ছোট্ট একটা পোস্টকে টেনে আনলেন সময়ের আলোচিত নায়ক সিয়াম আহমেদকে। বললেন, ‘সিয়ামকে সিনেমার বাইরে কোনও নায়িকার হাত ধরে চটকা-চটকি করতে দেখি নাই কোনোদিন। তার এই ব্যাপারটা আমার হেব্বি লাগে।’
স্বামী-সংসার-সন্তানকে ঘিরে প্রেমময় সব পোস্টের বাইরে গিয়ে অনেক দিন পর পরীমণি সেই আগুনের সলতেটা জ্বালালেন।
পরীমণির এই ব্যতিক্রম সার্টিফিকেট ধরে আগুন লেগেছে মিডিয়াতেও। অনেকেই পেছনের গল্পটা খুঁজতে মাঠে নেমে পড়লেন। পেলেন কিছু সাম্প্রতিক ঘটনাও।
যার
মধ্যে
ঘুরেফিরে উঠে
এসেছে
মঙ্গলবার (১১
অক্টোবর) আয়োজিত
‘দামাল’
সিনেমার সংবাদ
সম্মেলন। যে
মঞ্চে
হাজির
ছিলেন
ছবির
দুই
নায়ক
সিয়াম
আহমেদ,
শরিফুল
রাজ
ও
নায়িকা
বিদ্যা
সিনহা
সাহা
মিম।
অনেকেই
বলছেন,
মূলত
এই
মঞ্চটিকে ঘিরেই
পরীমণি
এমন
বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন।
কারণ,
এদিন
মঞ্চে
অনেকটা
সময়
মিমের
হাত
ধরে
দাঁড়িয়ে ছিলেন
পরীপতি
রাজ।
সিয়ামের হাত
ছিল
বরাবরই
ফাঁকা!
আবার
অনেকে
এটাও
বলছেন,
সিয়াম-পরী একসঙ্গে অভিনয়
করেছিলেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমায়। হতে
পারে
একসঙ্গে কাজ
করার
অভিজ্ঞতা থেকেও
নায়কের
প্রতি
এই
মুগ্ধতা প্রকাশ
করেছেন
পরী।
হঠাৎ
এমন
পোস্টের কারণ
জানতে
চাইলে
পরীমণি
বলেন,
‘আমি
কি
ভুল
বলেছি?
আপনি
দেখেছেন কখনও
সিয়ামকে সিনেমার বাইরে
কোনও
নায়িকার হাত
ধরতে!
দেখলে
বলেন।’
এদিকে
সমালোচকরা আরও
একটি
পুরনো
ঘটনা
জোড়া
লাগালেন পরীর
আজকের
প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে।
৮
অক্টোবর মধ্যরাতে বিদ্যা
সিনহা
মিম
একটি
স্ট্যাটাস দেন।
যেখানে
তিনি
লেখেন,
‘অহংকার
পতনের
মূল।
জাস্ট
ওয়েট
অ্যান্ড সি।’
পোস্টটি দিয়েছেন ‘দামাল’
ছবির
আরেকটি
প্রচারণা শেষে।
পরীমণির আজকের
পোস্টের পর,
অনেকেই
বলছেন
মিমের
সেই
পোস্ট
ছিল
পরীকে
ঘিরেই!
যদিও
এ
বিষয়ে
আর
কোনও
মন্তব্য করেননি
মিম।
এদিকে,
পরীর
এমন
পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় রাজ-ভক্তরাও পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন সিনেমার গ্রুপে
দেদার
শেয়ার
হচ্ছে
সিয়াম-পরীর হাত ধরাধরির বিভিন্ন ছবি।
যেখানে
অনেকেই
রাজকে
উদ্দেশ
করে
লিখছেন,
‘সিয়াম
কিন্তু
পরীমণির হাত
ধরলেও
চটকা-চটকি করে নাই!
শরিফুল
রাজ,
আপনিও
সিয়ামকে অনুসরণ
করুন।
না
হলে
সংসার
ভেঙে
যেতে
বেশি
দিন
লাগবে
না।’
বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) যৌথ বৈঠক চলছে ওয়াশিংটনে। সেই বৈঠকে যত প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে ভালো খবর নেই। আগামী বছর মন্দার আশঙ্কা করছে তারা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের পাশাপাশি আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমএফ। তারা সেখানে বলেছে, এপ্রিল মাসের তুলনায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা আরও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আইএমএফ। তার সাপেক্ষে অক্টোবর মাসে তারা বলছে, এপ্রিল মাসের পর বিশ্বব্যাপী আর্থিক খাতে আরও কড়াকড়ি আরোপিত হয়েছে। বিশেষ করে উন্নত দেশের সাপেক্ষে এ কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ভাষ্য, এসব দেশের আর্থিক খাত এখন ঐতিহাসিক কঠোরতার মুখে পড়েছে। আর কিছু উদীয়মান দেশে এ ধরনের কঠোরতা দেখা গেছে কেবল কোভিড-১৯-এর চরম প্রকোপের সময়। তবে চীনের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতিআকাশ ছুঁয়েছে। আর তারই রেশ টানতে দেশে দেশে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক খাতে মৌলিক দুর্বলতা প্রকট। আছে অর্থ পাচারের বাস্তবতা—এ সবকিছু মিলিয়ে উদীয়মান দেশগুলোতে ঋণের সুদহার তরতর করে বাড়ছে। বিশেষ করে দুর্বল অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয় আকার ধারণ করেছে। অন্তত ২০টি দেশ সার্বভৌম ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে বা ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অনেক দেশই খেলাপি হয়ে পড়বে।
আইএমএফ বলছে, ব্যাংক খাতের বৈশ্বিক স্ট্রেস টেস্টে দেখা গেছে, উদীয়মান দেশের ক্ষেত্রে প্রায় ২৯ শতাংশ ব্যাংক সম্পদ পুঁজির ন্যূনতম সীমা ধরে রাখতে ব্যর্থ হবে। তবে উন্নত দেশের ব্যাংক ভালো অবস্থায় আছে।
এদিকে ২০২২ সালে অর্থনীতিতে যাঁরা নোবেল পুরস্কার পেলেন, তাঁরা আর্থিক খাতের বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁরা সবাই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন।
এবারের নোবেল বিজয়ীদের কাজ আর্থিক খাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্ভাব্য ধস ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তাঁদের গবেষণা। তাঁরা যে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করেছেন, তার মধ্যে আছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি আমানতকারীদের আস্থার সংকট, ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, ব্যাংকের তারল্য ও মূলধন ঘাটতির বিষয়ে সতর্কতা, সংকটাপন্ন ব্যাংককে বাঁচিয়ে রাখতে আমানতের ওপর যথেষ্ট অঙ্কের বিমার ব্যবস্থা এবং যথাসময়ে সতর্ক না হওয়ার খেসারত হিসেবে পরবর্তী সময় দেউলিয়া ব্যাংককে বাঁচাতে সরকারের বড় অঙ্কের ব্যয়ের বোঝা বহন।
গত কয়েক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দ্রুত হারে নীতি স্বাভাবিকীকরণের পথে হাঁটছে, অর্থাৎ নীতি সুদহার বৃদ্ধি করছে। এই পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাস থেকে সুদহার ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মূল্য ওঠানামা করছে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি দ্রুতই গতি হারাচ্ছে। আইএমএফের পরামর্শ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে এখন দ্রুতই মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হতে দেওয়া যাবে না।
এদিকে ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়ার কারণেও অনেক দেশে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। এই বাস্তবতায় উদীয়মান দেশগুলোর প্রতি আইএমএফের পরামর্শ হলো, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সুনির্দিষ্টভাবে হস্তক্ষেপ করা, পুঁজি পাচার রোধসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে মুদ্রার বিনিময় হার মসৃণ রাখা যায়।
আইএমএফ সতর্ক করে বলেছে, চূড়ান্ত খারাপের এখনো বাকি আছে। আগামী বছর (২০২৩) অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২১ সালে বিশ্ব অর্থনীতির ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ২০২২ সালে ৩ দশমিক ২ শতাংশে নামতে পারে। ২০২৩ সালে তা আরও কমে দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এমনকি এই হার ২-এর নিচেও নেমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা ২৫ শতাংশ।
রাজধানী রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গতকাল শনিবার আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে । রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তার গান শুনতে আসা শ্রোতারা দীর্ঘ লাইন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে ভেন্যুতে প্রবেশ করেন।
গতকাল শনিবার থেকে তিনদিনের আয়োজনে গান গাইতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা পৌঁছান ভারতের বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমন। ঢাকায় ১৩ বছর পর সুমনের গানের আয়োজন নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে তুমুল আলোচনা।
সূচি অনুযায়ী, শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আধুনিক বাংলা গান গাওয়ার কথা ছিল সুমনের। ১৮ অক্টোবর আধুনিক বাংলা খেয়াল পরিবেশনার পর ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান দিয়ে আয়োজন শেষ করার কথা ছিল।
তিনদিনের এ অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি হয়েছে আগেই। বুধবার ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোল জানিয়েছিল, তাদের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বিদেশি শিল্পীকে নিয়ে এ আয়োজনের সব অনুমতিই নেওয়া আছে।
একেই বলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। ধুম-ধাড়াক্কা খেলে স্কোরবোর্ডে হ্যান্ডসাম রান তুলে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে। সেটা যে দলই হোক। শক্তিশালী শ্রীলঙ্কা বলে মোটেও ভয় পেয়ে যায়নি নামিবিয়া। শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও ঠিকই শ্রীলঙ্কার সামনে ১৬৪ রানের দারুণ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফ্রিকান দেশটি।
টস জিতে নামিবিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারালেও শেষের দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আফ্রিকান দেশটি। মাঝারি মানের ৪/৫টি ইনিংসেই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় তারা।
লড়াইয়ের শুরুতেই পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করার চেষ্টা নামিবিয়ার। কিন্তু অভিজ্ঞ লঙ্কান ক্রিকেটাররা তাদের স্কোর করার পথ রূদ্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত উইকেটও তুলে নিচ্ছে।ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কাকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন দুষ্মন্তে চামিরা। ৬ বলে ৩ রান করে প্রমোদ মধুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাইকেল ফন লিংগেন।
পরের ওভারের একেবারে শেষ বলটি ছিল গুড লেন্থের। ব্যাটার ডিভান লা কুক বলটিকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে দেন। বল উঠে যায় উপরে এবং দাসুন শানাকা ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন। ১৬ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে শুরু করেছে নামিবিয়ার। ৫ম ওভারে গিয়ে তাদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান চামিকা করুনারত্নে। তবে নিকোল লফটি ইটনের এই উইকেটটি নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের। বাঁ-হাতে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরেন তিনি উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
১২ বলে ২০ রান করে আউট হন নিকোল লফটি ইটন। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও ছিল তার ব্যাটে।
ইনোভেশন অ্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছে দেশের প্রতিশ্রুতিশীল ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম মবিজ ডটকম (mawbiz.com.bd)।
ব্রিটিশ বিজনেস ম্যাগাজিন করপোরেট লাইভওয়্যারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেওয়া হয়। উদ্ভাবন, পণ্য এবং সেবা, প্রযুক্তির ব্যবহার, টেকসই উন্নয়ন, মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং, কর্মী সন্তুষ্টি এবং ব্যবসায়-নৈতিকতা ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যতিক্রমধর্মী কাজ ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে এ বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।মবিজ বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়িক সার্চ ইঞ্জিন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। টেকসই ব্র্যান্ডিং, সামাজিক অগ্রগতি এবং নলেজ শেয়ারিং- এ তিন গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তির ওপর প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে। এ তিন ভিত্তির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ছোট-বড়-মাঝারি সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া। মবিজে নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অতি সহজে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, ফ্লায়ার, সেলস/ডিল অফার, কুপন ইত্যাদি তৈরি করে যেমন ব্যবসার প্রচার ও প্রসার করতে পারে তেমনই দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলগত সমাধান পেতে পারে। কয়েকজন প্রগতিশীল তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করা প্রকল্পটি এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেণিপেশার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
এ পুরস্কার প্রসঙ্গে মবিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম.আর. ম্যাক্সিম বলেন, বিশ্বজুড়ে বাছাই করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই পুরস্কার জিততে পেরে আমরা সম্মানিত ও গর্বিত। নিঃসন্দেহে এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের টেকসই ব্র্যান্ডিং ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
মবিজ ২০২১ সালের গ্লোবাল গ্রিন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড লাভ করে, যা যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা অ্যাকুইজিশন ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল।
নায়ক শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবনের নানাবিধ নেতিবাচক ‘কর্মকাণ্ড’ বন্ধের দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে বেশ ক’জন তরুণ।
তারা
শাকিব
খানকে
এ
বিষয়ে
শিগগিরই আইনি
নোটিশ
পাঠানোর কথাও
জানান।
গতকাল শনিবার (১৫অক্টোবর) বিকালে
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় রাজু
ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সচেতন
ছাত্র
সমাজ’র ব্যানারে এই
প্রতিবাদ ও
মানববন্ধন হয়।
যেখানে
তারা
বিভিন্ন প্লেকার্ড-ব্যানার হাতে
নিয়ে
দাঁড়ান। তারা
শাকিব
খানের
ব্যক্তিজীবনের ঘটনাগুলোকে ‘অসামাজিক’ ও
‘সংস্কৃতি ধ্বংসের কারণ’
বলে
উল্লেখ
করেন।
মানববন্ধনে অংশ
নেয়া
মনির
হোসেন
নিজেকে
সাবেক
ঢাবি
শিক্ষার্থী পরিচয়
দেন।
তিনি
বলেন,
‘শুধু
শাকিব
খান
না,
তার
মতো
অন্য
তারকারাও যেন
এমন
কাজ
করতে
না
পারে।
আমরা
বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি,
শাকিব
তিনটি
বিয়ে
করেছেন। কিন্তু
সে
কোনও
বিয়ের
কথাই
প্রথমে
স্বীকার করেনি।’
তৃতীয়
বিয়ে
সম্পর্কে মনি
হোসেনের দাবি,
আমেরিকান প্রবাসী মিজানুর রহমান
নামে
একজন
প্রযোজকের ইউটিউব
চ্যানেলের মাধ্যমে তারা
জেনেছেন শাকিব
খান
পূজা
চেরীকেও বিয়ে
করেছেন।
কিন্তু
শাকিব
খান
বিয়ে
করলে
মনির
হোসেন
বা
‘সচেতন
ছাত্র
সমাজ’র আপত্তির জায়গাটা কোথায়?
এমন
প্রশ্নের জবাবে
এই
আন্দোলনকারী বলেন,
‘শাকিব
খান
বিয়ে
করছে
তাতে
কোনও
সমস্যা
না।
তবে
সে
বিয়ে
করার
পর
দীর্ঘদিন গোপন
রাখছে
এবং
এক
সময়
তার
স্ত্রীরা বাধ্য
হয়ে
মিডিয়ার সামনে
এসে
স্বীকৃতি নিতে
হচ্ছে,
এটাই
আপত্তিকর বিষয়।
সমস্যা
হলো
তাকে
দেখে
তার
ফলোয়াররা বা
আরও
মানুষ
বিয়ে
করবে।
তারাও
মনে
করতে
পারে
আমরাও
বিয়ে
করে
এমন
গোপন
রাখবো,
স্বীকৃতি দেবো
না।
এতে
করে
আমাদের
সমাজ-সংস্কৃতি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
আমি
ইতিমধ্যে অনেককে
বলতে
শুনেছি,
শাকিব
খান
তিনটা
বিয়ে
করে
গোপন
রাখছে,
আমরা
পাঁচটা
প্রেম
করে
গোপন
রাখলে
ক্ষতি
কী!
বিশেষত
গ্রামে
এই
সংস্কৃতি চালু
হলে
সমাজ
ধ্বংস
হতে
সময়
লাগবে
না।’
আন্দোলকারী আরেকজনের দাবি, শাকিব খান প্রয়োজনে আরও বিয়ে করুক, কিন্তু প্রকাশ্যে তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।মানববন্ধনে দাঁড়ানো আরেক শিক্ষার্থী সুমন বলেন, ‘শাকিব খানকে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। তিনি যখন বলে বাচ্চা আমার কিন্তু বউ আমার না। তখন এই বিষয়গুলো আমাদের পীড়া দেয়। আমি একসময় শাকিব খানের ভক্ত ছিলাম। কিন্তু তার মতো নায়কদের এমন কাজের কারণে আমি বাংলা সিনেমা দেখা ছেড়ে দিয়েছি। আমার মতো অনেকেই এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলা সিনেমা বিমুখ হচ্ছেন।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ শাকিব
খান
আলোচনায় আছেন
পূজা
চেরীর
সঙ্গে
প্রেমের গুঞ্জনে। যদিও
এ
বিষয়ে
দুজনেই
অস্বীকার করেছেন। এর
আগে
অপু
বিশ্বাস ও
শবনম
বুবলীকে নিয়েও
একই
গুঞ্জন
উঠেছিল। দুই
নায়িকাই পরবর্তী সময়ে
গণমাধ্যমে হাজির
হন
যথাক্রমে জয়
ও
বীরকে
নিয়ে!
তুমুল
সমালোচনার পর
দুটো
সন্তানকেই শাকিব
খান
প্রকাশ্যে নিজের
বলে
মেনে
নেন।
ওই পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, ঢাকায় এসে বেশ আনন্দে আছেন সৌরভ দাস। তার সঙ্গে রয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, নাবিলা ও সাফা কবির। তারা একঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন।
ছবির ক্যাপশনে সৌরভ দাস লিখেছেন, ‘পূর্বের সুন্দরীদের সঙ্গে’।
জানা গেছে, অভিনেত্রী মিথিলার বাসায় অতিথি হয়েছেন তিনি।
তবে হঠাৎ তার ঢাকায় আসার হেতু কী সে বিষয়ে কিছুই জানাননি সৌরভ।
এদিকে সৌরভের সঙ্গে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ‘আয়নাবাজি’ ছবির নায়িকা নাবিলা লেখেন, ‘প্রিয় বন্ধু যখন আমার শহরে’।
কলকাতার চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জির স্ত্রী হিসেবে সেখানে শিল্পীদের প্রিয়মুখ মিথিলা। প্রায় সবার সঙ্গেই বেশ সখ্য তৈরি হয়েছে তার। সৌরভও তার ব্যতিক্রম নন। তবে এর বাইরেও এই দুই তারকা একসঙ্গে কাজ করেছেন হইচইয়ের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’র দ্বিতীয় পর্বে।
অনেক দিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘গ্লোবাল অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা আসছেন বলিউড তারকা নোরা ফাতেহি।
নোরা ফাতেহিকে ঢাকায় আনার সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে উইমেনস লিডারশিপ কর্পোরেশন। অনুষ্ঠানটির সঙ্গে আছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক লিফ। দেড় হাজারের বেশি মানুষ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি হবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
ইসহরাত জাহান মারিয়া আরও বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গন থেকে আন্তর্জাতিক শোবিজ অঙ্গনে কাজ করছেন এমন তারকাদেরও ‘গ্লোবাল অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোরা এক ভিডিও বার্তা দেন। সেখানে তিনি জানান, ‘গ্লোবাল অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা আসবেন। রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নাচবেন এবং পুরস্কারও বিতরণ করবেন নোরা।
এর আগেও ঢাকায় আসার কথা ছিল ‘সাকি সাকি’, ‘দিলবার’ গানে নাচ পরিবেশন করে ঝড় তোলা নোরার। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি না পাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত আর আসা হয়নি তার।