ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা ১ নভেম্বর থেকে অসুস্থ । গত বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে কলকাতার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্ষোভ প্রকাশও করেন। তবে ঐন্দ্রিলা যে ‘ভালো নেই’ সেটি খোদ তার চিকিৎসকেরাই জানিয়েছেন।
অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, ঐন্দ্রিলার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শনিবার রাতে তিনি অন্তত ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়া হয়েছে। এখনো ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
দুদিন আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলা চোখ খুলছেন না। তার সারা শরীর অসাড়। মুখের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। রাতে বেশ কয়েকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ‘মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয় তার।
ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলা সংক্রান্ত সব পোস্ট শনিবার রাতে মুছে দিয়েছেন। গত কয়েক দিনে অভিনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক পোস্ট করেন তিনি। হঠাৎ সব পোস্ট মুছে ফেলার কারণ জানা যায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা। ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এ অভিনেত্রী। গত বুধবার তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
ভারতের গোয়ায় বসবে ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার আসর (আইএফএফআই) আজ ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত । এই উৎসবে ‘সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড বিভাগ’-এ বিশ্ব প্রিমিয়ারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘পাতাল ঘর’। এর আগে নুর ইমরান পরিচালিত ছবিটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এখনো বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ২৪ নভেম্বর এই উৎসবে প্রথম প্রদর্শিত হবে ছবিটি।
খবরটি নিশ্চিত করে ছবির প্রযোজক আবু শাহেদ জানান, পৃথিবীর প্রাচীনতম সিনেমা উৎসব এটি। প্রতিবছর ভারত সরকারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। খুবই সম্মানজনক উৎসব এটি। অত্যন্ত সুসংগঠিত একটি জুরিবোর্ডের মাধ্যমে সিনেমাগুলো
প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হতে হয়। সেখানে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে।
আবু শাহেদ বলেন, ‘গত বছর এই উৎসবে “পায়ের তলায় মাটি নাই” ছবিটি মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল। এ নিয়ে দুই বছর ধরে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সিনেমা সম্মানের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সিনেমার জন্য বড় অর্জন মনে করছি।’
মা ও মেয়ের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন নিয়ে ‘পাতাল ঘর’ ছবির গল্প। ছবিতে মেয়ের চরিত্রটি করেছেন নুসরাত ফারিয়া।
এ ধরনের উৎসবে নুসরাত ফারিয়া অভিনীত প্রথম কোনো সিনেমা বিশ্ব প্রিমিয়ার যাচ্ছে। প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে এই উৎসবে ফারিয়া নিজেও উপস্থিত হবেন।
আনন্দিত ফারিয়া বলেন, ‘আমার সাত বছরের সিনেমাজীবনে প্রথম কোনো সিনেমা এ ধরনের বড় কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। আর উৎসবটিও খুব সম্মানজনক। সেখানে আমার প্রথম কোনো ছবি প্রতিযোগিতা করবে। এটি আমার জন্য আনন্দের, আমার জন্য বড় অর্জনের। আমি খুশি।’
নুর ইমরান পরিচালিত ছবিতে নুসরাত ফারিয়া ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, সালাউদ্দিন লাভলু, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, আফসানা মিমি, নাজিয়া হক অর্ষা, মামুন-উল-হক, দীপান্বিতা মার্টিন, রওনক হাসান, নাসির উদ্দিন খান, মৌটুসি বিশ্বাস, আরফান মৃধা, শাদাত রাসেল, হাসনাত রিপন, চন্দনা বিশ্বাস প্রমুখ।
পাচ বছর প্রেমের পর গায়ক, অভিনেতা, সংগীত পরিচালক
প্রীতম হাসান ও মডেল, অভিনেত্রী শেহতাজ মনিরা হাশেম বিয়ে করেছেন। গত মাসের শেষের
দিকে শ্রীমঙ্গলের একটি হোটেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে এই প্রথম
একসঙ্গে অবসর সময় কাটাতে গেলেও এটাকে কোনোভাবেই মধুচন্দ্রিমা বলতে নারাজ এই
দম্পতি। কক্সবাজারে অবসরের ফাঁকে ছবিতে এই দম্পতি।
আপাতত প্রীতম ও শেহতাজ দুজনই ব্যস্ত। এখনই হানিমুন
নয়। কাজের ফাঁকে কিছুটা অবসরে ঘোরাঘুরি করছেন বলে জানান শেহতাজ।
অনেকে হানিমুন মনে করলেও ব্যস্ততার কারণে
জানুয়ারির আগে হানিমুনে যেতে পারবেন না, জানান শেহতাজ।
বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম ঘোরাঘুরি। তাঁদের ছবিগুলো
দর্শকদের নজর কেড়েছে।
কক্সবাজারে কিছু কাজে গেলেও সময়টাতে চেষ্টা করেছেন
নিজেদের মতো কাটাতে। তেমন একটি মুহূর্তে।
২০১৭ সালে ‘জাদুকর’ মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে কাজ
করতে গিয়ে তাঁদের পরিচয়। প্রথম দিনের শুটিং থেকেই তাঁরা বন্ধু হয়ে যান। নিয়মিত
ফোনে কথা বলতেন। ভালো লাগা থেকেই তাঁরা প্রেমে পড়েন।
‘জাদুকর’ গানের শুটিংয়ের পর বিয়ের কথা হয়।
শেহতাজের মা সেই সময় প্রীতমকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলেছিলেন। অবশেষ সিলেটে বিয়ের
পীড়িতে বসেন তাঁরা।
প্রীতমকে পছন্দ করার কারণ হিসেবে শেহতাজ বলেন, ‘ও
খুবই সৎ ছেলে। আমাকে গুরুত্ব দেয়।
কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর প্রীতমের উপহার দেওয়া ফুল
পেয়ে মুগ্ধ শেহতাজ।
বর্তমানে তাঁরা ঢাকায় ফিরেছেন। জানুয়ারির পর তাঁরা
হানিমুনে জাপানে যেতে পারেন।
কিডনি শরীরে ছাঁকনির কাজ করে। রক্তের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয়। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ধীরে ধীরে কিডনির স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। বর্জ্য বের হতে পারে না, রক্তের সঙ্গে থেকে যায়। এভাবে একসময় কিডনির কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আমাদের দেহে দুটো কিডনি আছে। এ দুটোতে ২৪ লাখের মতো ছাঁকনি আছে। এগুলো সূক্ষ্ম রক্তনালি দিয়ে তৈরি। ছাঁকনিগুলোর মাধ্যমে ফিল্টার হওয়া বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে যায়। আর দূষিত রক্ত, বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়।
কিন্তু রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে তা এই রক্তনালিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ছাঁকনি দুর্বল হয়ে যায়। তখন প্রস্রাবের সঙ্গে বর্জ্য পদার্থ নয়, বরং আমিষের ক্ষুদ্র কণা বেরিয়ে আসতে থাকে। এগুলোকে বলে মাইক্রোএলবুমিন। দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগলে অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়। কিডনি বিকল হয়ে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
সাধারণত ১০–১২ বছর ডায়াবেটিসে ভোগার পর সমস্যাগুলো অনুভূত হতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে খুব একটা উপসর্গ দেখা যায় না। তবে প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ (মাইক্রোএলবুমিন) গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ এটিই। অনেক সময় রোগীর শুরু থেকেই কিডনির জটিলতা থাকতে পারে। কারণ, ডায়াবেটিস দীর্ঘদিন অনেকের দেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, ধরা পড়ে দেরিতে।
একজন ডায়াবেটিসের রোগীর বছরে দু–একবার নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে, লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্রাবের মাইক্রোএলবুমিন, এলবুমিন ক্রিয়েটিনিন রেশিও এবং রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা।
·
চোখ-মুখ, পায়ের নিচের অংশ ও শরীর ফুলে যায়। বিশেষত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি ফোলা মনে হয়। ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
·
শরীরে পানি জমে। রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দেখা হয়। ত্বকের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়।
·
রক্তচাপ বেড়ে যায়। অরুচি ও ক্ষুধামান্দ্য তৈরি হয়। বমি, বমিভাব হয়।
·
হাত-পা কামড়ায়। নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি ভালো রাখার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা যেন কোনোভাবেই অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে না যায়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কিডনি ভালো–মন্দ কী অবস্থায় আছে, তা জানতে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা ও প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণ পরীক্ষা করা জরুরি। এসবের পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেনে চলুন:
·
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা বানিয়ে নিন। খাবারে যেন লবণ ও প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে।
·
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
·
ধূমপান বর্জন করুন। যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
মিডিয়া সেন্টারে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ জন সাংবাদিকের মধ্যে একটা চকিত জরিপ চালিয়ে দেখলাম, তাঁদের কেউই এখনো আল বায়ত স্টেডিয়ামটা চোখে দেখেননি। দোহা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের এই স্টেডিয়ামেই আজ পর্দা উঠছে ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের।
ওই ৩০ সাংবাদিকের সবাই কাতার-ইকুয়েডর উদ্বোধনী ম্যাচ কাভার করবেন। ম্যাচের আগের দিনও স্টেডিয়াম না দেখার কথাটা এমন ঘটা করে বলার কারণ তো আছেই। বিষয়টা ব্যতিক্রমী।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের আগের দিন ওই ম্যাচ ঘিরে সব কর্মকাণ্ড ওই স্টেডিয়ামে হওয়াটাই নিয়ম। দুই দলের অধিনায়ক-কোচের সংবাদ সম্মেলনও। অথচ এখানে কাতার আর ইকুয়েডর দলের সংবাদ সম্মেলন হলো দোহায় মূল মিডিয়া সেন্টারে। সাংবাদিকেরাও সব এখানেই। বিশ্বকাপজুড়েই এমন হবে বলে অনুমান করা যায়। কারণ, এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপ বলতে গেলে একটা শহরেই হচ্ছে।
আক্ষরিকভাবে ধরলে কথাটায় একটু ভুল আছে। কাগজে-কলমে শহর একাধিক। আজকের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়ামটা যে শহরে, সেটির নামই যেমন আল খোর। কিন্তু দূরত্বই বলে দিচ্ছে, এটিকে আলাদা শহর না বলে দোহার শহরতলি বলা ভালো। বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামই এমন নৈকট্যে দাঁড়িয়ে। দোহা থেকে ৩৫ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যেই সব। একটু স্বাধীনতা নিয়ে তাই বলে ফেলাই যায়, এই বিশ্বকাপ হচ্ছে আসলে একটি শহরেই। বিশ্বকাপে সম্ভবত এই প্রথম কেউ চাইলে এক দিনে একাধিক ম্যাচ দেখে ফেলতে পারেন। অনেকে হয়তো তা দেখবেনও।
এসব লিখতে কাতারে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে সামান্যতম আগ্রহ আছে, এমন সবারই তা অনেক আগেই জানা হয়ে গেছে। তারপরও জানা তথ্যটা দিয়েই লেখা শুরু করার কারণ, কাতার বিশ্বকাপের অনন্যতাটা আবারও মনে করিয়ে দেওয়া। অনন্য আরও অনেক বিচারেই। এই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে কাতারের ব্যয় হয়েছে নাকি ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অঙ্কটার তাৎপর্য বুঝতে একটা তথ্যই যথেষ্ট। কোনো দিন বিশ্বকাপ না খেলেই আয়োজক হয়ে যাওয়ায় কাতারের পূর্বসূরি দক্ষিণ আফ্রিকার ২০১০ বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচ হয়েছিল এর ৬০ ভাগেরও কম।
এই বিশ্বকাপের আয়োজক হতে কাতারের ব্যগ্রতার কারণ ছিল একটাই। বিশ্বমানচিত্রে নিজেদের আলাদাভাবে তুলে ধরা। বিতর্কও সঙ্গী সেই শুরু থেকেই। ফুটবল ঐতিহ্যবিহীন একটা দেশের বিশ্বকাপের আয়োজক হয়ে যাওয়ায় পেট্রোডলারের ঝনঝনানিরই সবচেয়ে বড় ভূমিকা।
সেই ঝনঝন শব্দ অনেকভাবেই বেজেছে বলে যে অভিযোগ, তা অনেক পুরোনো। মরুর দাবদাহ থেকে বাঁচতে এই প্রথমবারের মতো শীতকালীন বিশ্বকাপ। এই প্রথমবারের মতো একবারও বিমানে না উঠে বিশ্বকাপ খেলা শেষ করে যাবে দলগুলো। বিশ্বকাপের আয়োজক শহরে নির্দিষ্ট একটা সময়ে শুধু দুই দেশের সমর্থকেরাই থাকেন। এখানে সব দেশের সমর্থকেরা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কাতার বিশ্বকাপের মহিমা বোঝাতে গতকাল যা একাধিকবার মনে করিয়ে দিলেন।
প্রথম তো আরও অনেক কিছুই। এর আগে আর কবে বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিনও ফুটবলের বদলে অন্য বিষয় নিয়ে এত কথাবার্তা হয়েছে! কবে ফিফা সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে রীতিমতো রণদুন্দুভি বাজাতে শুরু করেছেন!
বিশ্বকাপের আয়োজক হতে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ তো কাতার বিশ্বকাপ পাওয়ার দিন থেকেই। এরপর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিতর্কের পর বিতর্ক। স্বাগতিক দল ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে প্রতিপক্ষ দলের আট খেলোয়াড়কে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে—এই অভিযোগই বা এর আগে কোন বিশ্বকাপে শোনা গেছে! কাল সংবাদ সম্মেলনে কাতারের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজকেও বিব্রতকর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো। ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেবেন, এটা তো জানাই ছিল। সঙ্গে আধুনিক সময়ের একটা বাস্তবতার কথাও মনে করিয়ে দিলেন সানচেজ, ‘ইন্টারনেট দারুণ জিনিস, তবে একই সঙ্গে খুব বিপজ্জনকও।’
কথাটা খুবই সত্যি। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের ঘুষ দিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারের জয় নিশ্চিত করার খবরটির সূত্রপাত তো একটা টুইটই। হয়তো গুজবই। কিন্তু ওই টুইটের দাবি অনুযায়ী আজ সত্যি সত্যি যদি দ্বিতীয়ার্ধের এক গোলে কাতার জিতে যায়, তাহলে কী হবে, তা শুধু ভাবার চেষ্টা করছি। কাকতালীয় বলে কেউ কি তা মেনে নেবে?
এমনিতে আজকের ম্যাচে স্বাগতিকের চিরন্তন সুবিধা ছাড়া কাতারের জয়ের পক্ষে আর একটা কারণও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যে যদিও এমন আকাশ-পাতাল কোনো পার্থক্য নেই।
কাতারের র্যাঙ্কিং ৫০, ইকুয়েডরের ৪৪। তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে জয় আর ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে ড্র বুঝিয়ে দিচ্ছে, র্যাঙ্কিংয়ে ৬ পার্থক্যটা আসলে শুধুই সংখ্যা। যা মোটেই দুই দলের শক্তির ব্যবধানের প্রতিফলক নয়।
অনেক দিক থেকেই এই বিশ্বকাপ অনন্য বলছিলাম। সেই অনন্যতার আরেকটি উদাহরণ, বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিনও বিশ্বকাপের হাওয়া একদমই টের পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন এই আয়োজনকে কীভাবে দেখছে, সারা বিশ্বকে বরণ করে নেওয়ার এই সুযোগ পেয়ে তারা কতটা উদ্বেলিত—এটা জানারও যেমন কোনো উপায় নেই। দোহায় আড়াই দিন কাটিয়ে দেওয়ার পরও কাতারি কারও সঙ্গে দেখা হলে তো!
কুল ফুটবল ফ্যান কিট প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠান ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষ্যে, প্রতিযোগিতাটি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে টানা দুই মাস পর শেষ হয়।
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কার্যালয়ে বিজয়ীদের হাতে কাতার ভ্রমণের এয়ার টিকিট তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রতিযোগিতার এ পর্বে বিজয়ী হলেন মো. সালেহ ইকবাল রহমান ও তানভীর আনজুম অর্নব। কাতার ভ্রমণের এয়ার টিকিট ছাড়াও বিজয়ীরা পেয়েছেন বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট এবং তিন রাত চার দিন থাকা খাওয়ার আনুষঙ্গিক খরচ।
প্রতিযোগিতায় সবার জন্য ছিল ফ্যান কিটের ওপর ৫০ টাকা ছাড় এবং ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী পাচ্ছেন নিজের পছন্দের দলের জার্সি।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। শুধু চলচ্চিত্রের পর্দায়-ই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেরও প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আলোচনার শীর্ষে থাকেন তিনি। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া মুকুট জয় করেন এই সুন্দরী। এরপরই নিজের করে নেন মিস ইউনিভার্সের মুকুটও।
দুটি মুকুট জয়ের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সুস্মিতাকে। ভক্তদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সব জনপ্রিয় সিনেমা। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা। ১৯৯৭ সালে তিনি তামিল মারপিঠধর্মী সিনেমা ‘রাতচাগান’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।
দুই বছর পর তিনি ডেভিড ধবনের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র বিবি নাম্বার ওয়ান-এ রূপালি চরিত্রে অভিনয় করেন। একই সঙ্গে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর তিনি ‘সের্ফ তুম’ ছবিতে অভিনয় করে একই বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০০ সালে তাকে ফিজা চলচ্চিত্রের ‘মেহবুব মেরে’ গানে দেখা যায়।
শুধু কর্মজীবনেই নয়, সুস্মিতা আলোচিত তার ব্যক্তি জীবন নিয়েও। একই সঙ্গে তার এক বিশেষ পরিচয়ও রয়েছে। তিনি একজন সিঙ্গেল মাদার।
২০০০ সালে রেনী নামের এক মেয়েকে দত্তক নিয়ে তুমুল হইচই ফেলে দেন এ অভিনেত্রী। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অবিবাহিত নারী হয়ে শিশু দত্তক নেওয়ায় অভিভাবকত্ব নিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু মুম্বাই আদালত তাদের আবেদন রদ করে। সুস্মিতা জয়লাভ করেন।
এরপর ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারিতে আলিশা নামের তিন মাস বয়সী আরেকটি বাচ্চাকে দত্তক নেন তিনি। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, তার আলোচনার বিষয় একাধিক সম্পর্কও। তার জীবনে রয়েছে একাধিক সর্ম্পকের গল্প। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে বিশ্বাস করে সাত পাঁকে বাধা পড়া হয়নি এ দিবার।
ধারাবাহিকভাবে বক্স অফিসে সাফল্য অব্যাহত থাকলেও এবার ওটিটি কাঁপাতে আসছে কন্নড় সিনেমা ‘কান্তারা ‘। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কান্তারা’। মুক্তির শুরু থেকেই সিনেমাটি বিপুল ব্যবসা করেছে বক্স অফিসে। এখনও ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ঋষভ শেটির ‘কান্তারা’। ঋষভই এই ছবির পরিচালক ও মুখ্য অভিনেতা। কন্নড় ছবি হলেও এর হিন্দি সংস্করণও বেশ ব্যবসা করেছে।
এবার অনুরাগী ও দর্শকদের জন্য সুখবর। প্রেক্ষাগৃহ দাপিয়ে আসার পর এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘কান্তারা’। অনেক দিন ধরেই এই খবরের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, ‘কান্তারা’ মুক্তি পাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হবে অনলাইন স্ট্রিমিং। বক্স অফিসে এই ছবি এরই মধ্যেই ৪০০ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে। সর্বোচ্চ ব্যবসা করা কন্নড় ছবির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। প্রথম স্থানে রয়েছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’। ‘কান্তারা’র হিন্দি সংস্করণ ছাপিয়ে গিয়েছে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর হিন্দির ব্যবসাও।
উল্লেখ্য, এই ছবি তৈরি হয়েছে বেশ কম বাজেটেই। অভিনয়ে রয়েছেন সপ্তমী গৌডাও। ছবিতে কাম্বালা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেটির দেখা মেলে, যে একজন ন্যায়পরায়ণ ডিআরএফও অফিসার মুরলির সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে নামেন। ফ্যান্টাসি থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে খুব নিখুঁতভাবে দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতি, লোককথা ও অলৌকিক শক্তির আভাস মিলবে।