logo
Breaking News
২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে চিত্...

সিনেমা থেকে অনেকটাই দূরে চিত্রনায়িকা পপি। কোথায় আছেন, সেই খবরও কাছের মানুষেরা বলতে পারছেন না। এক বছরের বেশি সময় ধরে ভক্ত সহকর্মী মহলে প্রচারিত হচ্ছে উধাও এই চিত্রনায়িকা কি চলচ্চিত্র ছাড়ছেন? কারণ, গত বছর থেকে তিনি একদমই সবকিছু থেকে অন্তরালে। শোনা যাচ্ছিল, তিনি মা হয়েছেন। তবে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সময়ে নতুন কোনো ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি, তাঁর কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। এসব ধোঁয়াশার মধ্যেই তিন বছর পরে দেখা মিলবে পপির।

 

ভক্তদের দীর্ঘ তিন বছর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার ফিরছেন পপি। ২৩ ডিসেম্বর এই নায়িকার ডাইরেক্ট অ্যাটাক সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। ২০১৯ সালে তাঁকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল। সিনেমার পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী বলেন, আমরা সিনেমাটি নিয়ে দুতিন দিনের মধ্যেই প্রচারে যাব কিন্তু কোনোভাবেই পপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে আর ছবি করবে কি না, সেটাও জানি না। সিনেমার নায়িকা প্রচারে না থাকলে হয়? পপি ছাড়া এখনো আমরা কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় আছি। শেষ মুহূর্তে সে থাকবে কি না, সেটা জানা দরকার।

সিনেমাটি নিয়ে বিভিন্ন সময় পপি গণমাধ্যমে বলেছেন, গল্পটি তাঁর খুবই পছন্দের। যে ধরনের গল্পে তিনি অভিনয় করে থাকেন, তার চেয়ে ডাইরেক্ট অ্যাটাক’–এর গল্পভাবনা ব্যতিক্রম। নির্মাণও তাঁর পছন্দ ছিল। সিনেমায় তাঁর অভিনীত চরিত্রটি একজন ডিবি কর্মকর্তার। এই প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক বলেন, পপির খুবই পছন্দের গল্প ছিল। বলেছেও। কিন্তু এখন ওর সিনেমাটি নিয়ে সামনে আসা উচিত। পপির আড়াল ভাঙা উচিত। আর যদি সিনেমা না করে, তাহলে তার বলা উচিত, এটাই তার শেষ সিনেমা। তা না হলে কেন সে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছে না।

তিন বছর আগে ডাইরেক্ট অ্যাটাক সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল। তখন সিনেমাটির নাম ছিল সাহসী যোদ্ধা করোনার মধ্যেই সিনেমাটির শেষ লটের শুটিং শেষ হয়। এক বছর আগেই সিনেমাটি সেন্সর সনদ পেয়েছে। পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী বলেন, আমাদের বড় বাজেটের সিনেমাটি সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক অ্যাকশন ঘরানার। এই সময়ের দর্শক গল্পটি পছন্দ করবেন। গল্পে তুলে ধরা হয়েছে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসহ বেশ কিছু বার্তা।

মুক্তির তারিখ পরিবর্তন হবে উল্লেখ করে পরিচালক আরও জানান, ডাইরেক্ট অ্যাটাক সিনেমার গল্প চিত্রনাট্য করেছেন কমল সরকার। সিনেমায় পপির নায়ক আমিন খান। এতে আরও অভিনয় করেছেন ইমন, শিরিন শিলা প্রমুখ। ২০১৯ সালে পপি অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা দ্য ডিরেক্টর মুক্তি পায়। সে হিসাবে তিন বছর পর পর্দায় ফিরছেন পপি।

 

'সকল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিশ্ব...

সোমবার ( ডিসেম্বরগণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে   ওবায়দুল কাদেরবলেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ নিয়েমানুষ আতঙ্কে আছেমন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা বাড়াবাড়ি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।

সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের (বিএনপির) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার আছে, সেটি তারা করুক। কিন্তু দেশের মানুষ আতঙ্কে কেন? কেন তারা আতঙ্কে থাকবে? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে। বিরোধী দলের অধিকার আছে বলে আমরা ছাড় দিয়েছি।

বিএনপিকে 'সকল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি এখনও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি। দলটি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশে অন্তরায়।

  সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, সেলিম মাহমুদ, জাহানারা বেগম প্রমুখ।

 

১২৫ কোটি টাকা প্রয়োজন অরিজিৎ স...

শীতকাল এলেই সংগীতশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বিভিন্ন কনসার্টে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। তবে কনসার্ট নয়, সম্প্রতি টিকিটের মূল্যের কারণে আলোচনায় আসেন অরিজিৎ সিং। কিছুদিন আগেই ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, মুম্বাইতে অরিজিৎ সিংয়ের টিকিটের দাম সর্বোচ্চ ১৬ লাখ রুপি রাখা হয়েছে। যে কনসার্টটি হবে আগামী জানুয়ারি মাসে। ১৬ লাখ রুপি মূল্যের টিকিটএই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

টিকিটের উচ্চ মূল্য নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, এত অর্থ দিয়ে কী করবেন অরিজিৎ। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক নিজেই।
সম্প্রতি অরিজিৎ জানিয়েছেন, তাঁর ১০০ কোটি রুপি প্রয়োজন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। এই অর্থ জোগাড় করতেই তাঁর এমন উদ্যোগ। ১০০ কোটি রুপি দিয়ে কী করবেন অভিনেতা, সে প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে অরিজিৎ সিংয়ের বেড়ে ওঠা। সেখানেই একটি উন্নত মানের স্কুল নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এই শিল্পী। যে স্কুলে থাকবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। স্কুলটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১০০ কোটি রুপি। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক কনসার্টে তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই স্কুল নির্মাণের জন্য অর্থ জোগাড় করছেন কনসার্টের মাধ্যমে। তিনি তাঁর এই কাজে শ্রোতাদের পাশে চান। তিনি বলেন, গান শুনে উদ্যোগের পাশে থাকুন।

আরিজিৎ সিং আগে থেকেই বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত, যার শুরু করেছেন নিজ এলাকা থেকে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের। এই সংস্থার লক্ষ্যে, দরিদ্র শিশু, তরুণী, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে সাহায্য করা। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

 

রমজান মাসে নিত্যপণ্যের আমদানির...

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানিতে সর্বোচ্চ সহায়তা করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল রবিবার ( ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকার্স সভায় নির্দেশনা দেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সভা শেষে তথ্য জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। মুখপাত্র লেন, ‘নিয়মিত ব্যাংকার্স সভায় সামগ্রিক অর্থনীতিসহ ব্যাংক খাতের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা। এজন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) সহজ করার বিষয় এমডিদের বলা হয়েছে। ক্ষেত্রে এলসি খোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের নীতি সহায়তা দেওয়া বে।

রোজায় প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর, ফলমূল এবং চিনিসহ নিত্যপণ্যের আমদানি অর্থায়নের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখপাত্র।

 বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সেনা, নৌ, বিমান পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বিদেশে থাকাকালীন সময়ে অর্জিত অর্থ বৈধ থে দেশে পাঠালে রেমিট্যান্সের অর্থের বিপরীতে মিলবে সরকারের নগদ প্রণোদনা।

গতকাল রবিবার ( ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্র নীতি বিভাগ থেকে সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, এখন থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অর্জিত রেমিট্যান্সের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সেনা, নৌ, বিমান পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রাপ্ত অর্থের বিপরীতে প্রণোদনার অর্থ ছাড়করণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের সদস্যদের প্রত্যেকের প্রাপ্যতার তালিকাসহ তাদের ব্যাংক বরাবর আবেদন করবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ বাহিনীর আবেদনকৃত অর্থ ছাড়করণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর জন্য তৈরি তালিকাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস্ অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্ট (এবিডি) বরাবর আবেদন করতে হবে। সরকার থেকে তহবিল পাওয়া সাপেক্ষে ব্যাংক বরাবর অর্থ ছাড় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সশস্ত্র বাহিনী প্রদত্ত তালিকা মোতাবেক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে নগদ সহায়তা জমা করবে।

এই নগদ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে জুলাই ২০১৯ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের ওপর শতাংশ নগদ এবং জানুয়ারি ২০২২ থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের ওপর . শতাংশ নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে।

 

সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন...

সিনেমার চরিত্রের জন্য তারকারা আলাদাভাবে নিজেদের তৈরি করেন। চরিত্রের জন্য কেউ ওজন বাড়ান তো কেউ ওজন কমান। অনেকে আবার ফাইট শেখেন, কারাতে শেখেন। কিন্তু সাংবাদিক চরিত্রের জন্য সাংবাদিকতা শিখতে শুনেছেন কি? হ্যাঁ, এমনটাই করেছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। ২০১৭ সালের জগ্গা জাসুস ছবিতে সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। এই চরিত্র দর্শকের সামনে ফুটিয়ে তুলতে সত্যিকারের সাংবাদিক হয়ে ওঠেন তিনি। জন্য তাঁকে কম পরিশ্রম করতে হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন তাঁর সাংবাদিক হয়ে ওঠার গল্প।

সাংবাদিকতা কীভাবে করা হয়, তা জানতেন না ক্যাটরিনা। খুব দ্রুতই তাঁকে শিখতে হবে সাংবাদিকতা। কারণে তিনি দেখা করেন বেশ কয়েকজন বিখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে সাংবাদিকতার নিয়মনীতি শেখেন। তাঁরা কীভাবে কোনো একটি ঘটনা কাভার করেন, তথ্য সংগ্রহ করে সেটি আবার পাঠকের জন্য উপস্থাপন করেনএসব বিষয় শিখে সাংবাদিকতার একটা ধারণা তৈরি করেন নিজের মধ্যে। এরপর একসময় তিনি নিজেকে সাংবাদিক ভাবা শুরু করে দেন।

শুধু নিউজ সংগ্রহ নয়, ফুটেজ সম্পর্কেও ধারণা নেন ক্যাট। সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রায় ১০০ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ দেখেন শুধু সাংবাদিকদের জীবন বোঝার জন্য। ছাড়া বিভিন্ন সিনেমা, গল্পে যেখানেই সাংবাদিক চরিত্র পেয়েছেন, তা তিনি আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছেন। সাংবাদিক শ্রুতি চরিত্রের জন্য তখনকার নতুন এই অভিজ্ঞতা এখনো মনে পড়ে ক্যাটরিনার।

অভিনয়শিল্পীদের নতুন নতুন চরিত্রের জন্য প্রতিবারই নিজেদের প্রস্তুত করতে হয়। আর এই প্রস্তুতি নিতে হয় দর্শকের সামনে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য। যিনি যতবেশি পরিশ্রম করেন, দর্শকের কাছে তিনি তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। জগ্গা জাসুস ছবিতে ক্যাটরিনার শ্রুতি চরিত্রটাও তখন প্রশংসিত হয়েছিল। এই অভিনেত্রী এখন নতুন ছবি মেরি ক্রিসমাস’–এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আগামী বছর ছবিটি মুক্তি পাবে। এই ছবিতে দক্ষিণি অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিপরীতে তাঁকে দেখা যাবে। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল ক্যাটরিনা অভিনীত ছবি ফোন ভূত ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।

 

বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। গ্রামে রাস্তার দুপাশে একের পর এক দেখা যেত নজরকাড়া মাটির ঘর। শীত গরম উভয় মৌসুমে আরামদায়ক এই মাটির ঘর। তাই এই ঘরকে বলা হয়গরিবের এসি ঘর ঘরগুলো দেখতে মনোরম। পরিবেশবান্ধব ঘর বলে অনেকে বিমুগ্ধও হন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন মাটির ঘরের কদর এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। সচরাচর এখন আর মাটির ঘর চোখে পড়ে না। ঐতিহ্যের এই অংশটি এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু জায়গায়।

জানা গেছে, গত পাঁচ থেকে ছয় দশক আগেও দেশে মাটির ঘরের প্রচলন ছিল হরহামেশা। গরিব মধ্যবিত্ত পরিবারের অধিকাংশ মানুষ নির্মাণ করতেন মাটির ঘর। সারাদেশের বিভিন্ন বাড়িতে দেখা যেত এমন মাটির ঘর। ওইসব গ্রামের হাতেগোনা কিছু বাড়িতে এখন মাটির ঘর থাকলেও অধিকাংশ বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা সেমিপাকা ঘর। জনশ্রুতি আছে, মাটির ঘর গরিবের বালাখানা

এদিকে নারায়ণগঞ্জ উত্তর অঞ্চলের জামপুর সাদিপুর ইউনিয়নে লাল মাটি এঁটেল মাটি দিয়ে মাটির ঘর বানানো হতো। লাল এঁটেল মাটি ভিজিয়ে প্রথমে প্যাক করা হতো। সেই প্যাক দিয়ে তৈরি হতো ২০-৩০ ইঞ্চি চওড়া দেয়াল। প্রতিবার দুই-তিন ফুট উঁচু দেয়াল করে তা পাঁচ-ছয় দিন রোদে শুকানো হতো। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১০-১২ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করা হতো। পরে দেয়ালের ওপর টিনের চালা বা ছন দিয়ে ছাউনি করা হতো। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সময় লাগত দুই-তিন মাস। বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঘরের ভিতরের দিকে ধানের তুষ দিয়ে দেয়ালের ওপর প্রলেপ দেওয়া হতো। বাইরের দিকে দেওয়া হতো চুনের প্রলেপ। বন্যা বা ভূমিকম্প না হলে এসব ঘর শতাধিক বছর পর্যন্ত টিকে থাকত। এই মাটির ঘর ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে এর স্থায়িত্ব শতবছরও হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাটির ঘর ব্যবহারকারীরা।

স্থানীয় নানাখী গ্রামের মিয়াজ উদ্দিন বলেন, জন্মসূত্রে মাটির তৈরির ঘর পেয়েছি। বাপ-দাদা পূর্ব পুরুষও জীবন কাটিয়ে গেছেন। তাইতো এখনও পূর্ব পুরুষের রেওয়াজ অনুযায়ী ভাঙেনি মাটির ঘর। ভাঙতে চান না কেউ কেউ।

সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসন ভূইয়া বলেন, উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামে মাটির ঘর ছিল। ইট-পাথরের তৈরি পাকা দালানের সংখ্যা ছিল গ্রামে হাতেগোনা। সেই দিন বদলে গেছে। এখন হাতেগোনা দু'একটি মাটির ঘর দেখা যায়। অধিকাংশ বাড়ি এখন ইট পাথরের তৈরি।

 
লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন,এক সময় মাটির ঘরের কথা ইতিহাস হয়ে থাকবে, স্মৃতি খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে যাবে। বাংলাদেশ লোক-কারুশিল্প কারুপল্লীতে হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক মাটির ঘর এখনও টিকে আছে। তবে সাধারণভাবে গ্রাম-বাংলা থেকে মাটির ঘর প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

 

ফ্যাশনে জনপ্রিয় এক ধারা জোড়াতা...

কয়েক বছরে ধরেই ফ্যাশনে জনপ্রিয় এক ধারা জোড়াতালির নকশা (প্যাচওয়ার্ক) শীতপোশাকেও এখন দেখা যাচ্ছে প্যাচওয়ার্ক। জ্যাকেট বা কটিতে জোড়া দেওয়া হচ্ছে কাপড়ের টুকরা। কখনো আবার এই কাপড়ের টুকরা দিয়ে তৈরি হচ্ছে চাদর।

টপ, কামিজের পাশাপাশি শাড়ির সঙ্গেও বেশ মানিয়ে যায় এসব চাদর। হালকা শীত তাড়াতে এসব কাপড় বেশ আরামদায়ক। যদিও কাপড় জোড়া দিয়ে এই প্যাচওয়ার্কের কাজ করা হয়, তবে এই কাজের ধরন বেশ সূক্ষ্ম হওয়ায় বাইরে থেকে বোঝার উপায়ই নেই যে তাতে জোড়া দেওয়া হয়েছে কাপড়ের টুকরা।

কখনো এই প্যাচওয়ার্কের ওপর করা হয় নকশিকাঁথার কাজ। তখন আলপনার মোটিফ হিসেবে ব্যবহৃত হয় মানুষের মুখ, ফুল, লতাপাতা। আবার কখনো ব্লকের কাজেও রঙিন হয়ে উঠে জোড়া তালির এই নকশা। নিত্যদিনের পোশাক হিসেবে তো বটেই, চাইলে যেকোনো আমন্ত্রণে প্যাচওয়ার্কের এসব পোশাক পরে উপস্থিত হতে পারেন।

নকশা প্যাচওয়ার্কের কাজে রঙিন কাপড়ে ব্যবহার করা হয় বেশি। এই কাজে যে পুরোনো কাপড়ের টুকরাই ব্যবহার করতে হবে তেমন নয়। চাইলে নতুন কাপড় জোড়া দিয়েও প্যাচওয়ার্ক করতে পারেন। কখনো পুরো জামাই, আবার কখনো জামার গলা, কাঁধ বা হাতে এই প্যাচওয়ার্ক করা হয়।

 

প্যাচওয়ার্কের পোশাক কেনার সময় জোড়া দেওয়া প্রতিটি কাপড়ের উপাদান যাতে এক থাকে, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। না হলে পোশাকটি অসামঞ্জস্য লাগবে।

 

টেক্সট মেসেজের ৩০ বছর পূর্ণ হল...

 টেক্সট মেসেজের ৩০ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের বার্কশায়ারে ভোডাফোনের এক প্রকৌশলী প্রথম টেক্সট ম্যাসেজ পাঠান।মেরি ক্রিসমাসলেখা প্রথম এই বার্তাটি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক হিসেবে পাঠানো হয়। নিল পাপওয়ার্থ নামে সেই ব্যক্তি রিচার্ড জার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যাসেজটি পাঠান। তবে তিনি এর কোনও রিপ্লাই পাননি। জার্ভিস তখন ব্যবহার করেন বাজারের নতুন অরবিটেল ৯০১ মডেলের ফোন, যার ওজন . কেজি।

এরপর শুরু হয় এসএমএসের জোয়ার। প্রতি বছর আদান-প্রদান হতে থাকে বিলিয়নের ওপরে এমএমস। এর প্রভাবে ২০১০ সালে টেক্সটিং শব্দটি অভিধানে স্থান পেয়ে যায়। তিরিশ বছর পরেও ইন্টারনেটের যুগে এনক্রিপটেড ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বা আইম্যাসেজ বেশ জনপ্রিয়।

বিবিসি জানায়, স্ট্যাটেসটিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে ৪০ বিলিয়ন এসএমএস ম্যাসেজ আদান-প্রদান হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটি ২০১২ সালে ছিল দেড়শবিলয়ন। বর্তমানে প্রতিদিন হোয়াটসঅ্যাপে বিশ্বব্যাপী একশবিলিয়ন ম্যাসেজ আদান-প্রদান করা হয়।

অবশ্য এসএমএস ম্যাসেজ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড না হওয়ায় তা খুব একটা নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করে বিবিসি। এসএমএস প্রকৃতপক্ষে শুধুই টেক্সট আদান-প্রদানের একটি মাধ্যম, যার অক্ষরের সর্বোচ্চ সীমা ১৬০টি। এর ধারণাটি সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে করা হলেও একে মোবাইল ডিভাইসে কার্যকর করতে ১০ বছরের ওপরে সময় লেগে যায়।

আগেকার বেশিরভাগ ফোনেই ছিল নিউমেরিক কিবোর্ড। একেকটি নম্বরে দুই বা তিনটি অক্ষর জুড়ে দেওয়া থাকতো। যেমন-কোনও ব্যবহারকারীকেসিঅক্ষর লেখার জন্য সেই বাটনটিকে তিনবার চাপতে হতো।

সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের প্রফেসর নাইগেল লিংজি বলেন, হ্যান্ডসেট নির্মাতারা কোয়ার্টি কিবোর্ডটি বানিয়েছে শুধুমাত্র মোবাইলে কল করা এবং ম্যাসেজ রিসিভ করার জন্য, ম্যাসেজ সেন্ড করার জন্য নয়।

সিসিএস ইনসাইটের প্রধান বিশ্লেষক বেন উড বলেন, প্রচুর লোক ফোনে টেক্সটিংয়ে বেশ দ্রুতগামী হয়েছে। আজকাল মানুষ ফোনে কথা বলার চেয়ে বেশিরভাগ সময় ব্যায় করে ফোনের দিকে তাকিয়ে। এসএমএস এই পরিবর্তনে ভালো একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।