বলিউড তারকাদের মধ্যে এখনো এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন যারা অভিনয় জগতে এসে শুধু অভিনয়টাই করেছেন। নিজের কথা ভাবার সময় হয়ে ওঠেনি তাদের। তাদের মধ্যে একজন হলেন- টাবু। ক্যারিয়ারে সফল, কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনোই সেভাবে মুখ খোলেননি তিনি।
৫২ বছরে পা দিয়েছেন বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এখনো কেন বিয়ে করলেন না টাবু? তার সমসাময়িকরা এখন সকলেই অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি যেন নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছেন, গড়ছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই তিনি।
তবে তার ছবি বাছাই যেন সবার চেয়ে আলাদা করেছিল টাবুকে। ‘চাঁদনি বার’ থেকে ‘হায়দার’- সব ছবিতেই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন শোনা গেছে। কখনো অজয় দেবগান, আবার কখনো নার্গাজুন। একবার টাবুর নাম জড়িয়েছিল প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে।
নব্বইয়ের দশকের বিখ্যাত ছবি ‘বিজয়পথ’। সেই সিনেমাতে নায়ক ছিলেন অজয়, আর নায়িকা টাবু। বেশ জনপ্রিয়তা পায় তাদের ছবি, জুটি হিসেবে দর্শক পছন্দ করেন তাদের। ফের একসঙ্গে দেখা যাবে ‘দৃশ্যম ২’-তে। সামনেই মুক্তি পাবে সেই ছবি।
বলিপাড়ায় কান পাতলে যে অভিনেতার সঙ্গে টাবুর সম্পর্কে খবর সবচেয়ে বেশি চর্চিত, তিনি হলেন নার্গাজুন। তার সঙ্গে টাবুর সম্পর্ক নিয়ে বেশ উত্তাল ছিল দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। শোনা যায়, প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে ছিলেন তারা।
তবে একটা দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর টাবু বুঝতে পারেন যে, নার্গাজুন তার স্ত্রীকে ছেড়ে নতুন কোনো স্থায়ী সম্পর্কে জড়াবেন না। কিন্তু এত সব গুঞ্জনের মাঝে ২০১৭ সালে টাবু এক সাক্ষাৎকারে তার অবিবাহিত থাকার কারণ জানান।
ওইদিন টাবু রসিকতা করে বলেন, ‘আমি অজয়ের জন্য সিঙ্গেল। আমার সঙ্গে যে পুরুষকেই কথা বলতে দেখা যেত, তাকে মারার হুমকি দিয়ে রাখত অজয়।’
আগামী ১৮ নভেম্বর মুক্তি পাবে অজয়-টাবুর ছবি ‘দৃশ্যম ২’।
শনিবার (৫ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাম্প্রতিক কাহিনিচিত্র ও অভিনয় বাস্তবতা’ শীর্ষক এ সেমিনার। অভিনয়শিল্পী সংঘের আয়োজনে এই সেমিনারে অংশ নিয়েছেন দেশের গুণী ও তারকা শিল্পীরা।
এতে
উপস্থিত ছিলেন
নাট্যজন মামুনুর রশিদ,
জাহিদ
হাসান,
তৌকীর
আহমেদ,
তারিন,
জয়া
আহসান,
চঞ্চল
চৌধুরী,
বৃন্দাবন দাস,
সালাউদ্দিন লাভলু,
সাজু
খাদেম,
অভিনয়শিল্পী সংঘের
সভাপতি
আহসান
হাবীব
নাসিমসহ অনেকেই।
আলোচনায় আক্ষেপের সুর
পাওয়া
গেলো
চঞ্চল
চৌধুরীর কণ্ঠে।
তিনি
বলেছেন,
‘আমাদের
মুখের
মেরুদণ্ড বাঁকা
হয়ে
গেছে।
আর
পিঠের
মেরুদণ্ডের কথা
বাদই
দিলাম।
আমরা
আসলে
যা
কিছু
বলি
তা
করতে
পারি
না।
তাই
মনে
হয়,
বলে
নয়,
করে
দেখাতে
হবে।
তা
না
হলে
টেলিভিশন নাটক
ও
ছোটপর্দার শিল্পীরা ধ্বংস
হয়ে
যাবে।’
টিভি
নাটকের
অধঃপতন
বোঝাতে
চঞ্চল
আরও
বলেন,
‘যেদিন
থেকে
টেলিভিশন নাটক
কন্ট্রাক্টে চলে
গেছে,
সেদিন
থেকেই
এই
ইন্ডাস্ট্রি শেষ
হয়ে
গেছে।
মাছের
মতো
দামাদামি করে
এখন
নাটক
নির্মাণ করা
হয়।
এর
কারণও
আছে
অনেক,
যেগুলো
আমরা
জানি
কিন্তু
বলার
সাহস
রাখি
না।
তাই
আমাদের
নিজেদের আরও
শক্ত
হতে
হবে।’
অভিনেত্রী তারিন
রীতিমতো ক্ষোভ
প্রকাশ
করেছেন
ভিউ-বাণিজ্য ইস্যুতে। তার ভাষ্য, ‘এখন
সবকিছুই ভিউয়ের
ওপর
নির্ধারণ করা
হয়।
আর
সবচেয়ে
বড়
শিল্পী
এখন
ভিউয়াররা। তারা
দেখলেই
নাটক
হিট
হয়।
যার
ফলে
টেলিভিশন কোম্পানিগুলো ভিউয়ারদের কথা
মাথায়
রেখে
শিল্পী
ও
গল্প
নির্ধারণ করেন।
তাই
আমি
মনে
করি
এখন
শিল্পীদের থেকেও
বড়
শিল্পী
ইউটিউব-ফেসবুকের দর্শকরা।’
এসব
সংকটের
পেছনে
শিল্পীদেরও দায়
আছে
বলে
মনে
করেন
তিনি।
তাই
শিল্পীদের নিজের
অধিকার
আদায়ে
সচেতন
ও
সোচ্চার হওয়ার
আহ্বান
জানিয়েছেন তারিন।
বর্তমানের মতো
নাজুক
পরিস্থিতি নাট্যাঙ্গনে আগে
কখনও
দেখেননি বলে
মনে
করেন
জাহিদ
হাসান।
তিনি
বলেছেন,
‘এখন
আমরা
নাটকের
শুটিং
করি
এক
দিনে।
কারণ
বাজেট
কম,
সময়
কম।
সবার
আগে
জমা
দিতে
হবে
তাই
তাড়াহুড়ো। এই
মানসিকতা আমাদের
নাটক
ও
টেলিভিশন শিল্পকে শেষ
করে
দিয়েছে। আমি
এতোদিন
ধরে
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ
করছি
কিন্তু
বর্তমানের মতো
এমন
পরিস্থিতিতে কখনও
পড়িনি।
এর
কারণ
আমাদের
অতীতকে
আমরা
ভুলে
গিয়েছি। আমার
মনে
হয়
এই
ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখতে
নিজেদের আগে
শোধরাতে হবে।’
সবার
শেষে
আহসান
হাবীব
নাসিমের সমাপনী
বক্তব্যের মধ্য
দিয়ে
সেমিনার সমাপ্ত
হয়।
আজ থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শুরু হচ্ছে। তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এই সময়ে এবারও পুণ্যার্থী ছাড়া অন্যদের সুন্দরবনে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উৎসবকে ঘিরে হচ্ছে না রাসমেলাও।
আগামী
৮
নভেম্বর পর্যন্ত তিন
দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী এই
‘রাস
পূর্ণিমা পূজা
ও
পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ
সন্ধ্যায় দুবলার
চরের
মন্দিরে সন্ধ্যা পূজার
মধ্য
দিয়ে
ঐতিহ্যবাহী রাস
উৎসব
শুরু
হবে।
হিন্দু
ধর্মাবলম্বীদের তথ্যমতে, রাস
উৎসব
শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয়
উৎসব।
শ্রীকৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ
তাত্ত্বিক রসের
সমৃদ্ধ
কথা
বস্তুকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে
পরমাত্মায় রূপান্তরিত করতে
হিন্দু
সম্প্রদায়ের লোকজন
এই
উৎসব
পালন
করে
থাকেন।
তারা
বঙ্গপসাগরের চর
আলোরকোল এলাকায়
বসে
পূর্ণিমার জোয়ারে
স্নান
করেন,
যাতে
সব
পাপ
মোচন
হয়ে
যায়।
যদিও,
‘রাস-লীলা’ নিয়ে বেশকিছু মত
প্রচলিত আছে।
এর
মধ্যে
বহুল
জনপ্রিয় দুটি
মতো।
এই
দুই
মতেই
কেন
এই
রাস-লীলা তার ভিন্ন
ভিন্ন
ব্যাখ্যা রয়েছে।
কথিত
আছে
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর
শ্রীকৃষ্ণ পাপমোচন ও
পূর্ণলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান।
এই
থেকেই
শুরু
হয়
‘রাস
উৎসব’। আবার অন্য
মতালম্বীদের মতে,
দুর্গাপূজার পর
পূর্ণিমাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে
‘লীলায়’
মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আর
সেই
থেকেই
কার্তিক মাসের
পূর্ণিমাতে ‘রাস-লীলা’ পালিত হয়ে
আসছে।
হিন্দু
সম্প্রদায় ছাড়াও
বিভিন্ন ধর্ম,
বর্ণের
হাজার
হাজার
মানুষ
এই
উৎসবে
হাজির
হন।
প্রতিবছর এই
উৎসবে
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অর্ধ
লক্ষাধিক মানুষ
অংশগ্রহণ করেন।
কিন্তু
২০১৯
সালে
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে
সুন্দরবনে রাস
উৎসব
হয়নি।
আর
করোনার
কারণে
২০২০
সাল
থেকে
রাস
উৎসবে
কোনও
মেলার
আয়োজন
করা
হয়নি।
প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল
শুধু
হিন্দু
ধর্মালম্বীদের জন্য।
রাস
উৎসব
বাস্তবায়ন কমিটির
সভাপতি
কামাল
উদ্দিন
জানান,
‘করোনা
সংক্রমণ এড়াতে
এবারও
খুবই
স্বল্প
পরিসরে
রাস
উৎসবের
আয়োজন
করা
হয়েছে।
আশা
করছি
এ
বছর
সবার
সহযোগিতায় আমরা
সুষ্ঠুভাবে এই
উৎসব
সম্পূর্ণ করবো।’
সুন্দরবন বিভাগের খুলনা
অঞ্চলের বন
সংরক্ষক (সিএফ)
মিহির
কুমার
দো
জানান,
পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতে তীর্থযাত্রীদের জন্য
সুন্দরবন পশ্চিম
বন
বিভাগ
পাঁচটি
পথ
নির্ধারণ করেছে।
এসব
পথে
বন
বিভাগ,
পুলিশ
ও
কোস্টগার্ডের টহল
দল
তীর্থযাত্রী ও
দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
তিনি
আরও
জানান,
আজ
দিনের
বেলায়
যাত্রা
শুরু
করতে
হবে
এবং
নৌযানগুলো কেবল
দিনের
বেলায়
চলাচল
করতে
পারবে।
বন
বিভাগের চেকিং
পয়েন্ট
ছাড়া
অন্য
কোথাও
নৌকা,
লঞ্চ
বা
ট্রলার
থামানো
যাবে
না।
প্রতিটি ট্রলারের গায়ে
রঙ
দিয়ে
বিএলসি
অথবা
সিরিয়াল নম্বর
লিখতে
হবে।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন টোকেন
ও
টিকিট
কাছে
রাখতে
হবে।
রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নানের সময়
কোনও
বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও
বহন
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারও
কাছে
আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ
মারার
ফাঁদ,
দড়ি,
গাছ
কাটার
কুড়াল,
করাত
ইত্যাদি অবৈধ
কিছু
পাওয়া
গেলে
তার
বিরুদ্ধে বন
আইনে
ব্যবস্থা গ্রহণ
করা
হবে।
ট্রলারে কোনও
প্লাস্টিকের খাবারের প্লেট
বহন
করা
যাবে
না।
লঞ্চ,
ট্রলার,
নৌকায়
এবং
পুণ্যস্নান স্থানে
মাইক
বাজানো,
পটকা,
বাজি
ফোটানোসহ কোনও
প্রকার
শব্দ
দূষণ
করা
যাবে
না।
রাস
পূর্ণিমায় আসা
পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময়
জাতীয়
পরিচয়পত্র অথবা
ইউনিয়ন
পরিষদ
চেয়ারম্যানের কাছ
থেকে
প্রাপ্ত নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূলকপি
সঙ্গে
রাখতে
হবে।
কিংবদন্তি চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানাকে দেশের চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে মাশরুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় এ অভিযোগ করেন। ইংরেজিতে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গত সোমবার(৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বাবা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। দেশের স্বনামখ্যাত একটি বেসরকারি হাসপাতালে আমার বাবার চোখের সার্জারি করায় সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে...।’
মাশরুরের ভিডিও বার্তায় তার বাবাকে যে চিকিৎসক সার্জারি করিয়েছেন তার নাম উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি হাসপাতালের নামও জানান তিনি। একই সঙ্গে মাশরুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অক্টোবরের ৩০ তারিখ চোখের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে খ্যাতিমান অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানাকে। সোহেল রানার চোখে যে অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে সেটির নাম ক্যাটারাক্ট সার্জারি। এর আগেও সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার ডান চোখে এই সার্জারি করা হয়েছিল। রুটিনমাফিক পরের সার্জারির জন্য দেশের হাসপাতাল বেছে নেওয়া হয়েছিল।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে গত ২৫ অক্টোবর সোহেল রানার চোখে অস্ত্রোপচার হয়। তবে সমস্যা সমাধানের বদলে এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোহেল রানাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বহু জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। গত সোমবার (৭ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ঢাকায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয় শিল্পীর আগমনের অনুমতি দিয়েছে, যা ‘বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গ্লোবাল অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ডের একটি ডকুমেন্টারি শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য আবেদন করেছিল উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন।
এ বিষয়ে উইমেন লিডারশিপ করপোরেশনের সভাপতি ইশরাত জাহান মারিয়া বলেন, নোরা ফাতেহি আমাদের একটি ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশ নেবেন। আমাদের একটি অনুষ্ঠান আছে সেটিতে তিনি থাকবেন। মূলত মন্ত্রণালয়ের কাছে সেভাবেই আমরা অনুমতি চেয়েছি। মন্ত্রণালয় আমাদের সেভাবেই অনুমতি দিয়েছে। ১৮ নভেম্বর নোরা ফাতেহিকে নিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানটি যথা সময়ে হবে। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এর বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে নোরা ফাতেহির ঢাকার মঞ্চে নাচার সব প্রস্তুতি শেষ হলেও অনুমতি দেয়নি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৭ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার বাংলাদেশ সফরের অনুমতি বাতিল করেছিল মন্ত্রণালয়।
উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয়, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সুসংহত রাখতে নোরা ফাতেহিকে ঢাকায় আসার অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।
বলিউডের তারকা খ্যাত অভিনেত্রী আলিয়া ভাট প্রথম সন্তানের মা হয়েছেন। মুম্বাইয়ের হাসপাতালে প্রথম সন্তানের জন্ম দিলেন এ জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
গত রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ভারতের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে আলিয়াকে ভর্তি করা রণবীর কাপুর। সেই ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর প্রসববেদনা শুরু হলে প্রাকৃতিক নিয়মে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ২৯ বছরের আলিয়া।
চলতি বছরের এপ্রিলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রণবীর। গত জুন মাসে সন্তান আগমনের সুখবর দেন তারা। আলিয়া তখন লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। জীবনের প্রথম হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’র শুটিংয়ে। হাসপাতালের শয্যা থেকে ছবি পোস্ট করেছিলেন হবু মা। তার ৫ মাসের মধ্যে পৃথিবীর আলো দেখল রণবীর-আলিয়ার প্রথম সন্তান।
এখন কাপুর পরিবারে আনন্দের জোয়ার বইছে। আনন্দে ভাসছেন তাদের ভক্তরাও।
সিসিমপুর মানেই যেন শিশুদের স্বর্গরাজ্য। যে রাজ্যে শিশুরা হয়ে ওঠে এক একজন ইকরি-হালুম-টুকটুকি।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশুদের মন-বিকাশে এরচেয়ে দরকারি অথবা সফল উদ্যোগ আর একটিও নেই।
কিন্তু এভাবে কি কেউ ভেবেছেন, যে শিশুরা দৃষ্টিশক্তিহীন- সিসিমপুরে তাদের জায়গাটুকু কই? একটু বিলম্বে হলেও সেই বিষয়টি ভেবেছে সিসিমপুর কর্তৃপক্ষ। তারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুর সিরিজের বিশেষ বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় দশটি বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশিত হবে। বইগুলো তৈরি করছে স্পর্শ ফাউন্ডেশন। যে বইগুলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। পরবর্তী সময়ে বইমেলাতেও পাওয়া যাবে এসব বই।
এই উপলক্ষে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-এর কার্যালয়ে সিসিমপুর এবং স্পর্শ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সিসিমপুরের হয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম এবং স্পর্শ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাজিয়া জাবীন।
সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল শিশুর কাছে পৌঁছাতে চায় সিসিমপুর। ব্রেইল বই প্রকাশ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই লক্ষ্যের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলাম।’
সিসিমপুরের ব্রেইল বই প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নাজিয়া জাবীন বলেন, ‘এই উদ্যোগের ফলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুরাও এখন সিসিমপুরের মজার রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে অবাধে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শিশুতোষ অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে সিসিমপুর। ২০০৫ সালে ১৫ এপ্রিল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিটিভিতে সম্প্রচারিত হয়ে আসছে শিশুদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এই সিরিজটি। সিসিমপুর টেলিভিশন কার্যক্রমের পাশাপাশি এর ডিজিটাল এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কাজী শুভ। বিশেষ করে লোক ঘরানার গানে তার কণ্ঠের জুড়ি মেলা ভার। লম্বা ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে গানের এই মানুষ ভিন্ন কিছু উপহার দিতে চেয়েছেন।
গেয়েছেন নিজের কন্যাকে নিয়ে একটি বিশেষ গান। ‘কন্যা রে আমার’ শিরোনামের এই গানটির কথা ও সুর করেছেন আরিফ হোসেন বাবু। সংগীতায়োজন করেছেন আহাম্মেদ সজীব। কন্যার প্রতি বাবার ভালোবাসা প্রকাশের জন্য তৈরি এই গানটির ভিডিওতে অভিনয় করেছেন কাজী শুভ ও তার কন্যা পূর্ণতা। ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন পাভেল মাহমুদ জয়।
গানটি প্রসঙ্গে কাজী শুভ বলেন, ‘এই গানটি আসলে শুধু আমার কন্যার প্রতিই নিবেদন নয়। বরং পৃথিবীর সকল বাবা ও কন্যাকে উৎসর্গ করে গানটি প্রকাশ করতে চাই। তবে আমার জন্য এই কাজটি একটু বেশিই স্পেশাল, কারণ এতে আমি ও পূর্ণতা একসঙ্গে প্রথম অভিনয় করেছি। আশা করছি বাবা-মেয়ের এই গানচিত্রটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।’
শুভ জানান, বিশেষ গানচিত্রটি উন্মুক্ত হচ্ছে ১৪ নভেম্বর কাজী শুভ অফিশিয়াল নামের ইউটিউব চ্যানেলে।