logo
Breaking News
অস্ত্রধারী দুজন ‘যুবলীগের’, অন...

সিরাজগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় যে চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, তাঁদের এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র বলেছে, ওই চারজনের মধ্যে অন্তত দুজন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যদিও যুবলীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ শহরে বিএনপির আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ নেতা-কর্মী আহত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, লাল-কালো গেঞ্জি পরা যে যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়েছেন, তাঁর বাড়ি পৌর শহরের দত্তবাড়ি মহল্লায়। তাঁর নাম বায়েজিদ আহম্মেদ। আর আগ্নেয়াস্ত্র
হাতে কালো গেঞ্জি পরিহিত যে যুবককে দেখা গেছে, তিনি পৌর শহরের কালগয়লা মহল্লার সুমন হোসেন। তাঁরা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া অন্য দুজনকে এখনো কেউ চিহ্নিত করতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা বলছেন, তাঁরা এসব অস্ত্রধারীকে চেনেন না। তাঁদের দলের কর্মী বা সমর্থক হিসেবে তাঁদের কোনো দিন দেখেননি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ বলেন, অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা তাঁদের দলের কেউ নন। এমনকি তাঁরা তাঁদের চেনেনও না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘ওরা যুবলীগের হয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে, সেটি সবাই জানে। কাজেই আমরা ধরে নেব এরা যুবলীগের কর্মী। এমন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে শহরবাসী উদ্বিগ্ন, স্তম্ভিত।’ তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে তাঁরা মামলা করবেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। যদি কেউ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে থাকেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় তিনটি মামলা করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় এক ব্যবসায়ী একটি মামলা করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।

বন্দর ও পণ্য পরিবহনে স্বস্তি,...

চট্টগ্রাম বন্দরের নামের সঙ্গে জাহাজজটের কথা প্রতিবার আসত বছর শেষে। তবে ২০২১ সালের শুরুতে বন্দরটি কঠোর বিধিনেষেধের সময় জটে পড়েছিল, যদিও তা তেমন তীব্র হয়নি। বছরের মাঝামাঝি সময়েও আবার কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের জট নতুন করে ভাবনায় ফেলে দিয়েছিল রপ্তানিকারকদের। তবে তা ছিল সাময়িক।

গত জুলাইয়ের পর বিশ্বের বন্দরগুলো যখন জাহাজজটে হাবুডুবু খাচ্ছে, তখন চট্টগ্রাম বন্দরে মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে আগস্ট থেকে বছরের শেষ সময়টা কেটেছে একদম জট ছাড়া। বছরশেষে এটাই চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বড় সুখবর। এদিকে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ভাড়ার যে অস্বাভাবিক উত্থান হয়েছে তার রেশ রয়ে গেছে বছর শেষেও। তবে এদেশের অনেক উদ্যোক্তাই সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়েছেন। জাহাজ ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই ওই সব উদ্যোক্তা সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। এ সময় সাধারণ জাহাজের পাশাপাশি কনটেইনার জাহাজেও বিনিয়োগ বেড়েছে। বছরশেষে এর সুফলও পাচ্ছেন তাঁরা। এভাবেই ২০২১ সালজুড়ে সংকট, সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের দেখা মিলেছে বন্দর ও বন্দর–সহযোগী শিল্পে।

করোনার প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ২০২০ সালের শেষ দিক থেকে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের প্রথম দিকে আমদানি–রপ্তানি বাড়তে থাকে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বাড়তে শুরু করে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতিই তখন গতি পায়। এতে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন বেড়ে যায়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ বন্দরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। যেকারণে বন্দরে বন্দরে জাহাজের অবস্থান করার সময় বৃদ্ধি পায়। সেজন্য বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। চীন ও ইউরোপ–আমেরিকার ব্যস্ত বন্দরগুলোয় বছরের প্রথমার্ধের শেষে জট তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিতভাবে এসব বন্দরে জটের খবর প্রকাশিত হয়।

তবে সেই সময় অর্থাৎ জুলাই মাসের পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমে আসে, যা উদ্যোক্তাদের স্বস্তি দয়। দিনে দিনে জাহাজ ভিড়ানোর অনেক অর্জন আছে এ বন্দরের। বছর শেষে এখন জেটিতে ভিড়ানোর জন্য এক–দুদিনের বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ২৮ ডিসেম্বর জেটিতে অবস্থানরত ১০টি জাহাজের মধ্যে ৩টিই দিনে দিনে জেটিতে ভিড়েছে। একটি দুই দিন ও ছয়টি এক দিন পর জেটিতে ভিড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পণ্য হাতে পেতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না আমদানিকারকদের। অন্য বছরের তুলনায় কনটেইনার পরিবহনও বেড়েছে এবার। প্রায় ৩২ লাখের কাছাকাছি কনটেইনার পরিবহনের রেকর্ড গড়তে চলেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

বন্দর স্বস্তি দিলেও এ বছর উদ্যোক্তারা অস্বস্তিতে ছিলেন সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ভাড়া নিয়ে। দেশের উৎপাদনমুখী সব খাতের জন্যই কম–বেশি কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। কাঁচামালের সিংহভাগ আসে বিদেশি জাহাজে। তাতে ভাড়া বাবদ ব্যয় করতে হয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ভাড়া তিন–চার গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিমুখী পণ্যের উৎপাদন ব্যয় যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশে ব্যবহার্য পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। রপ্তানি পণ্য পরিবহনের ভাড়া বিদেশি ক্রেতারা পরিশোধ করে বলে এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন রপ্তানিকারকেরা।

এদিকে পণ্য পরিবহনের সংকটকে সুযোগে রূপান্তর করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা। মেঘনা গ্রুপ, কর্ণফুলী লিমিটেড, বসুন্ধরাসহ অনেক শিল্পগোষ্ঠীই নিজস্ব জাহাজ নামিয়েছে। নৌ পরিবহন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সমুদ্রগামী ১৭টি জাহাজ পানিতে ভাসিয়েছে তারা। তাই করোনার সময় পণ্য পরিবহনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাশ হতে হয়নি তাদের। তারা নিজেদের পণ্য পরিবহনে যেমন খরচ বাঁচিয়েছে, তেমনি পণ্য পরিবহনের সুবাদে বৈদেশিক মুদ্রাও এসেছে তাদের হাতে।

সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে বছর শেষে সুখবর আছে। সেটি হলো, দেশে কনটেইনার পরিবহনের ৪৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে ইতালির বন্দরে সরাসরি কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ইতালির সিভিটাভেক্কিয়া বন্দর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আসা কনটেইনারবাহী জাহাজ ক্যাপ ফ্লোরেন্স ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। এভাবে পণ্য পরিবহন সেবা যদি সফল হয়, তাহলে কম সময়ে ইউরোপগামী রপ্তানি পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

রপ্তানি পণ্য এখনকার মতো সিঙ্গাপুর বা শ্রীলংকার বন্দর হয়ে ইউরোপে নিতে হবে না। তাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পোশাকশিল্প আরও এগিয়ে যাবে, এমনই আশা রপ্তানিকারকদের।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, 'ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ বড় সুখবর। এই উদ্যোগ যদি সফল হয় তাহলে পোশাক খাতে বড় অর্জন হয়ে দেখা দেবে।


৬৭ বছর আগে ঢাকায় পাকিস্তান–ভার...
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন হলো, হুট করে ৬৭ বছর আগের টেস্টের প্রসঙ্গ টেনে আনার কী কারণ? আসলে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের সঙ্গে সেই ঢাকা টেস্টের এক জায়গায় দারুণ মিল।

ক্রিকেটের মজার সব পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা কৌস্তভ গুড়িপতি জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে সর্বশেষ কোনো টেস্ট সিরিজ শুরু হয়েছে ১৯৫৫ সালের সেই ঢাকা টেস্ট দিয়ে। কিছু বোঝা গেল? পাঁচ ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আয়োজিত হয়েছিল ঢাকায়। ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি টেস্টের প্রথম দিনে মুখোমুখি হয়েছিল আবদুল কারদারের পাকিস্তান ও ভিনু মানকড়ের ভারত।

মাঝে এই ৬৭ বছরে নতুন বছরের প্রথম দিনে আর কোনো টেস্ট সিরিজ শুরু হতে দেখা যায়নি। এবার বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ফিরে এল সে নজির। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আজ ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে প্রথম টেস্ট। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত সে টেস্ট ড্র করেছিল ভারত–পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ২৫৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। অর্ধশতক তুলে নেন ওয়াকার হাসান ও ইমতিয়াজ আহমেদ।

মাহমুদ হোসেন ও খান মোহাম্মদের বোলিংয়ে ভারত ১৪৮ রানে অলআউট হওয়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৮ রান তোলে পাকিস্তান। ২৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ১৪৭ রানে খেলা শেষ করে টেস্ট ড্র করে ভারত।