহাসেরও নেই।
নব্বইয়ের নতুন সময়ে দর্শক ভারতীয় পৌরুষের ধারণাকে নতুন ছাঁচে দেখতে চাইছিল। সে প্রেমে ব্যর্থ রোমান্টিক দিলীপ কুমার নয়, আবার অ্যাংরি ইয়ং ম্যান অমিতাভও নয়। তাহলে? ক্রমে নির্মিত হলো এক ধারণা, যার নাম শাহরুখ। যার প্রচ্ছদ বিশ্বায়ন নির্ধারিত, সত্তা ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির। আরিয়ন হয়ে যে চ্যালেঞ্জ জানায় গুরুকুলকে, যে দিওয়ানা বাজিগর আবার একই সঙ্গে গড়ে তোলে তার স্বদেশ। সুখস্বপ্ন হয়ে ধরা দিলেন তিনি পর্দায়। বাস্তব হয়েও তিনি স্বপ্নের অধিক।
তিনি যে অভিনেতা হতে পারেন পরিবারের কারোরই সেই ভরসা ছিল না। কিন্তু তিনি তো জেদি তাই স্কুল জীবন থেকেই অভিনয়ে হাতেখড়ি করে নিয়েছিলেন নিজেই। শুধুমাত্র তার মা ভরসা রেখেছিলেন তার উপর। গর্ব করে সকলকে বলতেন, ‘ছেলে আমার দিলীপ কুমার হবে।’
দিল্লি থেকে মুম্বাই এসে আজিজ মির্জার অফিসে টেবিলের নিচে রাতে ঘুমাতো যে ছেলেটা আজ তার ঘুম ভাঙে মুম্বাইয়ে সমুদ্রের পাড়ে ২০০ কোটি রুপি বাংলোয়। এটা স্বপ্নের আখ্যান নাকি বাস্তব, গুলিয়ে যায় সবটাই। তার চেহারা হিরোসুলভ নয় বলে তাকে ফিরিয়েছেন অনেক প্রযোজক। ছোটপর্দা দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু যিনি রাজা হতে এসেছেন তাকে দমিয়ে রাখার সাধ্য কার! তাই কালের নিয়মেই শুরু হল তার উথ্থান। সেকেন্ড হিরো হিসেবে সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখলেও একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনিই বক্সঅফিসের ‘কিং’।
ব্রিটিশবিরোধী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। যুগের পর যুগ ধরে উপমহাদেশে তিনি নারীদের কাছে এক অমিত প্রেরণার নাম। তার বীরত্ব ভরা জীবন ঠাঁই পেয়েছে সাহিত্য আলোচনায়।
এবার প্রীতিলতাকে দেখা যাবে রুপালি পর্দায়। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ থেকে সিনেমা নির্মাণ করেছেন প্রদীপ ঘোষ। সিনেমার নাম ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’।
গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির টিজার। সিনেমায় প্রীতিলতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। টিজারে বিভিন্ন লুকে দেখা গেছে তাকে, যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আগ্রহী করে তুলেছে দর্শককে।
জানা গেছে, অপেক্ষার পালা ফুরোতে চললো। ১৮ নভেম্বর সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সরকারি অনুদানের এই ছবিটি। এমনটাই জানালেন পরিচালক প্রদীপ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিনেমার সকল কাজ সম্পন্ন করেছি। দুই একদিনের মধ্যে সেন্সর বোর্ডে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ আনকাট জমা দেওয়া হবে। আশা করছি ৭ দিনের মধ্যেই ছাড় পত্র পেয়ে যাবো। যদি কোনো সমস্যা না হয় তাহলে এই মাসের ১৮ তারিখ সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে।’
এ সময় সিনেমার প্রচার নিয়ে গুণী এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে।(২ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে সিনেমার প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।’
কী থাকছে প্রীতিলতাকে নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায়? পরিচালক বলেন, ক্রেইগ হত্যা মামলায় আরেক বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস আলীপুর জেলে আটক ছিলেন। জেলেই তার সঙ্গে প্রীতিলতা দেখা করেছিলেন ৪০ বার। সূর্যসেনের নির্দেশ ছিল একজন বিপ্লবী আরেকজন বিপ্লবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবে না। কিন্তু প্রীতিলতা সেই নির্দেশ অমান্য করেছিলেন। কিন্তু কেন? কী এমন টান ছিল প্রীতিলতার? হয়তো রামকৃষ্ণকে পছন্দ করতেন, ভালোবাসতেন প্রীতিলতা!
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের পর প্রীতিলতা বিষপান করে জীবন উৎসর্গ করেন। তার পোশাকের পকেটে পাওয়া যায় রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ছবি। এ থেকে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের বিশ্বাস দৃঢ় হয়। আর সেই বিশ্বাস থেকে প্রীতিলতার মনে গোপন করে রাখা ভালোবাসা নিয়ে সেলিনা হোসেন লিখেছেন ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ উপন্যাস। সেই গল্পটিই উঠে আসবে সিনেমায়। বিপ্লবী প্রীতিলতার ভালোবাসার গল্প।
ছবিতে বিপ্লবী রামকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদান পায় সিনেমাটি।
‘আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জন্মদিনের প্রথম প্রহরে নন্দিত চিত্রনায়িকা মৌসুমীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান তার স্বামী জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানি।
ওমর সানি বুধবার রাত ১২টার পর পারিবারিকভাবে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক কাটেন। পরে সেই ছবি ও একটি ভিডিও তার ফেসবুকে আপলোড করেন। সঙ্গে তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তোমাকে সুস্থ রাখুন পরিবার নিয়ে ভালো রাখুন। তোমার জন্মদিনে সবার মাঝে আমিও একজন ভালোবাসার মানুষ, সবাই দোয়া করবেন ওর জন্য। শুভ জন্মদিন
মৌসুমীর পুরো নাম আরিফা পারভীন মৌসুমী। ১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় তার জন্ম। বাবা নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। মৌসুমী ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট ওমর সানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের ফারদিন এহসান স্বাধীন (ছেলে) এবং ফাইনা (মেয়ে) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
মৌসুমী ছোটবেলা থেকেই একজন অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হন। চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
এ সিনেমায় সালমান শাহের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম ছবিতেই নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন। তারপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সালমান শাহের সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করা মৌসুমী সফল হয়েছেন ওমর সানি, রিয়াজ, ফেরদৌস, ইলিয়াস কাঞ্চন ও ডিপজলের সঙ্গে জুটিবেঁধে।
‘আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জন্মদিনের প্রথম প্রহরে নন্দিত চিত্রনায়িকা মৌসুমীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান তার স্বামী জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানি।
ওমর সানি বুধবার রাত ১২টার পর পারিবারিকভাবে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক কাটেন। পরে সেই ছবি ও একটি ভিডিও তার ফেসবুকে আপলোড করেন। সঙ্গে তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তোমাকে সুস্থ রাখুন পরিবার নিয়ে ভালো রাখুন। তোমার জন্মদিনে সবার মাঝে আমিও একজন ভালোবাসার মানুষ, সবাই দোয়া করবেন ওর জন্য। শুভ জন্মদিন
মৌসুমীর পুরো নাম আরিফা পারভীন মৌসুমী। ১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় তার জন্ম। বাবা নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। মৌসুমী ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট ওমর সানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের ফারদিন এহসান স্বাধীন (ছেলে) এবং ফাইনা (মেয়ে) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
মৌসুমী ছোটবেলা থেকেই একজন অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হন। চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
এ সিনেমায় সালমান শাহের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম ছবিতেই নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন। তারপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সালমান শাহের সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করা মৌসুমী সফল হয়েছেন ওমর সানি, রিয়াজ, ফেরদৌস, ইলিয়াস কাঞ্চন ও ডিপজলের সঙ্গে জুটিবেঁধে।