স্বপ্ন নয় এখন বাস্তব। উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও পদ্মা সেতু উদ্বোধনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
আমাদের গর্ব পদ্মা সেতু: ওমর সানি
আমার বাড়ি বরিশাল, গৌরনদী। জন্ম কালীগঞ্জ, জিঞ্জিরা, ঢাকা। আমার শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনা। পদ্মা সেতু আমার লাগবে, আপনার লাগবে। আমাদের গর্ব পদ্মা সেতু। আমাদের প্রথম অর্জন স্বাধীনতা আর দ্বিতীয় অর্জন পদ্মা সেতু। সমালোচনা নয় আসুন আমরা এক মুখে বলি, আমাদের পদ্মা সেতু।
এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু: শাবনূর
স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। স্থাপত্য শিল্পের এক শ্রেষ্ঠ স্থাপনা এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন। আমাদের গর্বের এই সেতু উদ্বোধন হওয়াতে আমিও আজ সবার সঙ্গে মহাসুখে উচ্ছ্বসিত, উদ্বেলিত ও আনন্দিত।
পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান: নিপুণ
পদ্মা সেতু আমাদের আত্মমর্যাদা, আমাদের অহংকার। শতবাধা, ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। এটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর জন্যই সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী আপনাকে।
অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী: অপূর্ব
স্বপ্ন, সাহস, সক্ষমতার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলো আজ। অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার টাকায় আমার সেতু বাংলাদেশের পদ্মা সেতু।
এত বছরের একটা অপেক্ষা শেষ হয়েছে: ইয়ামিন হক ববি
খুব ভালো লাগছে। এত বছরের একটা অপেক্ষা শেষ হয়েছে। খুবই সুন্দর একটি জিনিস প্রধানমন্ত্রী বাস্তবে রূপায়িত করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।
পদ্মা সেতু সারা বাংলাদেশের মানুষকে এক করেছে: সাইমন সাদিক
পদ্মা সেতু সারা বাংলাদেশের মানুষকে এক করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাঙালি জাতি চাইলে অনেক করতে পারে। আমরা আবারও প্রমাণ করেছি। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু। শুভ কামনা।
এখন আর বাড়ি যেতে ঝক্কি পোহাতে হবে না: তৌসিফ মাহবুব
আমার গ্রামের বাড়ি ভোলা। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে বরিশাল পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে ফেরিতে করে ভোলা যেতে হতো আমাদের। এখন আর সেই বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হবে না। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত যেতে আগে ২৫০ থেকে ২৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো, যদি লঞ্চে না যাই। আর এখন সেটি ১০০ থেকে বড়জোর ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলেই চলবে। তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে পারবো!
এটা তো স্বপ্নের মতো লাগে এখনও। এখন শুধু বরিশাল থেকে ভোলা পর্যন্ত ছোট্ট একটা ফেরি পার হওয়া লাগবে। এতে খরচ অনেক কমবে। অনেক সময়ও বাঁচবে। মোট কথা, আগে গ্রামে যেতে ভাবতে হতো- এখন চোখ বন্ধ করে ছুটবো। খুব সকালে রওনা দিলে ভোলায় গিয়ে নাশতা করাও সম্ভব! বাড়ি যাওয়ার গল্প শেষে এবার আসি শুটিং-জীবনে। শুটিংয়ের জন্য আমাদের অনেক লোকেশনে যাওয়ার প্রয়োজন হয়।
কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে পুরো ইউনিট নিয়ে যাওয়া অনেক খরচের ব্যাপার। এ কারণে কেউ সেই চিন্তাই করতো না। ২৫ জুন থেকে ৩০ জুন আমার একটি নাটকের শুটিং হওয়ার কথা ভোলায়। কিন্তু পরিচালক বারবার ভাবছিলেন, ৬০-৭০ জন মানুষ নিয়ে ভোলা পর্যন্ত যাওয়া অনেক ব্যয়বহুল। তবে পদ্মা সেতু হওয়ায় ইউনিটের মাইক্রো বাস ব্যবহার করে ভোলা চলে যেতে পারবো। এভাবে আমাদের জন্য বিভিন্ন লোকেশনে যাওয়া এখন থেকে সহজ হবে। আমার ও আমাদের এই দিন বদলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এই সেতুটি নির্মাণে জড়িত ছিলেন তাদের প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা।
একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো: জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে শুটিংয়ের জন্য নতুন লোকেশন পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে অনুপ্রেরণাও জোগাবে বলে মনে করি। ফেরির ভয়ে বছরের পর বছর বাড়ি যাওয়া হয়নি। এমনও হয়েছে যে, বিমানে উড়ে যশোর গিয়েছি, সেখান থেকে বাড়ি গিয়েছি। এখন আমার জন্য বাড়ি যাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। এজন্য দারুণ ভালো লাগছে। আমি একদিন ছুটি পেলেও এখন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে চলে যাবো।
কারণ, আমি জানি আমাকে আর ১২/১৪ ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হবে না। নিজের সুবিধার বাইরে দেশের মানুষ ও অর্থনীতির যে মেলবন্ধন ঘটবে এই সেতুর মাধ্যমে, সেটির কথা তো আর বলে শেষ করা যাবে না। তাই ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সেতুটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়োজিত প্রতিটি মানুষকে। যার মাধ্যমে, এমন একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো।
গাড়ি নিয়ে দৌড় দেবো পদ্মা সেতুর বুকে: জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া
ভাবতে ভাবতেই পদ্মা সেতু হয়ে গেলো! এটা ভাবলে এখনও বিশ্বাস হয় না। কারণ, প্রথম আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি এমন একটি সেতুবন্ধন দেখতে পাবো কখনও। এরপর যখন বিদেশি সমর্থন হারালাম, তখন তো সেই অবিশ্বাস আরও গভীর হলো আমাদের মনে। সব মিলিয়ে খুলনার মেয়ে হিসেবে এই সেতুটি আমার কাছে মনে হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। তারচেয়েও বড় গর্ব- সেতুটি আমাদের টাকায় হয়েছে। এটাও বাস্তবতা, টাকা থাকলেই সব কিছু হয় না। এটি বাস্তবায়ন করার মানসিকতা বা ভিশন লাগে।
সেই সূত্রে শত বাধার মুখেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা করে দেখিয়েছেন। হ্যাটস অফ টু হার। অনেকে অনেকভাবে এই প্রাণের সেতুটি দেখেছেন এরমধ্যে। আমি সেটা পারিনি। কিংবা ওভাবে দেখতে চাইনি। কারণ, আমার স্বপ্ন এই সেতু দিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে আমি বাড়ি যাবো। এতোকাল গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সাহসটা পাইনি। এখন আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে কোনোদিন গাড়ি নিয়ে দৌড় দেবো পদ্মা সেতুর বুকে।


Most Popular
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
একটা কথা আজকাল শোনা যায়, ‘আমাদের গল্পে আমাদের স...
ব্যক্তিত্ব
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
ব্যক্তিত্ব
বাংলা চলচ্চিত্রের শুদ্ধ মানুষ

২০১৮ বিশ্বকাপে মেসি আর বর্তমান আর্জেন্টিনার মেসি এক নয়,
বিধ্বস্ত মেসিকে খুব কমই দেখ...