logo
Breaking News
আজ জেলহত্যা দিবস!

বৃহস্পতিবার ( নভেম্বর) সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন। জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি বাস্তবায়ন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, দেশে হত্যা, সন্ত্রাস রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূলহোতা বিএনপি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হত্যা, সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণাসহ তিনটি দাবি নিয়ে স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ। একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকেও স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।

অন্য দুটি দাবি হলো১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকেপ্রজাতন্ত্র দিবসঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

 

 

৩ নভেম্বর জাতির জীবনে একটি বিভ...

৩ নভেম্বর জাতির জীবনে একটি বিভীষিকাময় দিন।সৈয়দ নজরুল ইসলাম মানে বাংলাদেশের ভূখন্ডের একটি নাম। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর। তার বাবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সেনানী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীন দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। 

১৯৭৫ সালের নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের শিকার চার নেতার একজন তিনি। সেদিন আওয়ামী লীগের চার জাতীয় নেতা— উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হন। নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে সামনে রেখে বাবার স্মৃতিকথা বলেছেন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর। কিশোরগঞ্জ- আসনের উপনির্বাচনে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

 

 

জাতীয় নেতাদের কবরে প্রধানমন্ত্...

জেলহত্যা দিবসে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের এবং নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যার শিকার জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

আজ বৃহস্পতিবার ( নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরকারপ্রধান। এসময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

এদিন সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি একা এবং পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দোয়া মোনাজাত করে বনানী কবরস্থানের উদ্দেশ্যে ধানমন্ডি ত্যাগ করেন।

এরপর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং নভেম্বর হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বনানীতে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীতে রয়েছে আরেক জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধি।

১৯৭৫ সালের নভেম্বর, অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাস পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে নভেম্বর দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

জাতীয় চার নেতা হলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এইচ এম কামারুজ্জামান। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

 

বিয়ের পিড়িতে বসছেন‘কই মিল গায়া...

কই মিল গায়া সিনেমায় সেই শিশুশিল্পীর কথা মনে আছে। শিশুদের সুপার সিক্স দলের প্রিয়া? হৃতিক রোশানের এই সিনেমায় অভিনয় করে শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ১৯ বছর আগের সেই টিনা চরিত্রের হানসিকা মাতয়ানি এবার বসছেন বিয়ের পিঁড়িতে। এর মধ্যে সেরেছেন আংটি বদলের পর্ব। বিয়ে এবং গায়েহলুদের দিনও ঠিক করে ফেলেছেন হানস

এই অভিনেত্রী আজ তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, এখন চিরদিন জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি। পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা যায় প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে হবু বরের সঙ্গে। সিনেমার দৃশ্যের মতো বর তাঁকে হাঁটু গেড়ে বসে প্রস্তাব দিচ্ছেন। তাঁর হাত ধরে রয়েছেন হানসিকা। রোমান্টিকভাবে প্রেম নিবেদন করা মুহূর্তের পাশে ফুল দিয়ে লেখা—‘মেরি মি তাঁদের চারপাশে প্রদীপ জ্বলছে। তাঁর পোস্টে হবু বর মন্তব্য করেছেন, আই লাভ ইউ, মাই লাইফ।

জানা যায়, হানসিকার হবু বরের নাম সোহেল খাতুরিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। তবে তাঁদের কেউই নিয়ে মুখ খুলছিলেন না। সোহেল পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি মুম্বাইতে থাকেন। অভিনয়ের পাশাপাশি হানসিকাও ব্যবসায়ে নাম লেখালে, ব্যবসায়িক জগতে তাঁদের চেনাজানার মধ্য দিয়ে পরিচয় বন্ধুত্ব হয়। একসময় তাঁরা প্রেমে পড়ে যান। হানসিকা ভারতীয় গণমাধ্যমে জানান, তাঁরা পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ডিসেম্বর মাসের তারিখ থেকে। পরের দিন তাঁদের মেহেদি সংগীত অনুষ্ঠান। তারিখ সন্ধ্যায় তাঁরা মালাবদল করবেন।

 

টেলিভিশন নাটক দিয়ে ২০০২ সালে শিশু হানসিকার ক্যারিয়ার শুরু। পরে শিশু চরিত্রে কই মিল গায়া দিয়ে আসে জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে শিশু চরিত্রে অভিনয় করে এখন তিনি পুরোদস্তুর নায়িকা। এই নায়িকা মূলত কন্নর মালয়ালম, তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। মোহন লাল, আল্লু অর্জুন, ভিশাল, সুরিয়াদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে তাঁর হাতে রয়েছে চারটি সিনেমা।

 

বিশ্বকাপে ভারত বাংলাদেশের বিষা...

 সাকিব আল হাসান নিজেও জানেন ওটা কোনো অজুহাত নয়। বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয়, তখনো ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতে। ডিএলএসে নতুন লক্ষ্য, জিততে হলে ওভারে ৮৫ রান করতে হবে। হাতে ১০ উইকেট। এমন ম্যাচ কেউ হারে!

কিন্তু সাকিবরা হারলেন। শেষ বল পর্যন্ত সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রানে হারলেও তাঁরা আসলে হেরে গেছেন আগেই। চার ম্যাচ পর ওপেনিংয়ে ফিরেই বৃষ্টির আগে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন লিটন দাস। বৃষ্টির পর ভেজা মাঠে দুবার পা পিছলে সেই লিটনই রানআউট। লিটন তো নন, যেন বাংলাদেশই আউট হয়ে গেল ম্যাচ থেকে! টি-টোয়েন্টির বিচারে সহজ এক ম্যাচকেই ক্ষণে ক্ষণে কঠিন করে ভারতের হাতে তুলে দিল জয়। এমন হারের পর কোনো অজুহাতই টেকে না। সাকিব তাই অজুহাত দিলেনও না।

হ্যাঁ, ভেজা মাঠ হারের একটা অজুহাত হতে পারে। আম্পায়াররা যে সময়ে বাংলাদেশকে ১৬ ওভারে ১৫১ রানের নতুন লক্ষ্য দিয়ে মাঠে নামতে বললেন, সাকিব যে শুরুতে তাতে আপত্তিই জানিয়েছিলেন! আবার এটাও ঠিক, ভেজা মাঠে ফিল্ডিং দলের সমস্যাই বেশি হওয়ার কথা। ব্যাটসম্যানরা রান নেবেন উইকেটের ওপর দৌড়ে। বৃষ্টির সময় সেটা তো কাভারে ঢাকাই থাকে। তারপরও লিটনের সমস্যা হয়েছে হয়তো তিনি উইকেটের পাশের ঘাসের ওপর দিয়ে দৌড়েছিলেন বলেই।

কাজেই সাকিব শুরুতে আপত্তি জানিয়ে থাকলেও পরে যখন তাঁরা মাঠে নেমে যান, তখন জয় সম্ভব ধরেই নেমেছিলেন।

 

কিন্তু লিটনের ওই আউটের পর বাংলাদেশ দল ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে ব্যাটসম্যানদের অনাবশ্যক তাড়াহুড়ায়। পরিণতি, লিটনের আউটের পর ৪০ রানের মধ্যে পাঁচ ব্যাটসম্যান ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। এর মধ্যে শেষ চার ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন, সাকিব নিজে, ইয়াসির আলী মোসাদ্দেক হোসেন আউট হয়েছেন মাত্র রানের মধ্যে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বেশ কয়েকবারই বলেছেন, ম্যাচটা তাঁদেরই জেতা উচিত ছিল। এমনকি ম্যাচ শেষ হওয়ার ওভার আগেও মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ নিশ্চিত বাংলাদেশের। উইকেট হাতে, শেষ ওভারে দরকার ৫২ রান। খুব বড় দুর্ভাগ্যে না পড়লে এখান থেকে ম্যাচ হারা কঠিন। সবাইকে হতাশ করে বাংলাদেশ দল যেন সেই অসাধ্য সাধন করে দেখাল।

বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকলে ব্যাটসম্যানদের কী সমস্যা বা আদৌ সমস্যা হয় কি না, সেটা ক্রিকেটাররাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বৃষ্টিবিরতির পর অঙ্কের হিসাবে খুব বেশি সমস্যা তৈরি হয়নি বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশ যখন প্রথমে ভারতের ১৮৪ রান তাড়া করতে নামে, তখন ওভারপ্রতি প্রয়োজন ছিল .২৫ রান করে। লিটনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ওভারে বাংলাদেশ করে ফেলে ৬৬ রান।

 

বাকি ১৩ ওভারে ওভারপ্রতি নিতে হতো .১৫ রান করে। কিন্তু এরপরই নামে বৃষ্টি, বৃষ্টির পর বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৫১ রান। অর্থাৎ পরের ওভারে করতে হবে ৮৫, ওভারপ্রতি প্রয়োজন .৪৪ রান করে। বৃষ্টির বাধা বাংলাদেশের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল, এটা বলার তাহলে সুযোগ কোথায়!

 

ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে আসা সহঅধিনায়ক নুরুল হাসান অবশ্য বৃষ্টিবাধার একটা নেতিবাচক প্রভাবের কথা বলেছেন। সেটা হলো ছন্দপতন। দুই ওপেনার লিটন দাস নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং একটা ভালো ধারার মধ্যে ছিল। বৃষ্টির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরে হয়তো সেই ধারাটা তাঁরা ধরে রাখতে পারেননি।
হতেই পারে। আর সেটা হলে এই ধারা ধরে রাখতে না পারাটাই বাংলাদেশের ব্যর্থতা। লিটনের অমন রাজকীয় শুরুর পরও বাকিরা যে ব্যাটনটা নিয়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দিতে পারলেন না, সেটি ব্যর্থতা।

বিশ্বকাপের মতো জায়গায় ভারতকে হারানোর রকম সুযোগ আবার কবে আসবে কে জানে! বা এলেও আবারও নিশ্চয়ই বাংলাদেশ পারবে না। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে হারানো সুযোগের পর অ্যাডিলেডেও তো তাই করল বাংলাদেশ!

ভালো কথা, বৃষ্টির ওই ৫২ মিনিট এবং ইনিংসের মাঝে ব্যাটসম্যানদের অকারণ তাড়াহুড়ায় আউটের মিছিল একটা জিনিস ভুলিয়েই দিচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশের বোলিংটা মনে করে দেখুন তো একবার। উইকেট না পেলেও তাসকিন আহমেদ ভালো বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে টানা ওভারের স্পেলে দিলেন মাত্র ১৫ রান।

 

তরুণ হাসান মাহমুদ এদিনও নিয়েছেন উইকেট। পাওয়ার প্লেতে ভারত করল মাত্র ৩৭। কিন্তু নবম ওভারে ২৪ রান দিয়ে শরীফুল ইসলাম যেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের হাতের বাঁধনটাই খুলে দিলেন। ওভারে শেষ পর্যন্ত ৫৭ রান দিয়েছেন গতকালই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নামা শরীফুল। সঙ্গে ক্যাচও পড়েছে কিছু। সবকিছুর যোগফলে ভারত করে ফেলে ১৮৪ রান, যেখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য বলতে কে এল রাহুলের ৩২ বলে ৫০, বিরাট কোহলির ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৪ এবং সূর্যকুমার যাদবের ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়।

 

ঝড় তো লিটনও তুলেছিলেন, কিন্তু ঝড়ের পর আসা বৃষ্টিতে লিটনের সতীর্থরা মনে মনে এতটাই ভিজে গেলেন যে বৃষ্টি থামার পরও তাঁরা আর গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারলেন না। অ্যাডিলেডের হার সুপার টুয়েলভে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিশ্বকাপের বহির্গমন পথটা দৃশ্যমান করে তুলল বাংলাদেশের সামনে।

 

সংকটের মাঝেও বাড়ছে পোশাক রপ্তা...

যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এতে বাংলাদেশের রফতানি আয় কমে গেছে। তবে বৈশ্বিক এই সংকটের মাঝেও দেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২২-২৩ অর্থবছর (জুলাই-অক্টোবর)-এর সর্বশেষ রফতানি তথ্য প্রকাশ করেছে। অক্টোবরে সামগ্রিক তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি .২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এক বছরে রফতানি .৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছর (২০২২-২৩)-এর প্রথম চার মাসে সামগ্রিক পোশাক পণ্য রফতানি ১৩.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারী প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৫৫ শতাংশ।

অক্টোবরে নিটওয়্যার এবং ওভেন খাত থেকে রফতানি যথাক্রমে .৪৬ এবং .৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিটওয়্যার পণ্য রফতানি .৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ওভেন রফতানি .২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে .১৪ এবং ১৫.০৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেনঅক্টোবরে তৈরি পোশাক রফতানি কমে যাওয়ার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও এই খাতে ধরনের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিকে স্বাগত জানাই।তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজারগুলো সংগ্রামরত এবং ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ প্রদান এবং ইনভেনটরি পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তাই পোশাক খাতের একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আগামী মাসগুলোতে কার্যাদেশ প্রাপ্তি এবং প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে আমি আশাবাদী নই।

তিনি উল্লেখ করেন, একক মাসে . বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি উল্লেখযোগ্য। আমাদের শিল্পের আরও পণ্য সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে। আমরা পণ্য এবং বাজার বৈচিত্র্যকরণসহ নতুন সুযোগগুলো অন্বেষণ করছি।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রফতানি আয় কমেছে দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ইপিবি বলছে, চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করেছে বাংলাদেশ, যা ২০২১ সালের অক্টোবরে ছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৩৭ কোটি লাখ ১০ হাজার ডলার রফতানি আয় কমেছে। যা শতাংশের হিসেবে দশমিক ৮৫ শতাংশ।

গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের রফতানি আয় কমছে।

অবশ্য তৈরি পোশাক মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আগেই শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বাজার থেকে ক্রয় আদেশ কমে যাবে। ফলে দেশের রফতানি আয়ও কমে আসবে।

ইপিবির তথ্যমতে,  সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। মাসে রফতানি আয় খাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে রফতানি হয়েছে মাত্র ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলারের। অর্থাৎ ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ হাজার ডলার কম হয়েছে।

ইপিবির তথ্য বলছে, ১৩ মাস টানা রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর টানা দুই মাস তার আগের বছরের তুলনায় রফতানি আয় কমেছে।

ইপিবি জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রফতানি হয়েছে হাজার ৬৮৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলারের। এই চার মাসে সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৭৪২ কোটি ইউএস ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার বা দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে।

তবে এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ে সঙ্গে তুলনা করলে এখনও রফতানি আয়ের হার পজিটিভ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রফতানি আয় হয়েছিল হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় এখনও দশমিক শতাংশ রফতানি আয় বেড়েছে।

ইপিএসের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম রফতানি আয়ে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ওই মাসে বাংলাদেশ ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ( দশমিক ৯০ বিলিয়ন) হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের পণ্য।

একক মাসে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় কমেছে। কিন্তু আগের দুই মাস জুলাই-আগস্টে আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ হাজার ডলারের পণ্য বিদেশে রফতানি করেছে বাংলাদেশ।

২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের রফতানি আয় ছিল এক হাজার ১০২ কোটি ১৯ লাখ হাজার ডলার। সেই তুলনায় তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ

 

উচ্চরক্ত চাপে চিয়া বীজের উপকার...

চিয়া সিড হলো এমন একটি উদ্ভিদের বীজ যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারী। চিয়া সীডের আলাদা বাংলা কোন নাম নেই এটি চিয়া বীজ নামেই পরিচিত। অনেক পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে চিয়া বীজ অন্যতম এবং এই বীজকে সুপার ফুডও বলা হয়ে থাকে। চিয়া বীজে আছে অনেক পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। এই চিয়া বীজ হলো কালো  সাদা রঙের। এই চিয়া বীজ হলো আকারে অনেক ছোট হলেও এর গুনাগুন অনেক মান সম্পন্ন। এই চিয়া বীজ হচ্ছে সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ। এই চিয়া বীজের আদি জন্মস্থান হলো সেন্ট্রাল আমেরিকায়। প্রাচীন আদিবাসী অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এই চিয়া বীজ থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। প্রাচীন অধিবাসিরা এই চিয়া বীজকে শক্তি যোগানোর উৎস হিসেবে মনে করতো। চিয়া সাধারনত শস্যের মধ্যে পড়ে। এই চিয়া বীজ সবধরণের আবহাওয়াতে হতে পারে। চিয়া বীজের পুষ্টি গুনাগুন গবেষনা করে দেখা গেছে দুধে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে তার থেকে  গুণ বেশী ক্যালসিয়াম চিয়া বীজে পাওয়া 

চিয়া বীজের উপকারিতা -

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

চিয়া বীজেক্লোরোজেনিক অ্যাসিডনামক এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

প্রদাহ কমাতে

চিয়া বীজেক্যাফেইক অ্যাসিডনামক অপর এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এটি প্রদাহ নিরাময়ে বেশ উপযোগী।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে

 

চিয়া বীজ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামক এক প্রকার ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ত্বকের যত্নে

চিয়া বীজে এমন কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেগুলো ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি পানিতে ভিজিয়ে খেলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয় না

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসতে পারে চিয়া বীজ।

হজমে সহায়তা

চিয়া বীজ হজমে সহায়তা করে। চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা মলাশয় পরিষ্কার রাখে। নিয়মিত সেবনে এটি পেট পরিষ্কার করবে, কোষ্টকাঠিন্য দূর হবে।

তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই সব খাবার সবার সহ্য নাও হতে পারে। কারণে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত।

 

ডাক অধিদপ্তর ও নগদ-মধ্যে চুক্...

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা  দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ প্রতিবছরের মতো এবারও রাজস্ব ভাগাভাগি করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের আয় থেকে  কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার রাজস্ব ডাক বিভাগেকে বুঝিয়ে দিয়েছে ‘নগদ 

 

বুধবার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে এক অনুষ্ঠানে নগদ কর্তৃপক্ষ ডাক বিভাগের প্রাপ্য অংশের চেক হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মোসাফায়েত আলমের হাত থেকে চেকটি গ্রহণ করেন ডাক  টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোখলিলুর রহমান।  সময় ডাক  টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহারুনুর রশীদনগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা  ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মিশুকসহ নগদ-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা  সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

নগদ লিমিটেড  ডাক বিভাগের চুক্তি অনুযায়ীনগদ-এর সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ রাজস্ব পাবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। আর বাকি ৪৯ শতাংশ রাজস্ব পায় নগদ লিমিটেড। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে  কোটি ১২ লাখ টাকা  ২০২০-২১ অর্থ বছরে  কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকার রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ

 

চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাক  টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেনআমার কাছে মনে হয়েছেনগদ-এর অস্তিত্বই দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়েছে। দেশে ভালো কাজ করলে পা ধরে নামানোর চেষ্টা করা হয়। নগদ কেবল দেশের কাজ করেনিঅনেকের স্বার্থেও আঘাত করেছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অনেকে ঘায়েল করার চেষ্টা করবে। আমরা শুরু থেকে নগদ-এর সাথে ইতিবাচক ছিলামআছিথাকব। তিনি বলেননগদ সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তি  ভুল তথ্য আছে। সেসব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। শুধু নগদ  বিকাশের লেনদেনের মধ্যে যে পরিমাণ ক্যাশ আউট চার্জের পার্থক্য আছেসেটা কয়েক হাজার কোটি টাকা। এই কৃতিত্ব তো নগদ-কে দিতে হবে। দেশ  জাতির জন্য নগদ-কে প্রয়োজন।

 

ডাক  টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আরও বলেনমানুষের ধাক্কার জন্য নগদ পড়ে যাবেএটা বিশ্বাস করার সুযোগ নাই। মানুষ চেষ্টা করবেকিন্তু আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আমাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি এসব অপপ্রচার আমাদের কাছে কোনো বিষয় না। তিনি নগদ-কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেননগদ ডাক বিভাগের একটি সেবা। নগদ-এর যখন অর্জন হয়তখন সেটি ডাক বিভাগের অর্জন হয়। নগদ-এর প্রবৃদ্ধি হয়আমারও প্রবৃদ্ধি হয়। এটি তো আমার জন্য একটি বোনাস।’   

    

ডাক  টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোখলিলুর রহমান বলেনআমাদের পেছনে শত্রু আগে ছিলএখনো আছে। আমি মনে করি যেশত্রু শেষ হয়ে যাবে নাএটা চলতে থাকবে। এরমধ্য দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেনআমি এখানে (নগদ-এর সাথে ডাক অধিদপ্তরেরকোনো ঝামেলা দেখছি নাসবই স্পষ্ট আছে। আজকের মেসেজটা যখন নিউজ আকারে যাবেতখন একটি স্পষ্ট জবাব দেওয়া সম্ভব হবে।’   

  

 সময় নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা  ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর  মিশুক বলেনআমরা প্রতি বছরের মতো এবারও ডাক অধিদপ্তরকে তার রাজস্বের অংশ ভাগাভাগি করলাম। ডাক অধিদপ্তর  নগদ-এর মধ্যে করা চুক্তি ৫১  ৪৯ শতাংশ অনুসারে এই রাজস্ব ভাগাভাগি করা হলো।’  

২০১৯ সালের মার্চে যাত্রার পর থেকেই ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নগদ পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তৰ্ভুক্তিতে এনে দেশের ডিজিটাল আর্থিক খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

 

নগদ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ্যাকাউন্ট ওপেনিং পদ্ধতিতে -কেওয়াইসি  ডি-কেওয়াইসি উদ্ভাবন করে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জসেন্ড মানি ফ্রিসহ এমন আরও অনেক অত্যাধুনিক সব সেবার মধ্য দিয়ে আর্থিক খাতে পরিবর্তন ঘটিয়েছে নগদ ফলে মাত্র সাড়ে তিন বছরে নগদ জনমানুষের ওয়ালেট হিসেবে পরিণত হয়েছে। 

 

দেশের সাধারণ মানুষ এখন যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে উপভোগ করতে পারছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রকৃত সেবা।  ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ভাতা থেকে শুরু করেসরকারের বিভিন্ন সহায়তা  ভাতার টাকা অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ  

অত্যাধুনিক সব উদ্ভাবন  সাশ্রয়ী সেবার জন্য নগদ ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে বহু জাতীয়  আন্তর্জাতিক পুরস্কার।