বিশিষ্ট লেখক, শিশুসাহিত্যিক, সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম গতকাল রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
ছড়াকার ইমরান পরশ ও তার অর্ধশতাধিক গ্রন্থের প্রকাশক মশিউর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আলী ইমামের ফেসবুক পেজে তার ছেলের দেওয়া এক স্ট্যাটাসেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
শ্বাসযন্ত্র, নিউমোনিয়াসহ নানা জটিল রোগ নিয়ে গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আলী ইমাম ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয়শোরও বেশি বইয়ের লেখক। কর্মজীবনের শেষপ্রান্তে একাধিক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের আগে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (২০০৪-২০০৬) ও অধুনালুপ্ত চ্যানেল ওয়ানের (২০০৭-২০০৮) মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনিসেফের ‘মা ও শিশুর উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্প’ পরিচালক ছিলেন। ওই দায়িত্ব পালনকালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, জার্মানির মিউনিখ, ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত ‘চিলড্রেন মিডিয়া সামিটে’ যোগ দেন। মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘প্রি জুঁনেসি চিলড্রেনস টিভি প্রোডাকশন প্রতিযোগিতা’র (২০০০) জুরির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছিলেন ‘সার্ক অডিও ভিজুয়াল বিনিময় অনুষ্ঠানে’র প্রধান সমন্বয়কারী (২০০০-২০০১)। টেলিভিশন ও বেতারে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের নির্মাতা ও উপস্থাপক হিসেবে তিনি বিশেষ প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘হ্যালো, আপনাকে বলছি’ (১৯৯৯-২০০৪) নামে তার উপস্থাপিত সরাসরি অনুষ্ঠানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিখ্যাত প্রামাণ্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’র (১৯৮০-১৯৮৭) প্রযোজনা করেন তিনি।
বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য আলী ইমাম ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১২ সালে শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান। এছাড়াও অনেক পুরস্কার পান তিনি। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে জাপান ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ২০০৪ সালে তিনি জাপান পরিভ্রমণ করেন।
আলী ইমামের শিশুসাহিত্য চর্চার শুরু শৈশব থেকে। ১৯৬৮ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষা সপ্তাহে বিতর্ক এবং উপস্থিত বক্তৃতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৮৬ সালে ইউনেসকো আয়োজিত শিশুসাহিত্য বিষয়ক প্রকাশনা কর্মশালায় অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রকাশনা বিভাগের ন্যাশনাল কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই দেশে জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি ও এর নেতারা। সেই জঙ্গিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালত থেকে আসামি ছিনতাই করা হয়েছে, চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, কাঁচপুর ব্রিজের নামফলক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য শুরু করেছে। তাদের মদদে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীবাহিনী, মৌলবাদীরা আবার ডালপালা মেলেছে। সুতরাং এই জঙ্গিগোষ্ঠীর আস্ফালন আর বিএনপির নেতৃত্বে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা একসূত্রে গাঁথা।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ফখরুল-তারেক গংদের দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় বর্গীদের কিচ্ছা শুনে যেমন পিলে চমকে উঠত, এখন তারেক জিয়াও সে রকম একটি নাম। তারেক জিয়ার নাম শুনলে মানুষের মনে পড়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, তাঁর নেতৃত্বে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের কথা, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের কথা। এই দুর্নীতি, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও অপশাসনের প্রতীক তারেক রহমান তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁকে নিয়ে নাকি তারা যুদ্ধ করবে। সুতরাং এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার সমাবেশ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় এসে নাকি ঢাকা দখল করবে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবসে পাকিস্তানিরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর ১০ ডিসেম্বর এই পাকিস্তানপন্থী বিএনপি নেতারা যখন ঢাকা শহরে আসবেন, তাঁদের মানুষ আত্মসমর্পণ করাবে। তাঁরা সারা বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে এখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে, সেটি বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ হতে দেবে না। যেভাবে ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শিল্পীসমাজ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, স্বাধীনতাসংগ্রামে অগ্রভাগে ছিলেন, আজকেও তাঁদের আহ্বান জানাই এই অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার জন্য।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস, চিত্রনায়ক শাকিল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, তানভীন সুইটিসহ প্রমুখ।
বছর তিনেক আগে ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত নিজের প্রথম ছয় অ্যালবাম নতুন করে রেকর্ডের ঘোষণা দেন টেইলর সুইফট। মূলত গানের স্বত্ব হারানোর কারণেই বাধ্য হয়ে ১০৮টি গান আবারও রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু গায়িকার ভক্ত-শ্রোতারা তাঁর পুরোনো অ্যালবামের নতুন রেকর্ডও পছন্দ করেছেন। সুইফটের পুনঃ রেকর্ড করা অ্যালবাম নিয়ে এত কথার হেতু আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে (এএমএ) এবার ছয় পুরস্কার জিতেছেন এ গায়িকা। এ পুরস্কার তিনি ঘরে তুলেছেন পুনঃ রেকর্ড করা অ্যালবাম ‘রেড’ ও ১০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য মিউজিক ভিডিও ‘অল টু ওয়েল’-এর জন্য।
গত রোববার রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের মাইক্রোসফট থিয়েটারে বসেছিল এএমএর আসর। যেখানে সর্বোচ্চ ছয় পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এটি নিয়ে গায়িকার এএমএ পুরস্কারের সংখ্যা হলো ৪০, যা পুরস্কারটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গায়িকার পাওয়া এবারের পুরস্কারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বর্ষসেরা শিল্পীর পুরস্কার। ভক্তদের ভোটে জিতে পুরস্কার নিতে গিয়ে তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি গায়িকা, ‘আমি বোঝাতে পারব না পুনঃ রেকর্ড করা অ্যালবামগুলো আমার জন্য কী। প্রিয় ভক্তরা, বুঝতে পেরেছি, আপনারা আমার কাছ থেকে আরও অনেক গান শুনতে চান। এটা আমাকে উৎসাহিত করেছে। ধন্যবাদ দিতে চাই আমার সহকর্মীদেরও, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমার সঙ্গে যাঁরা স্টুডিওতে কাটিয়েছেন।’
সুইফটের বাইরে এবারের আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন গায়ক লিওনেল রিচি। বিশ্বসংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এবার আইকন অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়। মঞ্চে উঠে গায়ক তাঁর চার দশকব্যাপী বিস্তৃত ক্যারিয়ারে অবদানের জন্য পরিবার, বন্ধু ও ম্যানেজারকে ধন্যবাদ জানান।
টেইলর সুইফট ছাড়া এবার বিয়ন্সে, বিটিএস, ব্যাড বানি, হ্যারি স্টাইলস, কেনড্রিক লামার, মরগান ওয়ালেন ও উইজকিড জিতেছেন দুটি করে পুরস্কার। এবারের আসরে সর্বোচ্চ আট মনোনয়ন পেয়েছিলেন ব্যাড বানি।
৫০তম আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস উপস্থাপনা করেন মার্কিন টিভি ব্যক্তিত্ব ওয়েন ব্র্যাডি
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ জন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য
অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি
ব্যাংকের ডিএমডি
মীর
মোফাজ্জল হোসেনকে বদলি
করে
সোনালী
ব্যাংকে পাঠানো
হয়েছে।
রূপালী
ব্যাংকের ডিএমডি
খান
ইকবাল
হোসেনকে বদলি
করা
হয়েছে
বাংলাদেশ কৃষি
ব্যাংকে।
সোনালী
ব্যাংকের সুভাষ
চন্দ্র
দাসকে
একই
ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
হিসেবে
রাখা
হয়েছে।
জনতা
ব্যাংকের মোহাম্মদ সাইফুল
আলমকে
রাজশাহী কৃষি
উন্নয়ন ব্যাংক,
জনতা
ব্যাংকের দেলওয়ারা বেগমকে
রূপালী
ব্যাংক
এবং
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব
বাংলাদেশের ডিএমডি
(ইনসিটু)
আবু
তাহের
মোহাম্মদ আহমেদুর রহমানকে একই
প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি
করা
হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
মো.
জাহাঙ্গীর হোসেন
একই
ব্যাংকের ডিএমডি
হয়েছেন। বেসিক
ব্যাংকের খান
ইকবাল
হাসানকে পাঠানো
হয়েছে
পল্লী
সঞ্চয়
ব্যাংকে। রূপালী
ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
কাজী
মো.
ওয়াহিদুল ইসলামকে সোনালী
ব্যাংক,
রূপালী
ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
তাহমিনা আখতারকে একই
ব্যাংকের ডিএমডি
করা
হয়েছে।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
মেহের
সুলতানাকে ওই
ব্যাংকেরই ডিএমডি
করা
হয়েছে।
রূপালী
ব্যাংকের পারসুমা আলমকে
সোনালী
ব্যাংকে, বেসিক
ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
মো.
আবুল
কালাম
আজাদকে
একই
ব্যাংকের ডিএমডি
করা
হয়েছে।
জনতা
ব্যাংক
ডিএমডি
(ইনসিটু)
শ্যামল
কৃষ্ণ
সাহাকে
অগ্রণী
ব্যাংকের ডিএমডি
এবং
রূপালী
ব্যাংকের ডিএমডি
(ইনসিটু)
মো.
গোলাম
মরতুজাকে জনতা
ব্যাংকের ডিএমডি
পদে
বদলি
করা
হয়েছে।
২০ নভেম্বর ছিল ঢালিউড তারকা বুবলীর জন্মদিন। এবার তিনি ৩৪ বছরে পা দিলেন। দিনটিতে তিনি ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এবারের জন্মদিনে তিনি জীবনের সেরা উপহার পেয়েছিলেন বলেও তখন জানান। বুবলী বলেছিলেন, ‘জন্মদিনের সেরা উপহার ডায়মন্ডের নাকফুল, বীরের বাবা শাকিব খান দিয়েছে। গত সপ্তাহে আমাকে সে এই উপহার কিনে দিয়েছে। আমি আগে থেকে জানতাম না উপহারটি কী। খুলে দেখলাম নাকফুল, দেখে আমার চোখে জল চলে এসেছিল। এটি হাতে নিয়ে আমি আবেগপ্রবণ হয়েছিলাম।
অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর বৈরিতার খবর বিনোদন দুনিয়ায় চর্চিত। অপু ও বুবলীর নানা কর্মকাণ্ডেও তাঁদের সম্পর্ক যে ভালো নয়, তা বারবার স্পষ্ট হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঘটল একেবারে ভিন্ন ঘটনা। বুবলীকে নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন অপু বিশ্বাস, যা নিকট অতীতে হয়নি। তাই বিষয়টা বিনোদন অঙ্গনের সবাইকে হতবাক করেছে। অনেকে ভাবতে থাকেন, তাহলে কি বুবলী-অপুর মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়ে গেছে? আদতে বিষয়টা যে তা নয়, সেটা পোস্টে শেয়ার করা ক্যাপশনের কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বিনোদন অঙ্গনের অনেকে বলেছেন, এই পোস্ট শেয়ার করে বুবলীকে একরকম খোঁচা মেরেছেন অপু বিশ্বাস।
বলিউডের নতুন ‘ড্রিম গার্ল’ আখ্যা পেয়েছিলেন কিয়ারা আদবানি। এত দিন এই ট্যাগ শুধু হেমা মালিনীর ছিল। কিয়ারার নামের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো নতুন এক ট্যাগ। তাঁকে বলা হচ্ছে ‘ডার্লিং অব দ্য নেশন’। গত সোমবার কিয়ারাকে এই ট্যাগ দিয়েছেন বলিউডের নামকরা চিত্রনির্মাতা করণ জোহর।
কিয়ারাকে বলা যায় করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের সৌভাগ্যের প্রতীক। ধর্মাকে সব সময় হিট ছবি উপহার দিয়েছেন কিয়ারা। উল্টো করে আবার এ–ও বলা যায়, কিয়ারার ভাগ্যের চাকা অনেকটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে এই প্রযোজনা সংস্থা।
‘গোবিন্দা নাম মেরা’ প্রসঙ্গে কিয়ারা বলেন, ‘ছবিটা এতটাই অন্য রকম যে শুরুতে এর ঘরানা কী হবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিলাম। নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি আমরা। ‘গোবিন্দা নাম মেরা’ দুনিয়ার বাসিন্দা হতে পেরে সত্যি আমি রোমাঞ্চিত। আশা করি, দর্শক নতুন আর মজার অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।’
আগামী ১৬ ডিসেম্বর ডিজনি-হটস্টারে মুক্তি পাবে ‘গোবিন্দা নাম মেরা’। ছবির শুটিং, প্রচারণা—সবকিছু নিয়ে এখন ব্যস্ত কিয়ারা। সামনে তাঁকে ‘আরসি ফিফটিন’, ‘সত্য প্রেম কি কথা’ ছবিতে দেখা যাবে।
সুহানা খান কেন এত জনপ্রিয়? আপনি যদি গুগলকে প্রশ্নটা করেন, উত্তর আসবে ‘সোশ্যাল টেস্টমেকার’, ‘ইনফ্লুয়েন্সার’। সুহানা খানকে বলিউড ব্যক্তিত্ব ধরা হলেও এখন পর্যন্ত তাঁকে কোনো সিনেমা তো দূর, বিজ্ঞাপনেও দেখা যায়নি। তবু তিনি যা-ই পরেন, যা-ই করেন, যা-ই বলেন—সবই খবর হয়। অনেকেই বলেন, তিনি কার্ডাশিয়ান, জেনার, হাদিদদের মতো ‘ফেমাস ফর বিয়িং ফেমাস’। তবে এই সবকিছু ঘটার পেছনে একটা বড় কারণ হলো, সুহানা খান বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের একমাত্র কন্যা।
সুহানা খানকে সাধারণত পশ্চিমা পোশাকেই বেশি দেখা যায়। কিন্তু সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন চমৎকার একটি পার্টি শাড়িতে। শাড়িটি তৈরি করেছে ভারতের জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফাল্গুনি শেন পিকক ইন্ডিয়া। সোনালি জমিনের শাড়িটির সারা শরীরে চুমকি আর পাথরের কাজ করা। বর্ডারটি পালকময়। তবে শাড়িটির সৌন্দর্য এত চমৎকারভাবে ফুটে ওঠার অন্যতম কারণ সুহানার ব্লাউজ। ব্রালেট স্টাইলের ব্লাউজটি খুবই জাঁকজমকপূর্ণ। ব্লাউজের সারা শরীরে চুমকি আর পাথরের কাজ। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছে টাসেল।
শাড়িটির দাম জানার জন্য আমরা প্রথমে ঢুঁ দিই ফাল্গুনি শেন পিকক ইন্ডিয়ার অফিশিয়াল পেজে। সেখানে শাড়িটি খুঁজে পাওয়া গেলেও দাম লেখা নেই। দামের জন্য ই–মেইল অ্যাড্রেস, দাম জানার কারণ ও মুঠোফোন নম্বর দিয়ে অনুরোধ পাঠানো হলো। কিছুক্ষণের ভেতর হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলেন শায়ানা নামের ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী। তাঁকে সুহানার শাড়ির ছবি আর দাম জানতে চাওয়ার কারণ লিখলে তিনি জানালেন, শাড়িটির দাম ১ লাখ ৯৫ হাজার রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীদের কোমর
তাঁতে
তৈরি
বস্ত্র
এখন
পাহাড়ে
সীমাবদ্ধ নেই।
রপ্তানি হচ্ছে
বিদেশেও। কোমর
তাঁতে
তৈরি
উটের
বেল্ট
এরই
মধ্যে
জনপ্রিয়তা লাভ
করেছে
দুবাইয়ে। কম
খরচ,
বেশি
লাভ।
তাই
এ
পেশায়
আগ্রহ
বেড়েছে
পাহাড়ি
নারীদের। ঘরে
বসে
অনেকেই
গড়ে
তুলেছে
আত্মকর্মসংস্থান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে
জানা
গেছে,
২০০৬
সালে
এক
দুবাই
প্রবাসীর অনুরোধে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া
ইউনিয়নের জুনুমা
ছড়া
গ্রামে
রমিকা
দেওয়ান
কোমর
তাঁতে
তৈরি
করে
উটের
বেল্ট।
দুবাইয়ে বেল্ট
রপ্তানি করার
পর
ব্যাপক
জনপ্রিয়তা লাভ
করে
এ
কোমর তাঁতের বস্ত্র। ওই
এলাকার
গ্রামবাসীদেরও আগ্রহ
বাড়ে
এ
কাজে।
তাই
উদ্যোক্তা হিসেবে
সহায়তার হাত
বাড়িয়ে
দেয়
রাঙামাটি জেলা
পরিষদের সদস্য
ঝর্ণা
খীসা।
তিনি
বলেন,
দীর্ঘ
বছর
ধরে
আমি
কাউখালীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীদের নিয়ে কোমর তাঁতে
তৈরি
উটের
বেল্ট
রপ্তানি করি
দুবাইয়ে। সে
দেশে
বেশ
জনপ্রিয়তা লাভ
করেছে
এ
উটের
বেল্ট।
তবে
সুতার
দাম
বৃদ্ধি
পাওয়ায়
এ
কর্মসংস্থান প্রসারিত করা
যাচ্ছে
না।
কোমর
তাঁতি
বলেন,
সুতা
দিয়ে
কোমর
তাঁতে
তৈরি
করা
হয়
এ
বিশেষ
বস্ত্র। তার
পর
সেলাই
করে
তৈরি
করা
হয়
উটের
বেল্ট।
এক
সেট
অর্থাৎ ছোট-বড় সাইজের
৪৫টি
বেল্ট
তৈরি
করতে
হয়
মাত্র
এক
মাসে।
কোনো রকম যান্ত্রিক মেশিন
ছাড়া
সম্পন্ন হাতেই
তৈরি
করতে
এ
বেল্ট।
এরপর
রপ্তানি করা
হয়
দেশের
গণ্ডি
পেরিয়ে
দুবাইয়ে। এভাবে
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় ঘরে
বসে
কর্মসংস্থান গড়ে
তুলেছে
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী। তবে পরিশ্রমের তুলনায় তেমন মিলছে না
পারিশ্রমিক।
তবে
সরকারি
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে
ঘুরে
দাঁড়াতে পারবে
এসব
উটের
বেল্ট
তৈরি
শ্রমিকরা- বলছেন
রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া
ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি মিনু
রানী
চাকমা।
তিনি
বলেন,
আসলে
এ
উটের
বেল্ট
তৈরি
করতে
পরিশ্রম অনেক।
তবুও
পাহাড়ি
নারীরা
জুম
চাষের
পাশপাশি এ কাজ
করছে।
তাদের
পারিশ্রমিকটা যদি
বৃদ্ধি
করা
যায়
তাহলে
তাদের
কষ্ট
লাগব
হবে।
স্থানীয়রা বলেন,
পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও
সহায়তা
দিলে
কোমর
তাঁতে
তৈরি
এ
উটের
বেল্টের পাশাপাশি অন্যান্য বস্ত্র
বিদেশে
অর্থনৈতিকভাবে রপ্তানি করা
সম্ভব
।
এতে
পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের জন্য
অর্থনৈতিক দারন্মোচন হবে।