logo
Breaking News
দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর...

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অধিকাংশ রোগী থাকছে শনাক্তের বাইরে। যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে পুরুষদের ফুসফুস এবং নারীদের স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। 

আর বিভাগের তুলনায় ঢাকায় ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেশি। বিষয়ে জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে জানিয়েছেন গবেষকরা। এরজন্য স্থানভিত্তিক জনমিতি মূলক গবেষণা দরকার। 

রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা প্রায় ৩৫ হাজার ৭৩৩ জন রোগীর ক্যান্সার শনাক্ত করেছে। এই সময়ে ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন নতুন রোগী এলেও শনাক্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৩৩ জনের। এতে ৪২ দশমিক শতাংশের ক্যান্সার শনাক্ত হয়। 

গতকাল রাজধানীর ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের অডিটোরিয়াম ভবনে সপ্তম ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ইনস্টিটিউটের এপিডেমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে আসা রোগীদের ৫৫ ভাগই পুরুষ, এবং ৪৫ শতাংশ নারী। নারী-পুরুষ উভয়ের সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। যার শতকরা হার ১৭ দশমিক শতাংশ।

আর লিঙ্গভেদে পুরুষ ক্যান্সার রোগীদের সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সার পাওয়া যায়। আর নারীদের মধ্যে ২৯ দশমিক শতাংশ ক্যান্সার রোগী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। 

প্রতিবেদনের বিষয়ে আলোকপাত করেন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামুল হক এবং অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম এবং  অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।

অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জাতীয়ভাবে একবার জনসংখ্যাভিত্তিক গবেষণা করেছিল, এরপর আর হয়নি। নতুন করে গবেষণা করতে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এটি হওয়া জরুরি। কিন্তু তার জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একটি গবেষণা মানে রোগী শনাক্ত থেকে শুরু করে তার অবস্থা কোন পর্যায়ে, কোথায় গিয়ে থামতে পারে সব লিপিবদ্ধ করা। যেটি অনেক বেশি কঠিন।

অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, পরিবেশ খাদ্যাভ্যাসও ক্যান্সারের বড় একটি কারণ। কয়েক বছর আগেও এটি নিয়ে কাজ করা অতটা সহজ ছিল না। চিকিৎসা ব্যবস্থাও ততটা উন্নত ছিল না। এখন পরিবর্তন হয়েছে। তবে এখনো অনেক ঘাটতি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ইনস্টিটিউট দরকার। নতুন করে আটটি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে, সেখানে হয়তো হবে। কিন্তু যারা করবে তাদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
 

 

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গে...

 যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী কির্স্টি অ্যালে মারা গেছেন। গত সোমবার ৭১ বছর বয়সী অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। তিনি কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

চার দশক ধরে সিনেমা, টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন অ্যালে। আশির দশকের শেষ ভাগে এনবিসি টিভির আলোচিত কমেডি সিরিজ চিয়ার্স-এর মূল চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। একটি বারের ব্যবস্থাপক রেবেকা চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যালে। তাঁকে সিরিজের ১১টি পর্বে পাওয়া গেছে। এতে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে ১৯৯১ সালে এমি পুরস্কার পান তিনি।

পরবর্তীতে ডেভিডস মাদার নামে আরেক সিরিজের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৯৪ সালেও এমি পুরস্কার পান তিনি। এতে ডেভিড নামের এক অটিস্টিক শিশুর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যালে। এনবিসির আরেক সিরিজ ভারনিকাস ক্লোসেট- অভিনয় করেও আলোচিত হন তিনি।

১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের এক শহরে জন্ম নেন অ্যালে, সেখানে রোমান ক্যাথলিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। এর মধ্যে কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি পুনর্বাসনকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসের সময় অভিনয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৮২ সালে স্টার ট্রেক টু: দ্য ওয়ার্থ অব খান সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তাঁর।
বব অ্যালে নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন কির্স্টি অ্যালে, পরে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর পার্কার স্টিভেনসন নামের আরেকজনের সঙ্গে বিয়ের পরও সেটিও ভেঙে যায়। ট্রু লিলি পার্কার নামে অ্যালের দুই সন্তান রয়েছে।

 

খেলা হবে ভোট চুরি, দুর্নীতির ব...

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেছেন, ফখরুলের জ্বালা। অন্তরে জ্বালা। বুকে বড় ব্যথা। কেন জানেন? পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা করেই ফেললেন। ফখরুল সাহেব বাড়াবাড়ি, লাফালাফি করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে। তারে জীবিত করার কী দরকার?

জনতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে চিন্তায় আছেন। লাভ হবে? কোনো লাভ হবে না। বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না। কক্সবাজারের মানুষ ভুল করবেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নয়াপল্টন মাঠে কেন অনুষ্ঠান করতে চাচ্ছে আমাদের কাছে পরিষ্কার। তারা আগুন নিয়ে রাস্তায় নামতে চায়। একটু আগে জানলাম পুলিশের ওপর নাকি আক্রমণ করেছে বিএনপি।

বুধবার ( ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার সাগরপাড় সংলগ্ন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। 

বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর মায়াবী স্মৃতিঘেরা ঝাউগাছ, সৈকতের কথা স্মরণ করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর জানতে চান, অনরা ক্যান আছন? ভালা আছন? (আপনারা কেমন আছেন? ভালো আছেন?)

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের যে রূপান্তর তার রূপকার শেখ হাসিনা। বিশ্বায়নের রূপান্তর শেখ হাসিনা। যিনি ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে ইতিহাস রচনা করেন। তিনি বেঁচে আছেন বলেই আমরা শান্তিতে আছি। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফুটবলের মাঠে খেলা হচ্ছে। রাজনীতির মাঠেও খেলা হবে। তৈরি আছেন তো? খেলা হবে ভোট চুরি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

 

নাটকের গানেও এখন ন্যান্সি

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ক্যারিয়ারের শুরুতে অডিও গান নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তাও ছিল ব্যাপক। বিশেষ করে হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে তার দ্বৈত গানগুলো শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। পরে অডিও গানের পাশাপাশি সিনেমার গানেও তার ব্যস্ততা বেড়ে যায়। যদিও মাঝে বিভিন্ন কারণে গানের জগৎ থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নেন সংগীতশিল্পী।

তবে গত কয়েক বছর পুরোদমে কাজ করছেন। সময়ে এসে অডিও এবং সিনেমার গানের পাশাপাশি ওয়েব কনটেন্ট এবং নাটকের গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন। সম্প্রতি নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যান্সি। আমি তোমায় ভালোবাসি শিরোনামের গানটি লিখেছেন সোমেশ্বর অলি। সুর সংগীতায়োজন করেছেন মার্সেল। গানটি কে প্রথম কাছে এসেছিল শিরোনামের একটি নাটকে ব্যবহার করা হবে।

নাটকটি নির্মাণ করেন সরোয়ার হোসেন। নতুন গান প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, গানের কথাগুলো চমৎকার। সুর এবং সংগীতায়োজনও অসাধারণ হয়েছে। বলা চলে আমার ভালোলাগার অন্যতম একটি গান এটি। গানটি মূলত একটি নাটকের জন্য করা। নাটক এবং গান-দুটিই আশা করি সবার পছন্দ হবে। ছাড়া ন্যান্সি শিগ্গির নতুন কয়েকটি গানে কণ্ঠ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে দেশজুড়ে এখন উন্মুক্ত মঞ্চে শীতকালীন কনসার্ট শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি কনসার্ট টিভি শোতে অংশগ্রহণও করেছেন ন্যান্সি। শিগ্গির নতুন কয়েকটি কনসার্টে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নতুন কিছু কাজের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংগীতশিল্পী।

 

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্টের (টিকফা) ৬ষ্ঠ সভা ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস বুধবার ( ডিসেম্বর) তথ্য জানায়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ (ইউএসটিআর) ক্রিস্টোফার উইলসন বাংলাদেশ মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

সভার শুরুতে ডেপুটি ইউএসটিআর সারা বিয়ান্সি ওয়াশিংটন ডিসি-তে ৬ষ্ঠ টিকফা মিটিংয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। সারা বিয়ান্সি তার সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এই টিকফা সভাকে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি পোশাকের উৎপাদন বন্টন, বাণিজ্য বিনিয়োগ উন্নয়ন, মেধাস্বত্ব অধিকার, গুণগত সার্টিফিকেশন অবকাঠামোর জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, শ্রম বিষয় এবং আইডিএফসি অর্থায়ন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাণিজ্য সচিব উল্লেখ করেন যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে সর্বোচ্চ শুল্ক দেয় যা মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস করছে।

উভয় পক্ষই আমদানীকৃত মার্কিন তুলার বিষবাষ্পীকরণ ব্যাপারে আলোচনা করে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা থেকে তৈরি বাংলাদেশি পোশাকের রফতানির উপর শূন্য শুল্ক প্রস্তাব করে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান ক্রিস্টোফার উইলসন বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সম্মত হন।

মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের জন্য মুনাফা প্রর্ত্যাপন সহজ করার অনুরোধ জানান। প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ঢাকায় ফিরে বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষার আশ্বাস দেন।  

উভয় পক্ষই প্রস্তাবিত ডেটা সুরক্ষা আইন, কৃষিতে বায়োটেকনোলজি, ইউএসএফডিএ-তে বাংলাদেশি ওষুধের নিবন্ধন সহজীকরণ, যুক্তরাষ্ট্র হতে বাংলাদেশে ট্রি নাট রফতানির উপর শুল্ক হ্রাস এবং বাংলাদেশের বীজ বাজারে মার্কিন প্রবেশাধিকারের জন্য বীজ আইনের বিধানকে সহজ করার বিষয়ে আলোচনা করে।উভয় পক্ষই ২০২৩ সালের অক্টোবরে ঢাকাতে ৭ম টিকফা সভা করতে সম্মত হয়।

মাতৃত্ব আমাকে অনেকটাই বদলে দিয়...


 এক মাসও হয়নি, মা হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। এরই মধ্যে তাকে মুম্বাইয়ের যোগ প্রশিক্ষণ শিক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছেন। মা হওয়ার পর দ্রুত নিজেকে আবার পাল্টে ফেলতে চাইছেন আলিয়া। তারই ফাঁকে মাতৃত্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, জীবনের এই নতুন পর্যায় তাকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে।

মা হওয়ার পর নিজের প্রথম সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে মাতৃত্ব আমাকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে।’ 

এই প্রসঙ্গেই আলিয়ার থেকে জানতে চাওয়া হয়, আগামী দিনে চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে মাতৃত্ব কী ভূমিকা পালন করবে। উত্তরে আলিয়া বলেন, “আমি যেভাবে কোনও চরিত্র নির্বাচন করি, তার উপর আমার মা হওয়ার বিষয়টা কেমন প্রভাব ফেলবে, তা আমি জানি না।

এরই সঙ্গেব্রহ্মাস্ত্রছবির ইশা বলেন, “মাতৃত্ব জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে অনেকাংশে বদলে দিয়েছে। মনে হয়, আগের থেকে আমার মন এখন আরও উন্মুক্ত হয়েছে। তাই এর পর আমার সফর কোন দিকে বাঁক নেবে, তা নিয়ে আমি বেশ উত্তেজিত।

এই বছরটা আলিয়ার ক্যারিয়ারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন তার ঝুলিতে রয়েছেগাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়িব্রহ্মাস্ত্র’, তেমনই অন্যদিকে রয়েছেআর আর আর’-এর মতো ব্লকবাস্টার ছবি। গ্যাল গ্যাডোর সঙ্গে হলিউডেরহার্ট অব স্টোনছবির শুটিংও শেষ করেছেন তিনি। প্রযোজনা করেছেনডার্লিংসছবিটি।

 

আইটেম গানেও নেচেছেন ববি।

 ‘বিজলী, অ্যাকশন জেসমিনসহ অনেকগুলো ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি আইটেম গানেও নেচেছেন ববি। এবার নাচলেন ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ছবির আইটেম গানে। তবে আগের আইটেম গানের সঙ্গে এটির পার্থক্য হলো, ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি। কেবল গানটিতেই তাঁকে দেখা যাবে। ডিসেম্বর সাভারের একটি রিসোর্টে চালাও গুলি শিরোনামে গানটির শুটিং হয়েছে।
ববি জানান, প্রথমে কাজটি করার ইচ্ছা ছিল না। তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে গত বছরের আলোচিত তেলেগু ছবি পুষ্পা: দ্য রাইজ-এর সামান্থা রুথ প্রভুর আইটেম গান।

ছবিটিতে না থাকলেও কেবল আইটেম গানে নেচেই ব্যাপক আলোচিত হন সামান্থা। ববি বলেন, পুষ্পার আইটেম গানটি নাকি ছবির অন্যতম পরিচালক সানী সানোয়ার ভাইয়ের পছন্দ। কিছুটা একই আদলে কাজটি করা হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। দেখলাম, গানটি নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনা খুব ভালো। গানটি গল্পনির্ভর। গানের সঙ্গে নাচের কোরিওগ্রাফিও সুন্দর। তারপর কাজটি করতে রাজি হয়ে গেলাম।

গানটির শুটিং নিয়ে ববি আরও বলেন, কাজটি করতে গিয়ে দেখলাম, গানটির সঙ্গে নাচের উপস্থাপনটা সুন্দর হয়েছে। দর্শকের পছন্দ হবে। কাজটি যাতে ভালো হয়, সে জন্য আমিও বিকেল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত টানা সময় দিয়েছি। আমার বিশ্বাস, দর্শকের জন্য এটি একটা বাড়তি চমক হবে। গানটির নৃত্য পরিচালনা করেছে আলিফ স্কোয়াড। গানটি লিখেছেন মোক্তাদির মাওলা, সুর-সংগীত করেছেন মীর মাসুম। কণ্ঠ দিয়েছেন নাশা মীর মাসুম।

 

ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন সানী সানোয়ার ফয়সাল আহমেদ। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। আরও অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, সাদিয়া নাবিলা, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, ইরেশ যাকের, তাসকিন রহমান, মাজনুন মিজান, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, রাশেদ মামুন অপু, এহসানুল রহমান, দীপু ইমাম প্রমুখ।
আগামী জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পাবে।

 

বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেন। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তারই আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন চক্রান্ত করে। উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে এটি এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

ডিসেম্বর যখন ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে; তখন যতই দিন গড়াতে লাগল পাকিস্তানি সেনারা বিশেষ করে যারা পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধরত ছিল, তারা বুঝে গেল যাত্রায় তাদের আর পরাজয় এড়ানোর কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই। তবু তারা মরিয়া হয়ে উঠল পরাজয় এড়াতে। যতই দিন গড়াতে লাগল মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় বাহিনীর সর্বাত্মক আক্রমণে সপ্তাহ না পেরোতেই পাকিস্তানি বাহিনীর নাভিশ্বাস উঠে যায়। দশই ডিসেম্বরের পর তারা মোটামুটি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকে পরাজয় বরণের। তবে পরাজয়ের ক্ষতিকে কমিয়ে আনার জন্য তারা আঁটতে থাকে ভিন্ন এক পরিকল্পনা। যদি একান্তভাবেই পূর্ব পাকিস্তান হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলেও যেন ভূখণ্ডটি উদারপন্থি চেতনা নিয়ে আগামীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। তার জন্য কিছু বন্দোবস্ত করতে তারা অস্থির হয়ে যায়। আর অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাদের পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের সূর্যসন্তানদের গণহত্যার মধ্যদিয়ে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, মূলত ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা হত্যাকাণ্ড চালায়। সারাদেশের প্রায় এক হাজারেরও বেশি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যদিও ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়ই বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। মিরপুর, নাখালপাড়া, মোহাম্মদপুর, রাজারবাগ, ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের দ্বারা পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে যাওয়া হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের দেহজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ-হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, কাউকে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে।

১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সংকলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজ উইকের সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা মোট হাজার ৭০ জন। বাংলাপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যাগত চিত্র হলো, শিক্ষাবিদ ৯৯১ জন, চিকিৎসক ৪৯ জন, সাংবাদিক ১৩ জন, আইনজীবী ৪২ জন এবং অন্যান্য (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং প্রকৌশলী) ১৬ জন। দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

বিজয়ের ৫০ বছর অতিক্রম করলেও বুদ্ধিজীবী হত্যার সঠিক হিসাব জাতি আজও জানতে পারেনি। বুদ্ধিজীবীদের কে কোথায় কীভাবে শহীদ হয়েছেন, তারও কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এতে ,২২২ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা চূড়ান্ত করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সময়কালে যেসব বাঙালি সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি বেসরকারি কর্মচারী, রাজনীতিক, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং এর ফলে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ কিংবা ওই সময়ে চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অপরাধ ছিল, নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসাধারণকে স্বাধিকারের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তোলা মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা জোগানো। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান দক্ষতা দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন। দেশের জন্য বড় ধরনের অবদান রাখতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকদের নির্মমতায় তারা সেটি পারেননি। এটি নিঃসন্দেহে জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির যে সূর্যসন্তানদের আমরা হারিয়েছি, সে ক্ষতি আজও জাতি হিসেবে আমরা কাঁটিয়ে উঠতে পারিনি। যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জীবনের মায়া তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন, সেই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বাঙালি জাতি আজও দেশের সূর্যসন্তানদের হারানোর শোক হৃদয়ে ধারণ করে চলেছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ পথকে অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে বিশ্বাস করি।