আর একটা বিলাসী গল্পের না বললে নয়। এ যেন এক মৃত্যুঞ্জয়, ভালোবাসা অবিনশ্বর-সর্বজয়ী হলেও ভারতীয় অভিনেতা সব্যসাচীর প্রেম ঐন্দ্রিলার মৃত্যু কাছে পারাজিত হয়েছে! দীর্ঘ ১৯ দিন রোগের সঙ্গে লড়াই শেষে অনন্ত যাত্রার মিছিলে শামিল হয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। প্রেমিকার প্রয়াণে ভেঙ্গে পড়েছেন সব্যসাচী।
গত ১ নভেম্বর ঐন্দ্রিলার ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তার পাশে সবসময় ছিলেন সব্যসাচী। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালেই ছিলেন ঐন্দ্রিলা। শেষ পর্যন্ত আইসিইউতে ছিলেন। তার লড়াইকে ভালোবাসায় স্মরণ করছে, সেই সময় বলেছিলেন, ‘আমার মায়ের কিছু হলে বাবা যেটা করত, আমিও সেটাই করছি।’ তাকে আলাদা করে ক্রেডিট দেওয়ার দরকার নেই বলে জানিয়েছিলেন মহাপীঠ তারাপীঠ খ্যাত এ অভিনেতা।
বুধবার ঐন্দ্রিলা শর্মার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর থেকেই বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী। একটা একটা করে হার্ট বিট কমে যাচ্ছিল। আর তার বুক ভেঙে যাচ্ছিল অসহায়তায়। তবু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। কাছের বন্ধুর চোখ দুটো বড় হয়ে গিয়েছে। হাত অসাড়। মুখ, পা ফুলে যাচ্ছে।
এসব দেখে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেননি তিনি। এমন সময় নাকি নড়ে উঠেছিল ঐন্দ্রিলার হাত। মায়ার টান উপেক্ষা করতে পারেননি সব্যসাচী। ছুটে গিয়েছিলেন উপরে। শেষ পর্যন্ত মিউজিক থেরাপি চালিয়ে গিয়েছেন নিজ উদ্যোগে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।শনিবার বিকেলে দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মা সম্পর্কিত যাবতীয় পোস্ট ডিলিট করে দেন সব্যসাচী চৌধুরী। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ‘ঐন্দ্রিলা কি আর নেই?’ যদিও সেই সময় ছিলেন অভিনেত্রী।
সিপিআরসহ একাধিক সাপোর্ট দিয়ে তাকে রিভাইভ করা গিয়েছিল। রাতে ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার। শত চেষ্টা সত্ত্বেও আর ফেরানো সম্ভব হয়নি ঐন্দ্রিলাকে। সব্যসাচীকে সর্বহারা করে চলে গেলেন তিনি।
২০১৭ সালে কালার্স বাংলার ঝুমুর ধারাবাহিকের সেটে দেখা হয়েছিল দুই তারকার। ক্যান্সারকে হারিয়ে তখন সদ্য বিনোদনের জগতে পা রেখেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এই সিরিয়ালের হাত ধরেই অভিষেক করেন তিনি। সব্যসাচী ছিলেন তার বিপরীতে। দুই তারকার পর্দায় রসায়ন মুগ্ধ করেছিল দর্শককে। অফস্ক্রিন তাদের বন্ধুত্বও গাঢ় হয়ে উঠেছিল।
২০২১ সালে যখন ঐন্দ্রিলা শর্মা ফের ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেন, সেই সময় তার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন সব্যসাচী। গোটা লড়াইয়ে তার সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। বন্ধুকে খাইয়ে দিয়েছেন। গল্প পড়ে শুনিয়েছেন। ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পূরণ করেছেন। কঠিন মুহূর্তে তার অবলম্বন হয়ে উঠেছেন। যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ‘এভাবেও ভালোবাসা যায়?’ মৃত্যু এবং ঐন্দ্রিলার মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিনেতা। তবে মৃত্যুর কাছে এবার হারলো ভালোবাসা।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলা হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ‘আপাতত নিপুণের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার
(২১
নভেম্বর) প্রধান
বিচারপতি হাসান
ফয়েজ
সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল
বিভাগ
এ
আদেশ
দেন।
আদালতে
জায়েদ
খানের
পক্ষে
শুনানিতে ছিলেন
অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম
ও
অ্যাডভোকেট নাহিদ
সুলতানা যুথি।
অন্যদিকে নিপুণের পক্ষে
সময়
আবেদন
করেন
ব্যারিস্টার রোকন
উদ্দিন
মাহমুদ।
গত
৭
ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পী
সমিতি
নির্বাচনের আপিল
বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা
চ্যালেঞ্জ করে
হাইকোর্টে রিট
দায়ের
করেন
জায়েদ
খান।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়
রিটটি
দায়ের
করেন
তার
আইনজীবী নাহিদ
সুলতানা যুথী।
সেই
রিটের
শুনানি
নিয়ে
জায়েদ
খানের
প্রার্থিতা বাতিল
করে
চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির
নির্বাচনের আপিল
বোর্ডের দেওয়া
সিদ্ধান্ত স্থগিত
করেন
হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ
খানের
প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন
অবৈধ
হবে
না,
তা
জানতে
চেয়ে
রুল
জারি
করেন
আদালত।
এক
সপ্তাহের মধ্যে
মামলার
বিবাদীদের এ
রুলের
জবাব
দিতে
বলা
হয়।
বিচারপতি মামনুন
রহমান
ও
বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত
হাইকোর্ট বেঞ্চ
এসব
আদেশ
দেন।
পরে
হাইকোর্টের আদেশের
বিরুদ্ধে গত
৮
ফেব্রুয়ারি আপিল
আবেদন
জানান
নিপুণ
আক্তার। আপিল
বিভাগের চেম্বার জজ
আদালতে
শুনানির পর
গত
৯
ফেব্রুয়ারি এ
বিষয়ে
আদেশ
দেন
আদালত।
চেম্বার আদালত
বাংলাদেশ শিল্পী
সমিতি
নির্বাচনে সাধারণ
সম্পাদক পদের
ওপর
স্থিতাবস্থা জারি
করেন।
একইসঙ্গে গত
১৩
ফেব্রুয়ারি নিপুন
আক্তারের আবেদনের ওপর
আপিল
বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে
শুনানির দিন
নির্ধারণ করেন।
পাশাপাশি গত
১৩
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমিতির
সাধারণ
সম্পাদক পদে
কেউ
দায়িত্ব পালন
করতে
পারবেন
না
বলেও
আদালত
তার
আদেশে
জানিয়েছিলেন।
এরপর
গত
১৪
ফেব্রুয়ারি মামলাটি আপিল
বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে
শুনানি
হয়।
শুনানি
শেষে
চেম্বার আদালতের আদেশ
বহাল
রেখে
হাইকোর্টকে রুল
নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন
প্রধান
বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল
বিভাগ।
তবে
আপিল
বিভাগের আদেশ
অমান্য
করে
নিপুণের বিরুদ্ধে সাধারণ
সম্পাদকের চেয়ারে
বসার
অভিযোগে গত
২৪
ফেব্রুয়ারি আদালত
অবমাননার মামলা
করেন
জায়েদ
খান।
এদিকে
জায়েদ
খানের
রিট
মামলায়
তার
প্রার্থীতা ফিরিয়ে
দিয়ে
গত
২
মার্চ
হাইকোর্ট রায়
ঘোষণা
করেন।
পরে
নিপুণ
আক্তার
আপিল
দায়ের
করলে
হাইকোর্টের রায়
চার
সপ্তাহের জন্য
স্থগিত
ও
স্থিতিবস্থা জারি
করে
পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে
শুনানির জন্য
প্রেরণ
করেন
চেম্বার জজ
আদালত।
প্রসঙ্গত, গত
৫
ফেব্রুয়ারি জায়েদ
খানের
প্রার্থিতা বাতিল
করে
নিপুণকে শিল্পী
সমিতির
সাধারণ
সম্পাদক ঘোষণা
করে
নির্বাচনি আপিল
বোর্ড।
এফডিসিতে ডাকা
এক
সভা
শেষে
এ
ঘোষণা
দেন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির
নির্বাচনের আপিল
বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান
সোহান।
নির্বাচনী আচরণবিধি না
মানায়
জায়েদ
খানের
সাধারণ
সম্পাদক পদ
বাতিল
করা
হয়।
ফলে
তার
পরিবর্তে বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চিত্রনায়িকা নিপুণকে এ
পদে
জয়ী
দেখানো
হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এফডিসিতে সাধারণ
সম্পাদক পদে
জায়েদ
খান
ও
কার্যকরী সদস্য
পদে
চুন্নুর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
নিয়ে
বৈঠকে
বসে
আপিল
বোর্ড।
সেখানে
আরও
উপস্থিত ছিলেন,
আপিল
বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান
সোহান,
বোর্ডের সদস্য
মোহাম্মদ হোসেন,
দুই
নির্বাচন কমিশনার জাহিদ
হোসেন
ও
বি
এইচ
নিশান,
অভিযোগকারী নিপুণ।
ইলন মাস্কের মালিকানায় এখন বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার। তবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের হাতে টুইটার যাওয়ার পর থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে। প্রথমে কর্মী ছাঁটাই এরপর আসে সাবস্ক্রিপশনের খবর।
বিনামূল্যে ব্লু টিকের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের দিন শেষ হতে চলেছে। তবে কিছুদিন পরই এই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন ইলন মাস্ক। ছাঁটাই কর্মীদের ফিরিয়ে আনেন তিনি। এরপর সাবস্ক্রিপশনের ফিচারও বধ করে দেন। টুইটারের ব্লু টিকের জন্য সাবস্ক্রাইবারের খবরে কমতে থাকে টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এজন্য দ্রুত পরিবর্তন করা হয় সিদ্ধান্ত।
তবে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে টুইটারে নতুন করে চালু হতে চলেছে ব্লু টিক ভেরিফিকেশন সাবস্ক্রিপশন। নতুন টুইটার ব্যবহারকারীদের এই পরিষেবা পেতে অপেক্ষা করতে হবে ৯০ দিন। অর্থাৎ টুইটার ব্যবহারের ৯০ দিন পূর্ণ হলেই তবে একজন ব্যবহারকারী ব্লু টিক ভেরিফিকেশন সাবস্ক্রিপশন নিতে পারবেন।
আগে টুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক পেতে ব্যবহারকারীদের আবেদন করতে হতো এবং তার ভিত্তিতে নিজেদের বিভিন্ন তথ্য দিতে হতো। এসব তথ্য ভেরিফিকেশনের মাধ্যমেই ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিত যে কোন ব্যবহারকারীকে ব্লু টিক প্রদান করা হবে। তবে ইলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিবর্তন হয়েছে এই ব্লু টিকের নিয়ম। এবার থেকে যে কোনো ব্যবহারকারী টাকা দিয়ে টুইটারে ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন। এজন্য মাসে খরচ করতে হবে ৮ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮০০ টাকা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধন হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে মাঠের লড়াইও। গতকাল উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডর ২–০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কাতারকে। তবে ম্যাচের ফল ছাপিয়েও এই ম্যাচে ইকুয়েডরের বাতিল হওয়া একটি গোল নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
কাল ইকুয়েডরের জয়ের নায়ক তাদের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। তিনি করেছেন জোড়া গোল। কিন্তু ম্যাচের তিন মিনিটে তাঁর হেডের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। গোলটি কেন বাতিল করা হলো, সেটি নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও দর্শকদের মধ্যে আছে প্রশ্ন। তবে এটা ঠিক যে নিখুঁত এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ভ্যালেন্সিয়ার করা প্রথম গোলটি বাতিল করা হয়েছে।
ইকুয়েডর ম্যাচের ২ মিনিটে একটি ফ্রি–কিক পেয়েছিল। সেই শটটি এসে পড়ে ইকুয়েডরের ফেলিক্স তোরেসের কাছে। তোরেস তখন কাতারি গোলকিপার সাদ আল শাইবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন।
কিন্তু ফেলিক্সের শরীরে লেগে বল চলে গিয়েছিল মাইকেল এস্ত্রাদার কাছে। আর এই এস্ত্রাদাই ছিলেন অফসাইডে দাঁড়ানো। কিন্তু তিনি কীভাবে অফসাইডে ছিলেন? নিয়মে আছে, গোলকিপার এগিয়ে গেলে স্ট্রাইকারকে অন্তত দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে সমান লাইনে থাকতে হবে।
সাধারণত এই অফসাইড লাইন নির্ধারণের ক্ষেত্রে শেষ প্রতিপক্ষকে বিবেচনা করা হয়। ওই সময় কাতারি গোলকিপার যেহেতু উঠে এসেছিলেন, তখন এস্ত্রাদার সামনে মাত্র একজন ছিলেন। দুজন থাকলে আর সমস্যা ছিল না। এস্ত্রাদা শেষ ডিফেন্ডারের পেছনে ছিলেন বলেই ভ্যালেন্সিয়ার গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ভ্যালেন্সিয়ার গোলটি বাতিল হয়েছিল সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি ব্যবহার করে। মাস ছয়েক আগেই ফিফা ঘোষণা দিয়েছিল কাতার বিশ্বকাপে সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি ব্যবহার
৩ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার গোল বাতিল হলেও ইকুয়েডরকে প্রথম গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬ মিনিট পর্যন্ত। সেটি অবশ্য ছিল পেনাল্টি গোল। ৩৩ মিনিটে ডান দিক দিয়ে আসা ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভ্যালেন্সিয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব জিনিস আমদানি করতে হয় যেমন ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা- সেগুলোর দাম যেমন বেড়েছে তেমনি পরিবহন ব্যয়ও অনেকাংশে বেড়েছে। তারপরও সরকার থেমে নেই। সরকার এগুলো অতিরিক্ত মূল্যে কিনে দেশের জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কোভিড-১৯ পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনে (নিষেধাজ্ঞা) উন্নয়নের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছে। কারণ এর ধাক্কায় বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা যেন এই অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে চলতে পারি।
সরকারের টানা ১৪ বছরের শাসনামলে আজ বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৮ এর নির্বাচনে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, তা করতে পেরেছি। আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি এবং সেই সময়ই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে জাতির পিতার ‘এদেশের মাটি ও মানুষ দিয়েই এদেশকে গড়ে তোলার’ প্রত্যয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমিও বিশ্বাস করি এই মাটি ও মানুষ দিয়েই এদেশ যে গড়তে পারি, তা আমরা প্রমাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তার পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি এবং তারই ভিত্তিতে আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে প্রজন্মের পর পর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেজন্য তার সরকার প্রণীত শতবর্ষমেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় দেশের প্রত্যেক গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বিশ্ববাসী আর অতীতের মতো বাংলাদেশকে অবহেলার চোখে দেখে না উল্লেখ করে চলমান বিশ্ব মন্দা মোকাবিলায় দেশের সব পতিত জমি কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনের্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারীদের সম্মাননা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, অন্তত এটুকু কাজ আমি করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ আর অসম্মানের চোখে দেখবে না। আর কখনো কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বা তাদের পরিবারকে অবহেলা করবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার যেন তাদের সম্মান নিয়ে চলতে পারে।
পিতা-মাতা-ভাইসহ স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী পরীমনি এবং বিদ্যা সিনহা মিম সম্প্রতি তাদের মধ্যে চলছে বেশ রেশারেশি । আর এই রেশারেশির মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। সম্প্রতি রাজ অভিনীত ‘পরাণ’ এবং ‘দামাল’সিনেমা দুটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। তার দুটি ছবিতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম।
গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা অভিনেত্রী পরীমনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শরিফুল রাজ কখনোই একজন নায়িকা নির্ভর আর্টিস্ট না। সরি দিদি।’
এদিকে প্রায় এক বছর আগে পরিচালক রায়হান জুয়েলের ‘পথে হলো দেখা’ ছবিতে চুক্তি করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। ছবিটিতে তার বিপরীতে শরীফুল রাজকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বুধবার মিম ছবির পরিচালকে জানিয়েছেন, রাজের বিপরীতে তিনি আর কাজ করতে আগ্রহী নন।
কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা পরীমনি লিখেছেন তা তার ভক্তরা বুঝতে ভুল করেননি। স্ট্যাটাসের মন্তব্য দেখে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
প্রত্যেক মানুষ নিজের মতো করে সুন্দর। কিন্তু কখনো কখনো জন্মগত ত্রুটি, দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি, ক্যানসার বা পুড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের সৌন্দর্যহানি ঘটতে পারে। আক্রান্ত অংশের গঠন ফিরিয়ে এনে সেই অংশের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার, পরিশেষে সৌন্দর্য রক্ষা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষায়িত শাখায় পরিণত হয়েছে। উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অ্যাসথেটিক বা কসমেটিক সার্জারি এখন বেশ জনপ্রিয়।
প্রধানত কিছু জটিলতায় কসমেটিক সার্জারি উপকারে আসতে পারে। যেমন:
১. দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বা পুড়ে যাওয়া অংশের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে কসমেটিক সার্জারি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। অগ্নিদগ্ধ রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময় পুড়ে যাওয়ার কারণে কাঁধ, হাত, পা ইত্যাদি অঙ্গের টিস্যু শক্ত হয়ে গিয়ে সেগুলোর স্বাভাবিক সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়। রোগীর এসব অঙ্গের গতিবিধি অনেকটা সীমিত হয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া অঙ্গের শক্ত হয়ে যাওয়া টিস্যু অপসারণ করে শরীরের অন্য কোনো অংশের সুস্থ টিস্যু প্রতিস্থাপন করে সেই অঙ্গের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ঠোঁটকাটা বা তালুকাটা সমস্যাও এমন সার্জারির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়।
২. বডি কনট্যুরিং বা বডি শেপিং সার্জারি: স্থূলতার কারণে শরীরের স্বাভাবিক আকৃতির পরিবর্তন হয়। মূলত খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে স্থূলতা কমানো হয়। অল্প ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লাইপোসাকশন (চর্বি অপসারণ), ব্রাকিপ্লাস্টি (বাহুর অতিরিক্ত চামড়া অপসারণের মাধ্যমে টান টান ত্বক), পেটের অতিরিক্ত চর্বি অপসারণ, লাভ হ্যান্ডলিং এরিয়া, ঘাড়ের অতিরিক্ত চর্বি অপসারণ, ডাবল চিন চর্বি অপসারণের মাধ্যমে শারীরিক অবয়ব উন্নত করা সম্ভব। তবে জীবনচর্চা পরিবর্তন না করলে স্থূলতা আবার ফিরে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
৩.ব্রেস্ট অগমেন্টেশন, রিডাকশন, মাস্টোপেক্সি: এসবই হলো স্তনের অস্ত্রোপচার। স্তনের আকার ছোট, অতিরিক্ত বড় কিংবা ঝুলে গেলে ফ্যাট গ্রাফটিং অথবা ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে স্তনের আকার–আকৃতি ঠিক করা যায়। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের স্তন অপসারণের পর তা মেরামত করা যেতে পারে।
৪. গাইনেকোমেশিয়া: পুরুষদের স্তন অযাচিত রকম বড় হলে তাঁরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে পারেন। দাগবিহীন সার্জারির মাধ্যমে লাইপোসাকশন বা চর্বি অপসারণ করে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
৫. রাইনোপ্লাস্টি: ভোঁতা নাক, নাকের বাঁশি বাঁকা অথবা প্রসারিত নাকের মানুষেরা অ্যাসথেটিক রাইনোপ্লাস্টির মাধ্যমে সুন্দর নাকের অধিকারী হতে পারেন।
৬. লিপ অগমেন্টেশন/রিডাকশন: পুরু ঠোঁটকে চিকন এবং পাতলা ঠোঁটকে ফ্যাট গ্রাফটিং বা ফিলারের মাধ্যমে পুরু করে তোলা যায়।
৭. ব্লেফারোপ্লাস্টি: কোঁচকানো চোখের পাতা (ওপর/নিচ) সার্জারির মাধ্যমে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বটক্স থেরাপির মাধ্যমে টান টান করা সম্ভব।
৮. ব্রাউপ্লাস্টি: ভুরুর সৌন্দর্য বাড়ানোর অস্ত্রোপচার।
৯. ফেস লিফট: সার্জিক্যাল এবং নন-সাজিক্যাল পদ্ধতিতে মুখমণ্ডলের কোঁচকানো চামড়া টান টান করা যায়।
১০. বাট লিফট: অনেকেই নিতম্বের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ফ্যাট গ্রাফটিং বা ইমপ্লান্টের মাধ্যমে নিতম্বের গঠন পরিবর্তন করতে চান।
১১. ভ্যাজাইনোপ্লাস্টি: জন্মগত ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণে নারীর জননেন্দ্রীয়তে সমস্যা থাকলে এ সার্জারি করা হয়।
অনেকের ধারণা কসমেটিক বা অ্যাসথেটিক সার্জারি মানে কেবল চেহারার বা শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, আসলে তা নয়। পুড়ে যাওয়া বা যেকোনো দুর্ঘটনা-পরবর্তী বিভিন্ন অঙ্গের আকৃতি বা অস্ত্রোপচার–পরবর্তী অঙ্গহানির সমস্যা দূর করতে কসমেটিক সার্জারির কোনো বিকল্প নেই।
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ক্যারোলিন হান্টারের ১২ বছরের মেয়ে সেরিব্রাল পলসি রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। তার লাইফ সাপোর্ট সরঞ্জাম চালাতে ও বাড়ি গরম রাখতে বছরে বিদ্যুৎ বিল আসে সাড়ে ছয় হাজার ইউরো। চিকিৎসা খরচ চালাতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে বিপুল পরিমাণ এই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েন ক্যারোলিন।
এর আগে স্কটল্যান্ডের স্থানীয় কাউন্সিল ক্যারোলিনকে সতর্ক করেছিল, তাঁর বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যাবে। তাঁদের এই অসহায়ত্বের বিষয়টি তুলে ধরে বিবিসি স্কটল্যান্ড। সেই প্রতিবেদন ‘টাইটানিক’খ্যাত হলিউড অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটের নজরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সেই কিশোরীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করেন ক্যারোলিন পরিবারের সঙ্গে। এই পরিবারকে ১৭ হাজার পাউন্ড অনুদান দেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ টাকার বেশি।
কেট উইন্সলেটের এই অনুদানের কথা শুনে ৪৯ বছর বয়সী ক্যারোলিন বলেন, ‘খুবই দুরবস্থার মধ্যে আমাদের দিন কাটছিল। একটা সময় মনে হয়েছিল, সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যখন কেট উইন্সলেটের অর্থসাহায্যের খবর পেলাম, চোখ থেকে আনন্দ অশ্রু বেরিয়ে পড়ল। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। আমি এখনো ভাবছি, এটি কি বাস্তব?’
সামনে কেট উন্সলেটকে দেখা যাবে জেমস ক্যামেরনের বহুল প্রতীক্ষিত ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমায়। ২০০৯ সালে ব্যাপক জনপ্রিয় ও পুরস্কৃত ‘অ্যাভাটার’-এর সিকুয়েলটি মুক্তি পাচ্ছে প্রথম কিস্তির ১৩ বছর পর। ছবিটিতে কেট উইন্সলেট ছাড়া আরও আছেন স্যাম ওয়ার্থিংটন, জো সালডানা প্রমুখ।