ডাক
ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
বলেছেন,
ডিজিটাল দক্ষতা
অর্জন
করা
ছাড়া
বর্তমান পৃথিবীতে শত
চেষ্টা
করেও
উন্নত
জীবন
তৈরি
করা
সম্ভব
হবে
না।
ডিজিটাল যুগের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ
মানবসম্পদ তৈরিতে
প্রচলিত শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর করা
অপরিহার্য। শিক্ষার্থীসহ নতুন
প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা
অর্জনের মাধ্যমে পঞ্চম
শিল্পবিপ্লবের জন্য
প্রস্তুতি নেওয়ার
আহ্বান
জানান
মন্ত্রী।
গত সোমবার
(২১
নভেম্বর) ঢাকায়
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ
থেকে
ল্যাপটপ বিতরণ
অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির
বক্তৃতায় এ
আহ্বান
জানান
তিনি।
ডাক
ও
টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী মিশ্র
শিক্ষা
পদ্ধতিকে করোনা
পরবর্তী সময়ের
এক্সারসাইজ উল্লেখ
করে
বলেন,
‘অনলাইন
শিক্ষা
প্রসারিত না
হলে
দুর্যোগে বিপদ
অনিবার্য। বাংলাদেশ করোনাকালে শিক্ষাসহ জীবনযাত্রা সচল
রাখতে
যে
সফলতা
দেখিয়েছে, তা
উন্নত
দেশেও
করতে
পারেনি। এটাই
ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল।’
মন্ত্রী শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ড্যাফোডিলের ভূমিকার প্রশংসা করেন
এবং
অন্যরাও ডেফডিলের পথে
এগিয়ে
আসবে
বলে
আশা
প্রকাশ
করেন।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ কে
এম
হাসান
রিপনের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রথম
আলোর
সহযোগী
সম্পাদক আনিসুল
হক,
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড.
এম
লুৎফর
রহমান
ও
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা
বোর্ডের মহাপরিচালক ড.
ওমর
ফারুক
বক্তৃতা করেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধিভুক্ত ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২৪ লাখ গ্রাহকের ঘর আলোকিত করার মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করেছে। এরমধ্যে গত কয়েক বছরেই প্রায় ১০ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলার ৪ হাজার ৭৭২টি গ্রামের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবি। ফলে নিকট অতীতে সন্ধার পরে ঘুমিয়ে পড়া গ্রামঞ্চল এখন গভীর রাত পর্যন্ত সাধারন মানুষের পদচারনায় মুখর থাকছে। ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে নানামুখি কুটির শিল্পও গড়ে উঠছে পল্লী এলাকায়। ঘুরছে অর্থনীতির চাকা। কৃষির পাশাপাশি নানামুখি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গ্রামঞ্চলে বেকার সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। এমনকি নদ-নদী বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের দূর্গম ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলেও নদী তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। তবে মূল সাব-স্টেশন থেকে ৩৩ কেভী, ১১ কেভী ও .০৪ কেভী লাইনের মাধ্যমে সুদুর পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দেয়ার পরেও দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গড় সিষ্টেম লস ১০%-এরও নিচে।
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, কুয়েত উন্নয়ন তহবিল,জাপান উন্নয়ন সংস্থা ও মার্কিন সাহায্য সংস্থা সহ কয়েকটি দাতা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সারাদেশে এপর্যন্ত প্রায় ২ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সবিধা পৌছে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। বোর্ডের আওতাধীন ৭০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এখন গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবারহ ও বিতরন ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। যার প্রায় ২৪ লাখ গ্রাহকই দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায়। আগামী জুনের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ২৫ লাখ অতিক্রমের সম্ভবনা রয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলে ১৯৮২ সালের ৮ মে সর্ব প্রথম পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তার পরিচালন কার্যক্রম শুরু করে। সে থেকে ক্রমান্বয়ে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২ এবং পটুয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, ভোলা ও ঝালকাঠী জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়। বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় ইতোমধ্যে ৩৩ কেভি, ১১ কেভি এবং এলটি সহ ৫৭ হাজার কিলোমিটার লাইনের সাহায্যে প্রায় ৩৮৫টি ইউনিয়নের ৫ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরন ও সরবারহ করছে সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। এ অঞ্চলের প্রায় ২৪ লাখ গ্রাহকের জন্য ৯৫৭ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন ৭০ টি সাব-স্টেশনের মাধ্যমে পীক আওয়ারে গ্রাহকদের কাছে ৪৩০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবারহ করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো।
তবে সেচ, বানিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহকের অভাবে আবাসিক গ্রাহক নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো মুনফা অর্জন করতে না পরায় আর্থিক ভীত যথেষ্ঠ নড়বড়ে। সরকারী নির্দেশনার আলোকে দেশের মুনফা অর্জনকারী সমিতিগুলোর কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্ববধানে অর্থিক ভতর্’কিতে এসব লোকাশানী সমিতিগুলোর পরিচালন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। এমনকি এ অঞ্চলের ২৪ লাখ গ্রাহকের ২১ লাখ ২০ হাজারই আবাসিক। এসব আবাসিক গ্রাহককে সমিতিগুলো বিদ্যুৎ সরবারহ করছে অনেকটা পাইকারী ক্রয় মূল্যেই। ফলে মুনফা দুরের কথা অব্যাহত লোকশানেই সমিতিগুলোর পরিচালন ব্যবস্থা ধরে রাখতে হচ্ছে। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে সেচ গ্রাহকের সংখ্যা দেড় হাজারেরও কম। শিল্প গ্রাহকের সংখ্যাও হাতে গোনা। বানিজ্যিক সহ অন্যান্য গ্রাহকের সংখ্যা ২ লাখের কিছু বেশী। ফলে এসব সমিতি যুগের পর যুগ লাভের মুখ দেখছে না।
কিন্তু সরকারী নীতিমালার আলোকে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিই বছরের পর বছর লোকশান গুনে ২৪ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরনে দক্ষিণাঞ্চলে আরো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পাশপাশি কৃষি-সেচ ব্যাবস্থাও বিদ্যুতায়নে গুরুত্বারোপ করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিবীদগন। ওয়াকিবাহাল মহলের মতে, লাগাতার লোকাশানী সমিতিগুলোর অস্তিত্ব রক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠার পাশাপপাশি কৃষি-সেচ ব্যবস্থাকে বিদ্যুতায়নের বিকল্প নেই।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলে পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরনে অব্যাহত লোকাশানের মধ্যেও সরকার নিজস্ব তহবিলে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরন ব্যাবস্থা আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন’ শির্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ১ হাজার ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকার এ প্রকল্পটির বাস্ত বায়ন সম্পন্ন হবে বলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে জয়ী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আজ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত।
আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণ দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার অন্যতম আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।
এই খবরের পর বিকাল ৩টায় এফিডিসিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত হন সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মামনুন ইমনসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খানের আবার পালটা রিট বা মামলায় এই পদে ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এখন আর কোনো সুযোগ নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে। এখন জায়েদকে এই পদে আসতে হলে জাতিসংঘে যেতে হবে। এ ছাড়া তার জন্য আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস ধরে অনেক কিছু হয়েছে। এসব নিয়ে আর কথা চাই না। আমরা সবাই শিল্পী হয়ে সমিতির জন্য, শিল্পীদের জন্য কাজ করে যেতে চাই। নিপুণ এখন থেকে নিয়মিত এই পদে কাজ করবে। আজ থেকে আমাদের শক্তিটা বেড়েছে।’
এদিকে আজকের এ রায় চূড়ান্ত নয় বলে দাবি করেছেন জায়েদ খান। নিপুণের পক্ষে এই রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, 'নিপুণের রায়ের বিষয়টি যেভাবে ছড়ানো হচ্ছে তাতে ভুল আছে। আদালত কেবল নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন। এটা কিন্তু চূড়ান্ত রায় না।'
জায়েদ খান বলেন, ‘এখন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। আমি শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি শুনানিতে রায় আমার পক্ষে আসবে। চূড়ান্ত বিজয় আমারই হবে। কারণ, আমি ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।’
চলতি বছরের শুরুতে শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরকে হারিয়ে জয়ী হন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও নিপুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচন শেষে প্রাথমিকভাবে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও ফল মেনে নেননি নিপুণ। তিনি কারচুপির অভিযোগ তোলেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামেন জায়েদ ও নিপুণ।
বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা-নাট্যজন আলী যাকেরের অভিনয়গুণের কথা সবারই জানা।তিনি ছিলেন অসাধারণ এক ছবিয়ালও। যেখানেই যেতেন সঙ্গে রাখতেন প্রিয় ক্যামেরা। শহরে-গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে তুলে আনতেন অদ্ভুত সব ছবি।
যদিও
অভিনেতা আলীর
প্রভাব
এতটাই
ছিল
মঞ্চে
বা
পর্দায়,
ছবিয়াল
যাকের
পড়ে
ছিলেন
অনেকটাই চর্চার
বাইরে।
তাঁর
প্রয়াণের পর
সেই
দিকটাই
এবার
উজ্জ্বল হয়ে
উঠলো
গত রবিবারের (২০
নভেম্বর) মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের এক
আয়োজনে। এদিন
থেকে
রাজধানীর বনানীতে এশিয়াটিক সেন্টারে ‘অঙ্কুর’
শীর্ষক
একটি
আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
হয়েছে।
প্রদর্শনীটি ২০
নভেম্বর থেকে
চলবে
টানা
১৩
দিন।
ঢাকাভিত্তিক ফটোসাংবাদিক ও
ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার ফারহানা সেতুর
ছবি
নিয়ে
এই
প্রদর্শনী।
এ
বিষয়ে
এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং
মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
আসাদুজ্জামান নূর
বলেন,
‘মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন তৈরির
মূল
উদ্দেশ্য ছিল
সাংস্কৃতিক ও
মানবহিতৈষী বিভিন্ন কাজের
সঙ্গে
যুক্ত
থাকা।
আলী
যাকের
সম্পর্কে আপনারা
জানেন,
তিনি
একদিকে
বিজ্ঞাপন জগতের
একজন
দিকপাল
ছিলেন,
অন্যদিকে নাটকের
জগতেও
একজন
পথপ্রদর্শক ছিলেন।
১৯৭৩
সালে
বাংলাদেশে দর্শনীর বিনিময়ে নাট্যপ্রদর্শন আলী
যাকেরের হাত
ধরেই
শুরু
হয়।
গাড়ি
নিয়ে
গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ানো
এবং
বুনো
ফুলের
ছবি
তোলা
ছিল
তার
নেশা।
আমি
অন্তত
তাকে
নানাভাবে দেখেছি। এসবের
ভেতর
থেকে
যে
মানুষটা সবচেয়ে
বড়
হয়ে
ওঠে,
তা
হলো
একজন
মুক্তিযোদ্ধা আলী
যাকের।
এই
দেশ
এবং
দেশের
মানুষকে তিনি
খুব
ভালোবাসতেন। তিনি
সবসময়
তার
সীমিত
সামর্থ্যের মধ্যে
থেকে
মানুষের জন্য
কিছু
করার
চেষ্টা
করেছেন। তারই
ধারাবাহিকতায় আমরা
কিছু
কাজ
করার
চেষ্টা
করছি।
আজকের
প্রদর্শনী তার
মধ্যে
অন্যতম।’
এ
প্রদর্শনীর বিষয়ে
মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
ও
আলী
যাকেরপুত্র অভিনেতা ইরেশ
বলেন,
‘বাতিঘরে উন্মুক্ত গ্যালারি বানানোর পেছনে
আমাদের
যে
আকাঙ্ক্ষা ছিল,
সেটা
হলো
বাংলাদেশ কিংবা
ঢাকা
শহরে
এখন
নতুন
এবং
সম্ভাবনাময় শিল্পী,
যেমন
আলোকচিত্রী বা
ভাস্করদের স্বল্প
বা
বিনা
খরচে
নিজেদের কাজ
সবার
সামনে
তুলে
ধরার
সুযোগ
করে
দেওয়া।
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে অনেক
কিছুই
ভার্চুয়াল জগতে
হচ্ছে,
তারপরও
শিল্প
প্রত্যেকের জন্য
সশরীরে
এসে
দেখাটাই জরুরি।
আমরা
বাতিঘরের মাধ্যমে তরুণ
এবং
প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য
এমন
সুযোগ
নিশ্চিত করতে
চাই।’
২০২০
সালের
২৭
নভেম্বর না
ফেরার
দেশে
পাড়ি
দেন
আলী
যাকের।
আজ তাজরীন ট্র্যাজেডি ১০ বছর। ২০১২ সালের এ দিনে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১২ শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ অনেককে শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
তবে এই দীর্ঘ সময়েও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এরই মধ্যে অনেক শ্রমিক পরিবার আশুলিয়া ছেড়েছেন। যদিও রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সাক্ষ্য দিতে শ্রমিকরা আদালতে না আসায় মামলার বিচারকাজ এগোচ্ছে না। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, দীর্ঘদিনেও মামলা শেষ না হওয়ায় আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আদালতে গেলে তাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে তাজরীন ট্র্যাজেডির ১০ বছর স্মরণে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারখানাটির সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। ‘মৃতদের স্মরণ কর, জীবিতদের জন্য লড়াই কর’- এ আহ্বানে এসময় বক্তারা দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবি জানান।
সেখানে বক্তারা বলেন, ২৪ নভেম্বর ২০১২ সাল দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে এবং বাংলাদেশে একটি স্মরণীয় দিন। ১০ বছর পার হলেও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার দীর্ঘসূত্রিতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং স্বজনপ্রীতির দোষে আজও শাস্তি হয়নি তাজরীনের দোষী মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যদের। বদল হয়নি ক্ষতিপূরণের আইন, করা হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন।
মালিক, সরকার আর বায়ারের অবহেলা এবং অমোনোযোগে তাজরীন শ্রমিকরা প্রাণ হারালেও বিচারহীনতার ১০ বছর বলে দেয় শ্রমিকের জীবন ও স্বপ্নর কোনো মূল্য সরকারের কাছে নেই বলেও অভিযোগ করেন তারা।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১২ পোশাক শ্রমিক ও কর্মী নির্মমভাবে নিহত হন। আহত হন শতাধিক। গার্মেন্টস কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ওই ঘটনায় আশুলিয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামান। মামলায় চার্জশিটভুক্ত মোট ১৩ আসামির মধ্যে চারজন পলাতক এবং জামিনে আছেন ৯ জন।
আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান দুলাল। তাদের মধ্যে আল-আমিন, রানা, শামীম ও মোবারক পলাতক।
লুসাইল স্টেডিয়ামে আজ হলুদ জার্সিধারীদের জনস্রোত থাকবে। ৮০হাজার দর্শকক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামের বড় অংশ দখলে থাকবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের—এটা সহজেই অনুমেয়। মরুর বুকে যে হেক্সা মিশনে নামতে যাচ্ছে ব্রাজিল। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কিছুটা শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। দুই ফেভারিট আর্জেন্টিনা-জার্মানির প্রথম ম্যাচ তো তিক্ততায় কেটেছে। পুরো তিন পয়েন্ট খুইয়ে নকআউট পর্ব কঠিন করে ফেলেছে তারা। সেলেসাওরা এখন তাদের পথ অনুসরণ করবে নাকি উদ্ভাসিত জয় নিয়ে সমর্থকদের আনন্দে ভাসাবে?
প্রযুক্তিগত সুবিধার মাধ্যমে সকল ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীন এ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
২২ নভেম্বর মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান ও এটুআইয়ের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (যুগ্ম সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় এটুআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তহুরুল হাসান ও প্রোগ্রামের সার্ভিস ইমপ্লিমেন্টেশন এক্সপার্ট শাহাদাত হোসাইন এবং ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মাহাবুব মোর্শেদ ও আহমেদ জোবায়েরুল হক এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির আওতায় দেশের সকল শ্রেণীর নাগরিকগণ ইসলামী ব্যাংকের শাখা/উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট থেকে সরকারের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, সেলফিন, এমক্যাশ এবং কার্ডধারীগণ তাদের বিভিন্ন ধরণের সরকারী পাওনা পরিশোধ করতে পারবেন। জনগণের দোড়গোড়ায় আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এটুআই-প্রকল্প থেকে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সুবিধা পাবে।
এর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহকগণ ভবিষ্যতে বিভিন্ন সরকারি ভাতার উপকারভোগীসহ এটুআই-র সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৮৫০ ধরণের সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।