জাপানের টোকিও শহর থেকে মরিওকা শহরের ট্রেন স্টপেজ পর্যন্ত চলা একটি বুলেট ট্রেনের মধ্যে দেখা হয় পাঁচ জন ভাড়াটে খুনির। নিজ নিজ মিশন নিয়ে বুলেট ট্রেনে ওঠে তারা। কিন্তু এক সময় বোঝা যায়, তাদের কাজ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তখনই শুরু হয় তুলকালাম কাÐ। ছুটে চলছে বুলেট ট্রেন, ঘটছে ভয়ানকসব ঘটনা। পাঁচ আততায়ীর মধ্যে অন্যতম ব্র্যাড পিট। বিখ্যাত জাপানি উপন্যাস ‘মারিয়া বিটল্’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘বুলেট ট্রেন’ সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন ‘ডেড পুল ২’ এবং ‘ফার্স্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ খ্যাত পরিচালক ডেভিড লিচ। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ব্র্যাড পিট অভিনীত ‘ওয়ান্স আপন অ্য টাইম ইন হলিউড’। এ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার জিতেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই ভক্তদের অপেক্ষা আরও তীব্র হয় প্রিয় অভিনেতার নতুন সিনেমা দেখার জন্য। তিন বছর পর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে। স্যান্ড্রা বুলক, লেডি গাগা, অ্যারন টেইলর জনসন, ব্রায়ান টাই হেনরি, যাজি বিটজ, মাইকেল শ্যানন, লোগান লরম্যান, মাসি ওকা ও অ্যান্ড্রæ কোজির মতো তারকাদের সঙ্গে দেখা গেছে জোয়ি কিংকে। হলিউড অভিনেত্রী জোয়ি বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন তৈরি না হওয়ার আগে আমরা আসলে ভয় পাচ্ছিলাম যে, সিনেমাটি আমরা মুক্তি দিতে পারব কি-না। আমরা সবাই অনেক কষ্ট করে ভালোবেসে এ সিনেমাটি বানিয়েছি। আশা করি সিনেমাটি সবার ভালো লেগেছে।’ যেহেতু সিনেমার নামকরণ করা হয়েছে ‘বুলেট ট্রেন’ তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে সিনেমার গল্প এগিয়েছে একটি ট্রেনকে কেন্দ্র করে। এ সিনেমায় হিটমেন ও ভিলেনের অ্যাকশন সিকোয়েন্স দেখা গেছে টোকিওর ট্রেনে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি বাড়িতে এ সিনেমার শুটিং করেছি। আমরা এমন কিছু তৈরি করতে চেয়েছি যা দর্শককে হাসাবে এবং আনন্দ দিবে। আর এই সিনেমা হলে গিয়ে যেন দর্শক একাধিকবার দেখে।’ ‘বুলেট ট্রেন’ সিনেমার শুটিংয়ে এসে প্রথম একেবারে যেন ডাঙায় তোলা মাছের মতো অবস্থা হয়েছিল অভিনেত্রী জোয়ি কিংয়ের, তবে প্রধান অভিনেতা ব্র্যাড পিট এসময় তার পাশে দাঁড়ান আর তাতে তার সব অস্বস্তি কেটে যায়। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে জোয়ি অভিনয় করে যাচ্ছেন। তবে অ্যাকশন-কমেডিটিতে অভিনয়ের শুরুটা তার ঠিক স্বস্তিকর ছিল না। ‘কিসিং বুথ’ তারকা জানান, হলিউডের কিংবদন্তি পিটের কারণে পরে তার সব সমস্যা শেষ হয়ে যায়। সিনেমাতে পিট লেডিবাগ নামে এক ভাড়াটে খুনির ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন যে তার পেশা ছাড়তে চায়; কিন্তু তার হ্যান্ডলার মারিয়া বিটল (স্যান্ড্রা বুলক) তাকে তার পেশায় ফিরিয়ে আনে। তাকে নতুন কাজ দেয়া হয়, যাতে টোকিও থেকে কিয়োটো পর্যন্ত বুলেট ট্রেন থেকে তাকে একটি ব্রিফকেস উদ্ধার করতে হয়। ট্রেনে তাকে ছাড়া আরও কয়েকজন আততায়ী উপলব্ধি করে যে, সবার উদ্দেশ্যই অভিন্ন, আর তাতেই শুরু হয় লড়াই। জোয়ি কিং বলেন, ‘আমি প্রায় ১৯ বছর অভিনয় করছি, আসলে এমনটা অন্যরকম। কিন্তু সেটে এসে মনে হতে থাকে এটিই আমার প্রথম ফিল্ম। নিজেকে ডাঙায় তোলা মাছের মতো মনে হতে থাকে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, আমি এখানে কী করছি? আমি এর যোগ্য নই। কালক্ষেপণ না করেই পিট কিংয়ের অস্বস্তি বুঝতে পেরে তাকে স্বাভাবিক করে তোলেন।’ কিং আরও বলেন, ‘তবে ব্র্যাডসহ অন্যান্য কাস্টদের সঙ্গে এই ফিল্মে কাজ করা ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। আসলে এটা ছিল বড় সম্মান। ব্র্যাড আমাকে মুহূর্তেই সাবলীল করে তোলেন।’ তার আসল নাম জোয়ি লেন কিং। বয়স মাত্র ২৩ হলেও হলিউডে নিজের জন্য ভালো একটি জায়গা করে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। হলিউডের বিখ্যাত অনেক তারকার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ লাভ জোয়িকে খুব দ্রæতই পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছে। ব্রাড পিট, সানড্রা বুলক, আডাম ¯েøনডার, কোর্টনি লাভ, টেইলর সুইফটদের মতো বিখ্যাত তারকাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। লস এঞ্জেলসে জন্মগ্রহণকারী এই অভিনেত্রী মাত্র চার বছর বয়সে অভিনয়ের সাথে যুক্ত হন। এক সময়ে চুটিয়ে মডেলিং করেছেন। যা তাকে ঘরে ঘরে জনপ্রিয় এবং পরিচিত করেছে। কমেডি সিনেমা ‘রামোনা অ্যান্ড বিজাস’ রামোনা চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ হয়। এরপর ‘ওজ দ্য গ্রেট অ্যান্ড পাওয়ারফুল’, ‘দ্য কনজুরিং’, ‘হোয়াইট হাউজ ডাউন’, ‘দ্য কিসিং বুথ’, ‘উইশ আপন’, ‘ব্যাটেল : লস এঞ্জেলস’, ‘দ্য অ্যাকট’, ‘ক্রেজি স্টুপিড লাভ’ প্রভৃতি ছবি তাকে সামনে এগিয়ে দিয়েছে ক্রমেই। ব্যাটম্যান ফ্রাঞ্চাইজির ‘দ্য ডার্কনাইট রাইজেস’ ছবিতে তালিয়া আল গুল চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। ‘পসিবিলিটি অব ফায়ার ফ্লাইজ’ ছবিতে তার অভিনয় সবার নজর কাড়ে। ‘উইশ আপন’ ছবিতে মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন জোয়ি। নেটফ্লিক্সের টিন রোমান্টিক কমেডি ‘কিসিং বুথ’ ছবিটি তার ক্যারিয়ারে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর ‘কিসিং বুথ’র সিক্যুয়ালগুলোতেও এলি ইভান্স চরিত্রে তাকে দেখেছেন দর্শক। যা তাকে তরুণ বয়সী দর্শকের কাছে রীতিমতো ক্রেজে পরিণত করেছে। স¤প্রতি ধুন্ধুমার অ্যাকশন ছবি ‘বুলেট ট্রেন’-এ একজন দুর্ধর্ষ তরুণীর ভ‚মিকায় তাকে দেখা গেছে ব্রাড পিট, অ্যারন টেইলর জনসন, ব্রায়ান টাইরি হেনরি, সানড্রা বুলকদের মতো বাঘা বাঘা তারকাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চমৎকার পারফরমেন্স করতে। জোয়ির হাতে বর্তমানে বেশ কিছু নতুন প্রজেক্ট রয়েছে। এর মধ্যে ‘দ্য আগলিজ’, ‘এ ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার’র মতো সিনেমা রয়েছে। যা আগামী বছর মুক্তি পাবে। টেইলর সুইফট, সাবরিনা কার্পেনটার, মার্শেমেলোর মতো বিখ্যাত শিল্পীদের বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করেছেন জোয়ি কিং। ক্যামিলা কাবেলো, সেলেনা গোমেজদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথা সবাই জানে।
রেজাউল করিম খোকন
পড়াশোনা আর খেলাধুলা করে কেটেছে শৈশব। প্রাথমিকের সীমা পেরিয়ে মাধ্যমিক শেষ না হতেই যোগ দেন শিশু সাংবাদিকতায়। সেই থেকে একের পর এক প্রাপ্তি যোগ হয়েছে তার অর্জনের তালিকায়। বলছিলাম মাগুরার ছেলে শাকিলুর রহমানের কথা।
২০১৬ সালে ফেসবুকের এক বন্ধুর হাত ধরে জাতীয় অনলাইন পোর্টাল বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতার সাইট হ্যালো’তে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকেই ‘হিজড়া শিশুরা কষ্টে আছে’, ‘ভিক্ষানির্ভর মুক্তিযোদ্ধার জীবন’, ‘বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে হাট’ এবং ‘সোনাপুর বাঁশের সাকোর বেহাল অবস্থা’Ñ এরকম বেশকিছু সংবাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশের পর ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন শাকিল। ২০১৮ সালে মনোনীত হয়েছিলেন মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের সংবাদ বিভাগে পুরস্কারের জন্য।
মাধ্যমিক শেষ করে শিশু সাংবাদিকতার পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক ও বেশকিছু অনলাইন পোর্টালে বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন কয়েক বছর। এরপর ভাবলেন চলচ্চিত্রের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। কয়েকজন উদ্যমী তরুণের সাহায্যে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন এসকে মিডিয়া।
তরুণ এই উদ্যোক্তা শাকিলুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুযোগ বেশি একটা নেই। ভাবলাম এটাই করি; তাই বেশ কয়েকজন মিলে এসকে মিডিয়া গড়ে তুলি। ‘নোলক’ সিনেমার মাধ্যামে এসকে মিডিয়ার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। এর পর থেকে একে একে বেশকিছু সিনেমার মার্কেটিংয়ের কাজ শেষে ধীরে ধীরে ওয়েব সিরিজ, নাটক ও মিউজিক ভিডিও নিয়ে কাজ শুরু করি। সম্প্রতি আমাদের ওয়েবসাইট এসেছে। তাছাড়া অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। বিনোদন, খেলাধুলা, তথ্য প্রযুক্তি, ভ্রমণ সাহিত্যসহ আরও বেশকিছু বিভাগ নিয়ে কাজ করছে এসকে মিডিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসকে মিডিয়ার টিম মেম্বারদের অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ওকোড’র সকল কর্মকর্তাদেরকে। এছাড়াও নাহরীন আপু, সাদিয়া আপু, সুমন ভাই, শিমুল ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। আশা করি, সব সময় আপনাদেরকে পাশে পাব।’
এরই মধ্যে নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করেছে এসকে মিডিয়া। যেখানে একসঙ্গে বড়পর্দা ও ছোটপর্দার নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনের গল্প তুলে ধরা হবে। শিগগিরই এটি এসকে মিডিয়ার ফেজবুক পেজে ও ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে।
শাকিল আরও বলেন, ‘যাত্রা শুরু এত সহজ ছিল না। এখন মোটামুটি একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। অনেকে নতুন কাজের অফার দিচ্ছেন। তাছাড়া আমাদের আয়ও সন্তোষজনক। আমরা মনে করি চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির সুদিন আবার ফিরবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাড়ে ১৬ কোটির একটি জনবহুল দেশ হয়েও গৃহহীনতার বিষয়টি সফলভাবে সমাধান করতে পেরেছে। আমি আজ এখানে এসেছি সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যে টেকসই ঘর নির্মাণে আমার সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নয়নের অগ্রাধিকার হিসেবে ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।আর সেই উদ্যোগকে সামনে রেখে গত দুই দশকে আমাদের সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে আবাসন নিশ্চিত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। গত দুই বছরই দুই লাখ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ লোকের আশ্রয় জুটেছে।
‘আমার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে ১৮ বছরে আমরা পাঁচ লাখেরও বেশি ঘরে ৩৫ লাখ গৃহহীন লোকের থাকার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া বর্তমানে আরও ৪০ হাজার ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পরিবার চারশ স্কয়ার ফুট একটি বাড়ির মালিকানা পাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব বাড়ির সুবিধাভোগীরা হলেন ভূমিহীন-গৃহহীন, ভিক্ষুক, দিনমজুর, নিঃস্ব নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ব্যক্তি, পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তি, জাতিগত সংখ্যালঘু, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, কুষ্ঠরোগী, ঝাড়ুদার এবং তথাকথিত নিম্নবর্ণের হরিজন সম্প্রদায়।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ভুক্তভোগী জনগণের জন্য সরকার সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরইমধ্যে আমরা কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবনে পাঁচ হাজার জলবায়ু-শরণার্থী পরিবারকে থাকার ব্যবস্থা করেছি। আগে কর্মসংস্থান ও থাকার জন্যে শহরগুলোতে গৃহহীন লোকের ছুটে আসার দৃশ্য অতি পরিচিত ছিল। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এই প্রবণতা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, এসব লোক নিজস্ব এলাকাতেই এখন স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- মালাবির প্রেসিডেন্ট ড. লাজারাস ম্যাককার্থি চাকভেরা, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সঞ্জয় ভার্মা, জাতিসংঘে স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের স্থায়ী প্রতিনিধি মিশেল ম্লিনার এবং আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সংবাদ
বিবৃত তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, আজকাল বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে। এটা কীসের আলামত? এগুলো কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়?
বিএনপির দুর্নীতি বিশ্ববিদিত, এমন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নিজেদের দলকে দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে বিএনপি। বিএনপি কখনো কোনো দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সাহস দেখাতে পারেনি। এ কারণেই তারা দুর্নীতি নিয়ে বড় বড় কথা বললে মানুষ হাসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সক্ষমতায় বিএনপি আত্মদহনে দগ্ধ, এমন দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন- বিএনপি নেতারা এখন মেগা হতাশায় ভুগছে।
বিএনপি নেতাদের অতীত বক্তব্য স্মরণ করিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা একসময় বলেছিলেন- জোড়াতালির পদ্মাসেতু যে কোনো সময় ভেঙে পড়বে। অথচ বিএনপি নেতারা এখন ঠিকই পদ্মাসেতু পার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের অপকর্ম ভুলে থাকতে চাইলেও জনগণ কিন্তু তাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যায়নি।
সরকার নাকি জণগণ থেকে দূরে সরে গেছে, বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের নয়, বিএনপির সঙ্গেই জনগণের যোজন বিয়োজন দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনের মতো আন্দোলনেও ব্যর্থ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো তখন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং জনগণের চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। যে কারণে জনগণের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বৃদ্ধি শুরু হয়।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র লিপ সার্ভিস দিয়ে এবং বক্তৃতা-বিবৃতিতে বিষোদগার করে জনগণের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচানো সম্ভব নয়।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
জয়া আহসান বলেন, এমন ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে আমি শুটিং করেছিলাম? তবে ছবিটি দেখার পর আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে।
গত ছয় বছর আগে এই ছবিটির শুটিং শুরু করেছিলেন জয়া। নানা জঠিলতার কারণে ছবিটির শেষ করতে দেরি হয় নির্মাতা মাহমুদ দিদারের। ছবিটি অবশেষে আজ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ।
মাহমুদ দিদার পরিচালিত বিউটি সার্কাস ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। দেড় বছর পর দেশের পর্দায় ফিরছেন সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবির মধ্য দিয়ে।
এছাড়াও এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ুন সাধু,তৌকীর আহমেদ, এ বি এম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, প্রমুখ।
আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৮ অধিনায়কের মোট সম্পদ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ‘সিএ নলেজ’। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ৮ অধিনায়কের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ধনী বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
‘সিএ নলেজ’ সেলিব্রেটিদের সম্পদের হিসাব নিয়ে গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ নিয়মিত করে থাকে।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক রোহিত বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪৩ কোটি টাকার মালিক। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের মোট সম্পদের পরিমাণ ২২২ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে সাকিব পেছনে ফেলেছেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে।
রোহিত ও সাকিবের থেকে অনেক পিছিয়ে বাটলার-ফিঞ্চরা। ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক বাটলার মোট ১০১ কোটি টাকার মালিক। তার পরের অবস্থানে থাকা অ্যারন ফিঞ্চের মোট সম্পদ ৮১ কোটি টাকার।পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ৪০ কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে আছেন তালিকার সাত নম্বর অবস্থানে।
তার আগে পাঁচ ও ছয় নম্বরে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা। কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৬৫ কোটি টাকার মালিক, টেম্বা বাভুমার সম্পদ আছে ৫০ কোটি টাকার। সবার শেষে আছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি। তার সম্পদের পরিমাণ ১২ কোটি টাকা।
ঢালিউড এর জ নপ্রিয়
অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার হাজির হয়েছেন রুপালি পর্দায়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘ঈশা খাঁ’ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশের ১৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।
এই
সিনেমাটিতে ঈশা খাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডিএ তায়েব।‘ঈশা খাঁ’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক ডায়েল রহমান।
ছবিটির সর্ম্পকে
ডিএ তায়েব বলেন, আমাদের ‘ঈশা খাঁ’ সিনেমাটি বড় বড় ১৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। যেহেতু ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ও ‘বিউটি সার্কাস’ অনেক প্রেক্ষাগৃহে চলছে, তাই কিছু হল আপাতত পাইনি। তবে আশাবাদী, সামনে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়বে।
ঈশা খাঁ’ সিনেমা প্রসঙ্গে এ অভিনেতা আরও বলেন, মোগল শাসন আমলে সরাইলের জমিদার, ভাটি অঞ্চলের শাসক ও বারো ভূঁইয়া তথা প্রভাবশালী বারোজন জমিদারের প্রধান ছিলেন ঈশা খাঁ। তিনি বাংলায় স্বাধীনভাবে জমিদারি স্থাপন করেন। এরপর তৎকালীন মোগল সম্রাট আকবরকে খাজনা বা কর দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সেটা নিয়ে একের পর এক সংঘর্ষ বাঁধে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ঈশা খাঁ’।
এ সিনেমায় তায়েব ও অপু বিশ্বাস ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন রেবেকা, ডন, তামান্না প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে এসজি প্রোডাকশন।
নারীর সাফল্যের মাইল
ফলকে একের পর এক যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা।আর তারাই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুরন্ত ফর্ম ছুটছেই। সম্প্রতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরা দলটি এবার ঘরের মাঠে এশিয়া কাপেও করলো দুর্দান্ত সূচনা।
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচেই থাইল্যান্ডকে ৮২ রানে অলআউট করে ৯ উইকেট আর ৫০ বল হাতে রেখে জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল থাইল্যান্ড। ১৬ রানে ২ উইকেট হারালেও একটা সময় মোটামুটি ভালো অবস্থানে ছিল দলটি। ১২তম ওভারে ২ উইকেটে ছিল ৫৪ রান।
সেখান থেকে আর ২৮ রান যোগ করতেই থাইল্যান্ডের বাকি ৮ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলাররা। এছাড়া দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন পানিথা মায়া, ওপেনার নাথাকাম চানথামের উইলো থেকে আসে ২০ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রুমানা আহমেদ। লেগস্পিনিং এই অলরাউন্ডার ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান নাহিদা আক্তার, সোহেলি আক্তার আর সানজিদা আক্তার মেঘলা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে খুব বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৫২ রান তোলেন দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা আর ফারজানা হক।
তাদের ৬৯ রানের জুটিটি ভাঙে শামীমা হাফসেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় এসে ফিরলে। ৩০ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৪৯ রান করে পাথাওংয়ের বলে বোল্ড হন শামীমা।
তবে বাংলাদেশ তখন জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে। এরপর স্কোর যখন সমতায়, ছক্কা মেরেই ম্যাচ শেষ করেছেন নিগার সুলতানা। ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৯ বলে হার না মানা ২৬ করেন ফারজানা।