অনলাইনে কাজ করে আয় করাটা অনেকেই ম্যাজিকের মতো মনে করেন। কোনোভাবে একটু কৌশলটা রপ্ত করলেই সব শেষ হয়ে যাবে না। মেধা ও পরিশ্রম করেই অনলাইনে আয় করতে হয়। বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক আয়ের জন্য অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ঝুঁকছেন। অনেকের মনে প্রশ্নÑ কীভাবে শুরু করা যায়, কী করলে নিজে যোগ্য হয়ে এভাবে আয় করা সম্ভব?
অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কমিশনের মাধ্যমে প্রচার ও বিক্রির প্রক্রিয়া হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে রেফারেল বা এফিলিয়েট ইনকাম করা যায়। এজন্য প্রথমেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কী নিয়ে বা কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করবেন। সেই ধরনের পণ্য সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেই অনুযায়ী আর্টিকেল বা বøগসহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
লিংক পাবেন যেভাবে
প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা এফিলিয়েট লিংক কোথায় পাব? এর উত্তর হচ্ছে, প্রতিটি বড় মার্কেটপ্লেসের ওয়েবসাইটে এফিলিয়েটের সুযোগ আছে। আপনি সেখানে ঢুঁ মারুন। ধৈর্যসহ বিস্তারিত পড়ে দেখুন। এতে কাজটি করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আমাজনসহ বড় বড় মার্কেটপ্লেসের এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন। এফিলিয়েটের এটাও একটা সুযোগ যে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের পণ্য নিয়ে কাজ করা যায়। ফলে নানা দিক থেকে আয়ের সুযোগ থাকে।
দক্ষতা থাকা চাই
যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চায়, তাদের ভালো বøগ বা আর্টিকেল লেখা বা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট বানানোর দক্ষতা থাকতে হবে। সেটা চর্চার মাধ্যমে বাড়িয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি এসইও-ডিজিটাল মার্কেটিং জানা থাকলে পথ চলাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। বøগিং, ইউটিউব, ইনফ্লুয়েন্সার এফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-মেইল এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা কুপন সাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব।
ইউটিউব
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। এতে ভিডিও ডেসক্রিপশনে এফিলিয়েট লিংক দিয়ে সেখান থেকে কমিশন পেতে পারেন।
ই-মেইল এফিলিয়েট মার্কেটিং
ই-মেইল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্টমেন্ট বিবেচনায় আয়ের সুবিধা বেশি বলে ধারণা করা হয়। নিউজলেটার কিংবা সাধারণ মেইলে এফিলিয়েট পণ্যের লিংক যুক্ত করে দিলে সেল জেনারেট করে আয় করতে পারবেন।
বøগিং
বøগিংয়ের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পুরোনো বিষয়। আগে থেকে এটি হয়ে আসছে। সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ফ্রি ট্রাফিক থেকে বøগ পোস্টে থাকা এফিলিয়েট লিংক থেকে আয় করা যাবে। টিউটোরিয়াল, রিভিউ কিংবা শিক্ষামূলক কনটেন্ট ব্যবহার করে এফিলিয়েট পণ্য প্রোমোট করা যায়।
ইনফ্লুয়েন্সার এফিলিয়েট মার্কেটিং
ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে আইকনদের এভাবে কাজ করা সহজ। সে ক্ষেত্রে আপনার ফলোয়াররা এফিলিয়েট সেল জেনারেট করে আপনাকে আয়ের পথ খুলে দিতে পারে।
কুপন সাইট
ই-কমার্স ও অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তার ফলে দিন দিন কুপন সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কুপন সাইটগুলোতে আপনার এফিলিয়েট লিংক পোস্ট করে কেনাকাটা ভালোবাসার মানুষদের সহায়তা করে আয় করা সম্ভব।
কয়েকটি জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের নাম
আমাজন অ্যাসোসিয়েটস এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম
দারাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম
টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম
এনভাটো এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম।
মো. সোলাইমান হোসেন আহাদ
Most Popular
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
একটা কথা আজকাল শোনা যায়, ‘আমাদের গল্পে আমাদের স...
নিজেকেই স্যাটিসফায়েড করতে চাই
বাংলা চলচ্চিত্রের শুদ্ধ মানুষ
২০১৮ বিশ্বকাপে মেসি আর বর্তমান আর্জেন্টিনার মেসি এক নয়,
বিধ্বস্ত মেসিকে খুব কমই দেখ...