দেশের উন্নয়নের এক
বিশেষ ভুমিকা রয়েছে কৃষি খাত।কৃষি সমৃদ্ধ দেশ বাংলাদেশ। দেশের কৃষিখাতে অবদান রাখায় এ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছে ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেওয়া হয় এ পুরস্কার। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনটি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়েছে। পদক ছাড়াও বিজয়ীরা পেয়েছেন সনদপত্র ও নগদ টাকা।
এরমধ্যে স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা নগদ এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদকপ্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার করে টাকা পেয়েছেন।
১৪২৫ বঙ্গাব্দের পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা
স্বর্ণপদক: কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে স্বর্ণপদক পেয়েছেন বগুড়ার শেরপুরের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান।
রৌপ্যপদক: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক পেয়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের মো. বদরুল হায়দার বেপারী। এ ক্যাটাগরিতে আরও রৌপ্যপদক পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. হামিদুল হক।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে কৃষিতে নারীর অবদানের ক্ষেত্রে রৌপ্যপদক পেয়েছেন ঝিনাইদহ সদরের শারমিন আক্তার, প্রতিষ্ঠান-সমবায়-কৃষক পর্যায়ে উচ্চমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপনে অবদানের জন্য রৌপ্যপদক পেয়েছেন পাবনার আটঘরিয়ার মো. দুলাল মৃধা।
বাণিজ্যিকভিত্তিক খামার স্থাপনে রৌপ্যপদক পেয়েছেন সাভারের মো. কোব্বাদ হোসাইন ও রাজশাহীর গোদাগাড়ির মো. মনিরুজ্জামান মনির। প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন প্যারামাউন্ট এগ্রো লিমিটেড (রৌপ্যপদক)।
ব্রোঞ্জপদক: কৃষি গবেষণায় রাজশাহীর তানোরের নুর মোহাম্মদ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার বারেক হাওলাদার, কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে রংপুরের বুড়িহাটের হর্টিকালচার সেন্টারের মো. মজিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শফিকুল ইসলাম, নওগাঁর পোরশা উপজেলার গৌতম কুমার সাহা, রাজশাহীর পুঠিয়ার মোছা. পূর্ণিমা বেগম, ঢাকার নবাবগঞ্জের নিপু ট্রেডার্স ব্রোঞ্জপদক পেয়েছেন।
১৪২৬ বঙ্গাব্দের পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা
স্বর্ণপদক: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি চাষে পাবনার ঈশ্বরদীর মো. আমিরুল ইসলাম স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
রৌপ্যপদক: ঢাকার শেরে বাংলা নগরের মুহাম্মদ রকিবুল আহসান রনি, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আইয়ুব হোসেন, খুলনার খালিশপুরের মোছা. হালিমা বেগম, যশোরের ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা, সিলেটের আব্দুল হাই আজাদ বাবলা, মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম, খুলনা ডুমুরিয়ার আবুল হোসেন সরদার, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর মো. বাবুল হোসেন।
ব্রোঞ্জপদক: দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবার রহমান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের মো. মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের মো. সহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির হ্লাশিং মং চৌধুরী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মো. গাজী মামুদ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মো. মাহবুবুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের রিনা বেগম, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোমরেজ আলী, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী, পাবনার ঈশ্বরদীর মো. শাহীনুজ্জামান, বান্দরবানের তোও য়োও ম্রো, ফেনীর মো. মজিবুল হক, মুন্সিগঞ্জের সিরাজ খান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ছানোয়ার হোসেন, রাঙ্গামাটির রাজস্থলির মো. আবদুল আউয়াল, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের মো. শাকিল মিয়া, নড়াইলের তনিমা আফরিন এবং দিনাজপুরের রাখী দে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের বলেন।
লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘টেমস নদীর পাড়ে বসে রাজপথ থেকে উঠে আসা দল আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার দুঃস্বপ্ন দেখে কোনও লাভ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত হতে শেখেননি, তিনি হার মানেন না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ।’ রাজপথ ও নির্বাচনে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ সর্বদা প্রস্তুত বলেও তিনি জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা এখনও সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা সরকারের পদত্যাগ নিয়ে হাস্যকর বক্তব্য রাখছে।’
‘বাংলাদেশে সংবিধান আছে, গণতন্ত্র আছে, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০২৩ সালের প্রান্তিকে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে সংবিধান সম্মতভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। প্রধান নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব সংকটের জন্য বাংলাদেশের মানুষের কষ্টকে পুঁজি করে সরকার পতনের আন্দোলনের খোয়াব দেখে লাভ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। এ দুর্দিন অচিরেই কেটে যাবে, দেশে আবারও সুদিন ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।’
দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানের ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের টেক ব্যাক হলো দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়া। দেশকে হাওয়া ভবনের দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত করা। তাদের টেক ব্যাক মানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের উল্লাস। তাদের টেক ব্যাক মানে বাংলাভাইদের অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা, জঙ্গিবাদ কায়েম করা।’ বিএনপি আমলের সেই অন্ধকারে দেশের মানুষ আর ফিরে যেতে চায় না, লুটপাট আর রক্তপাতের বাংলাদেশ দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে সংসদ নির্বাচন না দিলে আওয়ামী লীগ সরকার পালানোর পথও খুঁজে পাবে না—বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদি লজ্জা থাকতো তাহলে তিনি নিশ্চয় ভাবতেন, পালানোর ইতিহাস বিএনপির, আওয়ামী লীগের নয়। আপনাদের নেতাই তো রাজনীতি করবে না বলে কাপুরুষের মতো মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে।’
বিএনপিকে ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচনের’ পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখনও সময় আছে। হুমকি-ধমকি, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে ফিরে আসুন। তা না হলে শেষ পর্যন্ত আপনারাই পালানোর অলিগলিও খুঁজে পাবেন না।’
চলচ্চিত্রকে নতুন ভাষায় রুপ দিয়েছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক জ্যঁ-লুক গদার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য নির্মাতার মধ্যে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ৯১ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন তিনি।
ফরাসি
এই
শিল্পীর প্রতি
শ্রদ্ধা জানাতে
আলিয়ঁস
ফ্রঁসেজ ঢাকা
আয়োজন
করেছে
‘অ্যা
ট্রিবিউট টু
জ্যঁ-লুক গদার’।
গত সোমবার (১০
অক্টোবর) বিকাল
৩টায়
ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস
ফ্রঁসেজের ন্যুভেল ভ্যাগ
অডিটোরিয়ামে টানা
দেখানো
হবে
তার
দুটি
কালজয়ী
চলচ্চিত্র। এগুলো
হলো
‘ব্রেথলেস’ (১৯৬০)
এবং
‘পিরো
ল্যঁ
ফু’
(১৯৬৫)।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পর
সন্ধ্যা ৬টা
৩০
মিনিটে
থাকছে
আলোচনা। এতে
অংশ
নিয়েছিলেন শিল্প
সমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ।
জ্যঁ-লুক গদার পরিচালিত প্রথম
ছবি
‘ব্রেথলেস’।
এটি
ফ্রেঞ্চ নিউ
ওয়েভ
সিনেমার একটি
প্রভাববিস্তারকারী উদাহরণ। এর
মাধ্যমে ফরাসি
চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুনধারা আন্তর্জাতিক মনোযোগ
কেড়ে
নেয়।
সেই
সময়
জাম্প
কাটের
ব্যবহার প্রচলিত হয়ে
ওঠে
এই
ছবির
মাধ্যমে। এর
গল্প
ভবঘুরে
অপরাধী
মিশেল
এবং
তার
প্রেমিকা প্যাট্রিসিয়াকে কেন্দ্র করে।
এ
দুটি
চরিত্রে অভিনয়
করেছেন
ফরাসি
অভিনেতা জ্যঁ-পল বেলমুদোঁ ও
আমেরিকান অভিনেত্রী জিন
সেবার্গ।
জ্যঁ-লুক গদারের দশম
ছবি
‘পিরো
ল্যঁ
ফু’র দৈর্ঘ্য ১১০
মিনিট।
এটি
তৈরি
হয়েছে
১৯৬২
সালে
প্রকাশিত আমেরিকান কথাশিল্পী লিওনেল
হোয়াইটের ‘অবসেশন’
উপন্যাস অবলম্বনে। এর
গল্পে
দেখা
যায়,
সংসার
জীবনে
অসুখী
ফার্দিনান্দ প্যারিসে সমাজের
একঘেঁয়েমি থেকে
মুক্তি
পেতে
স্ত্রী-সন্তান ও বুর্জোয়া জীবনযাপন ছেড়ে
ভূমধ্যসাগর ভ্রমণে
বের
হয়।
তার
সঙ্গী
প্রাক্তন প্রেমিকা মারিয়ান। আলজেরিয়ার ওএএস
গ্রুপের ভাড়াটে
খুনীরা
তাড়া
করছে
মেয়েটিকে। ছবিটিতে প্রধান
দুটি
চরিত্রে অভিনয়
করেছেন
জ্যঁ-পল বেলমুদোঁ ও
আনা
কারিনা।
আলিয়ঁস
ফ্রঁসেজের প্রোগ্রাম অফিসার
মামুন
অর
রশিদ
জানান,
চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও
আলোচনা
সবার
জন্য
উন্মুক্ত। তবে
আসন
সীমিত।
ফলে
আগে
এলে
আগে
জায়গা
পাওয়া
যাবে।
ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পান্তের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার প্রেমের গুঞ্জন অনেক দিনের। যদিও তারা সরাসরি স্বীকার করেননি, তবে তাদের কাজকর্মে সমীকরণ মিলিয়ে নিয়েছে নেটিজেনরা। কিন্তু কিছু দিন আগে প্রকাশ্যেই নেটযুদ্ধে লিপ্ত হন তারা। একে-অপরকে খোঁচা মেরে মন্তব্য করেন। তখন বলাবলি হয়েছিল, এই তারকাদ্বয়ের প্রেমে হয়ত ইতি ঘটেছে।
এবার উর্বশী ইঙ্গিত দিলেন, প্রেমে ইতি তো দূরের কথা; আরও নাকি গাঢ় হয়েছে। এমনকি বিয়ের ইঙ্গিতও দিয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতের জাতীয় দলের হয়ে ঋষভ পান্তে অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। তার পিছু পিছু ক্যাঙ্গারুর দেশে উড়াল দিয়েছেন উর্বশীও।
এখানেই শেষ নয়, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর একটি ব্যতিক্রম ছবি শেয়ার করেছেন নায়িকা। যেখানে তাকে দেখা গেছে লাল শাড়ি, সবুজ ব্লাউজ আর সিঁদুরে; একেবারে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু নারীর রূপে। এমন সাজে উর্বশীকে দেখা যায় না বললেই চলে।
হঠাৎ এমন ছবি দিয়ে উর্বশী ইঙ্গিত করলেন বিয়ের দিকে। লিখেছেন, ‘প্রেমে পড়া প্রেমিকার কাছে সিঁদুরের চেয়ে প্রিয় কিছু নেই। সব আচার-অনুষ্ঠান ধর্মীয় নিয়ম অনুসারেই হবে। তোমাকে সারা জীবনের জন্য পান করেছি।’
অনেকেই ধারণা করছেন, হয়তো শিগগিরই ঋষভকে বিয়ে করতে চলেছেন উর্বশী। ইনস্টা পোস্টের ক্যাপশনেও একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেত্রী। হ্যাশট্যাগে ‘ইউআর’ লিখেছেন, যেটার দুরকম পূর্ণরূপ হতে পারে। এক, উর্বশী রাউতেলা। দুই, উর্বশী ঋষভ। তবে তিনি কোনটা বুঝিয়েছেন, সেটা অস্পষ্ট।
এদিকে ক্রিকেট ভক্তরা উর্বশীর পোস্টে দাবি জানাচ্ছেন এখনই কিছু না করতে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর যেন এদিকে মনোনিবেশ করেন। আপাতত ঋষভ খেলায় মনোযোগ দিক। মুন্না নামের একজন লিখেছেন, ‘দয়া করে পান্তকে ছেড়ে দাও বিশ্বকাপের জন্য’, সূর্য নামের আরেকজনের মন্তব্য, ‘এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বকাপের বিষয় জানি না, তবে ভাইয়া-ভাবির হয়ে যাবে!’
অনুসারীদের মন্তব্যের বিপরীতে অবশ্য নীরবতা পালন করছেন উর্বশী। ঋষভ পান্তের সঙ্গে তার গল্পটা কোনদিকে মোড় নেয়, সেটা দেখার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ তার ছেলে নিয়ে খুনসুটিতে মেতেছেন। বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিয়াম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এমনই একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবি স্ট্যাটাসে সিয়াম লিখেছেন, ১১-১০-২২ প্রথমবার জায়ান ‘আব্বু’ বলল।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সিয়াম তার ছেলেক জায়ানকে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। জায়ান হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় তার বাবা সিয়ামের মাথার চুল মুখে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শাম্মা রুশাফি অবন্তী ও সিয়াম দম্পতির ছেলে জায়ান জন্মগ্রহণ করে। এদিকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা অবন্তীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ‘পোড়ামন ২’ খ্যাত নায়ক সিয়াম।
মুহুর্তের মধ্যেই কমে গেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফলোয়ার সংখ্যা। ফলে বিপাকে পড়েছেন ফেসবুক সেলিব্রেটিরা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকের ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীদের ফলোয়ার সংখ্যা কমে গেছে। এতে ফেসবুক পেজ এবং প্রোফাইল থেকে ফলোয়ার সংখ্যা কমেছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে বাংলাদেশের তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফলোয়ার সংখ্যা কমে গেছে। এ নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করছেন নিজেদের অ্যাকাউন্টে। তেমনই একজন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি।
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে মজার ছলে পরীমনি লিখেছেন, ‘ফেসবুক প্রোফাইল আর ফেসবুক পেজ, কোনটায় কী করেন বলেন তো? একটাতে ফ্রেন্ড আর একটাতে ফলোয়ার…।’
পরীমনির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার শো না করলেও তার পেজের ফলোয়ার এখনও আগের মতো ১৫ লাখই রয়েছে। দেশের বিনোদন জগতের তারকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলোয়ার এ অভিনেত্রীরই।
এ ছাড়া শাকিব খান, বুবলী, মেহজাবিন চৌধুরীর মতো তারকাদের ফেসবুক পেজে অনুসারীর সংখ্যা ঠিক রয়েছে। গত ৩ ও ৪ অক্টোবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য হিল, ইউএসএ টুডে, নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও নিউজ উইকের মতো বিখ্যাত আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের ফলোয়ার কমে যায় বলে জানিয়েছিল ডাটা অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্ম ক্রাউডট্যাঙ্গল।
কয়েক দিন ধরেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারীদের আইডিতে ফলোয়ার কমছে। পেজ থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছেন ফলোয়াররা। ভুয়া আইডি বন্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ ধরা দিলেন নতুন লুকে। বলিউডের নতুন হরর কমেডি সিনেমা ‘ফোন ভূত’ এর ট্রেলার প্রকাশ হয়েছে। গত সোমবার প্রকাশিত প্রায় তিন মিনিটের ট্রেলারে দেখা যায়, সুন্দরী ভূতের চরিত্রে ধরা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। আছেন ইশান খাট্টার ও সিদ্ধান্ত চতুর্বেদিও।
ইশান ও সিদ্ধান্ত হঠাৎ অলৌকিক ক্ষমতাবলে ভূত দেখতে পায়। এ ক্ষমতা তারা কীভাবে কাজে লাগাবে সে নিয়েই চলছিল জল্পনা। ঠিক তখনই দৃশ্যপটে আসেন ক্যাটরিনা। তিনিও ভূত। নারী সুন্দরী ভূত। ক্যাটের মায়াজালে জড়িয়ে পাল্টে যায় ইশান-সিদ্ধান্তের জীবন। এক পর্যায়ে ক্যাটরিনার প্রস্তাবে তারা শুরু করে ভূত ধরার ব্যবসা। এভাবেই এগিয়ে যায় ছবির গল্প।
ভিকি কৌশলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর এটাই ক্যাটরিনার প্রথম মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা। তবে একই সময়ে ‘টাইগার থ্রি’ ছবিরও শুটিং করছেন তিনি।
তবে ফোন ভূত সিনেমায় হলিউড ছবি ঘোস্ট বাস্টারের ছাপ রয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
ফোন ভূত ছবিতে ভিলেন চরিত্রে দেখা যাবে জ্যাকি শ্রফকে। যাকে দেখা যাবে ক্যাটরিনা, ইশান ও সিদ্ধান্তের ভূত ধরার ব্যবসার বিপরীতে লড়াই করতে। তবে তার বিনাশের ক্ষমতাও থাকবে ইশান-সিদ্ধান্তের হাতে।
ফোন ভূত ছবিটি পরিচালনা করেছেন গুরমিত সিং। প্রযোজনা করেছেন রীতেশ সিধওয়ানি ও ফারহান আখতার। সিনেমাটি আগামী ৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনর্নিশ্চিত করতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘে। এতে সাধারণ পরিষদের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়। নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে কেবল রাশিয়া, সিরিয়া, নিকারাগুয়া, উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশ। সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে বাকি ১০ সদস্য কোনো মতামতই দেয়নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চারটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে বুধবারই মস্কোর বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে।
ভোটের আগে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া অভিযোগ করেন, এই প্রস্তাব রাজনৈতিক ও উসকানিমূলক। এটি চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে পারে।
তবে ভোটের ফলাফলকে ‘আশ্চর্যজনক’ উল্লেখ করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়্যাস। আর সংস্থাটিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, এই ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া বিশ্বকে ভয় দেখাতে পারেনি।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর একই ধরনের নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। সেদিন এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১০০টি দেশ, বিপক্ষে ১১টি এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮টি দেশ।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিপক্ষে জনমত বাড়াতে লবিং করেছিল। গত মঙ্গলবার ১০০টির বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ২০১৪ সালের তুলনায় রাশিয়ার বিপক্ষে এবার কয়েক ডজন ভোট বেশি পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এর পক্ষে ভোট পড়ে ১৪১টি। এদিন ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।তবে গত ২৪ মার্চ ইউক্রেনে সৃষ্ট মানবিক সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন ১৪০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
এছাড়া গত ৭ এপ্রিল মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করার প্রশ্নেও ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৩টি। বিপক্ষে ভোট দেয় ২৪টি দেশ এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮ দেশ। সদস্য দেশগুলোর দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পাওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হয়।