আর কয়েকদিন পরই শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। সবকিছুর সাথে তাল মিলিয়ে পূজার সময় চাই নিজেকে ফ্রেশ দেখাতে। পূজার আগে রূপচর্চার কৌশলের কথা জানাচ্ছেন শাহিনুর আলম কলি
তৈলাক্ত ত্বক
গরমে মুখের ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসৃত হয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেসিয়াল উপকারী। যেভাবে করবেনÑনিমসমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করুন। টোনার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে শসার নির্যাসযুক্ত ক্রিম লাগান। মুখে অ্যাকনে বেশি থাকলে ম্যাসাজ কম করবেন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার স্ক্র্যাবের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার অ্যাকনে জেল মুখে দিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। জেল মুছে ওজা যন্ত্র দিয়ে অ্যাকনের জীবাণু বের করুন। এরপর হালকা ম্যাসাজ করুন। এক কাপ দইয়ে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বক আসলে স্বাস্থ্যকর ত্বক। এই ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে বোঝা যায় না। সর্বদাই তেলতেলে থাকে বলে মেকআপের অসুবিধা হয় তবে মুখ পরিষ্কার না রাখলে ব্রণ দেখা দেয়। কাজেই রোজ দু’বেলাই ত্বক পরিচর্যা করবেন। সারা দিনে যত বেশিবার সম্ভব মুখ ধোয়া ভালো। মুখে চন্দন বা লেবুযুক্ত সাবানের ফেনা ভালো করে মাখিয়ে নেবেন। প্রথমে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নেবেন বা বেসন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করাও ভালো। ক্লিনজিং মিল্ক ভালো করে মালিশ করে তুলা বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নেবেন। সপ্তাহে তিনদিন মুখে ফেস-প্যাক লাগান। ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে বিশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। চোখের ওপর ভিজে তুলা চাপা দিয়ে রাখুন যাতে চোখের কোণে এই মিশ্রণ না লাগে। পরে পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার গরম পানির ভাপ নিন।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের প্রধান সমস্যা হলো আর্দ্রতা ধরে রাখা। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন ত্বক হাইড্রেটেড রাখার। শুষ্ক ত্বকের জন্য রোজ ক্লিনজার ব্যবহার করতে না চাইলে বাড়িতেই ডিমের কুসুমের সাথে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ১ চা চামচ অরেঞ্জ জুস বা কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ক্লিনজার তৈরি করে নিন। ত্বক স্বাভাবিক হলে সমস্যাও অনেক কম হয়। ত্বকের যত্ন না হলে ত্বকের স্বাস্থ্যহানি ঘটে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়।
মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বকে মুখম লের কিছু অংশ বেশি তৈলাক্ত হয়। সেজন্য এই জাতীয় ত্বকে কোন অংশ কী রকম তা বুঝে তবেই পরিচর্যা করা ভালো। মোটামুটি স্বাভাবিক ত্বকের মতোই যত্ন নিন। তবে যে অংশগুলো বেশি তৈলাক্ত সেখানে মাঝে মাঝে এস্ট্রিনজেন্ট লোশন লাগিয়ে নিতে পারেন। তৈলাক্ত অংশে ডিমের সাদা অংশ এবং বাকি অংশে ডিমের কুসুম ও অলিভ অয়েলের ঘরোয়া ফেস-প্যাক ব্যবহার করুন, এটা উপকারী।
স্টাইলিশ হেয়ার
সাজের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো চুলের স্টাইল। চুলের স্টাইলের ওপর নির্ভর করে মানুষের ব্যক্তিত্ব। চুল যদি ঠিকঠাকমতো সাজানো যায়, তাহলে নিজেকে সবার চেয়ে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যায়। যাদের চুল সিল্কি তারা পেছনে লং লেয়ার করতে পারেন। সিল্কি ছোট চুলের জন্য প্রযোজ্য হেয়ার কাট হলো ফুল লেয়ার ও ইউ। এ চুলের কাটটি টিনএজ মেয়েদেরই বেশি মানাবে। ইদানীং এ ধরনের চুলের কাটগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
মডেল নিশাত
পোশাক মারজিন
ছবি আদিব আহমেদ


Most Popular
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
একটা কথা আজকাল শোনা যায়, ‘আমাদের গল্পে আমাদের স...
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
বাংলা চলচ্চিত্রের শুদ্ধ মানুষ

২০১৮ বিশ্বকাপে মেসি আর বর্তমান আর্জেন্টিনার মেসি এক নয়,
বিধ্বস্ত মেসিকে খুব কমই দেখ...