সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক যৌথসভার আগে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির প্রতি কিছু মন্তব্য করেন তিনি।
বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মিডিয়া কাভারেজের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপিকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে ।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের উচিত বিরোধীদলের বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে সরকারি দলেরও কিছু বক্তব্য দেওয়া। কারণ সরকারি দল তাদের নিজেদের বক্তব্যও তো আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিডিয়াতে বড় বড় কভারেজ হয়। আমাদের বড় বড় নেতাদের নামটাও বলে না। কিন্তু কোথাকার কোন সম্পাদক... কোন মহানগর নেতারাও! আশ্চর্য হয়ে যাই! মূল্যবোধের এত অবক্ষয় আমাদের দেশে। কল্পনা করতেও কষ্ট লাগে। আমরা তো পাই না। তাদের সাত আটজনকে উপস্থাপন করে তারপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসে। তারপর আবার ত্রিশ সেকেন্ড দিয়েই শেষ। এটা ঠিক নয়।’
‘একদিকে আমাদেরকে মিথ্যাচার করবে বিষোদগার করবে সেটা অপজিশন হিসেবে ক্লেইম করতে পারে এটা তাদের ভিউ। কিন্তু সরকারি দল হিসাবে আমাদেরও ভিউ আছে। আমারটা আমাদের দিন, তাদেরটা তাদেরকে দিন। কাউকে দেবেন না, এটা তো আমরা বলছি না।’
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আপনি লক্ষ্য করবেন যে কি অবস্থা। এসব চ্যানেলগুলো শেখ হাসিনা দিয়েছেন। তারা আজকে কি আচরণটা করছে। অনেকেই...আমি সবার কথা বলবো না। তারপর বিভিন্ন মিডিয়া কিভাবে আজকে আচরণ করছে। গণমাধ্যম কি আচরণটা করছে? এই বিষয়টি আমাদের মনে হয় তাদের সাথে আলাপ করা উচিত।’
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাহলে কি পদ্মা করে ভুল করেছেন? করোনাকালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে যেটা আমেরিকাও পারেনি। যেটা আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হার্টস নিজে স্বীকার করেছেন। সেটা করে ভুল করেছেন? শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যমূলক অবস্থায় রেখে কি ভুল করেছেন? মেট্রোরেল, মধুমতি সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্য সেতু, এগুলো কোন কাজ থেমে নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকগুলো উদ্বোধন হয়ে যাবে।’
‘ফ্লাইওভারই হয়েছে ২২টির মতো। আন্ডারপাস ৩০টির ওপরে। রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র, হয়ে যাচ্ছে মাতারবাড়ি, পায়রা সমুদ্রবন্দর...এগুলো করে কি শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। এগুলো করে কি তিনি ভুল করেছেন। উন্নয়নের কোনো মূল্য নেই? উন্নয়নের মূল্য আছে। আমরা দেখাবো। আগামী নির্বাচনে। মানুষ দুইটা বিষয়কে গুরুত্ব দেবে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সততা ও উন্নয়ন।”
এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।


Most Popular
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
একটা কথা আজকাল শোনা যায়, ‘আমাদের গল্পে আমাদের স...
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
বাংলা চলচ্চিত্রের শুদ্ধ মানুষ

২০১৮ বিশ্বকাপে মেসি আর বর্তমান আর্জেন্টিনার মেসি এক নয়,
বিধ্বস্ত মেসিকে খুব কমই দেখ...