গল্পের টানে কতো-কতোদূর ছুটতে হয়। মুখোমুখি হতে হয় কতো বিস্ময়ের। পড়তে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদে। তবে এসব ছাপিয়ে দিনশেষে তিনিই সঠিক শিল্পীর তকমা পান, যিনি বাস্তবের সব অতিক্রম করে পর্দায় নিজেকে তুলে ধরতে পারেন মানুষ-মুগ্ধতার কাছাকাছি।
মৌসুমী
হামিদের শেষযাত্রার গল্প
শুনলে
অন্তত
এসব
ভাবনা
মনে
আসবে
পাঠকেরও। যদিও
পর্দার
পেছনে
একজন
শিল্পীর স্ট্রাগলের আধাভাগও প্রকাশ
হয়
না-
জীবদ্দশায়। তুমুল
বেগে
ধেয়ে
আসা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-কে
পেছনে
ফেলে
মৌসুমী
তখন
(২৩
অক্টোবর রাত)
ফিরছিলেন মাইক্রোবাসে। চাঁদপুর মেঘনার
বাঁকে
দুর্গম
এক
চরে
তিনি
ও
তার
দল
অবস্থান করেছেন
টানা
১০
দিন।
উদ্দেশ্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘নয়া
মানুষ’-এর শুটিং।
১৩
অক্টোবর থেকে
মৌসুমীসহ ৬৫
জনের
টিম
নিয়ে
ক্যাম্প গড়েন
নির্মাতা সোহেল
রানা
বয়াতি।
মৌসুমী
সেখান
থেকে
ঢাকায়
ফেরেন
২৩
অক্টোবর রাতে,
ঝড়ের
মুখে।
ফিরতি
পথে
বলেন,
‘শুধু
কাজটাকে ভালোবেসে কতো
রোদে
পুড়তে
হয়
আর
কতো
জলে
ভিজতে
হয়।
আরও
কতো
বাধার-স্ট্রাগলের মধ্যদিয়ে আমাদের বাঁচতে হয়।
সেটা
পর্দার
সামনে
বসে
থাকা
মানুষগুলো যদি
জানতো,
তবে
সমীহ
পেতে
সুবিধে
হতো।
কথায়
কথায়
আর
আমাদের
বকা
খেতে
হতো
না
সোশ্যালে বা
সমাজে।’
নয়া
মানুষ’-এর অন্যতম দুই
চরিত্রে অভিনয়
করছেন
শিশুশিল্পী উষশী
ও
মৌসুমী
হামিদ।
আ.
ম.
ম.
হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার
বালুচর’
গল্প
অবলম্বনে মাসুম
রেজার
চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে
সিনেমাটি। বয়াতির
এটি
প্রথম
পূর্ণদৈর্ঘ্য।
ছবিটির
গল্প
নিয়ে
দারুণ
উচ্ছ্বসিত মৌসুমী। তার
ভাষায়,
‘শুধু
এই
গল্পটার জন্যই
এতোটা
দুর্গম
চরাচরে
এসে
কষ্ট
করেছি।
শুধু
দুর্গমই নয়,
এরসঙ্গে যুক্ত
হলো
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। গত
তিনদিন
ধরে
বৃষ্টি-মেঘ সেই চরে।
২৩
তারিখ
তো
২৪
ঘণ্টাই
ঝরলো
বৃষ্টি। এরমধ্যে গোটাদিন আমি
আর
ঊষশী
ভিজে
ভিজে
শুটিং
করেছি।
গতকাল
(২৩
অক্টোবর) সকাল
থেকে
দেখছিলাম অদ্ভুত
আরেকটি
ঘটনা।
দেখেছি
নদীর
পানি
বেড়ে
পুরো
চরটা
ক্রমশ
ডুবে
যাচ্ছে। তিন
নম্বর
সতর্ক
সংকেত
দিয়েছে
সেখানে। এ
এক
অদ্ভুত
অভিজ্ঞতা। এরমধ্যেও আমরা
শুটিংটা করে
গেছি
ভিজে
ভিজে
ভয়ে
ভয়ে।
সন্ধ্যায় শেষ
করেছি।
শুরু
হলো
তুমুল
ঝড়-বাতাস। তার মধ্যেই
মাইক্রোতে চেপে
কাঁপতে
কাঁপতে
ঢাকায়
ফিরছি
এখন
(রাত
৯টা)। জানি না,
পথে
কী
আছে।’
ভয়ের
কিছু
নেই,
মৌসুমী
হামিদ
ও
তার
সহশিল্পী ঊষশী
নিজ
নিজ
বাসায়
ঢাকায়
ফিরেছেন ঠিকঠাক। নিশ্চিত করেছেন
তারা।
না
সিনেমার শুটিং
শেষ
করে
ফেরেননি তারা।
তাদের
দুজনের
প্রথম
অংশের
কাজ
শেষ
হয়েছে।
অন্য
শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে ‘নয়া মানুষ’
ইউনিট
রয়ে
গেছে
চাঁদপুরেই।
চরে
১০
দিনের
কাজের
অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মৌসুমী
বলেন‘অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো।
যেটা
কম-বেশি সব কাজেই
থাকে।
তবে
প্রতিবন্ধকতা ইউনিট
ছাপিয়ে
যখন
প্রকৃতি পর্যন্ত গড়ায়,
সেটা
সামাল
দেওয়া
কঠিন।
আশার
কথা
সব
ছাপিয়ে,
ফ্যান্টাসটিক কাজ
করেছি
টানা
১০টা
দিন।
গল্পটা
র।
মাটির
গল্প।
সিনেমাটা নিয়ে
আমাদের
অনেক
একসাইটমেন্ট। এটা
করার
একটাই
কারণ
গল্প।
এটা
ধর্ম-বর্ণ সব ছাপিয়ে
কিছু
ঘরপোড়া
মানুষের গল্প।
যে
মানুষগুলোর মধ্যে
আমি
নিজেকেও খুঁজে
পাই।
সেজন্যই, সব
প্রতিবন্ধকতা সামলে
কাজটি
করছি।’
‘টিয়ার গপ্পো’,
‘সেলাই
জীবন’,
‘হাজংদের জীবন
সংগ্রাম’ বানিয়ে
হাত
পাকিয়েছেন সোহেল
রানা
বয়াতি।
সেই
সূত্রে
এবার
ধরলেন
পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘নয়া
মানুষ’। কাহিনির প্রয়োজনেই বেছে
নিয়েছেন চাঁদপুরের দুর্গম
চর।
যে
চরে
দেখানো
হবে
নদী
ভাঙা
কতগুলো
অসহায়
মানুষের মাটি
খোঁজার
গল্প।
অথচ
গল্পের
প্রধান
চরিত্রে দেখা
যাবে
শিশুশিল্পী ঊষশী।
‘নয়া মানুষ’
নিয়ে
পরিচালক বয়াতি
বলেন,
‘নদীর
এক
কূল
ভেঙে
অন্য
কূল
গড়ে-
তেমনি
ভাসতে
ভাসতে
মানুষও
এক
চর
থেকে
আরেক
চরে
চলে
যায়।
নতুন
মানুষ
চরে
এলে
কীরকম
সংকট
বা
সমস্যার সৃষ্টি
হয়
সেটা
নিয়েই
গল্প।
এটার
মধ্যে
প্রেম,
প্রকৃতি, ভালোবাসার ও
জীবনদর্শনের গল্পও
দেখবেন
দর্শক।’
চলচ্চিত্রটিতে মৌসুমী-ঊষশী ছাড়াও অভিনয়
করেছেন
আশীষ
খন্দকার, রওনক,
বদরুদ্দোজা, সরণ
সাহা,
আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ
পাপড়ি,
সানজানা, পারভিন
পারু,
মাহিন
রহমান,
এ্যাঞ্জেলাসহ চরের
প্রায়
দুইশ’
মানুষ।
মৌসুমী-ঊষশী ঝড় মুখে
নিয়ে
২৩
অক্টোবর রাতে
ঢাকায়
ফিরলেও
বাকি
ইউনিট
ফিরছে
২৯
অক্টোবর। এমনটাই
জানালেন বয়াতি।
মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত না
হলেও,
নতুন
বছরের
শুরুতেই ছবিটি
মুক্তি
দিতে
আগ্রহী
বয়াতি।


Most Popular
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
একটা কথা আজকাল শোনা যায়, ‘আমাদের গল্পে আমাদের স...
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
বাংলা চলচ্চিত্রের শুদ্ধ মানুষ

২০১৮ বিশ্বকাপে মেসি আর বর্তমান আর্জেন্টিনার মেসি এক নয়,
বিধ্বস্ত মেসিকে খুব কমই দেখ...