গল্পের টানে কতো-কতোদূর ছুটতে হয়। মুখোমুখি হতে হয় কতো বিস্ময়ের। পড়তে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদে। তবে এসব ছাপিয়ে দিনশেষে তিনিই সঠিক শিল্পীর তকমা পান, যিনি বাস্তবের সব অতিক্রম করে পর্দায় নিজেকে তুলে ধরতে পারেন মানুষ-মুগ্ধতার কাছাকাছি।
মৌসুমী
হামিদের শেষযাত্রার গল্প
শুনলে
অন্তত
এসব
ভাবনা
মনে
আসবে
পাঠকেরও। যদিও
পর্দার
পেছনে
একজন
শিল্পীর স্ট্রাগলের আধাভাগও প্রকাশ
হয়
না-
জীবদ্দশায়। তুমুল
বেগে
ধেয়ে
আসা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-কে
পেছনে
ফেলে
মৌসুমী
তখন
(২৩
অক্টোবর রাত)
ফিরছিলেন মাইক্রোবাসে। চাঁদপুর মেঘনার
বাঁকে
দুর্গম
এক
চরে
তিনি
ও
তার
দল
অবস্থান করেছেন
টানা
১০
দিন।
উদ্দেশ্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘নয়া
মানুষ’-এর শুটিং।
১৩
অক্টোবর থেকে
মৌসুমীসহ ৬৫
জনের
টিম
নিয়ে
ক্যাম্প গড়েন
নির্মাতা সোহেল
রানা
বয়াতি।
মৌসুমী
সেখান
থেকে
ঢাকায়
ফেরেন
২৩
অক্টোবর রাতে,
ঝড়ের
মুখে।
ফিরতি
পথে
বলেন,
‘শুধু
কাজটাকে ভালোবেসে কতো
রোদে
পুড়তে
হয়
আর
কতো
জলে
ভিজতে
হয়।
আরও
কতো
বাধার-স্ট্রাগলের মধ্যদিয়ে আমাদের বাঁচতে হয়।
সেটা
পর্দার
সামনে
বসে
থাকা
মানুষগুলো যদি
জানতো,
তবে
সমীহ
পেতে
সুবিধে
হতো।
কথায়
কথায়
আর
আমাদের
বকা
খেতে
হতো
না
সোশ্যালে বা
সমাজে।’
নয়া
মানুষ’-এর অন্যতম দুই
চরিত্রে অভিনয়
করছেন
শিশুশিল্পী উষশী
ও
মৌসুমী
হামিদ।
আ.
ম.
ম.
হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার
বালুচর’
গল্প
অবলম্বনে মাসুম
রেজার
চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে
সিনেমাটি। বয়াতির
এটি
প্রথম
পূর্ণদৈর্ঘ্য।
ছবিটির
গল্প
নিয়ে
দারুণ
উচ্ছ্বসিত মৌসুমী। তার
ভাষায়,
‘শুধু
এই
গল্পটার জন্যই
এতোটা
দুর্গম
চরাচরে
এসে
কষ্ট
করেছি।
শুধু
দুর্গমই নয়,
এরসঙ্গে যুক্ত
হলো
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। গত
তিনদিন
ধরে
বৃষ্টি-মেঘ সেই চরে।
২৩
তারিখ
তো
২৪
ঘণ্টাই
ঝরলো
বৃষ্টি। এরমধ্যে গোটাদিন আমি
আর
ঊষশী
ভিজে
ভিজে
শুটিং
করেছি।
গতকাল
(২৩
অক্টোবর) সকাল
থেকে
দেখছিলাম অদ্ভুত
আরেকটি
ঘটনা।
দেখেছি
নদীর
পানি
বেড়ে
পুরো
চরটা
ক্রমশ
ডুবে
যাচ্ছে। তিন
নম্বর
সতর্ক
সংকেত
দিয়েছে
সেখানে। এ
এক
অদ্ভুত
অভিজ্ঞতা। এরমধ্যেও আমরা
শুটিংটা করে
গেছি
ভিজে
ভিজে
ভয়ে
ভয়ে।
সন্ধ্যায় শেষ
করেছি।
শুরু
হলো
তুমুল
ঝড়-বাতাস। তার মধ্যেই
মাইক্রোতে চেপে
কাঁপতে
কাঁপতে
ঢাকায়
ফিরছি
এখন
(রাত
৯টা)। জানি না,
পথে
কী
আছে।’
ভয়ের
কিছু
নেই,
মৌসুমী
হামিদ
ও
তার
সহশিল্পী ঊষশী
নিজ
নিজ
বাসায়
ঢাকায়
ফিরেছেন ঠিকঠাক। নিশ্চিত করেছেন
তারা।
না
সিনেমার শুটিং
শেষ
করে
ফেরেননি তারা।
তাদের
দুজনের
প্রথম
অংশের
কাজ
শেষ
হয়েছে।
অন্য
শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে ‘নয়া মানুষ’
ইউনিট
রয়ে
গেছে
চাঁদপুরেই।
চরে
১০
দিনের
কাজের
অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মৌসুমী
বলেন‘অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো।
যেটা
কম-বেশি সব কাজেই
থাকে।
তবে
প্রতিবন্ধকতা ইউনিট
ছাপিয়ে
যখন
প্রকৃতি পর্যন্ত গড়ায়,
সেটা
সামাল
দেওয়া
কঠিন।
আশার
কথা
সব
ছাপিয়ে,
ফ্যান্টাসটিক কাজ
করেছি
টানা
১০টা
দিন।
গল্পটা
র।
মাটির
গল্প।
সিনেমাটা নিয়ে
আমাদের
অনেক
একসাইটমেন্ট। এটা
করার
একটাই
কারণ
গল্প।
এটা
ধর্ম-বর্ণ সব ছাপিয়ে
কিছু
ঘরপোড়া
মানুষের গল্প।
যে
মানুষগুলোর মধ্যে
আমি
নিজেকেও খুঁজে
পাই।
সেজন্যই, সব
প্রতিবন্ধকতা সামলে
কাজটি
করছি।’
‘টিয়ার গপ্পো’,
‘সেলাই
জীবন’,
‘হাজংদের জীবন
সংগ্রাম’ বানিয়ে
হাত
পাকিয়েছেন সোহেল
রানা
বয়াতি।
সেই
সূত্রে
এবার
ধরলেন
পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘নয়া
মানুষ’। কাহিনির প্রয়োজনেই বেছে
নিয়েছেন চাঁদপুরের দুর্গম
চর।
যে
চরে
দেখানো
হবে
নদী
ভাঙা
কতগুলো
অসহায়
মানুষের মাটি
খোঁজার
গল্প।
অথচ
গল্পের
প্রধান
চরিত্রে দেখা
যাবে
শিশুশিল্পী ঊষশী।
‘নয়া মানুষ’
নিয়ে
পরিচালক বয়াতি
বলেন,
‘নদীর
এক
কূল
ভেঙে
অন্য
কূল
গড়ে-
তেমনি
ভাসতে
ভাসতে
মানুষও
এক
চর
থেকে
আরেক
চরে
চলে
যায়।
নতুন
মানুষ
চরে
এলে
কীরকম
সংকট
বা
সমস্যার সৃষ্টি
হয়
সেটা
নিয়েই
গল্প।
এটার
মধ্যে
প্রেম,
প্রকৃতি, ভালোবাসার ও
জীবনদর্শনের গল্পও
দেখবেন
দর্শক।’
চলচ্চিত্রটিতে মৌসুমী-ঊষশী ছাড়াও অভিনয়
করেছেন
আশীষ
খন্দকার, রওনক,
বদরুদ্দোজা, সরণ
সাহা,
আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ
পাপড়ি,
সানজানা, পারভিন
পারু,
মাহিন
রহমান,
এ্যাঞ্জেলাসহ চরের
প্রায়
দুইশ’
মানুষ।
মৌসুমী-ঊষশী ঝড় মুখে
নিয়ে
২৩
অক্টোবর রাতে
ঢাকায়
ফিরলেও
বাকি
ইউনিট
ফিরছে
২৯
অক্টোবর। এমনটাই
জানালেন বয়াতি।
মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত না
হলেও,
নতুন
বছরের
শুরুতেই ছবিটি
মুক্তি
দিতে
আগ্রহী
বয়াতি।
বেশ কিছু দিন ধরে ডেঙ্গু জ্বর ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।৫ বছরের শিশু তৃষা হাসপাতালের বেডে শুয়ে পায়ের ওপর পা তুলে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত। তার শরীরে বেশ জ্বর আর মাথা যন্ত্রণা। একবার বমিও হয়েছে। শনিবার সকালে হঠাৎ জ্বর এবং শরীরে ব্যথা হওয়ায় মা আসমা আক্তার তাকে দ্রুত নিয়ে আসেন হাসপাতালে। বেলা ২টার দিকে তাকে ভর্তি করেন যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেছে, তৃষার ডেঙ্গু হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুটি।
যশোরের
অভয়নগর
উপজেলা
লাগোয়া
জেলা
সদরের
বসুন্দিয়া এলাকার
বাসিন্দা ক্ষুদে
ব্যবসায়ী শিমুল
হোসেন
ও
আসমা
আক্তার
দম্পতির একমাত্র সন্তান
তৃষা।
আসমা
জানান,
অভিজ্ঞতা থেকে
তিনি
ধারণা
করেন,
মেয়ের
ডেঙ্গু
হয়েছে।
তাই
কালবিলম্ব না
করেই
হাসপাতালে নিয়ে
এসেছেন
শিশুটিকে। কী
ধরনের
অভিজ্ঞতা জানতে
চাইলে
তিনি
বলেন,
‘কিছুদিন আগে
বড়
ভাই
শরিফুল
ইসলামের জ্বর-গায়ে ব্যথা, মাথা
যন্ত্রণা হয়।
হাসপাতালে নিয়ে
গেলে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর
জানা
যায়
তার
ডেঙ্গু
হয়েছে।
তারপর
একে
একে
ছোট
ভাই
শফিকুল
ইসলাম,
মা
সাজেদা
বেগম,
স্বামী
শিমুল,
ভাসুর
ফরিদ
হোসেন
এবং
সর্বশেষ মেয়ে
তৃষাও
আক্রান্ত হয়েছে।
‘কেবল আমিই
এখনও
বাকি
আছি’–
মৃদু
হাসিমুখে যোগ
করেন
তিনি।
আসমা
জানান,
আজও
ব্লাড
নিয়েছে,
মেয়েটির জ্বর
কমছে
না।
মাথা
যন্ত্রণা ও
হাত-পা কামড়াচ্ছে।
সরেজমিন অভয়নগর
উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (৫০
শয্যা)
দেখা
যায়,
ডেঙ্গু
আক্রান্তদের জন্যে
আলাদা
কর্নার
করা
হয়েছে।
একপাশের ওয়ার্ডে নারীদের জন্যে,
অপর
পাশে
পুরুষ
রোগীদের।
তৃষার
পাশের
বেডে
রয়েছেন
একই
এলাকার
গৃহবধূ
মজিদা
বেগম
(২৬)। তিনি জানান,
ডাক্তার বলেছেন,
রক্তে
প্লাটিলেটের সংখ্যা
বাড়লে
তাকে
রিলিজ
করা
হবে।
অপর
পাশে
অভয়নগর
উপজেলার বাঘুটিয়া মধ্যপাড়ার গৃহবধূ
সখিনা
বেগম
(৩০)। জ্বর, গায়ে
ব্যথা,
মাথা
যন্ত্রণা আর
বমি
হয়েছে
দুইবার। ২২
অক্টোবর বিকালে
ভর্তি
হয়েছেন;
রক্ত
পরীক্ষায় প্লাটিলেটের সংখ্যা
১
লাখ
৫
হাজার।
পুরুষ
ওয়ার্ডে ভর্তি
চলিশিয়া এলাকার
বিশ্বজিৎ দাস
(৪০)
বলেন,
‘অভয়নগরের ভাঙাগেট এলাকায়
আমার
সেলুনের দোকান।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ
করেই
জ্বর
আর
শরীরে
প্রচণ্ড ব্যথা
অনুভূত
হয়।
স্থানীয় একজন
চিকিৎসকের মাধ্যমে ওষুধ
সেবন
করি।
কিন্তু
জ্বর
না
কমায়
শনিবার
হাসপাতালে ভর্তি
হই।’
শঙ্করপাশা এলাকার
কামাল
হোসেনও
(৪০)
ভর্তি
হয়েছেন
শনিবার। রক্তে
প্লাটিলেটের সংখ্যা
১
লাখ
২
হাজার।
ডাক্তার বলেছেন,
দেড়লাখ
না
হলে
রিলিজ
করবেন
না।
পায়রা
এলাকার
বাবর
আলী
(৩৮),
শঙ্করপাশা এলাকার
আলীম
মোল্লা
(৪৫)
প্রমুখ
তিন
দিন
থেকে
এক
সপ্তাহ
চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র
স্টাফ
নার্স
দেবীরাণী বিশ্বাস এ
প্রতিনিধিকে বলেন,
‘গত
২৪
ঘণ্টায়
আমাদের
এখানে
ভর্তি
হয়েছেন
১১
জন;
যাদের
মধ্যে
নারী
৪
এবং
পুরুষ
৭
জন।
মোট
চিকিৎসাধীন রয়েছেন
৩১
জন;
যার
মধ্যে
নারী
১০
এবং
পুরুষ
২১
জন।’
অভয়নগরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি
হাসপাতালে রোগীর
স্বজন
শঙ্করপাশা খেয়াঘাট এলাকার
আব্দুল
গফ্ফার
বলেন,
‘আমাদের
গ্রামে
কমপক্ষে ৮
জন
এ
যাবৎ
ডেঙ্গু
আক্রান্ত হয়েছে।
নদীর
ওপার
এলাকায়
এটি
ছড়িয়ে
পড়েছে।
প্রায়
বাড়িতেই জ্বরের
রোগী
রয়েছে।
অনেকেই
পরীক্ষা করাচ্ছে না।’
তিনি
জানান,
স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদ
থেকে
মশা
নিধনে
কোনও
কর্মকাণ্ড এখনও
নেওয়া
হয়নি।
হাসপাতালে ভর্তি
একই
এলাকার
রবিউল
ইসলামের বড়
ভাই
রেজাউল
ইসলাম
বলেন,
‘আমার
ভাই
৬
দিন
আগে
ভর্তি
হয়
হাসপাতালে। তিন
দিন
আগে
রিলিজ
হয়;
আবার
আজ
রবিবার
সকালে
তাকে
ভর্তি
করা
হয়েছে।’
তিনি
বলেন,
‘শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দুই
নম্বর
ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা
খুব
বেশি।’
জানতে
চাইলে
শ্রীধরপুর ইউনিয়নের চেযারম্যান নাসিরউদ্দীন বলেন,
‘আমাদের
ইউনিয়নে ডেঙ্গু
আক্রান্ত রোগীর
সংখ্যা
বেশিই
বলা
যায়।
সেই
কারণে
বিভিন্ন এলাকায়
চৌকিদার পাঠিয়ে
এডিস
মশা
যেসব
স্থানে
ডিম
পাড়তে
পারে,
সেগুলো
বিনষ্ট
করা
হচ্ছে।
তা
ছাড়া,
মসজিদভিত্তিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ
করা
হচ্ছে।’
এক
প্রশ্নের জবাবে
তিনি
বলেন,
‘যেহেতু
বরাদ্দ
নেই,
সে
কারণে
মশা
নিধনের
ওষুধ
ছিটানো
হয়নি।’
এদিকে,
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪
নম্বর
ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার
বাসিন্দা জাহাঙ্গীর গাজী
বলেন,
‘ডেঙ্গু
আক্রান্তের সংখ্যা
বেশি
হওয়ার
কারণে
এবার
বৃষ্টিপাত খুব
কমই
হয়েছে।
অল্প
বৃষ্টিতে কোথাও
কোথাও
পানি
জমে
আছে;
মানুষের মাঝে
সচেতনতার অভাব
এবং
ভয়াবহতার বিষয়ে
কোনও
প্রচার-প্রচারণা নেই।
তবে,
নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র
সুশান্ত কুমার
দাস
বলেন,
‘আমাদের
উপজেলায় প্রচুর
সংখ্যক
ডেঙ্গু
রোগী।
নাগরিকরা বেশ
আতঙ্কিত। এডিস
মশার
বিস্তার রোধে
পৌরসভা
থেকে
প্রতিদিন চারটি
করে
ওয়ার্ডে আমরা
মশা
মারার
স্প্রে
করছি।
আশা
করছি,
খুব
শিগগির
এই
অবস্থা
থেকে
আমাদের
উত্তরণ
ঘটবে।’
চিকিৎসকরা যা বললেন
যশোরের
সিভিল
সার্জন
অফিস
সূত্রে
জানা
যায়,
যশোর
জেলায়
গত
তিন
মাসে
ডেঙ্গু
আক্রান্ত হয়
মোট
৫১৯
জন।
যার
মধ্যে
অভয়নগর
উপজেলাতেই ৩৯২
জন।
এর
মধ্যে
হাসপাতাল থেকে
ছাড়পত্র দেওয়া
হয়েছে
৪৭৫
জনকে;
আর
অভয়নগরে ৩৬১
জন।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে
৪৪
জন,
তাদের
মধ্যে
অভয়নগরেই ৩১
জন
রয়েছে।
অভয়নগর
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও
পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
মো.
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,
‘গত
আগস্ট
মাসে
এই
উপজেলায় প্রথম
ডেঙ্গু
আক্রান্ত রোগী
শনাক্ত
হয়।
সেই
মাসে
ছিল
৫৩
জন,
সেপ্টেম্বর মাসে
১৫১
জন
এবং
আজকের
দিন
পর্যন্ত (২৩
অক্টোবর) ১৮৯
জন।’
তিনি
আরও
বলেন,
‘আমরা
লক্ষ
করেছি,
ভবদহ
জলাবদ্ধ এলাকা
এবং
শিল্পাঞ্চল এলাকা
থেকে
বেশি
রোগী
আসছে।’
মশার
উৎপত্তিস্থল ধ্বংস
করা
গেলে
এই
রোগের
প্রকোপ
কমবে
বলে
তিনি
মন্তব্য করেন।
যশোরের
ডেপুটি
সিভিল
সার্জন
ডা.
নাজমুস
সাকিব
রাসেল
বলেন,
‘এডিস
মশা
স্বচ্ছ
পানিতে
লার্ভা
ছাড়ে;
ঠিক
তেমনি
দিনের
বেলা
কামড়ায়। জেলার
মোট
আক্রান্তের ৮০
শতাংশই
অভয়নগরে। এবারই
যে
বেশি
আক্রান্ত, তেমন
নয়।
২০১৮
সালেও
একবার
সেখানে
বেশ
আক্রান্ত হয়েছিল।’
তিনি
আরও
বলেন,
‘আমরা
মনে
করি,
যেকোনও
রোগই
চিকিৎসার চেয়ে
প্রতিরোধ উত্তম।
সেক্ষেত্রে যেসব
স্থানে
স্বচ্ছ
পানি
জমতে
পারে,
তা
ডাবের
খোল,
প্লাস্টিকের বোতল
বা
ওয়ান
টাইম
কাপ,
ছাদ
পরিষ্কার রাখা,
ফ্রিজ
বা
এসির
পানি
যাতে
না
জমতে
পারে
সেই
ব্যবস্থা করা,
দিনের
বেলায়ও
মশারি
টানানো,
সর্বোপরি ব্যাপক
হারে
জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে
এলে
এই
রোগ
থেকে
প্রতিকার পাওয়া
যেতে
পারে।’
তিনি
বলেন,
‘যদি
সাইক্লোন সিত্রাং আঘাত
হানে,
তাহলে
ভারি
বৃষ্টিও হতে
পারে।
সেক্ষেত্রে জমে
থাকা
পানি
থেকেও
আরেক
দফা
প্রকোপের আশঙ্কা
উড়িয়ে
দেওয়া
যায়
না।
তবে,
আশা
করা
যায়,
শীত
বাড়লে
এই
রোগ
শেষ
হয়ে
যাবে।’
ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে ৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই রকিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে ১৪০তম স্থানে উঠে এসেছে সাবিনা-কৃষ্ণারা।
এর আগে ৫ আগস্ট ঘোষিত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ছিল ১৪৭ নম্বরে। চলতি বছরে এটিই বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বোচ্চ ফিফা র্যাংকিং। গত বছর ১০ ডিসেম্বর ঘোষিত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৩ নম্বরে।
এরপর এ বছরের প্রথম র্যাংকিং ঘোষণা হয়েছিল ২৫ মার্চ। তখন বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫ নম্বরে। জুনে ছিল ১৪৬ নম্বরে। গেল সেপ্টেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। যেখানে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে । সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এ অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। পরীমনি রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হলে পরীর শুভাকাঙ্ক্ষিরা শুভ জন্মদিন বলে শুভেচ্ছা জানান। পরীও তার স্বভাবসুলভ মিষ্টি হাসিতে সবার শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন।
রাজধানীর বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পরীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বরাবরের মতো এবারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ভেন্যুও আকর্ষণীয় সাজে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানে পরীর আত্মীয়, শোবিজের সহকর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটায় পরীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হওয়া কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার ফলে তা সম্ভব হয়নি।
পরীর এবারের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে ‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’ ছবির গান প্রকাশ। তাছাড়া চারজন মিলে জন্মদিনের কেক কাটে পরী। যারা কেক কাটায় অংশ নিয়েছে তারা হচ্ছেন- পরীর নানা, পরীমনি নিজে, ছেলে রাজ্য ও তার স্বামী শরিফুল রাজ। পাশাপাশি পরীরর জীবনভিত্তিক ডকু ফিকশন অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
পরী এর আগে তার জন্মদিনের কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের জন্য ড্রেস কোড নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। এবারের ড্রেস কোড হিসেবে মেয়েদের জন্য সাদা রং নির্ধারণ করা করেছে। ছেলেদের জন্য অ্যাকোয়া রং। কার্ডে একটি শান্তির পায়রা উড়ছে। সঙ্গে শ্বেত শুভ্র পালক।
উল্লেখ্য, গত বছর বিমানের ককপিটের আদলে সাজানো হয়েছিল পরীর জন্মদিনের মূল মঞ্চ। ওপরে লাইট বসানো ইংরেজিতে লেখা ছিলো ‘ফ্লাই উইথ পরীমনি’ অর্থাৎ ‘পরীমনির সঙ্গে ওড়ো’। জন্মদিনের রাতে বিমানবালার বেশে ককপিটে হাজির হয়েছিলেন পরী।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা করার জন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনার কথা গণমাধ্যমেকে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশক্রমে উপকূলবর্তী ১৯টি জেলার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলের জনসাধারণকে দ্রুতসময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিশ্চিতকরণে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উপকূলের মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্যসহায়তা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সর্বাত্মক কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগপরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির নেতৃত্বে একাধিক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিমের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিবৃতিতে তিনি উপকূলবর্তী এলাকার দলীয় নেতাকর্মী এবং জনসাধারণকে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের মনিটরিং টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে মনিটরিং টিমের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বর- ০২-২২৩৩৬৭৮৮০, ০২-২২৩৩৬৭৮৮২, ০১৭৭৩২৬৬৬৬৬, ০১৯১৫৫৫৫৮৩০, ০১৭১১৫৮২৪৭৫।
এখন আর কেউ ব্যাংকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন না টাকা ওঠানোর জন্য। সবার আশপাশেই সহজলভ্য এখন এটিএম বুথ বা অটোমেটেড টেলার মেশিন। এক মুহূর্তেই এই মেশিন থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা অধিক সহজতর।
বিশ্বের সব স্থানেই রাস্তার অলিগলিতে এটিএম বুথ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে কখনো কি শুনেছেন, পাহাড়ের উপরে এটিএম বুথ থাকার কথা?
অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, পাকিস্তানের এক এটিএম বুথে টাকা তুলতে গেলে আপনাকে মেঘ ভেদ করে উঠতে হবে বিশালাকার পাহাড়ে।
এটিই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত এটিএম বুথ হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তান সীমান্তের খুঞ্জেরাব পাসে বসানো আছে এই এটিএম বুথ।
এই এটিএমে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। আসলে এটি চলে সৌর ও বায়ু শক্তিতে। প্রতিদিন অনেক মানুষ টাকা উত্তোলন করেন এই বুথ থেকে।
সমুদ্রতল থেকে এই এটিএমের উচ্চতা ১৫ হাজার ৩৯৬ ফিট। এই এটিএম বুথের অবস্থান তুষার ঢাকা পর্বতে। ২০১৬ সালে এটি চালু হয়। এরই মধ্যেই এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সর্বোচ্চ এটিএমের মর্যাদা পেয়েছে।
এই এটিএম বুথ সেখানকার নিকটতম ব্যাংক প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যেখান থেকে কর্মীরা এই এটিএমটি নিয়মিত রিফিল করার জন্য চলে যান। এই এটিএমে পৌঁছাতে তাদের প্রবল বায়ু প্রবাহ, ঝড়, ভূমিধস ও দুর্গম পার্বত্য পথ পেরোতে হয়।
এই এটিএম এতো উঁচুতে নির্মাণে মূল উদ্দেশ্য হলো, সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীর সদস্যরা যাতে এখান থেকে টাকা তুলতে পারেন। খুঞ্জেরাব একটি জাতীয় উদ্যান ও পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান।
এটি তুষার চিতা ও বিপন্ন প্রজাতির মার্কোপোলো ভেড়ার আবাসস্থল। জাতীয় উদ্যানে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে আছে হিমালয়ান আইবেক্স, হিমালয়ান ব্রাউন বিয়ার, তিব্বতি নেকড়ে, নীল ভেড়ার মতো প্রাণী।
সূত্র: বিবিসি
ভারতীয় সিনেমার জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে।গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে কলকাতার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নির্মাতা। ভারতীয় বাংলা সিনেমার পরিচালক পিনাকি চৌধুরী মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
জানা যায়, গত কয়েক মাস
ধরে অসুস্থ ছিলেন পিনাকি চৌধুরী। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছিল তাকে। কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেইলিওর হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়াও
ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
পিনাকি চৌধুরীর
পরিবারের এক সদস্য ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পিনাকি চৌধুরী মারা গেছেন।
অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। আমরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। গত (২৩ অক্টোবর)
হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাড়িতে আনার পর মারা যান তিনি। আমাদের মানসিক
অবস্থা ভালো নেই। এভাবে মানুষটাকে হারাব ভাবিনি।’
প্রযোজনার মধ্য দিয়ে
শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন পিনাকি চৌধুরী। দুটি সিনেমা প্রযোজনার পর পরিচালনায় নাম
লেখান তিনি। পরবর্তীতে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন এই নির্মাতা।
১৯৯৬ সালে ‘সংঘাত’
সিনেমার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন পিনাকি। ২০০৭ সালে
‘বালিগঞ্জ কোর্ট’ নির্মাণ করে দ্বিতীয়বার এই সম্মান অর্জন করেন তিনি। পিনাকি
নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা ‘আরোহণ’। ২০১০ সালে মুক্তি পায় এটি।
ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' স্থল নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাস থাকায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে
আবহাওয়াবিদ বজলুর
রশিদ
বলেন,
'ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' এখন
স্থল
নিম্নচাপ আকারে
ময়মনসিংহ অঞ্চলে
অবস্থান করছে।
এটি
ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপর
দিয়ে
বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করছে
এবং
এটি
ভারতের
আসামের
দিকে
অগ্রসর
হচ্ছে।'
এদিকে
নিম্নচআপের প্রভাবে ঢাকাসহ
দেশের
অনেক
অঞ্চলে
হালকা
থেকে
মাঝারি
ধরনের
বৃষ্টি
হতে
পারে
আজও।
বিকেল
নাগাদ
কমে
আসবে
বলে
আশা
করছে
আবহাওয়া অধিদফতর।
উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও
গভীর
সাগরে
অবস্থানরত সকল
মাছ
ধরার
নৌকা
ও
ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না
দেওয়া
পর্যন্ত নিরাপদ
আশ্রয়ে থাকতে
বলা
হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল
কালাম
মল্লিক
বলেন,
নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকাসহ
দেশে
কিছু
অঞ্চলে
বৃষ্টি
হতে
পারে।
এছাড়া
নিম্নচাপটি ত্রিপুরা দিয়ে
দুর্বল
হয়ে
বের
হয়ে
যেতে
পারে।
যেতে
যেতে
বৃষ্টি
ঝরিয়ে
যাবে
বলে
তিনি
জানান।
এদিকে
সোমবার
মধ্যরাতে আবহাওয়ার এক
বিশেষ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়,
উপকূল
অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং' আরো
উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত
অগ্রসর
হয়ে
সোমবার
মধ্যরাতে ভোলার
পাশ
দিয়ে
বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে।
বৃষ্টি
ঝরিয়ে
দ্রুত
দুর্বল
হয়ে
নিম্নচাপে পরিণত
হয়েছে
এটি
এবং
ওই
সময়
এটি
স্থল
নিম্নচাপ আকারে
ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ও
এর
পার্শ্ববর্তী এলাকায়
অবস্থান করছিল।
উত্তর
বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য
বিরাজ
করছে।
মোংলা,
পায়রা
ও
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭
নম্বর
বিপদ
সংকেত
নামিয়ে
তার
পরিবর্তে ৩
নম্বর
স্থানীয় সতর্ক
সংকেত
দেখাতে
বলেছে
আবহাওয়া অফিস।
এ
ছাড়া
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬
নম্বর
বিপদ
সংকেত
নামিয়ে
তার
পরিবর্তে ৩
নম্বর
স্থানীয় সতর্ক
সংকেত
দেখাতে
বলা
হয়।
অমাবশ্যা তিথি
ও
বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা
সাতক্ষীরা, খুলনা,
বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা,
পটুয়াখালী, ভোলা,
বরিশাল,
লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী,
চট্টগ্রাম ও
কক্সবাজার এবং
তাদের
অদূরবর্তী দ্বীপ
ও
চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে
৩
থেকে
৫
ফুট
অধিক
উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার
সম্ভাবনার কথাও
জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস