logo
Breaking News
১৬ বছর পর
ফ্যাশনে হিজাব | মার্জিত ও ট্রে...
ফ্যাশনে হিজাব | মার্জিত ও ট্রেন্ডি লুক একসাথেই! হিজাব করলে মন মত ফ্যাশন বা ট্রেন্ড ফলো করা যায় না! এমনটা আমরা অনেকেই ভাবি। তাই না? অথচ এ ধারনাটি কিন্তু একদমই ঠিক নয়। পর্দা করার জন্য মুলত হিজাব ব্যবহার করা হলেও চুল এবং ত্বকের সুরক্ষায়ও হিজাবের উপকারিতার শেষ নেই। বিশেষ করে এই গরম কালে হিজাব ব্যবহারে বাইরের রোদ, ধুলাবালি, সূর্যরশ্মি থেকে পাওয়া যায় লম্বা সময়ের জন্যে সুরক্ষা। কিন্তু সুরক্ষার পাশাপাশি এ সময় হিজাবিদের চুলের সমস্যাও কিন্তু বেড়ে যায় অনেক বেশি। তাই আজকের লিখায় আমরা জেনে নিব, এই গরমেও মার্জিত ও ট্রেন্ডি লুক এর পাশাপাশি চুলকে কীভাবে রাখা যাবে ড্যামেজ ফ্রি সেটা নিয়ে। এই গরমে হিজাবের সাথেও কীভাবে ক্যারি করবেন মডেস্ট লুক? এই গরমের মধ্যে সারাদিন হিজাব পরে কাটানোই বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। তাই, হিজাবের সাথে সাথে বাকি কাপড় চোপড়ও হতে হবে আরামদায়ক। হিজাবিদের মধ্যে অনেকেই হিজাবের সাথে আবায়া পরতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, মডেস্ট স্টাইলটকেও গুরুত্ব দেয়া জরুরি। তাই চলুন জেনে নেই এই অসহনীয় গরমে হিজাবের সাথে কী ধরণের লুক মেইনটেইন করলে এই গরম একটু হলেও সহনীয় হবে। • হিজাবের সাথে “আবায়া” অথবা “কিমোনো” হতে পারে রাইট চয়েজ হিজাবিদের মধ্যে অনেকেই এই ড্রেস দুটির নামের সাথে পরিচিত। স্পেশালি যারা একটু ওয়েস্টার্ন লুক প্রেফার করেন, এই গরমে আবায়া অথবা কিমোনো হতে পারে একদম বেস্ট চয়েজ। • সিলেক্ট করুন লং শার্ট, কটি, সুতি বা লিনেন ফ্যাব্রিক হিজাবিদের মধ্যে অনেককেই নানা কাজে এই গরমে বাইরে বের হয়। তাছাড়া অফিস থাকলেতো কথাই নেই। এই সময় মডেস্ট লুকের পাশাপাশি আরামদায়ক পোশাক হবে, লং শার্ট, সুতি বা লিনেন ফ্যাব্রিক। সাথে কটিও পরতে পারেন, দেখতে ভালোই লাগবে। • হারেখ, হাই ওয়েস্ট বা জেগিংস হতে পারে মানানসই ও স্টাইলিশ লং শার্ট, সুতি বা লিনেন ফ্যাব্রিক এর সাথে মানানসই প্যান্ট হিসেবে, হারেখ, হাই ওয়েস্ট বা জেগিংস চয়েজ করতে পারেন। এ ধরনের পোশাক এই গরমে একি সাথে যেমন হবে কাজের জন্য আরামদায়ক তেমনি দিবে স্টাইলিশ লুকও। • হিজাবের কাপড় হিসেবে বেছে নিন লিনেন, সিল্ক বা ফ্রিঙ্কেল এর কাপড় এই গরমে লিনেন, সিল্ক বা কিংবা ফ্রিঙ্কেল এর হিজাব হতে পারে বেশ আরামদায়ক। গরমের মধ্যে এমন কাপড় বাছাই করা ভাল যা দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারবে। • পোশাক এবং হিজাবের কালার রাখুন ভিন্ন ভিন্ন হিজাবের সাথে পরিধেয় পোশাকটি যদি একটু হালকা কালারের হয় তাহলে হিজাবের কালার একটু ডিপ রাখুন। একই ভাবে যদি হিজাবের সাথে পরিধেয় পোশাকটির কালার ডিপ বা ডার্ক হয় তবে তার সাথে হালকা কালারের হিজাব পরার চেষ্টা করুন। • শার্ট বা টি-শার্ট এর সাথে বেছে নিন কালারফুল স্কার্ট গরমের সময় খুবই ট্রেন্ডি এবং সহজে পরিধানযোগ্য পোশাক হতে পারে শার্ট বা টি-শার্ট এর সাথে কালারফুল কোন স্কার্ট। হিজাবের সাথে কালারফুল স্কার্ট একি সাথে যেমন দিবে খুব ট্রেন্ডি লুক তেমনি এই গরমে হবে খুব আরামদায়কও। • হিজাবের সাথে স্নিকার বা হাই হিল পরতে চেষ্টা করুন হিজাব লুকের সাথে যে যার পছন্দ অনুযায়ী হাই হিল বা স্নিকার পরতে পারেন। এতে একি সাথে পাবেন ডিফারেন্ট এবং কনফিডেন্ট লুক। • মেকআপ ঠিক রাখতে ময়েশ্চারাইজার, প্রাইমার এবং সেটিং পাউডার মাস্ট এই গরমে এমনিতেই মেকআপ ঠিক থাকে না। তার উপর যারা হিজাব পরেন তাদের কষ্ট আরও বেশি। অন্যান্য সময় মেকআপ করার আগে প্রাইমার বা ময়েশ্চারাইজার স্কিপ করলেও গরমের এ সময়টায় মেকআপ লুক ঠিকঠাক রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার, প্রাইমার এবং সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। সেটিং পাউডার ব্যবহারে অয়েল-ফ্রি লুক থাকবে দিনভর। এইতো, জেনে নিলাম এই গরমেও হিজাবের সাথে কীভাবে ক্যারি করা যায় মডেস্ট লুক তা নিয়ে। পাশাপাশি হিজাবের সাথে কেমন ড্রেসআপ এবং গেট আপ ভাল মানাবে তা নিয়েও। সেলফ কনফিডেন্স ঠিক রাখতে হেলদি স্কিন এবং হেলদি চুল তবে যেকোনো প্রোপার ড্রেসআপ আর গেটআপের পাশাপাশি আরও সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হল, সেলফ কনফিডেন্স। সেলফ কনফিডেন্স ঠিক না থাকলে যতই ট্রেন্ডি কিংবা আরামদায়ক পোশাকই পরা হোক না কেন দেখতে ভাল লাগবে না। আর এই সেলফ কনফিডেন্স ঠিক রাখতে হেলদি চুল এবং হেলদি স্কিনের কোন তুলনা নেই। হিজাবিদের মধ্যে অনেকের মাঝেই এই সেলফ কনফিডেন্স এর ঘাটতি দেখা যায়। এর কারণ, সঠিক ভাবে হিজাবিরা তাদের চুল এবং ত্বকের যত্ন নিতে অনীহা করেন। তবে ত্বকের তুলনায় অনেক বেশি ঝামেলায় পরতে হয় চুল নিয়ে। যেহেতু, হিজাব পরার ফলে লম্বা সময়ের জন্যে চুল এবং মাথা ঢাকা অবস্থায় থাকে ফলে, এই গরমে স্বাভাবিক ভাবেই মাথার স্ক্যাল্পের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে করে, চুলের গোঁড়া ঘেমে তেল চিটচিটে ভাব দেখা দেয়া সহ ইচিং, খুশকির মত সমস্যাও বেড়ে যায় অনেক। তাই সবার জন্যেতো বটেই তবে, স্পেশালি যারা হিজাব পরেন তাদের জন্যে প্রয়োজন চুলের এক্সট্রা যত্ন। তাই, ছোট্ট করে চলুন একটু জেনে নেই হিজাবিদের হেয়ার কেয়ার কেমন হতে পারে তা নিয়ে। হেলদি হেয়ার পেতে হিজাবিদের করনীয় কী? হিজাবিদের জন্য চুলের এক্সট্রা কেয়ার নেওয়াটা খুবই প্রয়োজন। খুব সহজে ঘরোয়াভাবে সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার করে নিতে পারেন। যেমন, ১) স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সপ্তাহে ১-২ দিন নারকেল তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল বা আমন্ড অয়েল দিয়ে মাথার তালু আলতোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। ২) সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার রুটিনে অ্যাড করুন হোমমেড হেয়ার প্যাক। যেমন, মেহেদি, টকদই, লেবুর রস দিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগাতে পারেন সপ্তাহে ১ থেকে ২বার। এর ফলে ইচিং এবং খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। ৩) এছাড়াও হিজাবিদের সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন বা প্রয়োজন বুঝে নিয়মিত ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। মার্কেটে এখন একেক সমস্যাকে টার্গেট করে পাওয়া যায় নানা ধরণের শ্যাম্পু। হিজাবিরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন ক্লিয়ার হিজাব পিওর অ্যান্টি ড্যানড্রাফ এন্ড অ্যান্টি লিম্প শ্যাম্পুটি। চলুন ছোট্ট করে জেনে নেয়া যাক ক্লিয়ার হিজাব পিওর অ্যান্টি ড্যানড্রাফ এন্ড অ্যান্টি লিম্প শ্যাম্পুটি নিয়ে। ক্লিয়ার হিজাব পিওর অ্যান্টি ড্যানড্রাফ এন্ড অ্যান্টি লিম্প শ্যাম্পুর উপকারিতা ১) ক্লিয়ার হিজাব পিওর অ্যান্টি ড্যানড্রাফ এন্ড অ্যান্টি লিম্প শ্যাম্পুতে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড বা লবণ আমাদের মাথার স্ক্যাল্পের ডেডসেল বা মৃতকোষগুলো ক্লিন করতে দারুণ কার্যকরী। ২) আমাদের অনেকের মাথার স্ক্যাল্প ড্রাই হয়ে থাকে। এই শ্যাম্পুতে থাকা সোডিয়াম স্যালিসাইলেট, মাথার ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা এবং রুক্ষতার সল্যুশন দিতে হেল্প করে। এবং ময়েশ্চার লেভেল ঠিক রেখে মাথার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখে। ৩) এছাড়াও ক্লিয়ার হিজাব পিওর অ্যান্টি ড্যানড্রাফ এন্ড অ্যান্টি লিম্প শ্যাম্পুতে রয়েছে মাইসেলার ওয়াটার ও মিন্ট। আরও রয়েছে শিয়া সিড অয়েল এবং সানফ্লাওয়ার অয়েল। যা আমাদের স্ক্যাল্পে জমে থাকা খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলকে রাখে হেলদি। ৪) প্রোটিনসমৃদ্ধ এই শ্যাম্পু মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে চুলকে কোমল ও মসৃণ করতে অনেকটাই হেল্প করে। আশেপাশে একটু নজর দিলেই দেখা যাবে, হিজাবের সাথেও চলতি ফ্যাশনে নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছে যে যার মন মত। আশা করছি আজকের এই লেখাটি পরে যারা হিজাবের সাথে সুন্দর মার্জিত এবং ট্রেন্ডি লুক প্রেফার করেন তাদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। পাশাপাশি যারা হিজাব পরেন এবং হেয়ার কেয়ারের জন্যে ভাল একটি শ্যাম্পু খুঁজছিলেন তারাও একটি ভালোমানের শ্যাম্পু নিয়ে জানতে পারলেন। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন এবং ফ্যাশন ট্রেন্ড মেইনটেইন করার পাশাপাশি নিজের যত্ন নিতে অবশ্যই ভুলবেন না। স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের জন্য অথেক্টিক প্রোডাক্ট আপনারা চাইলে সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ ভিজিট করতে পারেন, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত।
‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজ...

বাংলাদেশের জনপ্রিয় পেপারব্যাক সিরিজ 'মাসুদ রানা' ২৬০টি 'কুয়াশা' ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিসের দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেবা প্রকাশনীর প্রধান কাজী আনোয়ার হোসেনের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

এই বইগুলোর কপিরাইটের অর্থ পরিশোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই শেখ আবদুল হাকিম এবং সেবা প্রকাশনীর মধ্যে বিবাদ চলছে।

মি. হাকিম - যিনি বছর আগস্ট মাসে মারা গেছেন - বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, বিদেশী কাহিনি অবলম্বন করে এই বইগুলো তার লেখা হলেও লেখক হিসেবে নাম যেতো সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেনের জন্য তাকে এককালীন পারিশ্রমিক দেয়া হলেও বইগুলোর পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশের সময় তাকে লেখকের স্বত্ব হিসেবে কোন অর্থ দেয়া হয়নি।

বিবাদ কপিরাইট অফিস থেকে শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে সবশেষ রায়ের পরেও এই বইগুলোর আসল স্বত্বাধিকারী কে হবেন - সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তের ওপর এর আগে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেন।

কপিরাইট অফিসের আদেশ কী ছিল?

মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানাস্বত্ব দাবি করে ২০১০ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনের ৭১ ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন শেখ আবদুল হাকিম।

নয় বছরেও অভিযোগের কোনো সুরাহা না পাওয়ায় গত বছর ২৯ জুলাই কপিরাইট অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

তিন দফা শুনানি দু'পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তির আলোকে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনের ৭১ ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় কপিরাইট অফিস।

তিন লেখকের টার্গেটে গুপ্তচর 'মাসুদ রানা'

'মাসুদ রানা' হতে গিয়ে বন্ধুর হাতে খুন

এর ভিত্তিতে ওই বইগুলোর লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের স্বত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। গত বছরের আগস্টে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে 'মাসুদ রানা' 'কুয়াশা' সিরিজের কিছু বইয়ের বিষয়ে কপিরাইট অফিসের দেয়া আদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন।

আদালতের রায়ের বিষয়ে ভিন্ন মত আইনজীবীদের

রেজিস্টার অব কপিরাইটসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন " রিট মামলাটা আদালত খারিজ করে দিয়েছে আজ। যার ফলশ্রুতিতে এটাই দাঁড়ালো যে কপিরাইট অফিসের আদেশটাই বহাল থাকলো। এখন কাজী আনোয়ার হোসেন আদেশ মানতে বাধ্য হবেন।"

 

লেখক হিসাবে কাজী আনোয়ার হোসেনের নাম প্রকাশিত হলেও, দুইজন লেখক দাবি করেছেন, এসব বই আসলে তারা লিখেছেন, যা মি. হোসেনের নামে প্রকাশিত হয়েছে

"আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এখন মাসুদ রানা এবং কুয়াশা সিরিজের বইগুলো জব্দ থাকবে।"

এদিকে সেবা প্রকাশনীর পক্ষের আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। তিনি বলেন, কপিরাইট রেজিস্টারের কোন আদেশ দেয়ার এখতিয়ার নেই।

"আমরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছিলাম ,আমরা সেটা পাইনি। এখন আমরা আপিল বিভাগে যাবো"- বলেন তিনি।

মি. মিসবাহ বলেন "বইয়ের মালিকানা নিয়ে কোন কথা হয়নি, কোর্টও কোন কথা বলেননি। বইগুলো জব্দ করার কথা বলা হয়নি। কপিরাইট রেজিস্টার যে আদেশটা দিয়েছিলেন সেটা আমরা অবৈধ ঘোষণা করার কথা বলেছিলাম কোর্ট সেটাকে অবৈধ ঘোষণা করেনি। আবার বৈধ ঘোষণাও করেনি"

কত টাকা পাবেন লেখকরা

শেখ আবদুল হাকিমের কপিরাইট সংক্রান্ত উপদেষ্টা ওলোরা আফরিন বলেন, মি.হাকিমের পরিবারের সঙ্গে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন তারা

"কপিরাইট আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। সে হিসেবে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব বই মি. হাকিমের জীবিত অবস্থায় তার অনুমতি না নিয়ে পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে - সেটার জন্য আলাদা মামলা করবে কিনা সেটা আলোচনা করা হবে মি. হাকিমের ওয়ারিশদের সঙ্গে" - বলেন ওলোরা আফরিন।

এদিকে আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ বলেন, বইয়ের টাকা পেতে হলে মি. হাকিমকে আগে তিনিই যে বই এর স্বত্বাধিকারী সেটা জেলা আদালতে প্রমাণ করে আসতে হত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি মারা যাওয়াতে এখন সেই সুযোগটা থাকছে না।

 

পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে পেপারব্যাক সিরিজ 'মাসুদ রানা' প্রকাশিত হয়ে আসছে

"টাকা-পয়সার বিষয়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে যেতে হবে। তার যেকোন ওয়ারিশ ইচ্ছা করলে মামলা করতে পারবে" - বলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

কেন নিজেদের বই আরেকজনের নামে লেখার অনুমতি

শেখ আবদুল হাকিম বছরের অগাস্ট মাসে মারা যান। তিনি ২০১৯ সালে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ''আমি আর্থিক কারণে এসব বই তাকে (কাজী আনোয়ার হোসেন) নামে লেখার অনুমতি দিয়েছি। কারণ তখন আমার টাকার দরকার ছিল।''

''আর ইংরেজি কাহিনীর নকল করে বাংলা এসব বই আমার নামে ছাপা হোক, সেটাও আমি কখনো চাইনি। কাউকে এসব বলতেও খারাপ লাগতো, তাই মুখ বুজে থেকেছি। তবে অনেকেই বিষয়টি জানতো।''

''প্রথম দিকে একেকটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি দিলে পাঁচশো টাকা পাওয়া যেতো। পরে সেটা দশ হাজার পর্যন্ত হয়। সুতরাং কপিরাইট নিয়ে ভাবিনি। "

"যতদিন তারা নিয়মিত টাকা দিয়ে গেছেন, ততদিন আমি আপত্তিও করিনি। কিন্তু যখন দেখছি যে, বই আবার ছাপা হচ্ছে, কিন্তু আমাকে কোন টাকা দেয়া হচ্ছে না, তখন আমি অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।''

সেবা প্রকাশনীতে ১৯৯২ সাল থেকে লিখতে শুরু করেন আরেকজন লেখক ইফতেখার আমিন।

তিনি দাবি করেছেন, মাসুদ রানা সিরিজে তার লেখা ৫৮টি বই কাজী আনোয়ার হোসেনের নামে ছাপা হয়েছে। তবে আজ সোমবার আদালতে মি. আমিনের বিষয়ে কোন আলোচনা হয় নি বলে জানিয়েছেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা।

ইফতেখার আমিন বলেন, ''স্বাধীনতার আগে থেকে সেবা প্রকাশনীতে এই প্র্যাকটিসটা চলে আসছিল। ফলে আমি শুধু সেখানে যোগ হয়েছি।"

"তখন আনোয়ার সাহেব বলতেন, তোমাদের নামে ছাপা হলে তো পাঁচশো কপির বেশি বিক্রি হবে না, আমার নামে ছাপা হলে দুই হাজার কপি বিক্রি হবে। তাই আমরা সেখানে স্বত্বও দাবি করতে যাইনি।''

''কিন্তু যখন দেখলাম আমাদের লেখা বই বারবার ছাপা হচ্ছে, কিন্তু তার কোন আর্থিক সুবিধা আমরা পাচ্ছি না, তখন আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হলাম।''

পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে পেপারব্যাক সিরিজ 'মাসুদ রানা' প্রকাশিত হয়ে আসছে। পর্যন্ত এই সিরিজের চারশোর বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে।

 

নেপালের থার্পু চুলি অভিযানে বা...

নেপালের হিমালয় রেঞ্জে পর্বতারোহীদের মধ্যে জনপ্রিয় ট্রেকগুলোর অন্যতম থার্পু চুলি তথা টেন্ট পিক। অন্নপূর্ণা পর্বতের কেন্দ্রে এটি অবস্থিত। থার্পু চুলির উচ্চতা ৫ হাজার ৬৬৩ মিটার (১৮ হাজার ৫০০ ফুটের বেশি)। এটি জয় করে এসেছেন বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর গ্রুপ অল্টিটিউড হান্টারের উদ্যোক্তা ফজলুর রহমান শামীম ও তৌফিক আহমেদ তমাল। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হন তারা। 

ছয় হাজার মিটারের কম উচ্চতা হলেও থার্পু চুলির চূড়ায় ওঠা অত সহজ নয়। তাছাড়া এই ট্রেকের ভাঁজে ভাঁজে মিশে আছে অ্যাডভেঞ্চার। অবশ্য এরসাধারণ সৌন্দর্য পর্বতারোহীদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে।

ঢাকা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর কাঠমান্ডুর থামেল গিয়ে রেশন ও সরঞ্জামাদি গুছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর পোখরা যান শামীম ও তমাল। কাঠমান্ডু থেকে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন অভিযানের দুই প্রধান সহযোগী (গাইড) ফুরসেম্বা শেরপা ও মিংমা শেরপা। কেটু, কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ বেশ কয়েকবার এভারেস্ট আরোহণের অভিজ্ঞতা আছে দুই গাইডের।

পোখারা থেকে ১৫ ডিসেম্বর রওনা দিয়ে চার দিনের মধ্যে দলটি পৌঁছায় অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প। ২১ ডিসেম্বর শুরু হয় মূল অভিযান। সেদিন গ্লেসিয়ার পেরিয়ে থার্পু চুলি বেসক্যাম্প করতে সক্ষম হন তারা। পরদিন ২২ ডিসেম্বর হাইক্যাম্প-এর উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন সবাই। তবে অতিরিক্ত তুষারপাত হওয়ায় রুট বা রাস্তা তৈরি করতে সময় বেশি লাগে তাদের। তাই হাইক্যাম্পের নিচে মধ্যবর্তী আরেকটি ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য হন বাংলাদেশি অভিযাত্রীরা। অবশেষে ২৩ ডিসেম্বর থার্পু চুলি পাহাড়ে হাইক্যাম্প স্থাপন করতে পারেন শেরপারা, সেখানকার উচ্চতা ছিল ৫ হাজার ১২৬ মিটার। হাইক্যাম্প থেকে রাত ২টায় শুরু হয় সামিট পুশ বা শিখরে ওঠার অভিযান।

শামীম ও তমাল জানান, পর্বতারোহণের মূল বিষয়গুলোর মুখোমুখি হওয়া যায় থার্পু চুলি অভিযানে। যেমন শুরুতেই পেরোতে হবে অন্নপূর্ণা গ্লেসিয়ার, তারপর পাথুরে বোল্ডার অতিক্রম করে রকফল জোনের মুখোমুখি হতে হয়। তারপর রিজলাইন (খাড়া পাহাড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু রাস্তা) ধরে থার্পু চুলির চূড়ায় আরোহণ করতে পেরেছেন তারা। কিন্তু শীতকালে এসব ব্যাপার বেশ অসাধ্য। লাগাতার বরফঝড় ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় রুট ওপেন থেকে শুরু করে সামিটে পৌঁছাতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ থাকে সামনে।

সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলভাবে থার্পু চুলি অভিযান করতে সক্ষম হন বাংলাদেশি যুবকরা। গত ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে বেশ ঝুকিপূর্ণ শীতকালীন থার্পু চুলি সামিট করেন তৌফিক আহামেদ তমাল। ঝুঁকি দেখা দেয়াল অল্পকিছু উচ্চতা বাকি রেখে সামিট টিমের সঙ্গে নেমে পড়েন ফজলুর রহমান শামীম।

অভিযান নিয়ে অভিযাত্রী তৌফিক আহমেদ তমাল বলেন, ‘পাহাড়ের কাছে যে মানুষের সত্ত্বাগুলো যে কতো ক্ষীণ তা এখানে উঠলেই বোঝা যায়। পাহাড় জয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এক একটা অর্জন, আরও অর্জনের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়।’

অল্টিটিউড হান্টারের টিম লিডার ফজলুর রহমান শামীম বলেন, ‘এই অভিযানে দল হিসেবে আমরা সফল হয়েছি। আর সবচেয়ে বড় সফলতা হলো সবাই সুস্থ ভাবে ফিরে আসা। কারণ সম্প্রতি নেপালের বিভিন্ন অভিযানে খারাপ আবহাওয়ায় কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরাও একটু ভয়ঙ্কর অবস্থায় পড়েছিলাম। ছোট্ট ভুল করলে আমরা ফিরে আসতে পারতাম না।শেরপাদের সহায়তায় আমরা বিপদ থেকে বেঁচে গেছি। এই অভিযান আগামীর পথচলায় শ্রেষ্ঠ পাথেয় হয়ে থাকবে

ইউক্রেনে হামলার জের : রাশিয়া-ব...

যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে ক্রীড়া দুনিয়াতেও। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলিকে রাশিয়া এবং বেলারুশ থেকে সমস্ত স্পোর্টস ইভেন্টের ভেন্যু স্থানান্তর বা বাতিল করার কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রাশিয়া বা বেলারুশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হবে না বলেও জানিয়েছে আইওসি কমিটি।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনও স্পোর্টস ইভেন্টে রাশিয়ার জাতীয় সংগীতও বাজানো যাবে না বলেও বিবৃতি দিয়েছে আইওসি। ইতিমধ্যেই ফর্মুলা ওয়ান রাশিয়ান গ্র্যামি বাতিল করেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্ট। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

নতুন প্রেমিকের সঙ্গে প্রকাশ্যে...

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) পারিবারিক এক পূজার অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যায় শ্রাবন্তী-অভিরূপকে। সেই ছবি শেয়ার করেছেন পশ্চিমবঙ্গের কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনিও ছিলেন ওই আয়োজনের আমন্ত্রিত অতিথি।

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। সম্প্রতি রাখঢাক না রেখে আবারো প্রকাশ্যে আনলেন নিজের নতুন প্রেমিককে। যার নাম অভিরূপ নাগ চৌধুরী। জানা গেছে, গত বছরের শুরুর দিকেই তারা সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বসবাসও করছেন পাশাপাশি অ্যাপার্টমেন্টে। তবে একসঙ্গে প্রকাশ্যে এবারই প্রথম।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, নিজের বাড়িতে বড় পরিসরে কালী পূজার আয়োজন করেন শ্রাবন্তী। সেখানেই তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন প্রেমিক অভিরূপ। পাশাপাশি যখন বসে ছিলেন, তখন ক্যামেরার লেন্স ঠিকই বন্দী করে নিয়েছে তাদের। সেই ছবি হুড়মুড় করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

দেখা গেল, সাদা রঙের নেটের শাড়ি ও হালকা মেকআপে শ্রাবন্তী। গালে ও ঠোঁটে ন্যুড ব্লাশার ও লিপস্টিক। অন্যদিকে, পাঞ্জাবি পরে ছিলেন অভিরূপ। ছবি দেখে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, শিগগিরই হয়ত বিয়ে করতে চলেছেন তারা।

ইতোপূর্বে আংটিও বদল করে ফেলেছেন শ্রাবন্তী ও অভিরূপ। শোনা যায়, অভিরূপের জন্মদিনেই তাকে হীরার আংটি উপহার দেন অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে তারা একসঙ্গে দুবাই থেকে ঘুরে এসেছেন। যদিও একসঙ্গে কোনো ছবি প্রকাশ করেননি। তাছাড়া গণমাধ্যমকেও স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি এই যুগল।

উল্লেখ্য, শ্রাবন্তী এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন। ২০০৩ সালে নির্মাতা রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। এরপর সেই সংসারের ইতি টানেন ২০১৬ সালে। একই বছর তিনি বিয়ে করেন মডেল কৃষাণ বিরাজকে। এক বছর না যেতেই ভেঙে যায় ওই সংসার। ২০১৯ সালে অভিনেত্রী বিয়ে করেন রোশান সিংকে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই সংসার ছেড়েও চলে আসেন তিনি।

কিংবদন্তি স্পিনারের বিদায়

ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বিবৃতিতে জানায়, ‘শেনকে তাঁর ভিলায় পাওয়া যায় অচেতন অবস্থায়। মেডিক্যাল স্টাফদের সর্বোচ্চ চেষ্টাতেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। পরিবার এমন সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছে। বিস্তারিত জানানো হবে পরে। ’ সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক রডনি মার্শের মৃত্যুর শোকের মাঝেই না ফেরার দেশে ওয়ার্ন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, ক্রিকেটের জন্যই এ এক শোকের দিন। গত কিছুদিনে ওয়ার্নের শারীরিক কোনো অসুস্থতার কথা শোনেনি কেউ। সেই তাঁর এভাবে চলে যাওয়ায় শোকবিহ্বল পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। ওয়ার্নের এভাবে চলে যাওয়াটা এককথায় ফুটে উঠেছে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসের টুইটে, ‘অবিশ্বাস্য। স্তব্ধ হয়ে গেছি একেবারে। এটা সত্যি হতে পারে না...। ’

লেগ স্পিনকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল কাদির। সোনালি চুলের শেন ওয়ার্ন বাড়িয়েছেন এর সৌন্দর্য। তরুণদের মাঝে করেছেন জনপ্রিয়। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে গেছেন তরতরিয়ে। ১৯৯২ সালে অভিষেক টেস্টে ১৫০ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েছিলেন যিনি, সেই তিনিই টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে পা রাখেন ৭০০ উইকেটের মাইলফলকে। অবসর নেন ২০০৭ সালে ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট নিয়ে।   এ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরোতে হয়েছে বাধার পাহাড়। ১৯৯৮ সালে স্বীকার করেন ১৯৯৪-এ শ্রীলঙ্কা সফরে জুয়াড়িদের কাছে তথ্যপাচারের কথা। সমালোচনায় জর্জরিত হয়েও পরের বছর বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ওয়ার্ন!

২০০০ সালে ডন ব্র্যাডম্যান, গ্যারি সোবার্স, জ্যাক হবস, ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে নির্বাচিত হন উইজডেন ম্যাগাজিনের ‘ক্রিকেটার অব দ্য সেঞ্চুরি’র সেরা পাঁচজনের একজন। একই বছর ইংল্যান্ডের এক নার্সের সঙ্গে ‘টেক্সট মেসেজ’ কেলেঙ্কারিতে হারান অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কত্ব। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসতে হয় ডোপ কেলেঙ্কারিতে। ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় স্ত্রীর সঙ্গে। সেটা প্রভাব পড়েনি পারফরম্যান্সে। সে বছরই অ্যাশেজে নেন ৪০ উইকেট। বছরটা শেষ করেন ৯৬ উইকেট নিয়ে, এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি আর কেউ।

তবে শুধু লেগ স্পিন, গুগলি আর ফ্লিপারের মায়ায় আটকে রাখা যাবে না শেন ওয়ার্নকে। সুনামের সঙ্গে বদনাম মিলিয়ে ক্রিকেটেরই বর্ণিল চরিত্র ছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ হয়েছেন ডোপ টেস্ট নিয়ে। নারী কেলেঙ্কারিতে হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব। তার পরও অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ভালোবেসে গেছে ওয়ার্নকে। কারণ ভক্তদের কাছে ‘ওয়ার্ন হচ্ছেন ফুটবলের ম্যারাডোনা’। ১৯৯৩ সালে ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’ করেছিলেন তিনিই। অ্যাশেজের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে লেগের অনেক বাইরে পড়ে বাঁক নিয়ে বলটা উড়িয়ে দেয় মাইক গ্যাটিংয়ের স্টাম্প। গ্যাটিং প্রথমে ভেবেছিলেন স্টাম্পিং করেছেন উইকেটরক্ষক! পরে রিপ্লেতে বুঝতে পারেন অবিশ্বাস্য এক বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তখন থেকেই জাদু দেখানো শুরু শেন ওয়ার্নের। সম্মান পেয়েছেন উইজডেনের শতাব্দীসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হওয়ার।

অবসরের পরও সরব থেকেছেন সব সময়। কদিন আগেই বলেছিলেন কোচ হতে চান ইংল্যান্ডের। হতাশা জানিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। শরীরের মেদ ঝরিয়ে পুরো ফিটও হতে চেয়েছিলেন জুলাইয়ের মধ্যে। সেই ওয়ার্ন চলে গেলেন বড্ড অসময়ে। অবিশ্বাস্যভাবে। সত্যিই ওয়ার্নের মৃত্যু হয়েছে কি? কিংবদন্তির মৃত্যু নেই।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার


ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (৫ মার্চ) থেকে এ বিরতি কার্যকর হবে।

আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া, যাতে করে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) আজভ সমুদ্র তীরের শহর মারিওপোলের বাসিন্দারা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শহরটি। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডিপিআরের আরেক শহর ভলনোভাখাতেও মানবিক করিডোর স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলের অজ্ঞাত এক স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক চলে। আলোচনায় রাশিয়াকে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় রাজি করানো হয়। যেন বেসামরিক মানুষজন গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং তুমুল লড়াইয়ের জায়গাগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলও পোডোলিয়াক জানান, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।

আলোচনায় ক্রিমিয়া ও দোনবাসকে স্বীকৃতি দেওয়ার রুশ দাবি ইউক্রেন মানতে পারেনি বলেও জানানো হয়।