কলকাতার সুলতান খ্যাত অভিনেতা জিৎ। তার পুরো নাম জিতেন্দ্র মদনানী। জন্মসূত্রে তিনি অবাঙালি হলেও বাংলা ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তুমুল পরিচিতি লাভ করেছেন।
আকর্ষণীয় চেহারা আর সাবলীল অভিনয় দিয়ে শোবিজে নিজের স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। জায়গা করে নিয়েছেন ভক্তদের হৃদয়ের মণি কোঠায়। শুধু ওপার বাংলায় নয় এপাড়েও তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। তাকে অনেকেই বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করেন। কেউ কেউ তাকে বাংলার শাহরুখ বলেন। এবার সেই প্রমাণ মিললো তার ৫২তম জন্মদিনে। ৩০ নভেম্বর ছিল এ সুদর্শন অভিনেতার জন্মদিন।
তার জন্মদিনে টালিউডের পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা, একাধিক ফ্যানক্লাব, ভক্তদের নেটমাধ্যমজুড়ে শুভেচ্ছাবার্তা, পোস্ট-উইশের ঝড় দেখা গিয়েছে। তবে জিতের ফেসবুক পেজ থেকে করা লাইভ ভিডিওতে দেখা মিলেছে তার প্রতি ভক্তদের ভালোবাসার বিশেষ ঝলক।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, জিতের বাড়ির সামনে ভিড় করেছে ভক্তরা। তাদের পছন্দের অভিনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারা। তাদের ইচ্ছে প্রিয় তারকাকে একবার কাছ থেকে দেখবে ও ছবি তুলবে তার সঙ্গে। তবে তাদের চাওয়া অপূর্ণ রাখেনি জিৎ। বাড়ির ব্যালকনিতে এসে ভক্তদের সামনে ধরা দিলেন প্রিয় অভিনেতা। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সবার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। এ সময় ভক্তরা আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন।
এসময় জিতের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল জিতে যাওয়ার গল্প। জন্মদিনে ভক্তদেরকে কাছে পেয়ে তার আনন্দও যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়।
অনেক দিন ধরেই বলিউড তারকা কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দুই তারকার কেউই অবশ্য তাঁদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি, বিয়ের তো অনেক দূর। তবে চলতি বছর ‘কফি উইথ করণ’-এ কিয়ারা স্বীকার করে নেন, সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বন্ধুর চেয়েও বেশি। পরে সিদ্ধার্থও আরেকটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে সবাই জানতে পারবেন। কারণ, এখনকার দিনে কোনো কিছু গোপন রাখা যায় না। এবার কি তবে সে সময় চলে এসেছে? কিয়ারা আদভানি নিজের ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, যা নতুন করে আবারও উসকে দিয়েছে তাঁদের বিয়ের গুঞ্জন।
বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই কিয়ারা নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বেশি দিন আর গোপন রাখতে পারব না। শিগগিরই ঘোষণা আসবে...সঙ্গে থাকুন...২ ডিসেম্বর।’
অভিনেত্রীর এই পোস্ট যেন সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর বিয়ের গুঞ্জনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে। অনেক ভক্তই মনে করেছেন, আগামী ২ ডিসেম্বর বিয়ের ঘোষণা দিতে চলেছেন তিনি।
অনেক ভক্ত আবার এতটা নিশ্চিত নন। তাঁরা মনে করেছেন, এটি তাঁর নতুন কাজের খবরও হতে পারে। তবে সত্যিটা যে কী, সেটা অবশ্য খোলাসা করেননি কিয়ারা।
অভিনেত্রী এখন ব্যস্ত তাঁর নতুন সিনেমা ‘গোবিন্দা নাম মেরা’র প্রচারে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাবে ছবিটি। ‘গোবিন্দা নাম মেরা’ ছবিতে কিয়ারা ছাড়া আরও আছেন ভিকি কৌশল ও ভূমি পেড়নেকর।
আরও একটা রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে লিওনেল মেসিকে। রাতে মাঠে নামলেই অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হয়ে যাবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেক্সিকোর বিপক্ষে কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচে একাদশে থাকলেই ছুঁয়ে ফেলবেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার একটি রেকর্ড।
মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় ছাড়া উপায় নেই আর্জেন্টিনার। তেমনই এক ম্যাচে সব ঠিক থাকলে মেসি ছুঁয়ে ফেলবেন তারই গুরু ম্যারাডোনার একটি অনন্য রেকর্ড।
লুসাইলে রাতের এই ম্যাচটি খেলার আগে স্বস্তির খবর- পুরোপুরি ফিট মেসি। দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি নিশ্চিত করেছেন চোট নেই তার সেরা অস্ত্রের। মেসির মাঠে নামা নিয়েও নেই শঙ্কা। তাইতো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলার যে রেকর্ড একাই দখলে ছিল ম্যারাডোনার তা ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
মহা তারকা ম্যারাডোনা ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ খেলেছেন। যেখানে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি খেলেন মোট ২১টি ম্যাচ। আর মেসি সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে খেলেন নিজের ২০তম ম্যাচ। সেই হিসাবে রাতে মেক্সিকোর বিপক্ষে খেললেই ছুঁয়ে ফেলবেন ম্যারাডোনাকে। আর গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে নামলেই ছাড়িয়ে যাবেন যাকে আদর্শ মানেন সেই লিজেন্ডকে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড জার্মানির লুথার ম্যাথাউসের। ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেই ভাঙতে হলে অবশ্য সেমি-ফাইনাল অব্দি যেতে হবে মেসিকে। তার আগে গ্রুপ পর্ব পেরোনোই চ্যালেঞ্জ তাদের।
অবশ্য দল সৌদি আরবের কাছে হারলেও একটা রেকর্ড সেদিনই স্পর্শ করলেন মেসি। ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার অনন্য রেকর্ডও তার দখলে। পর্তুগালের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও এই রেকর্ডের মালিক হয়েছেন।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। অনেক দিন ধরেই রোমান্টিক সিনেমায় তাকে দেখতে চান তার ভক্তরা। কিন্তু সবার সেই চাওয়া পূরণ করতে পারেননি তিনি। এবার ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছেন।
‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমার মুক্তির দীর্ঘদিন পর আবারও রোমান্টিক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরিফিন শুভ।
নাম চূড়ান্ত না হওয়া এই সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সময়ের আলোচিত নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান। আর শুভর বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন আফসানা আরা বিন্দু। আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চরকির জন্য নির্মিত হচ্ছে আরিফিন শুভর এ সিনেমাটি।
সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও সিনেমাটি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা।
দ্রুতই সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে আলফা আই ও চরকি।
কিছুদিন ধরেই তারকা দম্পতি সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম ভারত ও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো। অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের প্রেমে মজেছেন শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের একটি সাময়িকীর জন্য করা তাঁদের ফটোশুটের অন্তরঙ্গ ছবি সামনে আসতেই এই দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টা উঠে আসে।
এ বিষয়ে এত দিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুললেন আয়েশা ওমর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানালেন, শোয়েব মালিকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের বাইরে আর কোনো সম্পর্ক নেই। শোয়েব তাঁর কেবল স্রেফ ভালো বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তাঁদের এই বন্ধুত্বকে অনেকে অন্য চোখে দেখছেন।
যদিও এই সম্পর্ক ভাঙনের জন্য আয়েশা ওমরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অনেকে। এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই আয়েশার। তিনি বলেন, ‘সানিয়া-শোয়েব দম্পতিকে আমি সম্মান করি। তারা দারুণ একটা বৈবাহিক জীবন পার করছে।’
সানিয়া-শোয়েবের বিচ্ছেদ নিয়ে দুই দেশের সংবাদমাধ্যম ও তাদের ভক্তদের মধ্যে আলোচনা–সমালোচনা হলেও এ নিয়ে চুপ রয়েছেন সানিয়া-শোয়েব দুজনই।
তবে দুই তারকার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ডিভোর্স ফাইল তৈরি হয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেসব জটিলতা মেটানোর পর সানিয়া-শোয়েব আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তি থাকার কারণে এখনই বিচ্ছেদের বিষয়ে মুখ খুলছেন না তাঁরা। মুখে কিছু না বললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সানিয়ার একাধিক দুঃখের পোস্ট বিষয়টিকে আরও উসকে দিয়েছে।
এ কলহের মধ্যেই এই দম্পতি ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন শো ‘দ্য মির্জা মালিক শো’–এর। ‘দ্য মির্জা মালিক শো’ প্রচারিত হবে পাকিস্তানি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘উর্দুফ্লিক্স’-এ।
কাতার বিশ্বকাপের বাঁচা–মরার লড়াইয়ে পোল্যান্ডকে ২–০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে আর্জেন্টিনা; জয়ের পর বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। পিছিয়ে নেই চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরাও; এক ফেসবুক পোস্টে হালের আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান বিজয়ী দলটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অভিনয়শিল্পীরা কাতার বিশ্বকাপে কে কোন দলকে সমর্থন করেন, তা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিষয়টি নিয়ে তর্ক–বিতর্কের মধ্যে এক ফেসবুক পোস্টে আর্জেন্টিনার প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কী কারণে দলটিকে সমর্থন করেন, তার কারণও খোলাসা করেছেন তিনি, ‘ছোটবেলা থেকেই ম্যারাডোনার কারণে এই দলের প্রতি ভালোবাসা। এই দলের জার্সি ছাড়া কোনো দলের জার্সি কখনো গায়েও দিইনি। এইবারের বিশ্বকাপে সুন্দর খেলা উপহার দেবে, এটাই প্রত্যাশা।’
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে একটি বল হাতে ফটোসেশনেও অংশ নিয়েছেন জায়েদ; তার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। সেই পোস্টে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘শুভকামনা’; জায়েদ খান তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। রুহুল আমিন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘লেগে থাকো। কাপ নিতে হবে এবার।’ প্রতিউত্তরে জায়েদ লিখেছেন, ‘ইনশা আল্লাহ ভাইয়া’।
সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে প্রায় ৯ মাস ধরে নিপুণ আক্তারের সঙ্গে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জায়েদ; এর মধ্যে আপিল বিভাগের এক আদেশে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন নিপুণ।
মায়েদের সময়ে মেয়েদের ভ্রমণের একমাত্র জায়গা ছিল বাপের বাড়ি। এই প্রজন্মের নারীরা সে চিত্রটা পাল্টে দিতে শুরু করেছে। বাঙালি নারী ভ্রমণ করতে শিখে গেছে। বিশেষ করে নগরের নারীরা। তাই ভ্রমণের আগে কিছু প্রস্তুতি ভ্রমণে নারীকে আরাম দেবে। তেমনই কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
নথিপত্র
ভ্রমণের সব নথির এক সেট ছাপা ও এক সেট সফট কপি তৈরি করুন। নথি বলতে পাসপোর্টের ফটোকপি, হোটেল বুকিং, টিকিট, টিকার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ভিসা পেজ, ইনস্যুরেন্স, প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরসহ দরকারি কাগজপত্র। যিনি ভ্রমণে যাবেন, তিনি নিজেই এটা করবেন।
প্রিন্ট কপিগুলো নিজে ব্যাকপ্যাকে অথবা ট্রলিব্যাগে রাখুন। কখনোই এগুলো চেক-ইন লাগেজে রাখবেন না, তাহলে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাবেন না।
ভ্রমণের আগেই সব নথির সফট কপি নিজের মেইলে রাখার পাশাপাশি এমন একজন বিশ্বস্ত পরিচিতজনের মেইলে দিয়ে রাখুন, যিনি নিয়মিত ই–মেইল চেক করেন এবং ভিনদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ই–মেইল আদান–প্রদানে যথেষ্ট পারদর্শী। কী জন্য? ধরুন ভ্রমণে গিয়ে সব খোয়া গেল! তখন আপনার সমস্যা জানার সঙ্গে সঙ্গে ওই পরিচিতজন অনলাইন ঘেঁটে সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশ, দূতাবাস ও ফরেন মিনিস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় নথির সফট কপি পাঠাতে পারবেন। আপনি তো তখন অসহায়, নিজে সবটা কুলিয়ে না–ও উঠতে পারেন।
ভ্রমণের জায়গা সম্পর্কে ধারণা
যে শহর বা দেশে যাচ্ছেন, যাওয়ার আগে সেই জায়গা নিয়ে গুগল করুন। পরিচিত কারও অভিজ্ঞতাও শুনতে পারেন। সেই জায়গার ঐতিহাসিক ভিত্তি, আবহাওয়া, নিরাপত্তাব্যবস্থা, আর্থসামাজিক অবস্থা কিংবা খরচাপাতি কেমন, জানুন। এ জানাশোনা আপনার ভ্রমণকে সহজ করবে। একেবারে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না? ভ্রমণ শুরুর আগে যে হোটেল বুকিং করেছেন, তাদের সঙ্গে চ্যাট করুন।
কিছু ঐতিহাসিক স্থান আছে, যেগুলোর প্রবেশ টিকিট দু-এক মাস আগেই কিনে রাখতে হয়, না হলে নির্দিষ্ট দিনে দেখা যায় না। যেমন পেরুর মাচুপিচু। এমন কোনো স্থানে ঘুরতে গেলে অন্তর্জাল ঘেঁটে জেনে নিন সেসব তথ্য। প্লেনের টিকিট কাটার আগেই অনলাইনে এসব দুষ্প্রাপ্য টিকিট কেটে ফেলুন।
নারীর নিরাপত্তা
ভিনদেশে যাওয়ার আগে অনলাইনে সে দেশের জরুরি সেবার নম্বরগুলো সংগ্রহ করুন। পুলিশ, হাসপাতাল, দূতাবাসের ফোন, ই–মেইল ইত্যাদি। মধ্যরাতে পৌঁছেছেন কোনো শহরে? রাস্তায় আলোর স্বল্পতা আছে? ছোট্ট একটি টর্চলাইট সঙ্গে রাখুন। বিদেশে গিয়ে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আইনি জটিলতায় পড়ে যান, নিরাপত্তা সংস্থায় নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় পেশাগত পরিচয়পত্রটি এগিয়ে দিন। আপনার গুরুত্ব বাড়বে।
ইউরোপ-আমেরিকার বৃষ্টিকে বিশ্বাস নেই। এসব দেশে গেলে ছাতা সঙ্গে রাখুন। হোটেল বুকিং দিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সেখানে লোকসমাগম বেশি থাকে। বুকিং দেওয়ার আগে হোটেলের রিভিউ পড়ুন, সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। পৌঁছেই একটা লোকাল ম্যাপ সংগ্রহ করুন। এ ম্যাপ হেঁটে শহর ঘোরায় আপনার কাজে লাগবে। যে ভৌগোলিক অঞ্চলে যাচ্ছেন, ওখানকার একজন হোস্ট নির্বাচন করুন। চেনাজানা কেউ নেই? হোটেলের কর্মকর্তাকেই আপনার হোস্ট নির্বাচন করতে পারেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার ঠিকানা, নম্বর সব সময় সঙ্গে রাখুন। আর হোস্ট নির্বাচনে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশলগুলো কাজে লাগান।
আর্থিক বিষয়াদি
ভ্রমণে একটি আর্থিক উৎসের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া উচিত হবে না। ক্রেডিট কার্ডে ডলার এন্ডোর্স করার পরও কোনো দেশে সেটি ব্যবহারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নগদ অর্থও সঙ্গে রাখুন। বেশি লাভের আশায় অবৈধ মার্কেট থেকে ডলার এক্সচেঞ্জ করবেন না। আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন।
পোশাক ও প্রসাধন
ভ্রমণের সময় পোশাক ও প্রসাধনের বাহুল্য পরিহার করা উচিত। শীতকালে ভ্রমণে গরম কাপড় সঙ্গে নিন। তরল দ্রব্য ১০০ মিলিগ্রামের বেশি হলেই বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন তা ফেলে দেবে। তাই লোশন, সানস্ক্রিন, পারফিউম চেক-ইন লাগেজে রাখুন। সানগ্লাস-টুপি ভ্রমণ সহায়ক। সঙ্গে রাখুন কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। ভেজা কাপড় সংরক্ষণ করতে সহায়ক হবে। সুই-সুতা রাখুন। হাসছেন বুঝি? ভাবুন তো, ফস করে ছিঁড়ে গেল জামা বা ওভারকোটের একটি বোতাম। কী করবেন? সমতল শহরে হেঁটে বেড়ানোর জন্য এক জোড়া স্পঞ্জ আপনাকে দারুণ আরাম দেবে। তবে পাহাড়ি এবং পাথুরে অঞ্চলের জন্য কেডস বেশি আরামদায়ক।
দরকারি দাওয়াই
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, হাঁপানি, বমির সমস্যা আছে? সে অনুযায়ী ওষুধ সঙ্গে নিন। প্রয়োজনের চেয়ে কিছু ওষুধ বেশি নিন। ফিরতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বও তো হতে পারে। আমেরিকা বা ইউরোপে গেলে আমাদের দেশের ওষুধের নাম শনাক্ত করা কঠিন। ইউরোপ-ল্যাটিন অঞ্চলে ভাষাও একটা বড় বাধা। তাই দেশ থেকেই ওষুধ কিনে নিন। আফ্রিকা ও লাতিনের কিছু অঞ্চলে কীটপতঙ্গের ঝুঁকি আছে। অ্যান্টিমস্কিইটো স্প্রে বা ক্রিম সঙ্গে নিন। মাইনাস আবহাওয়ার দেশে হঠাৎ আপনার শরীর ঠান্ডা মানিয়ে নিতে না–ও পারে। করোনা–পরবর্তী এই সময়ে সেসব দেশ ভ্রমণে সামান্য গরমমসলা সঙ্গে রাখুন। বাজেট ট্রাভেলাররা ডর্মে বা হোস্টেলের রান্নাঘরে ঝটপট পানির সঙ্গে মসলা মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করুন। শরীরে আরাম পাবেন। নারীদের সঙ্গে আরও একটি দরকারি জিনিস নিতে হবে—স্যানিটারি ন্যাপকিন। ডলার-পাউন্ড যেমন প্রতিদিন নিজের সঙ্গে রাখবেন, তেমনি ন্যাপকিনও সঙ্গে রাখুন। স্যালাইন, অ্যান্টিসেপটিকও থাকুক।
ডিভাইস
ভ্রমণে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা সঙ্গে থাকে। সেগুলো রিচার্জ করার জন্য সঠিক অ্যাডাপটর সঙ্গে নিয়েছেন তো? দেশভেদে ইলেকট্রিক প্লাগ, সকেট, ভোল্টেজ ভিন্ন ভিন্ন হয়। ভ্রমণ একটি দীর্ঘ চলমান প্রক্রিয়া। ভ্রামণিকেরা বারবার দেশান্তরি হবেন। তাই বিভিন্ন দেশ-মহাদেশের অ্যাডাপটর সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন আর আজীবন তা সংগ্রহে রাখুন।
খাবারদাবার
ভাবুন কোনো দূর দ্বীপে কিংবা মেক্সিকোর কানকুন শহরে বেশ রাতে গেছেন। ততক্ষণে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। অল্প পরিমাণে রান্নার কিছু মৌলিক উপাদান যেমন চাল, ডাল, মসলা নিয়ে নিতে পারেন। হোস্টেল বা ডর্মে রান্নার ব্যবস্থা থাকে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনি বিরিয়ানি-তেহারি রেঁধে খাবেন। সামান্য খিচুড়ি রেঁধে নিজের পেটকে ওই মুহূর্তে সামাল দেওয়া যাবে। ফ্লাইটে পচনশীল খাবার বহন দণ্ডনীয়, এমন কিছু তাই নেওয়া যাবে না।
প্রতিটি ভ্রমণই আনন্দের। তাই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যাতে বড় সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পর্যটক নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেবে, সেটাই স্বাভাবিক।
নির্যাতনের অভিযোগে মডেল, অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা সারিকা সাবরিন তাঁর স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবার আদালতে সারিকা সাবরিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সারিকা সাবরিন চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন রাহীকে, যিনি পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। পারিবারিকভাবে বিয়ের কাজটি সেরে নেওয়ার কারণে তখন বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের বন্ধু-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী কাউকে জানাতে পারেননি। তাই গেল অক্টোবরে ঢাকার মহাখালীর একটি কনভেনশন সেন্টারে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সারিকা। জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা সেই বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা ছাড়াও বিনোদন অঙ্গনের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাসখানেকের মাথায় নির্যাতনের অভিযোগে মামলার এ খবরটি এল। সারিকা জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি স্বামীর কাছ থেকে দূরে আছেন। মা–বাবার সঙ্গে থাকছেন। বাধ্য হয়েই তিনি মামলা করেছেন বলে জানালেন।
মামলার আরজিতে তিনি দাবি করেছেন, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সারিকা ও বদরুলের বিয়ে হয়। বিয়েতে ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। বিয়ের সময় সারিকার মা–বাবা বদরুদ্দিনকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ বাসার যাবতীয় আসবাব উপহার হিসেবে দেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামি বদরুদ্দিন বাদী সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাঁকে মারধর করতে থাকেন। ৫ নভেম্বর আসামি বদরুদ্দিন ভিকটিম সারিকার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সারিকাকে এক কাপড়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ১৯ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডিতে এ বিষয়ে একটি সালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে কথোপকথনের একপর্যায়ে আসামি বলেন যে ব্যবসার জন্য তাঁকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। দাবি করা টাকা না দিলে সারিকার সঙ্গে সংসার করবেন না এবং তাঁকে তালাক দিয়ে বেশি টাকা যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে দ্রুত চলে যান।’
‘এভাবে তো চলতে পারে না। দিনের পর দিন আমি এটা আর সহ্য করতে পারিনি, তিনি প্রতিটি জিনিসের জন্য আমার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এমনকি আমাদের বিয়ের খরচও আমি দিয়েছি। একজন মানুষ আর কতটা বহন করতে পারে? আপাতত এর বেশি আর কিছুই বলতে চাই না।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে সারিকার স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করেন সারিকা ও রাহী। ওই সময় সারিকা বলেছিলেন, ‘দুই পরিবারের পছন্দেই আমাদের বিয়ে হয়েছে। করোনার কারণে বড় পরিসরের অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি, বাসাতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দিনটা সুন্দর। দুই দুই বাইশ! দিনটি স্মরণীয়। তার আগে ১২ ডিসেম্বর আমাদের বাগ্দান হয়।’
এর আগে ২০১৪ সালে মাহিম করিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সারিকা। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ২০০৬ সালে মডেলিং শুরু করেন সারিকা। তারপর একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যান। ২০১০ সালে নির্মাতা আশুতোষ সুজনের ‘ক্যামেলিয়া’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় সারিকার।