logo
Breaking News
পদ্মা সেতু উদ্বোধন: উচ্ছ্বাসিত...
স্বপ্ন নয় এখন বাস্তব। উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও পদ্মা সেতু উদ্বোধনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। 

আমাদের গর্ব পদ্মা সেতু: ওমর সানি 
আমার বাড়ি বরিশাল, গৌরনদী। জন্ম কালীগঞ্জ, জিঞ্জিরা, ঢাকা। আমার শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনা। পদ্মা সেতু আমার লাগবে, আপনার লাগবে। আমাদের গর্ব পদ্মা সেতু। আমাদের প্রথম অর্জন স্বাধীনতা আর দ্বিতীয় অর্জন পদ্মা সেতু। সমালোচনা নয় আসুন আমরা এক মুখে বলি, আমাদের পদ্মা সেতু।

এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু: শাবনূর 
স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। স্থাপত্য শিল্পের এক শ্রেষ্ঠ স্থাপনা এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন। আমাদের গর্বের এই সেতু উদ্বোধন হওয়াতে আমিও আজ সবার সঙ্গে মহাসুখে উচ্ছ্বসিত, উদ্বেলিত ও আনন্দিত। 

পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান: নিপুণ 
পদ্মা সেতু আমাদের আত্মমর্যাদা, আমাদের অহংকার। শতবাধা, ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। এটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর জন্যই সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী আপনাকে।

অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী: অপূর্ব 
স্বপ্ন, সাহস, সক্ষমতার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলো আজ। অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার টাকায় আমার সেতু বাংলাদেশের পদ্মা সেতু।

এত বছরের একটা অপেক্ষা শেষ হয়েছে: ইয়ামিন হক ববি
খুব ভালো লাগছে। এত বছরের একটা অপেক্ষা শেষ হয়েছে। খুবই সুন্দর একটি জিনিস প্রধানমন্ত্রী বাস্তবে রূপায়িত করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। 

পদ্মা সেতু সারা বাংলাদেশের মানুষকে এক করেছে: সাইমন সাদিক
পদ্মা সেতু সারা বাংলাদেশের মানুষকে এক করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাঙালি জাতি চাইলে অনেক করতে পারে। আমরা আবারও প্রমাণ করেছি। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু। শুভ কামনা। 

এখন আর বাড়ি যেতে ঝক্কি পোহাতে হবে না: তৌসিফ মাহবুব 
আমার গ্রামের বাড়ি ভোলা। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে বরিশাল পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে ফেরিতে করে ভোলা যেতে হতো আমাদের। এখন আর সেই বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হবে না। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত যেতে আগে ২৫০ থেকে ২৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো, যদি লঞ্চে না যাই। আর এখন সেটি ১০০ থেকে বড়জোর ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলেই চলবে। তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে পারবো! 

এটা তো স্বপ্নের মতো লাগে এখনও। এখন শুধু বরিশাল থেকে ভোলা পর্যন্ত ছোট্ট একটা ফেরি পার হওয়া লাগবে। এতে খরচ অনেক কমবে। অনেক সময়ও বাঁচবে। মোট কথা, আগে গ্রামে যেতে ভাবতে হতো- এখন চোখ বন্ধ করে ছুটবো। খুব সকালে রওনা দিলে ভোলায় গিয়ে নাশতা করাও সম্ভব! বাড়ি যাওয়ার গল্প শেষে এবার আসি শুটিং-জীবনে। শুটিংয়ের জন্য আমাদের অনেক লোকেশনে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। 

কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে পুরো ইউনিট নিয়ে যাওয়া অনেক খরচের ব্যাপার। এ কারণে কেউ সেই চিন্তাই করতো না। ২৫ জুন থেকে ৩০ জুন আমার একটি নাটকের শুটিং হওয়ার কথা ভোলায়। কিন্তু পরিচালক বারবার ভাবছিলেন, ৬০-৭০ জন মানুষ নিয়ে ভোলা পর্যন্ত যাওয়া অনেক ব্যয়বহুল। তবে পদ্মা সেতু হওয়ায় ইউনিটের মাইক্রো বাস ব্যবহার করে ভোলা চলে যেতে পারবো। এভাবে আমাদের জন্য বিভিন্ন লোকেশনে যাওয়া এখন থেকে সহজ হবে। আমার ও আমাদের এই দিন বদলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এই সেতুটি নির্মাণে জড়িত ছিলেন তাদের প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা। 

একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো: জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী 
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে শুটিংয়ের জন্য নতুন লোকেশন পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে অনুপ্রেরণাও জোগাবে বলে মনে করি। ফেরির ভয়ে বছরের পর বছর বাড়ি যাওয়া হয়নি। এমনও হয়েছে যে, বিমানে উড়ে যশোর গিয়েছি, সেখান থেকে বাড়ি গিয়েছি। এখন আমার জন্য বাড়ি যাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। এজন্য দারুণ ভালো লাগছে। আমি একদিন ছুটি পেলেও এখন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে চলে যাবো। 

কারণ, আমি জানি আমাকে আর ১২/১৪ ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হবে না। নিজের সুবিধার বাইরে দেশের মানুষ ও অর্থনীতির যে মেলবন্ধন ঘটবে এই সেতুর মাধ্যমে, সেটির কথা তো আর বলে শেষ করা যাবে না। তাই ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সেতুটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়োজিত প্রতিটি মানুষকে। যার মাধ্যমে, এমন একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো। 

গাড়ি নিয়ে দৌড় দেবো পদ্মা সেতুর বুকে: জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া 
ভাবতে ভাবতেই পদ্মা সেতু হয়ে গেলো! এটা ভাবলে এখনও বিশ্বাস হয় না। কারণ, প্রথম আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি এমন একটি সেতুবন্ধন দেখতে পাবো কখনও। এরপর যখন বিদেশি সমর্থন হারালাম, তখন তো সেই অবিশ্বাস আরও গভীর হলো আমাদের মনে। সব মিলিয়ে খুলনার মেয়ে হিসেবে এই সেতুটি আমার কাছে মনে হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। তারচেয়েও বড় গর্ব- সেতুটি আমাদের টাকায় হয়েছে। এটাও বাস্তবতা, টাকা থাকলেই সব কিছু হয় না। এটি বাস্তবায়ন করার মানসিকতা বা ভিশন লাগে। 

সেই সূত্রে শত বাধার মুখেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা করে দেখিয়েছেন। হ্যাটস অফ টু হার। অনেকে অনেকভাবে এই প্রাণের সেতুটি দেখেছেন এরমধ্যে। আমি সেটা পারিনি। কিংবা ওভাবে দেখতে চাইনি। কারণ, আমার স্বপ্ন এই সেতু দিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে আমি বাড়ি যাবো। এতোকাল গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সাহসটা পাইনি। এখন আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে কোনোদিন গাড়ি নিয়ে দৌড় দেবো পদ্মা সেতুর বুকে।
যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতে...

যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছর আগে এক মামলায় যে রায়ে গর্ভপাতকে বৈধ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট তা পাল্টে দেয়ার চিন্তা করছে - এমন এক নথি কয়েক সপ্তাহ আগে ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছিল।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ দশক আগেকার 'রো বনাম ওয়েড' নামে পরিচিত মামলার সেই যুগান্তকারী রায় সত্যিই পাল্টে দিয়েছে।
শীর্ষ আদালত গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দিয়ে গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষমতা প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে আনা এক মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিলে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার কার্যত রহিত হয়ে যায়।
রায়ে বলা হয়, "গর্ভপাতের অধিকার সংবিধানের আওতায় থাকতে পারেনা ... এবং গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণের অধিকার অবশ্যই মানুষের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিৎ।"
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এখন রক্ষণশীল বিচারকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার রহিত করার পক্ষে মতামত দেন ছয়জন বিচারক, বিপক্ষে দেন তিনজন।
ধারণা করা হচ্ছে এই রায়ের পর অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে অথবা এর ওপর নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। ইতোমধ্যেই ১৩টি অঙ্গরাজ্য এমন আইন পাশ করেছে যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সাথে সাথেই গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে।
এক জরিপে বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানধারণে সক্ষম তিন কোটি ৬০ লাখ নারী গর্ভপাতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
দক্ষিণ-পন্থী ও ধর্মীয় রক্ষণশীলদের জন্যে এই সিদ্ধান্ত অনেক বড় বিজয়। তারা ১৯৭৩ সালে গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটরা সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একে মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন নিষ্ঠুর এই সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনে নারীর অধিকারের বিষয়টি নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ রাশিয়া কে...

রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাবার পর জার্মানি এখন গ্যাস রেশন করার পথে হাঁটছে। জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, ঘাটতি মোকাবেলার জন্য দেশটিতে যে জরুরিকালীন গ্যাস পরিকল্পনা রয়েছে তা সক্রিয় করতে "সতর্ক সঙ্কেত" জারি করেছে দেশটি।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে ঘিরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মধ্যে যে অচলাবস্থা চলছে তার সবশেষ পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে তৈরি হয়েছে সঙ্কট।

জার্মানির অর্থ মন্ত্রী রবার্ট হাবেক বলেছেন ইইউর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দিতে রাশিয়া গ্যাসকে "অস্ত্র" হিসাবে ব্যবহার করছে।

"আমাদের চোখ বন্ধ করে থাকার মানে হয় না। গ্যাস সরবরাহ কেটে দেওয়াটা পরিষ্কার আমাদের ওপর [রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির] পুতিনের হামলা," বলেন হাবেক। তিনি আরও বলেন যে জার্মানিকে এখন গ্যাসের ব্যবহার কমাতে হবে।

"স্পষ্টতই পুতিনের কৌশল হল একটা নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করা, মূল্য বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দেওয়া এবং সমাজে একটা বিভক্তি সৃষ্টি করা," তিনি বলেন। "আর আমরা এর বিরুদ্ধেই লড়াই করছি।"

জার্মান মন্ত্রী হাবেক বলেছেন তিনি "আশা করছেন কখনই" জার্মানির শিল্পখাতে গ্যাস রেশন করার প্রয়োজন দেখা দেবে না, তবে তিনি বলেছেন: "অবশ্যই এই সম্ভাবনা নাকচ করা যাচ্ছে না।"

জরুরিকালীন পরিকল্পনা

জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হলে বা গ্যাসের চাহিদা খুব বেড়ে গেলে তা মোকাবেলার জন্য দেশটিতে তিন স্তরের একটি আপদকালীন পরিকল্পনা রয়েছে। জার্মানি এখন সেই পরিকল্পনার দ্বিতীয় স্তর কার্যকর করেছে।

গ্যাস মজুদ করার কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস ভর্তি করার প্রচেষ্টার জন্য জার্মান সরকার এখন ১৫ বিলিয়ন ইউরো (১৩ বিলিয়ন পাউন্ড) ঋণ দেবে।

জার্মানি এখন শিল্প খাতগুলোর কাছে গ্যাস নিলামে বিক্রি শুরু করবে যাতে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কম গ্যাস ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়।

দেশটিতে এই পরিকল্পনার দ্বিতীয় স্তর কার্যকর হওয়ার অর্থ হল সরবরাহকারী এবং গ্যাস নেটওয়ার্কের সাথে জড়িতেদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা। এর লক্ষ্য হল সরবরাহে বিঘ্ন এড়ানোর জন্য ভারসাম্য বজায় রাখতে গ্যাসের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া।

তবে, এরপরেও জার্মানি এখনও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বোঝা ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেবার পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও পরিকল্পনার দ্বিতীয় স্তরে সেটা করার একটা সম্ভাবনাও রয়েছে।

জরুরিকালীন পরিকল্পনার প্রথম স্তরে গ্যাস কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ চালু রাখার নিশ্চয়তা দিতে হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতিদিন অন্তত একবার অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত রাখতে হয়েছে এবং বিদ্যুতের গ্রিড যারা পরিচালনা করে তাদের গ্রিডে বিদ্যুত স্থিতিশীল রাখার নিশ্চয়তা দিতে হয়েছে।

জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তারা বলছে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে এখন স্বাভাবিক মাত্রার মাত্র ৪০ শতাংশ গ্যাস আসছে এবং এই মাত্রা অব্যাহত থাকলে আগামি শীতে প্রয়োজনীয় মজুদের ৯০ শতাংশ নিশ্চিত করতে জার্মানিকে বেগ পেতে হবে।

সরবরাহে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিলে এবং বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট গ্যাস না থাকলে, জরুরি পরিকল্পনার তৃতীয় স্তরে রাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এর অর্থ হবে সরবরাহ রেশন করে দেওয়া।

তৃতীয় স্তরে, প্রথমে শিল্প খাতে সরবরাহ সীমিত করা হবে। কিন্তু গৃহস্থালি ও হাসপাতালের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে।

যেসব দেশ ঝুঁকিতে

রাশিয়া গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দেবার প্রভাব এখন পড়েছে ইউরোপের বারোটি দেশে - বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইইউ-র পরিবেশ নীতি বিষয়ক প্রধান ফ্র্যান্স টিমারম্যান্স।

রাশিয়া গত সপ্তাহে যন্ত্রপাতির সমস্যা হচ্ছে এই যুক্তি দিয়ে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের মাধ্যমে তাদের গ্যাস সরবরাহ সক্ষমতা ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়, যার প্রভাব পড়েছে জার্মানিতে।

গ্যাস কেনার অর্থ পরিশোধের জন্য রাশিয়ার নতুন পদ্ধতি প্রত্যাখান করার কারণে রাশিয়া পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ রাশিয়া ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে।

ইনভেসটেক নামে তেল ও গ্যাস বিষয়ক গবেষণা সংস্থার প্রধান নাথান পাইপার বলেছেন রাশিয়া ইউরোপের দেশগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ সীমিত করা অব্যাহত রাখাটা "উদ্বেগজনক"।

"পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে তা এখন নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না," তিনি বলছেন। "রাশিয়া যে গ্যাসের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী এমন কথা এখন আর জোর দিয়ে বলা যাবে না।"

পাইপার বলছেন গ্যাসের সরবরাহ গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বিঘ্নিত হলে সেটা "ততখানি উদ্বেগের নয়", কিন্তু তিনি বলছেন শীতের সময় পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে এমন আশংকা আছে, কারণ সেসময় ঘরবাড়ি গরম রাখার জন্য গ্যাসের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে।

"এখন জার্মানিকে জরুরিকালীন ব্যবস্থার তৃতীয় স্তর কার্যকর করতে হয় কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে। কিন্তু শীত মরশুমে গ্যাসের দাম বেড়ে গেলে শিল্প খাতগুলো চাহিদা কমাতে বা নিজেরাই রেশন ব্যবস্থা চালু করতে চাইবে এমন সম্ভাবনা খুবই বেশি, কারণ মজুদ গ্যাস ছেড়ে দেয়া তখন অর্থকরী হবে না।"

৫,৯৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের...

বেনাপোল কাস্টমসে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৮০৮ কোটি টাকা বেশি। বন্দর ও কাস্টমসে শিগগির প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন ও সক্ষমতা বাড়ানো না হলে গত অর্থবছরগুলোর মতো চলতি অর্থবছরেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকার অনুমোদিত ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে সচল রয়েছে ১২টি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায় হয় এই বেনাপোল স্থলবন্দরে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সক্ষমতা না থাকায় বন্দরটি ১১ বছরে কখনো রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি।গত অর্থবছরে বন্দরটির রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি ছিল ৫৫৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য যেহেতু ৮০৮ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে, তাই এটা অর্জনে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লা বলেন, বন্দরে জায়গার অভাবে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকছে। রেলে পণ্য আমদানিতেও একই অবস্থা। এতে আমদানি খরচ বাড়ছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন পণ্য রাখার জায়গার দরকার হলেও আছে মাত্র ৪৫ হাজার মেট্রিক টনের। জায়গা বাড়ানো না হলে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব নয়।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ভারত অংশে কালিতলা পার্কিংয়ে দীর্ঘদিন ট্রাক আটকে থাকা এবং বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে দিনে ৩৫০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হয় না। ভারী পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ না থাকায় ব্যবসায়ীরা চাহিদামতো পণ্য খালাস নিতে পারেন না। কাস্টমসে পণ্য পরীক্ষণের জন্য বিএসটিআই বা বিএসআইআরের শাখা না থাকায় বন্দরের বাইরে থেকে পণ্য পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। খরচ করতে হয় ৫ গুণের বেশি অর্থ। গত বছর এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমেছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।

তবে আশার বাণী শুনিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে বন্দরের উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। দুই বছরের মধ্যে এসব শেষ হবে। তখন এসব সমস্যা আর থাকবে না।

হাওয়া’ বইছে সিনেমা হলে ?

প্রচারণার প্রাক কাল থেকে ‘হাওয়া’ বইছে প্রবল। সিনেমাটির গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ মন নাচিয়েছে। মুক্তির আগেই মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকের আকাঙ্ক্ষাও তৈরি হয়েছে বেশ। ব্যতিক্রম ছিল না এই অভাজনের ক্ষেত্রেও। বলতে পারেন প্রবল উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে রাতভর জেগে অনলাইনে টিকিট কাটা হয়। সিনেমার আনুষ্ঠানিক মুক্তির দিনই সকালের শো দেখা হলো। হলে ঢোকার আগে থেকেই উৎকণ্ঠা কাজ করছিল। প্রশ্ন জাগতেই পারে, একজন দর্শক হয়ে কেন উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার কথা বলছি? সেই উত্তর আসবে, তবে তার আগে হাওয়া সিনেমা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।‘হাওয়া’ যে স্থলের নয়, জলের গল্প—তা আর নতুন করে বলার মতো কিছু নয়। আটজন জেলে আর একটি নৌকা গভীর সমুদ্রে যাত্রা করে মাছ ধরার উদ্দেশে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জালে উঠে আসে জলজ্যান্ত মেয়ে। পালটে যায় ট্রলারের পরিস্থিতি ও মানুষগুলোর হাবভাব। সমুদ্রের আরও গভীরে এগোতে থাকে মাছ ধরার ট্রলার, এগোয় হাওয়ার গল্প। হাস্যরস, গান, অবিশ্বাস আর অলৌকিকতায় পরিসমাপ্তি হয় হাওয়ার।পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। নাটক বা টেলিফিল্মে বারবার চিরাচরিত নিয়ম ভেঙেছেন তিনি। তৈরি করেছেন নিজের ঘরানা। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রেও সেটির ব্যতিক্রম ঘটেনি। দর্শক খুব সহজেই অন্যান্য বাংলা সিনেমা থেকে হাওয়াকে আলাদা করতে পারবেন। হাওয়া সিনেমাটির কাহিনিকে যেভাবে দৃশ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তাতে দর্শকের মনযোগ অন্যদিকে যাওয়ার সুযোগ কম। নির্দেশক তাঁর পরিপক্ব হাতে সুতো গেঁথেছেন এই সিনেমার। যেহেতু সিনেমাটি জলের গল্প, তাই জলের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না তাঁর। সিনেমা নির্মাণের এই প্রতিবন্ধকতা তিনি উতরে গেছেন বেশ কৌশলের সঙ্গে। একটি ট্রলারে চিত্রায়িত চলচ্চিত্রটির প্রতিটি ফ্রেম ধরা হয়েছে চমকপ্রদভাবে।হাওয়া চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে বড় শক্তি এর অভিনয়শিল্পীরা। চঞ্চল চৌধুরী বরাবরের মতোই নতুন রূপে নিজেকে হাজির করেছেন হাওয়ায়। বলা যায় চান মাঝি চরিত্রের চঞ্চল চৌধুরী একাই ধরেছেন হাওয়ার পাল। তাঁর সঙ্গে দুর্দান্ত সংগত দিয়েছেন সুমন আনোয়ার। গত কয়েক বছরে অভিনয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। হাওয়া সিনেমার পর এই সুনাম আরও ছড়াবে বলেই বিশ্বাস।শরিফুল রাজ বাংলা সিনেমার নতুন আবিষ্কার। যে কোনো চরিতে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষমতা আছে এই অভিনেতার, অভিনয় সাবলীল। একমাত্র নারী ‘গুলতি’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি। গভীর সমুদ্রে নোঙর করে যেভাবে আটকে থাকে জাহাজ, তেমনই রহস্যময় এই চরিত্রটির চোখে যেন আটকে পড়ে সবাই। ওদিকে নাসির উদ্দিনের অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অভিনয়ের ম্যাচে ইয়র্কারেও তিনি ছক্কা মারেন। শুধু নাসির উদ্দিনকে দেখার জন্য হলেও দর্শকদের হলে যাওয়া উচিত। সোহেল মন্ডল বড় একটা সময় ধরে দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন। পার্কিস চরিত্রে রিজভি পুরোটা সময় ছিলেন প্রাণবন্ত।

‘হাওয়া’ সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফি এক কথায় অপূর্ব। পুরো সিনেমাটি এক নৌকায় শুট  করা হলেও, একঘেয়েমি লাগে না মোটেও। বরং দৃশ্য গ্রহণের ভিন্নতা, আলোর ব্যবহার পুরোটা সময় স্ক্রিনে চোখ রাখতে বাধ্য করে। চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু তাঁর ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে বঙ্গোপসাগরকে দেখিয়েছেন। সিনেমাটির চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি এর এডিটিং, কালার গ্রেডিং ও ভিএফএক্সের কাজও দুর্দান্ত লেগেছে।

‘হাওয়া’ দেখে প্রাপ্তির তালিকা বেশ লম্বা। তবে ছোট ছোট অপ্রাপ্তিও রয়ে গেছে। হিসাব মেলাতে গেলে সেসব হয়তো খুচরা পয়সার মতোই। তবে খুচরারও নিশ্চয়ই মূল্য আছে। সমালোচনায় বলা যায়, ছবিটির একটি সংলাপও মাথায় গেঁথে যেতে পারেনি। গল্পের প্লট পয়েন্টগুলোতে পৌঁছানোর আগে আরও একটু ড্রামা তৈরি করা যেত। একমাত্র নারী চরিত্রের অভিনয়ে বৈচিত্র্য আসতেই পারত। শুধু সুন্দর চোখে তাকিয়ে থাকাই কি সব? আবার সিনেমার চরিত্রদের পেছনের গল্প জানা যায় স্বল্প পরিসরে। হয়তো নির্দেশক স্থলে পা রাখতে চাননি বলে খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে গেছেন বিষয়টি।

শুরুতে উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার কথা বলছিলাম। ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি যে তুমুল প্রত্যাশা সৃষ্টি করে হলে এসেছে, সেটি সিনেমা দেখার পর দর্শকের মধ্যে কতটুকু থাকে—সেটাই এখন দেখার বিষয়। নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন ডার্ক থ্রিলার জঁনরা নিয়ে কাজ করেছেন ছবিটিতে। এ ধরনের জঁনরা দর্শক হিসেবে আমরা কতটুকু নিতে প্রস্তুত, সেটাও আলোচনার বিষয়। ‘হাওয়া’য় বয়ে আসবে বাংলা সিনেমার সুদিন—এমন আলাপে আমাদের আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে অনেকগুণ। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, সিনেমাটি দেখার আগে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা বাসায় রেখে হলে যাবেন দয়া করে। কারণ প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট হওয়ার চেয়ে একটি ভালো চলচ্চিত্র উপভোগ করা বরং প্রকৃষ্ট।

শোকের জনপদ হাটহাজারীর খন্দকিয়া...

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে আমরা হস্তান্তর করেছি।

নিহত ১১ জন হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার ‘আর অ্যান্ড জে’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীদুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজি মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোচালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯)।

শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় মীরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন এই ১১ জন।

স্থানীয়রা জানান, রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন প্রায় এক কিলোমিটার সামনে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসছিলেন।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, ট্রেনটি বড়তাকিয়া স্টেশন পার হওয়ার সময় লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে রেললাইনে উঠে যায় মাইক্রোবাস। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।


মাঙ্কিপক্সে ব্রাজিলে প্রথম মৃত...

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। আফ্রিকার বাইরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম কারো মৃত্যু হলো। গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার বেলো হরিজন্তে শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার অবস্থা গুরুতর ছিল।ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত করেছে। সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে সাও পাওলো ও রিও ডি জেনিরোতে। গত ১০ জুন ইউরোপফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম মাঙ্কিপক্স ভাইরাস খুঁজে পায় ব্রাজিল।

মাঙ্কিপক্সের বর্তমান প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভুক্তভোগী দেশ স্পেন। স্প্যানিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯৮ জন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে। তাদের ইমারজেন্সি অ্যালার্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার শুক্রবার এক নোটে বলেছে, প্রাপ্ত তথ্যসহ ৩ হাজার ৭৫০ জন (মাঙ্কিপক্স) রোগীর মধ্যে ১২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন।

মারা যাওয়া রোগীর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি স্প্যানিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। বলেছেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। খবর: আলজাজিরা

সঞ্জয় দত্ত স্ক্রিপ্ট না পড়েই ম...

চার দশকে নানা সময়ে বিচিত্র মোড় নিয়েছে সঞ্জয় দত্তর ক্যারিয়ার। লাভার বয় থেকে প্রতিনায়ক, অ্যাকশন হিরো থেকে অগ্নিপথ ও কেজিএফের মতো সিনেমায় খলনায়ক হয়েছেন তিনি। তবে এর আগেই ‘খলনায়ক’ সিনেমার কারণে সেটিই হয়ে গিয়েছিল তার নাম। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে অস্ত্র মামলার কারণে তার ক্যারিয়ারে লেগেছিল দাগ। এর পরের ঘটনাক্রম আন্দাজ করাই যায়। একাধিক ফ্লপ ও ক্যারিয়ারে ধস। তবে দর্শক মনে রেখেছে মহেশ মঞ্জেরকার পরিচালিত ১৯৯৯ সালের ‘বাস্তব’ ও সঞ্জয় গুপ্তর ২০০২ সালের ‘কাঁটে’। কিন্তু তাতে সঞ্জয়ের ‘ব্যাড বয় ইমেজ’ আরো গেড়ে বসল যেন। রাজকুমার হিরানীর ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ দিয়ে বদলেছিল সঞ্জয়ের ইমেজ ও ক্যারিয়ার গ্রাফ। কিন্তু মজার ব্যাপার সিনেমা করার আগে স্ক্রিপ্টই পড়েননি সঞ্জয়। সিনেমার প্রস্তাব সঞ্জয়ের কাছে এনেছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়া। সঞ্জয়ের বক্তব্য হলো, ‘বিধু আমাদের পরিবারেই একজন। সে যদি স্ক্রিপ্ট আনে তা পড়ার দরকার হয় না।’ তবে পড়েছিলেন সঞ্জয় দত্তের বোন প্রিয়া দত্ত। গ্যাংস্টার বা মবস্টার চরিত্র সঞ্জয় আগেও করেছিলেন। তাই প্রিয়ার মনে হয়েছিল এটাও তেমন কিছু হবে। তার ভাষায়, ‘‘আমি ভেবেছিলাম এটা একটা গ্যাংস্টার মুভি। সঞ্জয় আবার কোনো এক ‘ভাই’য়ের চরিত্রে অভিনয় করবে। হ্যাঁ, সেটা তো হতেই পারে।’’ কিন্তু তারা তখনো বোঝেননি, হিরানীর মুন্না ভাই আর দশজন গ্যাংস্টারের মতো না। হিরানীর লেখনি তাকে ভালোবাসার পাত্র হিসেবে রচনা করেছে। ভক্ত ও সাধারণ মানুষের কাছে সঞ্জয়ের ইমেজ বদলে দিয়েছিল চরিত্রটি। এক সাক্ষাত্কারে সঞ্জয় দত্ত নিজেও বিষয়টি স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আজো আমার এ সিনেমা ও চরিত্রটি নিয়ে দর্শকের ইতিবাচক মনোভাব আমাকে আনন্দ দেয়। খুব কম অভিনেতাই এমন একটি সুযোগ পায়। সত্যি বলতে, ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন উভয় ক্ষেত্রেই মুন্না ভাই আমার ইমেজ বদলে দিয়েছে।’ মুন্না ভাইয়ের পর সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে বলিউড। নব্বইয়ের সঞ্জয় না, দর্শক নতুন নতুন চরিত্রে তাকে চাইতে শুরু করল এবং প্রযোজক পরিচালকরাও সে চেষ্টা করেন। একে পুনরুত্থান বললে ভুল হয় না। অন্যদিকে সিনেমাটি দর্শকের পাশাপাশি সমালোচকরাও পছন্দ করেছিলেন। সরল কিন্তু সবল চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের কারণে তারা বাহবা দেন। ১০ কোটি রুপিতে নির্মিত সিনেমাটি আয় করেছিল ৪১ কোটি রুপি।তবে হিরানী ও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ উঠেছিল। সঞ্জয়ের জীবনীভিত্তিক ‘সাঞ্জু’ নির্মাণ করে তারা নাকি সঞ্জয়ের ইমেজ ঠিক করতে চেয়েছিলেন। সঞ্জয় এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘আমি এটুকুই বলতে চাই যে মুন্না ভাইয়ের মাধ্যমে একটা ইমেজ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ৩০-৪০ কোটি রুপি খরচ করে আবার সেটা করার তো প্রয়োজন নেই। আমি শুধু সত্যটা জানিয়েছি আর ভারত সেটা মেনেও নিয়েছে। বক্স অফিসের আয় তো তাই বলে।’

সূত্রদি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস