logo
Breaking News
সয়াবিনের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাবে...
দির দোকানে থরে থরে সয়াবিন তেলের সারি তেমন নেই। বাজারে সয়াবিন তেলের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। দোকানীর অভিযোগ কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন হলো, এ নৈরাজ্য ঠেকাবে কে? অসহায় ক্রেতা ব্যবসায়ীর মর্জি অনুযায়ী দাম পরিশোধ করছে। এতে কেউ কেউ ১৬৮ টাকার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা লিটার দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এ নৈরাজ্য দেখার কেউ নেই। সয়াবিনের প্রভাবে বেড়েছে সরিষা তেলের দামও। বাজার ঘুরে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও বিপাকে পড়েছে। টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা দুই লিটার তেল সংগ্রহ করতে পারতেন। এতে করে একটি ছোট পরিবার দশ দিন চলতে পারতো। কিন্তু ট্রাকে তেল কম থাকাতে অনেকেই দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেও তেল ছাড়া বাসায় ফিরতে হতো। তার পরেও দু’এক দিন চেষ্টা করলে তারা তেল সংগ্রহ করতে পারতেন। কিন্তু এখন ট্রাক বন্ধ থাকাতে তারা অনেকটাই বিপাকে পড়েছে। ২০০ টাকা কেজিতে তেল ক্রয় করা তাদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব না।
এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি সরিষা তেলের দাম ছিল ২০০-২২০ টাকা। তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩০০ টাকায়। বিকল্প ভোজ্য তেল হিসেবে ক্রেতা সরিষা তেল ক্রয় করার কারণে সরিষা তেলের দাম বেড়েছে। অসহায় ক্রেতা যাবে কোথায়।
বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন পবিত্র রমযান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর থেকেই বাজারে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়েছে, তারা রমযানের আগে তেলের দাম বাড়াতে পারবে না। তারা রমযানের পরে চিন্তা করবে। তাদের এ সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু রেজাল্টা হলো উল্টো। তারা মিটিং থেকে বের হওয়ার পরেই তেল সবরাহ কমে যায়। দেখা দেয় কৃত্রিম সংকট। তাহলে এ দায় কারা নিবে। দাম তো দোকানদার নিজে নিজেই বাড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নিবে। ইতোমধ্যে জনগণের পকেট থেকে শত কোটি টাকা চলে গেছে।
ক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকার নিচে দিচ্ছে না। আবার দোকানদার বলছেন, বেশি দামে বিক্রি করলে আমাদের পুলিশ জরিমানা করছে। এ কারণে অনেক  দোকানদার তেল বিক্রি বন্ধও করে দিচ্ছে। এতে করে বাজারে আরও বেশি সংকট দেখা দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ মের পর থকে সয়াবিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থেকে পাম অয়েল খোলা অবস্থায় বিক্রি করা যাবে না। এই সময়ের পরে সয়াবিন ও পামতেল বোতলজাত করে বিক্রি করতে হবে। একইসঙ্গে দাবি অনুযায়ী সয়াবিন ও পামতেলের দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এই দুই কারণেই মিল-মালিকরা বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে বোতলজাত তেল সরিয়ে রেখে নিজেদের মতো নির্ধারিত দামে খোলা সয়াবিন বিক্রি করছে। কারণ, বোতলজাত তেলের গায়ে লেখা দামের বেশি রাখার সুযোগ নাই। অপর দিকে খোলা সয়াবিন এবং পামতেলের দর নির্ধারিত করা থাকলেও বিষয়টি মনিটর করা সহজসাধ্য নয়। তাই আপাতত এই সুযোগটিই গ্রহণ করছে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা এক লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকায় বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বোতলজাত তেলের উপরের লেভেল ছিঁরে তা বেশি দামে বিক্রি করছে। অনেকে আবার বোতলের তেল কেটে তা বেশি দামে বিক্রি করছে। কারণে বোতলের গায়ে তেলের দাম লেখা রয়েছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই। বাজার মরিটরিং করার কবথা থাকলেও তা চোখে পড়ছে না। আর সুয়োগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে বাজারে সয়াবিনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা সয়াবিন ও পামতেলের মজুত গড়ছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ বিষয়টি টের পেয়ে মাঠে নেমেছে, দায়ী ব্যক্তিদের সাজা দেয়ার সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা এবং সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করার অপরাধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ‘মায়ের দোয়া স্টোর’কে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, সেখানে ১২০-২৫ ব্যারেল তেল পাওয়া গেছে। আরও বেশি হতে পারে। তারা আবার সাধারণ মানুষের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রি করছে। তাদের কাছে মূল্য তালিকা নেই। বিক্রির পরিমাণ খুব কম। দাম আরও বাড়লে বিক্রির পরিকল্পনা করছিল। অথচ বাজারে তেল নেই। কৃত্রিম সংকট তৈরির একটা পায়তারা তাদের ছিল। এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা আমরা সেখানে টাঙানোর ব্যবস্থা করেছি।
এমন পরিস্থিতিতে বাজারে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি ঠেকাতে যৌথ অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এদিকে রাজধানীর অনেক বাজারের এবং পাড়া মহল্লার মুদি দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব দোকানে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে, তা বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, সয়াবিন তেলের সংকটের খবর পাওয়া গেছে। কদিন ধরে এ সংকট শুরু হয়েছে, যা এখন প্রকট। ফলে অনেক দোকানে এখন প্রতি লিটার তেলের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক আবুল কাশেম। তার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জে। তিনি জানান, খোলা তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক ছোট খাবারের হোটেল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তিনি জানান, আমাদের রান্না হয় এলপি গ্যাসে। সে গ্যাসের দামও বেড়েছে। বেড়েছে সয়াবিন তেলের দামও। আমাদের ছোট হোটেলগুলোতে খোলা সয়াবিন তেল ব্যবহার হয়। আর খোলা তেলের দামই বেশি বেড়েছে। সব মিলে এখন আর হোটেল চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি তেলের বাজার মৌলভীবাজারেও সয়াবিন তেলের সংকট। সেখানে তেল কিনতে গিয়ে ফিরে আসছেন খুচরা ক্রেতারা। কারও কাছে সয়াবিন থাকলেও সেটা গোপনে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সয়াবিন সরবরাহকারী কোনও প্রতিষ্ঠান তাদের তেল সরবরাহ দিচ্ছে না। ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) ওঠাতে পারছেন না তারা। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ বন্ধ রাখায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা গোলাম মাওলা জানিয়েছেন, অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা কোনও তেল মজুত করিনি। কোম্পানিগুলোই তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে অস্থিরতা কাজ করছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতিও আমাদের অনুকূলে নয়।
এ বিষয়ে সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা জানিয়েছেন, তারা আগের মতোই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল সরবরাহ করছেন। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা রমজান সামনে রেখে সয়াবিন মজুত করছেন। এজন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে। কারখানায় কোনও সমস্যা নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তারা এসেছিলেন তেলের দাম আরও বাড়ানোর বিষয়ে। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি- নট পসিবল (সম্ভব নয়)। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের প্রশ্ন করেই শেষ করবেন না, আপনারা বাজারেও ঢুকে পড়েন। আপনারা ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। নির্দিষ্ট করে বলেন- এটার বেশি দাম দেবেন না, সচেতন হোন ইত্যাদি।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই, দেখার...

করোনা মহামারিতে দফায় দফায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। আর সাধারণ মানুষের আয় না বাড়লেও ব্যায় বেড়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রীর দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মানুষের জীবনকে আরও কষ্টকর করে তুলছে। চাল তেল পেঁয়াজও সবজির দাম মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নি¤œ আয়ের মানুষ। গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোজ্যতেলের দাম বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। দ্রুত ভোজ্যতেলের দাম কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর রায়সাহেব এলাকার বাসিন্দা জাকির বলেন, দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত অকল্পনীয়ভাবে বেড়েই চলেছে। মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষেরা সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে। যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও ইনকাম বাড়তেছে না। এদিকে চালের দাম কমছে না প্রতিকেজি নাজিরশাইল, মিনিকেট ও বাসমতি নামের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬৫-৭০ টাকায়। এছাড়া মোটা মানের স্বর্ণা ও চায়না ইরি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রায়সাবে বাজার থেকে ভোজ্যতেল কিনছিলেন নাসিরউদ্দিন সরদার লেনের বাসিন্দা খালেদা আক্তার বলেন, দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম গত দুই বছর আগে দুই লেটার তেল কিনতাম ২০০ টাকা দিয়ে এখন সেখাতে কিনতে হচ্ছে ৩৪০ টাকা। দুই বছর ব্যবধানে বেড়েছে ১৪০ টাকা। পাশাপাশি চিনি আটাসহ অধিকাংশ নিত্যপন্যেও দাম। তাই সরকারের নিত্যপন্যেও দিকে নজর দিতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়াতে পাওে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাচঁ ভাইঘাটলেন মুদি পণ্যের ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, পাইকারি বাজার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছেই। আর এ কারণে খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি জানান, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৩৫ টাকায় থেকে ৩৪০ টাকা, এক লিটারের তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় উঠেছে। এর সঙ্গে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের সবজি। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, মাছ ও মুরগির দাম।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন বরবটি। এ সবজিটি কিনতে ক্রেতাদের কেজিপ্রতি ব্যয় করতে হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
কেজি একশ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে আরও দুটি সবজি। এর মধ্যে বাজারে নতুন আসা ঢেঁড়শের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ভালো মানের করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে নি¤œমানের করলা কোথাও কোথাও ৬০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে।

বরবটি ও ঢেঁড়শের এমন দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের কাশেম বলেন, বাজারে নতুন আসা ভালো মানের বরবটির দাম এখন একটু বেশি। এই বরবটি খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নি¤œমানের কিছু বরবটি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ঢেঁড়শ নতুন এসেছে। এখন যে ঢেঁড়শ পাওয়া যাচ্ছে তার মান খুব ভালো, ভালো জিনিস নিতে খরচ একটু বেশি করতে হবে এটাই স্বাভাবিক।

এদিকে গত সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী বাছাই করা পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা বিক্রি করছেন। পেঁয়াজের দামের বিষয়ে কলতাবাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা হয়েছিল। মাঝে পেঁয়াজের দাম কমে ৪৫ টাকায় নামে। কিন্তু দুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম আবার ৬০ টাকা হয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে আমাদের এমন বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে আলু। গত সপ্তাহে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা। এ তালিকায় আরও রয়েছে টমেটো। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে এখন ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। শালগমের (ওলকপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দামে পরিবর্তন আসেনি।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। গরুর মাংস বাজার ভেদে ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমও গত সপ্তাহের মতো ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোলমাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা।

এককেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

টিপু হত্যা: যেসব প্রশ্নের উত্ত...

ক্ষমতার আধিপত্য, টেন্ডার, চাঁদাবাজি নাকি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব খুন করা হয়েছে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাকি পেছনে আরও কোনো কারণ আছে। এসব প্রশ্ন মাথায় রেখেই এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাস মালো।

টিপু হত্যায় জড়িতদের ছাড় নয়, দ্রুতই রহস্য উদঘাটন

তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য পুলিশকে জমি দিলেন শিল্পপতি

মাদকসেবীর হাতে নিরাময় কেন্দ্রের কর্মকর্তা খুন

বাংলাদেশ জার্নালকে ঠাকুর দাস বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা সবকিছুই বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে আমরা বেশি কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। তবে সবার আগে শুটার খুনিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যে ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে পেশাদার শুটার। না হলে এভাবে অতর্কিতে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক তৈরি করতো না। তার এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশার আরোহী সামিয়া আফনান প্রীতি (২২) নিহত হন। চিকিৎসকরা টিপুর শরীরে ১৬টি গুলির চিহ্ন পান। ওই শুটারকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার ইন্ধনদাতাদের চেনা যাবে। এর জন্য গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে দলীয় কোন্দল ও মতিঝিল এলাকার ফুটপাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল টিপুর। যার সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা টিপুর অনুসারীদের। মামলায়ও দলীয় কোন্দলের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন বাদী টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত আসন ১, ১১, ১২ ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি। এছাড়া মোবাইল ফোনে হুমকির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। কিলাররা ছিল প্রশিক্ষিত। আগে থেকেই তারা টিপুকে রেকি করছিল।

এ বিষয়ে নিহত টিপুর সহযোগী বায়জীদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, টিপু ভাইকে অনেক ক্ষোভ নিয়ে টার্গেট করেই হত্যা করা হয়েছে। কারণ খুনি তিনবার করে এসে তাকে গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত হবার পরও তাকে বৃষ্টির মতো গুলি করা হয়। খুন করার সময় খুনির আশেপাশেই হয়তো নির্দেশদাতা ছিল। নাহলে পরপর এতোগুলো গুলি করতো না।

কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা চানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ভাইয়ের সাথেই রাজরীতি করেছি। দিনের অনেকটা সময় ভাইয়ের সাথে থাকা হতো। তবে তিনি কখনো কারো ক্ষতি করেননি। আর তিনি নিজের মধ্যেই সবকিছু রাখতে পছন্দ করতেন। পেছনেই আমার বাসা। নিজের কষ্টগুলোও শেয়ার করতেন না।

এদিকে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, টিপু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত, নাটের গুরু কারা সবকিছুই গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে নিয়ে আসা হবে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, কিলিং পলিটিক্যাল কিনা সেই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না। আশা করি খুব শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারব।

শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বিপরীত পাশে ফুটপাতের পাশে বয়স্ক একজন চা দোকানি প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত চা বিক্রি করতেন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমি প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত চা বিক্রি করি। তবে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার এই এলাকার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় ৯টার মধ্যেই দোকান বন্ধ করে চলে যাই। তবে কিছু পরেই হই হুল্লোড় শুনে বের হয়ে দেখি সবার ছোটাছুটি। বিপরীত পাশের রাস্তাটা ফাঁকা ও ট্রেনের সিগনাল থাকায় খুনিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। খুনিদের জন্য দিনটা অনেক ভালো ছিল।

এ ঘটনায় পথচারী কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি (২২) গুলিতে নিহত হন। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ টিপু ও প্রীতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। চিকিৎসকরা প্রীতির শরীরে একটি গুলির চিহ্ন পান।

প্রীতির গায়ে গুলি লাগার বিষয়ে তার বন্ধু সুমাইয়া বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ঘটনার সময় আমরা গাড়ির আগেই ছিলাম। গোলাগুলির সময় আমি লাফ দিয়ে নেমে যাই। গুলিটা কখন লেগেছিল জানতে চাইলে সুমাইয়া বলেন, আমি আগেই লাফ দিয়েছিলাম। প্রীতির গায়ে কখন গুলি লেগেছে আমি দেখিনি। আমি খুব অসুস্থ এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

শুক্রবার নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলাতেও দলীয় কোন্দল বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন বাদী টিপুর স্ত্রী। এছাড়া মোবাইল ফোনে হুমকির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

তবে মামলা করতে রাজি নন নিহত প্রীতির বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এটা একটা দুর্ঘটনা। আমার মেয়ে যেভাবে মারা গেছে সেটা হঠাৎ। একজনের জন্য আরেকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আমরা মামলা করিনি। আর মামলা করার কোনো পরিকল্পনাও নেই। আমার কেমন কষ্ট হচ্ছে সেটা আমি জানি। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে মানুষ করেছি। সে সংসারের হাল ধরবে। বাড়ির কাছে এসেও আমার মেয়ের বাড়ি ফেলা হলো না।

স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, মতিঝিল এলাকার টেন্ডারবাজি, মার্কেট নিয়ন্ত্রণ ও বাড়ি নির্মাণের চাঁদাবাজির পুরোটাই এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন টিপু। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগ নেতা খালেদ ও ঠিকাদার জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেসবের একক নিয়ন্ত্রণ চলে আসে টিপুর হাতে।

গোয়েন্দারা বলছেন, ঘটনার সময় গাড়িতে অবস্থান করা আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বসহ বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এছাড়াও টিপুর পরিবারের সদস্য এবং তার কাছের লোকজনদের কাছ থেকেও তথ্য নেয়া হচ্ছে। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কিছু মোটিভ পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুর এলাকায় যানজটে আটকে থাকা মাইক্রোবাসে অবস্থানরত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে পালিয়ে যায় এক দুর্বৃত্ত। এতে জাহিদুল ইসলাম টিপু ও তার গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (৩০) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের পাশে আটকে থাকা একটি রিকশার আরোহী প্রীতি নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীও গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জাহিদুল ও প্রীতির মৃত্যু হয়। জাহিদুলের গাড়িচালকের হাতে গুলি লাগায় তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন।

নিহত জাহিদুল ইসলাম মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও ছিলেন। আর নিহত রিকশা আরোহী প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলো।

২৮ মার্চের হরতালে গণপরিবহন চলব...

বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আগামী ২৮ মার্চের হরতালে ঢাকা ও আন্তজেলা রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল করবে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। 

আজ শনিবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা ২৮ মার্চের হরতালের ব্যাপারে ঢাকাস্থ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে একটি যৌথ সভা হয়েছে আজ বিকেলে। 

সভায় পরিবহন নেতারা জানিয়েছেন, অযৌক্তিক ও খোঁড়া অজুহাতে ডাকা এ হরতাল মালিক-শ্রমিকেরা কখনো সমর্থন করে না। তাই ২৮ মার্চ ঢাকা শহর এবং আন্তজেলার সকল রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে।

তবে হরতালের দিন গাড়ি চলাচল যাতে কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। 

মালিক-শ্রমিকদের যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাধারন সম্পাদক  খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সভায় সায়েদাবাদ, মহাখালী, ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ ঢাকাস্থ প্রায় সকল পরিবহন কোম্পানী এবং রুট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী উপস্থিত ছিলেন। 

ভোজ্যতেল, চাল-ডাল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ সারাদেশে আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

মানুষের রক্তে প্লাস্টিকের কণার...

মানুষের রক্তে প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণায় প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষের রক্তেই প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণার উপস্থিতি মিলেছে। সাধারণত এসব প্লাস্টিকের কণা পানীয়ের বোতল,

 খাবারের প্যাকেজিং এবং জামাকাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এগুলো স্বাস্থ্যের ওপর কীরূপ প্রভাব ফেলছে সেটি জানা যায়নি। 

গবেষকেরা বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে প্লাস্টিকের কণা শরীরে প্রবেশ করে। এমনকি খাবার ও পানীয়র মাধ্যমেও শরীরে প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করতে পারে। 

গবেষকেরা ২২ জনের রক্ত পরীক্ষা করেন। গবেষণা ফলাফলে ২২ জনের রক্তের নমুনা বিশ্লেষণে প্রায় ১৭ জনের রক্তে প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অর্ধেক নমুনায় মিলেছে পিইটি প্লাস্টিক, 

যা সাধারণত পানীয়ের বোতলগুলোতে ব্যবহৃত হয়। আর এক-তৃতীয়াংশে পাওয়া গেছে পলিস্টেরিন, যা খাবার ও অন্যান্য পণ্য প্যাকেটজাত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এক-চতুর্থাংশে মিলেছে পলিথিন, যা প্লাস্টিকের ক্যারিয়ার ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 

নেদারল্যান্ডসের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটি আমস্টারডামের ইকোটক্সিকোলজিস্টের অধ্যাপক ডিক ভেথাক বলেন, ‘১০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে আটজনের দেহেই প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। 

বিষয়টি অবশ্যই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয়। রক্তে প্লাস্টিকের কণাগুলো রয়েছে এবং সেটি পুরো শরীরে ভেসে বেড়াচ্ছে। ঠিক কী পরিমাণ প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি থাকলে সেটি অনিরাপদ হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’ 

অধ্যাপক ডিক ভেথাক বলেন, ‘আমাদের গবেষণাতেই প্রথম মানুষের রক্তে প্লাস্টিকের কণা থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এটি একটি যুগান্তকারী গবেষণার ফল।’ 

ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত এবং পরীক্ষার জন্য নমুনার সংখ্যাও আরও বাড়ানোর কথা বলেন অধ্যাপক ডিক ভেথাক।  

দাতব্য সংস্থা কমন সিজের প্রতিষ্ঠাতা জো রয়েল বলেছেন, ‘২০৪০ সাল নাগাদ প্লাস্টিক উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। এসব প্লাস্টিক শরীরে কী করছে তা জানার অধিকার আমাদের আছে।’

উল্লেখ্য, এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছিল প্লাস্টিক দূষণ কমানো নিয়ে কাজ করা দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো ডাচ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও কমন সিজ। 

আশা জাগিয়ে হার টাইগ্রেসদের

অস্ট্রেলিয়া ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ এবারই প্রথমবার খেলতে গেছে বিশ্বকাপে। এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা, জাগিয়েছিল জয়ের আশাও।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সংগ্রহ খুব বেশি ছিল না। তবে ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেসদের তোপে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪১ রানেই ৪ উইকেট হারানো অজি নারীরা ৭০ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। 

দাপুটে বোলিংয়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে সেই স্বপ্নে পানি ঢেলে দিয়েছে বেথ মুনি ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড জুটি। দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পরিধি কমিয়ে আনা হয় ৪৩ ওভারে। বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে টাইগ্রেসরা।

জবাবে ৬৫ বল হাতে রেখেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার। ওপেনিং জুটিতে ৩৩ রান করেন দুই ব্যাটার। মুর্শিদা ১২ রানে আউট হওয়ার পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাঘিনীরা। ৯৫ রানের ভেতরে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে জ্যোতির দল।

ষষ্ঠ উইকেটে লতা মন্ডল ও সালমা খাতুন প্রতিরোধ গড়েন। ধীরগতিতে ৩৭ রানের জুটি গড়েন দুই ব্যাটার। ৬৩ বলে ৩৩ রান করে মাঠ ছাড়েন লতা। ২৩ বলে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন সালমা।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার ও জেস জেনাসেন দুইটি করে উইকেট নেন।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেম উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান পায় অস্ট্রেলিয়া। এলিসা হিলিকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন সালমা খাতুন। পরের ওভারেই মেগ ল্যানিংকে বোল্ড করেন সালমা। ঠিক তারপরের ওভারেই র‌্যাচেল হেইনসকে শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে ভীষণ চাপে ফেলে দেন সালমা খাতুন। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

তাহলিয়া ম্যাকগ্রাথকে নাহিদা আক্তার ও গার্ডনারকে রুমানা আহমেদ সাজঘরের পথ দেখান। ৭০ রানের ভেতরেই অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচ জমিয়ে জয়ের স্বপ্নও দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতেই একপ্রান্তে দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন বেথ মুনি। অর্ধশতক তুলে নেন এই অজি ব্যাটার।

মুনির অর্ধশতকের সুবাদে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ উইকেটে মুনি ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ৬৬ রানের অবিছিন্ন জুটি গড়েন।

বাংলাদেশের সালমা খাতুন ৯ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাহিদা আক্তার ও রুমানা আহমেদ।

মোশন ভিউ ও ইনফিনিক্স মোবাইলের...

এখন থেকে দেশব্যাপী মোশন ভিউয়ের সব আউটলেট ও অনলাইন স্টোরে ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের মোবাইল পাওয়া যাবে। মোশন ভিউয়ের আউটলেট থেকে ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের যেকোনো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা পাবেন আকর্ষণীয় সব অ্যাকসেসরিজ উপহার। 

এ লক্ষ্যে সম্প্রতি গুলশানে ইনফিনিক্স বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইল অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেটস আমদানিকারক এবং বিপণন প্রতিষ্ঠান মোশন ভিউয়ের সঙ্গে ইনফিনিক্স মোবাইলের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনফিনিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লয়ি ল্যু, মোশন ভিউয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইমরুল হাসান, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল হক প্রমুখ।

মোশন ভিউয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরুল হাসান বলেন, এখন থেকে দেশের ক্রেতারা খুব সহজেই মোশন ভিউ থেকে তাদের পছন্দের ইনফিনিক্স মোবাইল কিনতে পারবেন। বর্তমানে মোশন ভিউয়ের ১১টি ব্র্যান্ড আউটলেট চালু আছে এবং আরো ৩০টি নতুন স্টোর দেশব্যাপী চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, মোশন ভিউ বর্তমানে অ্যামেজফিট, ওয়ানপ্লাস, হেলিউ, লেনোভো, রিয়েলমির মতো বহুজাতিক গ্যাজেট কোম্পানির অনুমোদিত ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর। দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় তাদের বিপণন চালু আছে এবং দুই হাজারের অধিক রিটেইলে তাদের পণ্য পাওয়া যায়।

 বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের অরিজিনাল স্মার্ট গ্যাজেট, যেমন স্মার্ট ওয়াচ, পাওয়ার ব্যাংক, ইয়ারফোন, স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

রুশ ক্রুজ মিসাইলে বিধ্বস্ত ইউক...

শুক্রবার ছয়টি রাশিয়ান ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স কমান্ড সেন্টার। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে যে, তাদের আক্রমণ দ্বিতীয় মাসে প্রবেশ করার সাথে সাথে পুতিনের বাহিনীর আক্রমণ আরও জোরদার করেছে।একটি বিবৃতিতে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জোর দিয়ে বলেছে যে, বিমান হামলার ফলে কমান্ড সেন্টারের অবকাঠামোর ‘উল্লেখযোগ্য ধ্বংস’ হয়েছে যদিও ফলাফলগুলি এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি যোগ করেছে যে, কমান্ড সেন্টারটি ভিনিশিয়ার মধ্য পশ্চিম শহরটিতে অবস্থিত।এর আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের দাবি অস্বীকার করেছেন যে, রাশিয়া এবং ইউক্রেন ঐক্যমতের কাছাকাছি। শুক্রবার কুলেবা আঙ্কারার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের মধ্যে তাদের রাজনৈতিক ও মানবিক সমর্থনের জন্য।তবে আলোচনা চ্যালেঞ্জিং দাবি করে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ঐকমত্য নেই বলেও জানান তিনি। তিনি দাবি করেছেন যে, ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি, সেইসাথে নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার দাবিতে আপস করবে না।পূর্বে, এরদোগান বলেছিলেন যে, মিডল ইস্ট আই অনুসারে ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিরোধের ছয়টি পয়েন্টের মধ্যে চারটিতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনের ন্যাটো প্রার্থিতা ত্যাগ করবেন এবং রাশিয়ানকে দেশের অন্যতম সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন। সূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।