বাংলাদেশের জনপ্রিয় পেপারব্যাক সিরিজ 'মাসুদ রানা'র ২৬০টি ও 'কুয়াশা'র ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিসের দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেবা প্রকাশনীর প্রধান কাজী আনোয়ার হোসেনের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এই বইগুলোর কপিরাইটের অর্থ পরিশোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই শেখ আবদুল হাকিম এবং সেবা প্রকাশনীর মধ্যে বিবাদ চলছে।
মি. হাকিম - যিনি এ বছর আগস্ট মাসে মারা গেছেন - বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, বিদেশী কাহিনি অবলম্বন করে এই বইগুলো তার লেখা হলেও লেখক হিসেবে নাম যেতো সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেনের । এ জন্য তাকে এককালীন পারিশ্রমিক দেয়া হলেও বইগুলোর পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশের সময় তাকে লেখকের স্বত্ব হিসেবে কোন অর্থ দেয়া হয়নি।
এ বিবাদ কপিরাইট অফিস থেকে শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে সবশেষ এ রায়ের পরেও এই বইগুলোর আসল স্বত্বাধিকারী কে হবেন - সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তের ওপর এর আগে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেন।
কপিরাইট অফিসের আদেশ কী ছিল?
মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানাস্বত্ব দাবি করে ২০১০ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন শেখ আবদুল হাকিম।
নয় বছরেও অভিযোগের কোনো সুরাহা না পাওয়ায় গত বছর ২৯ জুলাই কপিরাইট অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তিন দফা শুনানি ও দু'পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তির আলোকে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় কপিরাইট অফিস।
তিন লেখকের টার্গেটে গুপ্তচর 'মাসুদ রানা'
'মাসুদ রানা' হতে গিয়ে বন্ধুর হাতে খুন
এর ভিত্তিতে ওই বইগুলোর লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের স্বত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। গত বছরের আগস্টে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাজী আনোয়ার হোসেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে 'মাসুদ রানা' ও 'কুয়াশা' সিরিজের কিছু বইয়ের বিষয়ে কপিরাইট অফিসের দেয়া আদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন।
রেজিস্টার অব কপিরাইটসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন " রিট মামলাটা আদালত খারিজ করে দিয়েছে আজ। যার ফলশ্রুতিতে এটাই দাঁড়ালো যে কপিরাইট অফিসের আদেশটাই বহাল থাকলো। এখন কাজী আনোয়ার হোসেন আদেশ মানতে বাধ্য হবেন।"
লেখক হিসাবে কাজী আনোয়ার হোসেনের নাম প্রকাশিত হলেও, দুইজন লেখক দাবি করেছেন, এসব বই আসলে তারা লিখেছেন, যা মি. হোসেনের নামে প্রকাশিত হয়েছে
"আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এখন মাসুদ রানা এবং কুয়াশা সিরিজের বইগুলো জব্দ থাকবে।"
এদিকে সেবা প্রকাশনীর পক্ষের আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। তিনি বলেন, কপিরাইট রেজিস্টারের কোন আদেশ দেয়ার এখতিয়ার নেই।
"আমরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছিলাম ,আমরা সেটা পাইনি। এখন আমরা আপিল বিভাগে যাবো"- বলেন তিনি।
মি. মিসবাহ বলেন "বইয়ের মালিকানা নিয়ে কোন কথা হয়নি, কোর্টও কোন কথা বলেননি। বইগুলো জব্দ করার কথা বলা হয়নি। কপিরাইট রেজিস্টার যে আদেশটা দিয়েছিলেন সেটা আমরা অবৈধ ঘোষণা করার কথা বলেছিলাম কোর্ট সেটাকে অবৈধ ঘোষণা করেনি। আবার বৈধ ঘোষণাও করেনি"।
শেখ আবদুল হাকিমের কপিরাইট সংক্রান্ত উপদেষ্টা ওলোরা আফরিন বলেন, মি.হাকিমের পরিবারের সঙ্গে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন তারা ।
"কপিরাইট আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। সে হিসেবে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব বই মি. হাকিমের জীবিত অবস্থায় তার অনুমতি না নিয়ে পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে - সেটার জন্য আলাদা মামলা করবে কিনা সেটা আলোচনা করা হবে মি. হাকিমের ওয়ারিশদের সঙ্গে" - বলেন ওলোরা আফরিন।
এদিকে আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ বলেন, বইয়ের টাকা পেতে হলে মি. হাকিমকে আগে তিনিই যে বই এর স্বত্বাধিকারী সেটা জেলা আদালতে প্রমাণ করে আসতে হত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি মারা যাওয়াতে এখন সেই সুযোগটা থাকছে না।
পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে পেপারব্যাক সিরিজ 'মাসুদ রানা' প্রকাশিত হয়ে আসছে
"টাকা-পয়সার বিষয়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে যেতে হবে। তার যেকোন ওয়ারিশ ইচ্ছা করলে মামলা করতে পারবে" - বলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শেখ আবদুল হাকিম এ বছরের অগাস্ট মাসে মারা যান। তিনি ২০১৯ সালে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ''আমি আর্থিক কারণে এসব বই তাকে (কাজী আনোয়ার হোসেন) নামে লেখার অনুমতি দিয়েছি। কারণ তখন আমার টাকার দরকার ছিল।''
''আর ইংরেজি কাহিনীর নকল করে বাংলা এসব বই আমার নামে ছাপা হোক, সেটাও আমি কখনো চাইনি। কাউকে এসব বলতেও খারাপ লাগতো, তাই মুখ বুজে থেকেছি। তবে অনেকেই বিষয়টি জানতো।''
''প্রথম দিকে একেকটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি দিলে পাঁচশো টাকা পাওয়া যেতো। পরে সেটা দশ হাজার পর্যন্ত হয়। সুতরাং কপিরাইট নিয়ে ভাবিনি। "
"যতদিন তারা নিয়মিত টাকা দিয়ে গেছেন, ততদিন আমি আপত্তিও করিনি। কিন্তু যখন দেখছি যে, বই আবার ছাপা হচ্ছে, কিন্তু আমাকে কোন টাকা দেয়া হচ্ছে না, তখন আমি অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।''
সেবা প্রকাশনীতে ১৯৯২ সাল থেকে লিখতে শুরু করেন আরেকজন লেখক ইফতেখার আমিন।
তিনি দাবি করেছেন, মাসুদ রানা সিরিজে তার লেখা ৫৮টি বই কাজী আনোয়ার হোসেনের নামে ছাপা হয়েছে। তবে আজ সোমবার আদালতে মি. আমিনের বিষয়ে কোন আলোচনা হয় নি বলে জানিয়েছেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা।
ইফতেখার আমিন বলেন, ''স্বাধীনতার আগে থেকে সেবা প্রকাশনীতে এই প্র্যাকটিসটা চলে আসছিল। ফলে আমি শুধু সেখানে যোগ হয়েছি।"
"তখন আনোয়ার সাহেব বলতেন, তোমাদের নামে ছাপা হলে তো পাঁচশো কপির বেশি বিক্রি হবে না, আমার নামে ছাপা হলে দুই হাজার কপি বিক্রি হবে। তাই আমরা সেখানে স্বত্বও দাবি করতে যাইনি।''
''কিন্তু যখন দেখলাম আমাদের লেখা বই বারবার ছাপা হচ্ছে, কিন্তু তার কোন আর্থিক সুবিধা আমরা পাচ্ছি না, তখন আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হলাম।''
পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে পেপারব্যাক সিরিজ 'মাসুদ রানা' প্রকাশিত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত এই সিরিজের চারশোর বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে।
যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে ক্রীড়া দুনিয়াতেও। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলিকে রাশিয়া এবং বেলারুশ থেকে সমস্ত স্পোর্টস ইভেন্টের ভেন্যু স্থানান্তর বা বাতিল করার কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রাশিয়া বা বেলারুশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হবে না বলেও জানিয়েছে আইওসি কমিটি।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনও স্পোর্টস ইভেন্টে রাশিয়ার জাতীয় সংগীতও বাজানো যাবে না বলেও বিবৃতি দিয়েছে আইওসি। ইতিমধ্যেই ফর্মুলা ওয়ান রাশিয়ান গ্র্যামি বাতিল করেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্ট। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বিবৃতিতে জানায়, ‘শেনকে তাঁর ভিলায় পাওয়া যায় অচেতন অবস্থায়। মেডিক্যাল স্টাফদের সর্বোচ্চ চেষ্টাতেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। পরিবার এমন সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছে। বিস্তারিত জানানো হবে পরে। ’ সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক রডনি মার্শের মৃত্যুর শোকের মাঝেই না ফেরার দেশে ওয়ার্ন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, ক্রিকেটের জন্যই এ এক শোকের দিন। গত কিছুদিনে ওয়ার্নের শারীরিক কোনো অসুস্থতার কথা শোনেনি কেউ। সেই তাঁর এভাবে চলে যাওয়ায় শোকবিহ্বল পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। ওয়ার্নের এভাবে চলে যাওয়াটা এককথায় ফুটে উঠেছে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসের টুইটে, ‘অবিশ্বাস্য। স্তব্ধ হয়ে গেছি একেবারে। এটা সত্যি হতে পারে না...। ’
লেগ স্পিনকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল কাদির। সোনালি চুলের শেন ওয়ার্ন বাড়িয়েছেন এর সৌন্দর্য। তরুণদের মাঝে করেছেন জনপ্রিয়। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে গেছেন তরতরিয়ে। ১৯৯২ সালে অভিষেক টেস্টে ১৫০ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েছিলেন যিনি, সেই তিনিই টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে পা রাখেন ৭০০ উইকেটের মাইলফলকে। অবসর নেন ২০০৭ সালে ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট নিয়ে। এ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরোতে হয়েছে বাধার পাহাড়। ১৯৯৮ সালে স্বীকার করেন ১৯৯৪-এ শ্রীলঙ্কা সফরে জুয়াড়িদের কাছে তথ্যপাচারের কথা। সমালোচনায় জর্জরিত হয়েও পরের বছর বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ওয়ার্ন!
২০০০ সালে ডন ব্র্যাডম্যান, গ্যারি সোবার্স, জ্যাক হবস, ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে নির্বাচিত হন উইজডেন ম্যাগাজিনের ‘ক্রিকেটার অব দ্য সেঞ্চুরি’র সেরা পাঁচজনের একজন। একই বছর ইংল্যান্ডের এক নার্সের সঙ্গে ‘টেক্সট মেসেজ’ কেলেঙ্কারিতে হারান অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কত্ব। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসতে হয় ডোপ কেলেঙ্কারিতে। ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় স্ত্রীর সঙ্গে। সেটা প্রভাব পড়েনি পারফরম্যান্সে। সে বছরই অ্যাশেজে নেন ৪০ উইকেট। বছরটা শেষ করেন ৯৬ উইকেট নিয়ে, এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি আর কেউ।
তবে শুধু লেগ স্পিন, গুগলি আর ফ্লিপারের মায়ায় আটকে রাখা যাবে না শেন ওয়ার্নকে। সুনামের সঙ্গে বদনাম মিলিয়ে ক্রিকেটেরই বর্ণিল চরিত্র ছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ হয়েছেন ডোপ টেস্ট নিয়ে। নারী কেলেঙ্কারিতে হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব। তার পরও অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ভালোবেসে গেছে ওয়ার্নকে। কারণ ভক্তদের কাছে ‘ওয়ার্ন হচ্ছেন ফুটবলের ম্যারাডোনা’। ১৯৯৩ সালে ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’ করেছিলেন তিনিই। অ্যাশেজের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে লেগের অনেক বাইরে পড়ে বাঁক নিয়ে বলটা উড়িয়ে দেয় মাইক গ্যাটিংয়ের স্টাম্প। গ্যাটিং প্রথমে ভেবেছিলেন স্টাম্পিং করেছেন উইকেটরক্ষক! পরে রিপ্লেতে বুঝতে পারেন অবিশ্বাস্য এক বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তখন থেকেই জাদু দেখানো শুরু শেন ওয়ার্নের। সম্মান পেয়েছেন উইজডেনের শতাব্দীসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হওয়ার।
অবসরের পরও সরব থেকেছেন সব সময়। কদিন আগেই বলেছিলেন কোচ হতে চান ইংল্যান্ডের। হতাশা জানিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। শরীরের মেদ ঝরিয়ে পুরো ফিটও হতে চেয়েছিলেন জুলাইয়ের মধ্যে। সেই ওয়ার্ন চলে গেলেন বড্ড অসময়ে। অবিশ্বাস্যভাবে। সত্যিই ওয়ার্নের মৃত্যু হয়েছে কি? কিংবদন্তির মৃত্যু নেই।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (৫ মার্চ) থেকে এ বিরতি কার্যকর হবে।
আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া, যাতে করে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) আজভ সমুদ্র তীরের শহর মারিওপোলের বাসিন্দারা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শহরটি। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডিপিআরের আরেক শহর ভলনোভাখাতেও মানবিক করিডোর স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলের অজ্ঞাত এক স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক চলে। আলোচনায় রাশিয়াকে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় রাজি করানো হয়। যেন বেসামরিক মানুষজন গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং তুমুল লড়াইয়ের জায়গাগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলও পোডোলিয়াক জানান, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
আলোচনায় ক্রিমিয়া ও দোনবাসকে স্বীকৃতি দেওয়ার রুশ দাবি ইউক্রেন মানতে পারেনি বলেও জানানো হয়।