বর্ষীয়ান অভিনেতা শাহীনুর সরোয়ার আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। খাগড়াছড়ির একটি পাহাড়ে শুটিংয়ের মাঝেই মারা যান এ অভিনেতা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শাহীনুর সরোয়ার চট্টগ্রামের ‘প্রতিনিধি নাট্য সম্প্রদায়’-এর কর্মী, মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে সবার প্রিয় ছিলেন।
শাহীনুর সরোয়ার চলচ্চিত্র শুটিং সংক্রান্ত কাজে গত কয়েকদিন ধরে খাগড়াছড়িতে অবস্থান করছিলেন। ‘বলী’ (দ্য রেসলার) নামের একটি সিনেমায় ছোট একটি চরিত্র অভিনয় করতে এসেছিলেন তিনি।
চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ শাহীনুর সরোয়ার। কানাডার টরন্টোতে এই মুহূর্তে ‘বলী’ (দ্য রেসলার) ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।
বিশ্বকাপের আগে একের পর এক ইনজুরিতে জেরবার প্রায় প্রতিটি দেশ। তবে, পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ইনজুরিতে না পড়লেও তাকে নিয়ে ভিন্নরকম অস্বস্তি দেখা দিয়েছে পর্তুগাল শিবিরে।
বুধবার দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি হঠাৎ করে পেটের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) লিসবনে বিশ্বকাপের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল; কিন্তু তার আগে পর্তুগিজ জাতীয় দলের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রোনালদো পেটের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে আজ (বুধবার) দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। তাকে বিশ্রামে থেকে সুস্থ হতে বলা হয়েছে।’
শুধু রোনালদোই নন, আরও কয়েকজনের পেটে সমস্যা হয়েছে। সান্তোস বলেন, ‘এটা এমন এক সমস্যা, যাতে আমরা কোনো সহযোগিতাও করতে পারছি না। পেটে সমস্যার কারণে প্রচুর পানিও বের হয়েছে তাদের শরীর থেকে এবং এ কারণে তারা কিছুটা দুর্বলও হয়ে পড়েছেন। আগামীকালের জন্য (আজ বৃহস্পতিবার) সে কোনোভাবেই প্রস্তুত নয়।’
তবে সান্তোস এও জানিয়েছেন, পর্তুগিজ তারকা শারীরিকভাবে ভালো আছেন। পেটের এ অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
কোচ সান্তোসের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘সত্যিই কী রোনালদোর পেটে সমস্যা নাকি এটা একটা অজুহাত। এ কারণে যে, কয়েকদিন আগে বোমা বিস্ফোরণের মত যে সাক্ষাৎকার তিনি দিয়েছেন এবং এ কারণে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, সে কারণে খেলছেন না?’
প্রশ্ন শুনে হাসেন পর্তুগিজ কোচ। বলেন, ‘পেটের সমস্যা যদি অন্য কোনো খেলোয়াড়ের হতো, তাহলে হয়তো এ প্রশ্ন আসতো না। কয়েকজন অসুস্থ, তাদের বিরুদ্ধে তো আসছে না। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই তার পেটে সমস্যা রয়েছে এবং খেলার মত কোনো অবস্থাতেই নেই তিনি।’
এ দিকে, এপ্রিলে যমজ সন্তানের বাবা হয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো; কিন্তু আনন্দের সেই মুহূর্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাদের জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরেই রোনালদো জানিয়েছিলেন, যমজ সন্তানের একজন- পুত্রসন্তানের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য রোনালদো ও বান্ধবী জর্জিনার কন্যা সন্তান সুস্থ রয়েছে।
ছয় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও পর্তুগিজ কিংবদন্তি সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বহন করে চলেছেন। বাবা এবং সন্তানের ছাইভস্ম রয়েছে তার বাড়িতেই। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি সবসময়ই ওদের সঙ্গে কথা বলি। ওরাই আমাকে আরও ভাল একজন মানুষ, বাবা হতে সাহায্য করে। ওদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া আমার কাছে গর্বের।’
রোনালদো অকপটে জানিয়েছেন, যমজ সন্তানের জন্মের পরে দ্বিতীয় শিশু কোথায় গেল, তা জানতে চেয়েছিল বিভ্রান্ত অন্য সন্তানরা। টিভি সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। ‘জিয়ো (বান্ধবীকে এই নামেই ডাকেন তিনি) বাড়ি ফিরতেই আমার অন্য বাচ্চারা প্রশ্ন করতে শুরু করল, আর একটি শিশু কোথায়?’
রোনালদো তখন শোওয়ার ঘরে ১২ বছরের জুনিয়র ক্রিশ্চিয়ানোকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে সত্যি ঘটনা বাকিদের বলেন। ছিল দুই সন্তান এভা এবং মাতেও। যাদের বয়স পাচ। অন্য কন্যা চার বছরের আলানা মার্টিনা।
‘নিজের প্রতি সৎ থাকতে ছোটদের মিথ্যে কথা বলিনি। শুধু বলেছিলাম, অ্যাঞ্জেল (মৃত পুত্রসন্তানের নাম) স্বর্গে আছে.- বলেন রোনালদো। কিংবদন্তি এই ফুটবলার স্বীকার করেছেন, জীবনের এত বড় শোকের ঘটনা তাকে বাচ্চাদের আরও কাছে টেনে এনেছিল। এমনকি বান্ধবী রদ্রিগেজের সঙ্গেও তার সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে উঠেছিল।
পর্তুগিজ স্ট্রাইকার আরও জানিয়েছেন, ‘তিনি তার মৃত পুত্রের ছাইভস্ম কিভাবে নিজের কাছে রেখেছেন। তার জন্য বাড়ির বেজমেন্টে একটি চ্যাপেল (খ্রিস্টানদের নিজস্ব প্রার্থনাগৃহ) তৈরি করেছেন। যেখানে তার প্রয়াত বাবার দেহাবশেষও রাখা আছে।’
ছেলেকে হারানোর ব্যক্তিগত বেদনার কথা এই প্রথম জনসমক্ষে বললেন রোনালদো। তার কথায়, ‘সে সময় জিয়োকে বুঝিয়েছিলাম, আমাদের আরও সন্তান আছে। আমাদের দায়িত্ব ওদের সবাইকে আনন্দে রাখা।’
একজনের পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া। আর একজনের থেকে যাওয়া। রোনাল্ডোর কাছে সে অভিজ্ঞতা একইসঙ্গে বেদনা ও আনন্দের। সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন সে সব।
এদিকে, ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবর, রোনালদোকে মেজর লিগ সকারে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে আনতে মরিয়া সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যাম। কথা বলতে চান রোনালদোর সঙ্গেও। কাতার বিশ্বকাপের পরেই হয়তো শুরু হবে প্রাথমিক আলোচনা।
অনেক জল্পনার পর অবশেষে জামিন পেলেন বলিউড নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি তছরুপের মামলার সঙ্গে জ্যাকুলিনের নাম জড়িয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার দিল্লির এক আদালতে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতের বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক জ্যাকুলিনকে দুই লাখ রুপি মুচলেকার বিনিময়ে জামিন দিয়েছেন। তবে এখানেই শেষ নয়। আদালতের শর্ত অনুযায়ী, এই বলিউড নায়িকা আদালতের অনুমতি না নিয়ে দেশ ছাড়তে পারবেন না। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর চার্জশিটে তাঁকে এক অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নিয়ে ক্রমাগত বিরোধিতা করে গেছেন জ্যাকুলিনের আইনজীবী। কিন্তু এই বলিউড তারকা যাতে জামিন না পান, তার জন্য জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যায় ইডি। এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল যে জ্যাকুলিন সুকেশের প্রতারণার ৭ দশমিক ১৪ কোটি রুপি নিজের আনন্দ-ফুর্তির জন্য উড়িয়েছেন। আর এই শ্রীলঙ্কান নারী যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। কারণ, তাঁর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ আছে আর তিনি প্রভাবশালী। ইডির অভিযোগ ছিল যে জ্যাকুলিন তাদের তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন, আর অনেক বিষয় তিনি চেপে গেছেন। এমনকি তাদের অভিযোগ যে এই বলিউড তারকা দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় তিনি তা পারেননি। এ–সংক্রান্ত সব প্রমাণাদি আদালতে পেশ করেছিল ইডি। তাই ইডি এই বলিউড নায়িকার জামিনের আবেদন খারিজ করার জন্য পাতিয়ালা হাউস আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল।
এদিকে সুকেশ এক চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছিল যে জ্যাকুলিন পুরোপুরি নির্দোষ। প্রতারক সুকেশ জ্যাকুলিনকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে একটা চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে জ্যাকুলিনকে আর্থিক প্রতারণা মামলায় দোষী বলা হচ্ছে। আমরা নিশ্চয়ই সম্পর্কে ছিলাম। আর তাই আমি তাকে আর তার পরিবারকে যদি উপহার দিয়ে থাকি, তাহলে তার দোষটা কোথায়। সে শুধুই আমাকে ভালোবাসতে চেয়েছিল, আর আমার সঙ্গ ছাড়া আর কিছু সে চায়নি।’
এই চিঠি সুকেশ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে পেশ করেছিলেন। জ্যাকুলিনের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল এই চিঠির কথা গণমাধ্যমের কাছে আগেই উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বারবার বলে এসেছেন যে তাঁর মক্কেলকে (জ্যাকুলিন) অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। জ্যাকুলিন সম্পূর্ণ নির্দোষ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন জ্যাকুলিন। এই জামিনের মেয়াদ ছিল ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের গভীর সম্পর্কের কথা ফাঁস হতেই ইডির আরও কড়া নজরে পড়েন এই অভিনেত্রী। তাঁদের অন্তরঙ্গ বেশ কিছু ছবি নেট–দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিল। সুকেশ চন্দ্রশেখর জেলে থাকাকালীন জ্যাকুলিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মেসেজের মাধ্যমে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন বলে জানা গেছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছিল যে সুকেশ জ্যাকুলিনকে আর তাঁর পরিবারকে দামি দামি নানান উপহার দিয়েছিলেন। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় জ্যাকুলিন এ কথা স্বীকার করেছিলেন। এই শ্রীলঙ্কান রূপসী বলেছিলেন যে এক লিমিটেড এডিশনের পারফিউম সুকেশ তাঁকে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে উইন একলাইনের জলের বোতল এই নায়িকাকে পাঠাতেন সুকেশ। জ্যাকুলিনকে প্রায় রোজ চকলেট, আর ফুল পাঠাতেন এই প্রতারক। এ ছাড়া গুচির ব্যাগ, লুই ভিতোঁর জুতা, হীরার দিল, হেমিজের ব্রেসলেট, মোট ২৭ লাখের ৩টি বিড়াল, ৫২ লাখের ঘোড়াসহ আরও অনেক উপহার সুকেশ এই বলিউড তারকাকে দিয়েছিলেন।
এইচবিওর বহুল আলোচিত সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’ দিয়ে খ্যাতি পেয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী সিডনি সুইনি। প্রশংসার সঙ্গে এমিজয়ী সিরিজটির জন্য সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে সিরিজটিতে বেশ কয়েকটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে নানা সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার সিডনি সুইনি মুখ খুললেন প্রসঙ্গটি নিয়ে।
সিরিজটিতে সিডনি সুইনি অভিনীত নগ্ন দৃশ্যগুলোর স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীকে ট্যাগ করে পোস্ট করেছেন অনেকে। কেউ আবার ট্যাগ করেছেন অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যদের, যা নিয়ে খুবই ত্যক্ত–বিরক্ত তিনি।
সম্প্রতি জিকিউ সাময়িকীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিডনি সুইনি বলেন, ‘আমার পরিবারকে এসব ট্যাগ করার মানে কী! তারা তো এসব দেখতে চায়নি। এটা পুরোপুরি বাজে ও অন্যায্য একটা ব্যাপার হয়েছে।’
সিরিজে সিডনি সুইনি অভিনীত চরিত্রটিকে স্কুলে কেবলই যৌনতার নিরিখে বিচার করা হয়। বাস্তবে তাঁর ছবির স্ক্রিনশট প্রকাশ করে দর্শকেরা একই কাণ্ড করছেন বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
সিরিজটিতে অভিনয়ের পর নেট দুনিয়ায় বিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে সিডনি সুইনিকে। তবে যা–ই হোক, ভবিষ্যতে এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করা বন্ধ করবেন না তিনি। সিডনি বলেন, ‘এটা তো অদ্ভুত একটা কথা। আমি একজন অভিনয়শিল্পী, যাকে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়।’
সিডনি সুইনি জানেন, তিনি যত ভালোই অভিনয় করেন না কেন মানুষ কেবল তাঁর শরীর নিয়েই বলে। এ জন্য কৈশোর থেকেই চেষ্টা করেছেন এমন কিছু করতে, যাতে মানুষ তাঁর কাজ নিয়েই কেবল কথা বলে। সিডনি বলেন, ‘আমি স্কুলে যত বেশি সম্ভব খেলায় অংশ নিতাম, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতাম, যাতে মানুষ ভাবতে না পারে আমি শরীরসর্বস্ব।’
৭ থেকে ১০ নভেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ইভেন্ট মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইক। বাংলাদেশের ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এতে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তরুণ রূপবিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম।
মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইকের প্রথম দিনে ‘সল বাই ইরেনা সোপরানো’ আর ‘কম দ্য স্টারস’-এর শোতে উপস্থিত ছিলেন ফারনাজ। দ্বিতীয় দিন ছিল অ্যারোনিক আতেলিয়রের বহুল প্রতীক্ষিত শো। বিয়ের পোশাক ও এক্সক্লুসিভ পার্টি ড্রেসের জন্য তিনি বিখ্যাত। তৃতীয় দিনেও ছিল বড় চমক। ফারনাজ এদিন উপভোগ করেন দুবাইভিত্তিক ফিলিপিনো ফ্যাশন ডিজাইনার মাইকেল সিনকোর শো। সিনকোর অনন্য সব গাউন বলিউডের ঐশ্বরিয়া রায়, দীপিকা পাড়ুকোন বা হলিউডের অ্যান হ্যাথওয়ের মতো তারকাদের পছন্দের তালিকায় থাকে। এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর পোশাক পরেই লালগালিচায় হেঁটেছিলেন ঐশ্বরিয়া রায়। চতুর্থ অর্থাৎ শেষ দিনে ফারনাজ উপস্থিত ছিলেন খান বোগদের শোতে। তাঁর ক্যাশমেয়ার কালেকশনের জন্য যিনি পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ ডিজাইনারের পুরস্কার।
দ্বিতীয়বারের মতো এই ফ্যাশন উৎসবে অংশ নিয়েছেন ফারনাজ আলম। প্রথমবার ফারনাজ আলম অংশ নিয়েছিলেন মার্চে অনুষ্ঠিত মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইক অটাম-উইন্টার কালেকশনে। এবার ২০২৩ সালের জন্য মিডল ইস্ট স্প্রিং-সামার কালেকশনে আমন্ত্রিত হলেন। ফারনাজ আলমের প্রিয় ডিজাইনার মাইকেল সিনকো। সামনাসামনি তাঁর সংগ্রহ দেখাটাই এই ফ্যাশন উৎসবের সবচেয়ে বড় অর্জন ফারনাজের কাছে। বললেন, ‘মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাশন উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।’
ফারনাজ প্রথম দিন পরেছিলেন বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন হাউস বালমেঁ ব্রাউন লেদার ড্রেস। দ্বিতীয় দিনে পরেন কালো জাম্পসুট। এটি ছিল ইতালিয়ান ব্র্যান্ড মোশিনোর। তবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে বাংলাদেশকে ভুলে যাননি। তৃতীয় দিনে তিনি পরেন ফ্যাশন ডিজাইনার নাবিলার ডিজাইন করা জামদানি কোট। কাপড়টি নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হয়েছে সেখানে। এই জামদানি কোট দেখে ওখানকার একাধিক ডিজাইনার বাংলাদেশে এসে কাপড়টি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইকের প্রধান প্রতিপাদ্য হচ্ছে টেকসই ফ্যাশন। সম্ভাবনাময় বাজারের কারণে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এখন বিশ্বের নামকরা সব ব্র্যান্ড ও ডিজাইনারেরা কাজ করছেন। অন্যদিকে এই অঞ্চলের ফ্যাশন ডিজাইনাররাও উঠে আসছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করছেন। ভ্যালেরিতা আসাদ, সোফি লাম-ভিরি, বিলিয়নেস প্রমুখ ডিজাইনাররা দুবাইকেন্দ্রিক কাজ করছেন, আর তা আলাদা করে সমাদর কুড়াচ্ছে ফ্যাশন বিশ্বে। এই ডিজাইনাররাও এখানে অংশ নেন।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্যারিস ফ্যাশন উইকেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ফারনাজ আলম। সেখানেও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি।
সমস্যা: আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এক মাস ধরে আমার ওজন খুব দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। অত্যধিক হারে চুলও পড়ছে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, মাছ, মাংস রেখে থাকি। তারপরও ওজন হ্রাস ও চুল পড়ার কারণ কী? এ ক্ষেত্রে আমি নিজেইবা কী করতে পারি?
পরামর্শ: দ্রুত ওজন কমে যাওয়া বা চুল পড়ে যাওয়া খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে কারণগুলো বের করতে হবে। ডায়েট করলে ওজন কমে যেতে পারে বা চুল পড়তে পারে। চুল পড়ার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম থাইরয়েডজনিত সমস্যা এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ। আপনার শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি আছে কি না, সেটা দেখাও জরুরি। আপনি বলেছেন, প্রচুর মাছ, ডিম বা প্রোটিনজাতীয় খাবার খাচ্ছেন। খাবারগুলো নিয়মিত খাবেন। সম্ভব হলে প্রতিদিন সকালে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রোদে বসবেন। মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন এবং রাতের বেলা তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ডার্মাটোলজিস্ট দেখিয়ে নিন।
বেসরকারি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ট্রাস্ট আজিয়াটা ডিজিটাল লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় এখন থেকে ট্রাস্ট আজিয়াটার সেবার বিপরীতে সিটি ব্যাংকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডিজিটালি আর্থিক লেনদেন করা যাবে। সম্প্রতি এ চুক্তি সই হয়।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন এবং ট্রাস্ট আজিয়াটা ডিজিটাল লিমিটেডের সিইও দেওয়ান নাজমুল হাসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট তাহসিন হক, হেড অব রিটেল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো-২০২২ শীর্ষক একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) এবং এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ছিল এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি
হিসেবে
ছিলেন
তথ্য
ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
আহমেদ
পলক।
বিশেষ
অতিথি
ছিলেন
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি
জ্যাং-কিউন।
প্রধান
অতিথির
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন,
‘আমাদের
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর
থেকেই
কোরিয়ার সঙ্গে
একটি
সুন্দর
সম্পর্ক বিদ্যমান। গত
১৩
বছরে
বাংলাদেশ অনেক
উন্নতি
হয়েছে।
তৈরি
পোশাক
শিল্প
(আরএমজি)
সেক্টরে ৪০
বছর
আগে
থেকেই
কোরিয়ার সঙ্গে
আমরা
কাজ
শুরু
করি।
বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি
দেশ
হিসেবে
আরএমজি
সেক্টরে স্বীকৃত। ২০৪১
সালের
মধ্যে
স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির
লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ
করে
যাচ্ছে
বাংলাদেশ।’
জুনাইদ
আহমেদ
পলক
বলেন,
‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে
কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রয়েছে। কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর
আমাদের
দেশে
খুব
ভালোভাবে কাজ
করছে।
একই
সঙ্গে
বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা
দিতেও
প্রস্তুত রয়েছে।’ এ
ধরনের
রোড
শো
আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টার্টআপ, উদ্ভাবক, বিজনেস
প্রতিষ্ঠানসহ পুরো
আইসিটি
খাতের
জন্যে
একটি
নতুন
সম্ভাবনা ও
সুযোগ
সৃষ্টি
হতে
পারে
বলে
তিনি
উল্লেখ
করেন।
বাংলাদেশ-কোরিয়া আগামী
দিনে
জিটুজি,
জিটুবি
এবং
বিটুবি
ম্যাচমেকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ
গ্রহণ
করে
প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ
করার
সুযোগ
রয়েছে
বলেও
তিনি
মত
প্রকাশ
করেন।
এছাড়া
তিনি
ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা
গ্রহণে
উৎসাহিত করেন।
দক্ষিণ
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি
জ্যাং-কিউন বলেন, ‘বিশ্বে
ড্রোন
প্রযুক্তির মার্কেট খুব
দ্রুত
বৃদ্ধি
পাচ্ছে। বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন
প্রযুক্তি নিয়ে
কাজ
করতে
পারে।
বাংলাদেশের ড্রোন
প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার
যথেষ্ট
সুযোগ
রয়েছে।’ কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ
প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ
করতে
পারে
বলেও
তিনি
মন্তব্য করেন।
আয়োজনটি কোরিয়া ও
বাংলাদেশের মধ্যে
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন
একটি
সুযোগ
তৈরি
করবে
বলে
আশা
করছেন
আয়োজক
কর্তৃপক্ষ। এর
মূল
লক্ষ্য
ড্রোন
প্রযুক্তির গুরুত্ব ও
বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের প্রতি
বাংলাদেশ সরকার
ও
ব্যবসায়িক খাতের
দৃষ্টি
আকর্ষণ
করা
এবং
ওই
প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা সবার
কাছে
তুলে
ধরা।
রোডশোর
উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে
বাংলাদেশের সরকারি
কর্তৃপক্ষ থেকে
উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর
একটি
সিরিজ
অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ফলে
তারা
এ
ক্ষেত্রে কীভাবে
নেতৃত্ব দিচ্ছে
এবং
কোরিয়া যে
সমাধানগুলো অফার
করতে
পারে
তার
কিছু
ব্যাখ্যা করা
হয়
অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে কোরিয়ার ছয়টি
প্রতিষ্ঠান তাদের
ড্রোন
ও
জিআইএস
বিষয়ক
পণ্য
ও
সেবা
প্রদর্শন করে।