logo
Breaking News
এ ধরনের ভিন্ন রকমের চরিত্রে কা...

নায়িকা তকমা থেকে বের হয়ে চরিত্রাভিনেতা হয়ে ওঠার পথে হাঁটছেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। তেমন একটি চরিত্র মমতাজ। ভাষার জন্য মমতাজ নামের একটি ছবিতে চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। গত ২২ নভেম্বর থেকে এফডিসিতে শুটিং শুরু হয়েছে ছবিটির।

১৯৪৩-১৯৫২ সালের প্রেক্ষাপট ধরে ছবির গল্প। দেশভাগ আন্দোলনের পটভূমি তৈরির শুরু থেকে, দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত ছবির গল্পের বিস্তার।
নিপুণ জানান, তাঁর অভিনীত মমতাজ চরিত্রটি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। অন্য রকমের একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র এটি। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ধরনের ভিন্ন রকমের চরিত্রে কাজের প্রস্তাব বেশি পাচ্ছি। ধরনের চরিত্রে কাজ করতেও এখন ভালো লাগে। মমতাজ চরিত্রটির মধ্যে ভাষা আন্দোলনের আবেগ জড়িয়ে আছে। কাজটি করে বেশ আরাম পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ধরনের চরিত্রে বেশি মেকআপ নিতে হয় না। গ্লামারের দিকে নজর থাকে না। চরিত্র হয়ে উঠতেই বেশি তাগিদ থাকে। ফলে কাজটিও ভালো হয়।  
এই অভিনেত্রী জানান, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে  ছবিটিতে ওই সময়কে ধরতে শিল্পীদের পোশাক থেকে শুরু করে চারপাশের আবহটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

তিনি বলেন, এখন তো আর দেশভাগ বা ভাষা আন্দোলনের সময়কার লোকেশন খুঁজে পাওয়া যাবে না। জন্য ছবিতে সেই সময়কার পরিবেশ তৈরি করতে এফডিসিতে সেট ফেলে কাজটি করা হচ্ছে।

গত বুধবার ছবির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হচ্ছে। পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে নারায়ণগঞ্জের লোকেশনে।
ছবির পরিচালক সারোয়ার তমিজউদ্দিন। তিনি জানান, বর্তমান সময়ে এসে ধরনের ঐতিহাসিক গল্পের সময় তুলে ধরে সিনেমা নির্মাণ কঠিন। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে সময়টির গল্প ধরে আমরা সিনেমা নির্মাণ করছি, এখন  চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি সে রকম নাই। তাই সেট ফেলে সেই পরিবেশ তৈরি করে নির্মাণ করছি। তবে এর জন্য অনেক বড় বাজেট দরকার। তারপরও আমরা অনুদানের টাকার মধ্যে বাজেট রেখে গল্পের বাস্তবতা পর্দায় সুন্দর করে তুলে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পর্যন্ত যতটুকু কাজ করেছি, ঠিকঠাক করতে পেরেছি।

 

২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের সিনেমা এটি। ছবিটির চিত্রনাট্য, সংলাপও পরিচালকের নিজের। কাহিনি লিখেছেন মো. আবদুর রাজ্জাক।
নিপুণ ছাড়া ছবিতে আরও অভিনয় করছেন কাজী হায়াৎ, কাওসার চৌধুরী, আরমান পারভেজ মুরাদ, সাবেরী আলম, সুব্রত, গাজী আবদুন নূর প্রমুখ।

 

তিনদিনে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হত...

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে হয়েছে ১৯ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

শনিবার ( ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

বিশ্বকাপে এশিয়া দলগুলোর ইতিহাস...

লাতিন আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) থেকে এবার কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে ৪টি দেশ। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে বাছাইপর্ব খেলে একই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলেছে ৫টি দেশ। কাতার আয়োজক হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়ায় তারা এই হিসাবের বাইরে।

বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে দুই মহাদেশের দলগুলোর অবস্থান দেখে কি বোঝা গেল? ফুটবলের পরাক্রমশালী লাতিন আমেরিকা থেকে শেষ ষোলোয় উঠতে পেরেছে ২টি দেশ। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা। আর এশিয়া থেকে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে ৩টি দেশ। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান অস্ট্রেলিয়া। এরপরও কি বলবেন, ফুটবলে এশিয়া উঠে আসছে না!

এশিয়ার ফুটবলাররা যে উঠে আসছেন, তা ইউরোপের লিগগুলোতে তাকালেই বোঝা যায়। এই মহাদেশ থেকে প্রচুর খেলোয়াড় মাঠ মাতাচ্ছেন ইউরোপের লিগে। আর বিশ্বকাপে এবার এশিয়ার দলগুলো তো রীতিমতো ভূমিকম্প তুলেছে।

একবার মনে করে দেখুন, গ্রুপ পর্বে জার্মানি স্পেনের মতো দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েছে জাপান। দুই সাবেক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ডেনমার্ক হেরেছে দক্ষিণ কোরিয়া অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ওয়েলসকে হারিয়েছে ইরান। সৌদি আরবের কাছে হেরেছে আর্জেন্টিনা। আর সর্বশেষ (২০১৯) এশিয়ান কাপে মহাদেশটির এসব দলকে পেছনে ফেলে কিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কাতার!

মজার বিষয়, সেই কাতারই এই বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ, সেই কাতারই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে সবার আগে। ফুটবল সত্যিই মজার খেলা।

কাতার ছাড়া এবার এএফসি থেকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই অন্তত একটি করে ম্যাচ জিতেছে। তাতে এশিয়ান ফুটবলসমর্থকদের এই বিশ্বকাপে নিজেদের মহাদেশের দলগুলো নিয়ে গর্বিত হওয়ার কথা।

বিশ্বকাপে ৩২ দলের গ্রুপ পর্বে এবারই যে সেরা সাফল্য দেখিয়েছে এশিয়ার দলগুলো। এই মহাদেশ থেকে অংশ নেওয়া ৬টি (কাতারসহ) দল যে ম্যাচ জিতেছে গড়ে প্রতিটি দল .৬৭ পয়েন্ট করে পেয়েছে (ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট) এর আগে ২০০২ ২০১০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে এশিয়ার দলগুলো গড়ে সর্বোচ্চ . পয়েন্ট করে অর্জন করতে পেরেছিল।

এবার আরও একটি অনন্য অর্জন দেখল এশিয়া। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এই মহাদেশের ফুটবল কনফেডারেশন এএফসির অধীন থেকে এবারই প্রথমবারের মতো ৩টি দল নকআউট পর্বে উঠল।

 

যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে ফ্লাই...

যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে নভোএয়ার। গত বুধবার যশোর বিমানবন্দরে এই গন্তব্যের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা মফিজুর রহমান, যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রিয়াজুল ইসলাম মাসুদ, সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ট্রাভেল এজেন্সী এবং বিভিন্ন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সরাসরি ফ্লাইটটি যশোর থেকে প্রতি সপ্তাহে বুধবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজারে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে প্রতি সপ্তাহে শনিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে যশোরে সকাল ১১টায় পৌঁছাবে। এই রুটে ওয়ানওয়ে সর্বনিম্ন ভাড়া ,৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য কক্সবাজারে তিন রাতের হোটেল ফ্রি অফার ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অফারটি উপভোগ করতে দুইজনের যশোর থেকে কক্সবাজারের রিটার্ন টিকেট কিনতে হবে। এই অফারে দুই জনের কক্সবাজার যাওয়া-আসা এবং তিন রাত হোটেলে ফ্রি থাকার সুবিধা রয়েছে। ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধা দিতে নভোএয়ার কক্সবাজারের ৬টি হোটেলের সাথে চুক্তি করেছে। হোটেলগুলোর মধ্যে রয়েছে সিগাল হোটেল, লং বিচ হোটেল, নিসর্গ হোটেল এন্ড রিসোর্ট, উইন্ডি ট্যারেস হোটেল, গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল এবং হোটেল সী প্যালেস।

নভোএয়ার বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, রাজশাহী, সিলেট, যশোর এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কলকাতা ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

 

সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে দ্বিতী...

নজর কাড়লকারাগার পার্ট’–এর নতুন পোস্টার। সোমবার সন্ধ্যায় পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়। মুহূর্তেইকারাগার’–ভক্তরা প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টারটি শেয়ার করেন। এবারের পোস্টারেও রাখা হয়েছে চমক। এবার কি চঞ্চল চৌধুরীর মুখোমুখি হচ্ছেন চঞ্চল, সে প্রশ্ন করছেন কৌতূহলী দর্শকেরা।

পোস্টারের ওপরে লেখা, রিটার্ন চঞ্চল চৌধুরী তারপরে ক্যাপশনে লেখা, ২৫০ বছরের অপেক্ষা, তার সাজা কি এবার শেষ হবে? লেখার পর যেন আর বলার দরকার হয় না আসছে চঞ্চলের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ কারাগার পার্ট- পোস্টারে দেখা যায়, চঞ্চলের মুখোমুখি চঞ্চল। এক চঞ্চল কারাগারের মধ্যে, আরেকজন বাইরে। পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এবার রহস্য আরও বেশি জমাতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিরিজটি।

কারাগার সিরিজে রহস্যময় কয়েদির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, যিনি সংলাপ ছাড়াই মুখভঙ্গি দিয়ে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি সেই কারাগারে কোথা থেকে, কীভাবে এলেন, সে প্রশ্নও ঘুরেফিরে জেঁকে ধরেছে দর্শকদের। সত্যিই কি তিনি মীরজাফরের হত্যাকারী? নিয়ে নানা রহস্যময় ঘটনা জন্ম নিতে থাকে। দর্শকদের নানা প্রশ্ন থাকলেও পরিচালক শাওকী তখন বলেছিলেন, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে দ্বিতীয় পর্বে। সেই সঙ্গে প্রথম পর্বের কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো দ্বিতীয় পর্বে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। খুলবে রহস্যের জট।

তখন শাওকী আরও বলেন, প্রথম পর্বে গল্পের চরিত্রগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে দর্শকেরা বুঝতে পারবেন। কারণ, প্রথম পর্বেই ধারণা দেওয়া আছে। প্রথম পর্বের শূন্যস্থানগুলো কানেক্ট করতে পারবেন তাঁরা। প্রথম পর্ব দেখার পর যেসব প্রশ্ন জেগেছে, দ্বিতীয় পর্বে সেগুলোর উত্তর মিলবে। গত ১৮ আগস্টে মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ কারাগার পার্টওয়ান

স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তির পর থেকেই দেশবিদেশের দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছিল পুরো টিম। সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কে আজাদ সেতুসহ অনেকে।

 

স্বাস্থ্যসেবায় সারথি’ স্লোগানে...

স্বাস্থ্যসেবার খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় অধিকাংশ মানুষকে। এসব রোগীর বড় অংশই হৃদরোগের। যাদের খরচের অধিকাংশ চলে যায় হাসপাতালে ভর্তি, ওষুধ কিনতে এবং রোগ নির্ণয়ে। রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি কম সময়ে চিকিৎসা দিতে দেশি, বিদেশি প্রবাসী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে চালু হয়েছেশিওরকেয়ারনামের অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহার করে হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যয় অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব।

গত শুক্রবার ( ডিসেম্বর) রাতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক কনফারেন্সে একথা জানানো হয়। ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সিটি হেলথ এবং শিওরকেয়ার এই কনফারেন্সের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্ল্যাটফর্মটির তৈরি শিওরকেয়ার অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে সদস্য হয়ে এই সেবা নেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে সদস্য পদের মেয়াদ কমপক্ষে ৯০ দিন হতে হবে।

এর আগে মহামারি করোনায়ও সংস্থাটি ডিজিটাল চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। যেখানে সহযোগী হিসেবে আছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।স্বাস্থ্যসেবায় সারথিস্লোগানে সেবা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

শিওরকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. চৌধুরী হাফিজুল আহসান বলেন, আমরা যারা বাংলাদেশি চিকিৎসক পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছি, অনেক দিন ধরেই তাদের ইচ্ছা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার। আবার আমাদের সমসাময়িক যারা দেশে বহুদিন চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর অবসরে গেছেন বা যাচ্ছেন, তাদের ঐকান্তিক ইচ্ছা দেশের জন্য ভালো কোনো সমন্বিত চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত থাকা। যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মনে করে যে, একটা অর্থবহ প্রচেষ্টা আমাদের ছিল। অন্য আরও অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উত্তরণের দিকে নিয়ে যেতে আমাদের চিকিৎসকদেরও একটা ভাবনা এবং দিক-নির্দেশনা আছে, যা আমাদের জনগণের জন্য আস্থাশীল, দায়িত্বশীল, অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবার প্রতিশ্রুতি দেবে। সেই লক্ষ্যে আমরা শিওরকেয়ার নামে এমন একটি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। যাতে বাংলাদেশের মানুষকে দায়িত্বশীল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশি, প্রবাসী বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অ্যাপ ডাউনলোড করে (শিওরকেয়ার ফিজিশিয়ান পোর্টাল) শিওরকেয়ার কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন। এখানে তাদের পরিচিতি, কাজের বর্ণনা এবং মেডিকেলের কোন ক্ষেত্রে কাজ করেন এসব তথ্যাদি সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

সাধারণ মানুষ শিওরকেয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের মেডিকেল রেকর্ড, ইসিজি, এক্স-রে, ল্যাব রিপোর্ট নিজেরাই সংরক্ষণ করতে পারবেন। হাসপাতালে ভর্তি, ওষুধ কেনা কিংবা রোগ নির্ণয়ে খরচ হয় সবচেয়ে বেশি। ওই সময়ে চিকিৎসা কেমন হবে, রোগের ধরন এবং তার নিরাময় কীএসব নিয়ে কোনো ধারণা না থাকায় রোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। শিওরকেয়ার আগে থেকেই সদস্যদের এসব রোগ সম্বন্ধে ধারণা দেবে, প্রতিরোধ করার বিষয়ে সতর্ক করবে এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়াবে। মাঠকর্মী জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের মতো রোগী তার স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলবেন। অ্যাপের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বরেণ্য বিশেষজ্ঞদের টিম ওই রিপোর্ট এবং পুরো বর্ণনা দেখবে। এরপর তাদের মতামত এবং চিকিৎসা নির্দেশনা দেবেন। প্রয়োজনে স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোগী এবং তার নিকটাত্মীয়কে আশ্বস্ত করবেন। প্রাথমিকভাবে শুধু হার্টের চিকিৎসার ক্ষেত্রে শিওরকেয়ার সদস্যদের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা থাকবে। এক্ষেত্রে খরচের ৫০ শতাংশ শিওরকেয়ার তার সদস্যদের জন্য বহন করবে।

এর পাশাপাশি অন্য অসুখে হাসপাতালের খরচ এককালীন বহন করা কষ্টকর। এই কথা স্মরণ রেখে, সুস্থ থাকা অবস্থায় ব্যাংকের মাধ্যমে সদস্যদের হেলথ ইক্যুইটি লাইন অব ক্রেডিট নিতে উৎসাহিত করবে শিওরকেয়ার। এর সুবিধা হলো, এই টাকা থাকছেযদি লাগেএই ভিত্তিতে। ফলে আগে থেকে ব্যাংক অনুমোদিত লোন এককালীন থেকে লাখ টাকা যখন-তখন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয়ভারের জন্য পাওয়া যাবে, যা পরে ৩০-৩৬ মাসে পরিশোধ করতে হবে। ফলে রোগী এবং পরিবারের ওপর এককালীন টাকা জোগাড়ের চাপ কমবে। ছাড়া অচিরেই ল্যাব টেস্ট এবং হাসপাতালের খরচের ক্ষেত্রে সদস্যদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও করবে শিওরকেয়ার।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে বোঝানো, সদস্য তালিকাভুক্ত, সদস্যদের সেবা, হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করাসহ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের এখনও যেতে হবে অনেক দূর। আমরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে পারলে যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেখিয়েছেন, সোনার বাংলার স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছেন, সেখানে পৌঁছানো অনেক সহজ হবে।

এই অ্যাপের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, রোগ নির্ণয়ে সাহায্য পরামর্শ, নিজের পরিবারের সদস্যদের ডিজিটাল মেডিকেল রিপোর্ট সংরক্ষণ এবং রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করে সুপারিশ বা পরামর্শ অথবা মেডিকেল বোর্ড গঠনে সহায়তা করা।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ--মাহবুব বলেন, এক সময়ে উপজেলা হাসপাতালে কম্পিউটার দেওয়া হলে সেগুলো বাসায় নিয়ে বাচ্চাদের খেলনা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেই জায়গা থেকে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক শিক্ষার ফলে স্বাস্থ্যেও এসেছে পরিবর্তন। বিবর্তনের ধারায় এখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ডিজিটাল। ডায়াবেটিক সমিতিও ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা না হলেও অন্যান্য চিকিৎসাগুলো যাতে দিতে পারি। যুগোপযোগী ব্যবস্থায় আমাদের যেতেই হবে। আগামীর বাংলাদেশ ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চলবে। কাজেই এই ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি কে আজাদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক জগদ নূরুললা।

 

তুমিই আমাকে শিখিয়েছ, কীভাবে বি...

তারকা দম্পতিদের কথা এলেই অনেকেই ধরে নেন, এই বুঝি সম্পর্কে ছেদ পড়ল। অনেকে মন্তব্য করে থাকেন, এই সংসার হয়তো বেশি দিন টিকে থাকবে না। তিক্ত সম্পর্কের অনেক কারণ থাকলেও মধুর সম্পর্ক নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিতে চান তারকা দম্পতি হিউ জ্যাকম্যান দেবরা-লি ফার্নেস। একসঙ্গে তাঁরা কাটিয়ে দিলেন জীবনের ২৮টি বসন্ত।  ৩০ নভেম্বর ছিল স্ত্রীর জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে স্ত্রীর প্রশংসায় ভাসলেন এই হলিউড তারকা।

দেবরা-লি ফার্নেস অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী। গতকাল ছিল তাঁর ৬৭তম জন্মদিন। প্রতিবছর দিনটা বিশেষভাবে উদ্যাপন করেন তাঁরা। এবারও ব্যতিক্রম ছিল না। দিনটি উদ্যাপনের আগে ফেসবুকে স্ত্রীকে নিয়ে পোস্ট করা জ্যাকম্যানের স্ট্যাটাসটি ভক্তদের নজর কেড়েছে। জ্যাকম্যান শুরুতেই স্ত্রীকে বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, শুভ জন্মদিন আমার অসাধারণ স্ত্রী। আমার সৌভাগ্য হলো, ২৮ বছর ধরে তোমার এই বিশেষ দিনটি একসঙ্গে উদ্যাপন করার।

জ্যাকম্যান স্ত্রীর প্রশংসায় আরও লিখেছেন, এই সময়ে তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তুমিই আমাকে শিখিয়েছ, কীভাবে বিশেষ দিনগুলো উদ্যাপন করতে হয়। কীভাবে উদ্যাপন করতে হয় জীবন, সংসার, রক্ষা করে চলতে হয় বন্ধুত্ব, একে অন্যকে ভালোবেসে জীবন এগিয়ে নিতে হয়এসবই তোমার কাছে শেখা। এসবের ভেতর তোমার দেদীপ্যমান হয়ে ওঠাসন্তানদের সঙ্গে আমিও উপভোগ করি। তোমার জন্য প্রার্থনা। তোমার মতোই তোমার জন্য আমাদের ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসুক বারবার।

এই দম্পতি ১৯৯৬ সালে সংসার শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে টেলিভিশন সিরিজ কোরালিতে তাঁরা সহঅভিনয়শিল্পী ছিলেন। সিরিজটি সেভাবে প্রশংসা না পেলেও শুটিংয়ের সময় থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেম জমে ওঠে। এক বছর পরই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জ্যাকম্যান বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, তাঁদের ভালোবাসার সম্পর্কটা আগের মতোই রয়ে গেছে। দুইবার গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ায় ২০০০ সালে দুই সন্তানকে দত্তক নেন তাঁরা।

 

আজ ও আমি ব্যর্থ

রাত দুটো। এক মেয়ে আবদার করল তাকে গল্প শোনাতে হবে। গল্পটা আবার যেনতেন গল্প নয়। বাচ্চা বাচ্চা টাইপের রূপকথার গল্প। আমি তো গল্পই বলতে জানি না। বাচ্চা বাচ্চা টাইপের গল্প আবার কীভাবে বলব? এসব ভাবতে ভাবতে ভোর পাঁচটা বেজে গেল। কিন্তু কোনো গল্পই মাথায় আসছে না। আমাকে দিয়ে আর যা- হোক, এই বাচ্চা টাইপের রূপকথার গল্প লেখা হবে না। তার চেয়ে বরং চলুন তার সঙ্গে আমার পরিচয়ের গল্পটাই বলি।

ডিসেম্বর পঁচিশ কি ছাব্বিশ তারিখ, সঠিক মনে নেই। শীতের সময়। আমার এক নিকটাত্মীয়ের বিয়ে। দাওয়াত দিয়েছে পরিবারসহ। বিয়ে বাড়িতে আমার যেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। কেন ভালো লাগে না তা আমিও জানি না। তবে বিয়েতে যেতেই হবে, খুবই নিকটাত্মীয়। তাই বিয়ের একদিন আগেই পরিবারের সবাই মিলে গেলাম। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করলাম, বিয়ে উপলক্ষে সাউন্ড বক্সে জোরালো শব্দে গান বাজছে। গান আমার প্রিয়। অবসরে গান শুনতে খুব ভালো লাগে। তাই যেখানে গান বাজছে, তার কাছে গিয়ে একটি চেয়ারে বসলাম। তখন বক্সে বাজছেপ্রেম রতন ধারকানেগানটি। আশেপাশে জড় হয়েছে বেশকিছু ছেলে-মেয়ে। আর তার মধ্যে গানের তালে তালে নাচছে একটি মেয়ে।

মেয়েটি শ্যাম বর্ণের। লম্বা দীঘল কালো চুল, টানা হরিণীর মতো চোখ। সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর মেয়েটি। আমি চেয়ারে বসে তার নাচ দেখছিলাম। খুবই মনোমুগ্ধকর নাচছিল মেয়েটি। এমনকি বিরহের গানের সঙ্গেও নাচছে সে। ব্যাপারটা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগল। বিরহের গানের সাথে নাচা ভালো। ক্ষেত্রে মনের অবস্থা সাম্য অবস্থায় থাকে। মনে এক সাথে সুখ-দুঃখ বিরাজ করে।

নাচতে নাচতে হটাৎ মেয়েটি আমার হাত ধরে আচমকা টান দিয়ে দাঁড় করালো। বলল, ‘নাচবেন আমার সাথে?’
আমি আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। কারণ আমি কখনোই নাচিনি, নাচতে পারি না। আমি বললাম, ‘আমি তো নাচতে পারি না!’
উত্তরে সে বলল, ‘পারেন না তো কী হইছে? আমি শিখিয়ে দেবো।
থাক। আরেক দিন শিখবো। আপনার এমন সুন্দর নাচের সাথে আমার নাচ খুবই খারাপ দেখাবে। আমি তা চাই না। আপনি নাচেন, আমি দেখি।
আহ! আপনি না, বলুন তুমি। আমি আপনার ছোট। মেবি দুই কি এক বছরের। আপনি অনিকের বড় মামার ছেলে, মানে আমারও বড় মামার ছেলে। আমি অনিকের চাচাতো বোন।

আমি তাকে কখনও দেখিনি, চিনিও না। কিন্তু সে এক দেখাতেই চিনলো! ভাবতে লাগলাম। পরে তার সঙ্গে বসে অবশ্য অনেক গল্পই করলাম। সেদিন আর তার নাচ দেখা হলো না।

বিয়ের দিন। বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সে- নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। সেদিন তার সাথে আর কথা হয়নি। কথা হলো পরের দিন বরের বাড়িতে গিয়ে।

বরের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে সবাই রেডি হওয়ার ফাঁকে আমরা কয়েকজন কাজিন মিলে ঘুরতে গেলাম কাছের এক ব্রিজের কাছে। সে- গেল। আশেপাশে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরলাম। হঠাৎ ছবি তোলায় সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমি আর সে খানিকটা দূরে গিয়ে গল্প করছি আর ঘুরছি।

আমার ব্লেজারের পকেটে হাত দিয়ে দেখি একটি সিটি গোল্ড বা এই টাইপের একটি আংটি। মনে পড়ল, আংটিটি আমার এক বান্ধবীর। তার কাছ থেকে দুষ্টুমি করে নিয়েছিলাম। পরে ফেরত দিতে মনে নেই।

সেই আংটিটি হাতে নিয়ে, সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু গেড়ে মেয়েটির সামনে বসে তার হাতের আঙুল ধরে বললাম, ‘ভবিষ্যৎ বলে কিচ্ছু নেই। ভবিষ্যৎ শুধুই মরীচিকা। যা করার এখনই করতে হবে, যা বলার এখনই বলতে হবে। তুমি কি আমার আনমনা মনের দায়িত্ব নিতে পারবে?’

সে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। মনে হলো এক মুহূর্তের জন্য সে তার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সে আমার হাত টেনে ধরে দাঁড় করালো। তারপর কিছু না বলে ক্ষীপ্রগতিতে ফিরে গেল বাসায়।

আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। খানিকটা লজ্জা পেয়ে ভাবতে লাগলাম, ইস! আমি কী করলাম। আমার সাথে কী হচ্ছে এসব, বুঝতে পারছি না।

আমিও সেখান থেকে চলে এলাম বাসায়। মেয়েটির সাথে আর কোনো কথা বা যোগাযোগ হয়নি।

প্রায় পাঁচ বছর পর ফেসবুকের কল্যাণে মেয়েটির আইডি পেলাম। এখন নিয়মিত কথা হয় মেয়েটির সাথে। সেই মেয়েটিই হঠাৎ আবদার করল, সে বাচ্চা বাচ্চা টাইপের রূপকথার গল্প শুনবে। কিন্তু আমি তাকে এই টাইপের গল্প শোনাতে আজ পুরোপুরি ব্যর্থ হলাম। ঠিক সেদিনের মতো।

একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, ‘আজও আমি ব্যর্থ।