ওআইসি সার্ট আয়োজিত বার্ষিক সাইবার ড্রিলে দ্বিতীয় হলো বাংলাদেশের বিডি-সার্ট। বিজিডি ই-গভ. সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম. বরকতউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) স্বাগতিক দেশ ওমান আয়োজিত দশম আরব রিজিওনাল অ্যান্ড ওআইসি-সার্ট (কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম) সাইবার ড্রিল-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়।
ড্রিলে ২৪টি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশ, মিসর, কাতার, আরব আমিরাত, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তানসহ আরও বিভিন্ন দেশের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এতে অংশ নেয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিডি ই-গভ. সার্ট ড্রিলে অংশ নিয়ে ১০০ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ সংবর্ধনা দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও
ক্রীড়া
প্রতিমন্ত্রী মো.
জাহিদ
আহসান
রাসেল।
বিশেষ
অতিথি
যুব
ও
ক্রীড়া
সচিব
মেজবাহ
উদ্দিন,
ফুটবল
ফেডারেশন সভাপতি
কাজী
মো.
সালাউদ্দিন ও
অধিনায়ক সাবিনা
খাতুন।
এ সময় সাফজয়ী
২৩
জন
ফুটবলার ও
১১
জন
প্রশিক্ষক ও
কর্মকর্তাকে সম্মানা চেক
প্রদান
করেন
প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫
লাখ
টাকা
এবং
প্রশিক্ষক ও
কর্মকর্তাকে ২
লাখ
টাকার
চেক
হস্তান্তর করেন
তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাফজয়ী
নারী
ফুটবলারদের আরও
সাফল্য
কামনা
করে
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
পরে
সাফজয়ী
খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে
তাদের
চ্যাপিম্পয়ন ট্রফি
তুলে
দেন।
পরে বাংলাদেশ ফুটবল
ফেডারেশনের (বাফুফে)
পক্ষ
থেকে
শুভেচ্ছা স্মারক
ফুটবল
প্রদান
করেন
বাফুফের প্রেসিডেন্ট কাজী
সালাউদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, গত
১৯
সেপ্টেম্বর সাফ
উইমেনস
টুর্নামেন্টে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে
প্রথমবারের মতো
শিরোপা
অর্জন
করে
বাংলাদেশ। পুরো
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ মালদ্বীপ, পাকিস্তান, ভারত
ও
নেপালের বিপক্ষে ২৩
গোল
করে।
ফাইনালে একটি
মাত্র
গোল
হজম
করতে
হয়
রানার্সআপ নেপালের বিপক্ষে। সাফজয়ী
তারকারা দেশে
ফিরলে
দেশের
মানুষ
তাদের
উষ্ণ
সংবর্ধনা দেয়।
ভ্রমণে পরিবেশের পরিবর্তন হয়। শরীরের ওপর কিছু ঝক্কিও পড়ে বৈকি। কেবল মহামারির প্রেক্ষাপটেই নয়, বরং সব সময় ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। নইলে ভ্রমণে মনকে পরিতৃপ্ত করে তোলার বদলে নিজের অজান্তেই আপনি শরীর ও মনের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে ফেলতে পারেন।
বেড়াতে গেলে বাসা থেকে খাবার কিংবা পানি বয়ে নেওয়া তো আর সম্ভব নয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হিসেবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই—
·
পানি খাওয়ার আগে নিরাপদ কি না, নিশ্চিত হয়ে নিন।
·
অতি উৎসাহী হয়ে ঝরনা, লেক, সমুদ্র বা অন্য যেকোনো উৎস থেকে চট করে পানি মুখে দেওয়া উচিত নয়।
·
অতিরিক্ত ঝাল কিংবা মসলা দেওয়া খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। যে খাবারে অভ্যস্ত নন, সেই খাবার খুব বেশি না খাওয়াই ভালো। অর্থাৎ ভিন্ন ধরনের রান্না কেবল একটু চেখে দেখা বা অল্প খাওয়া যেতে পারে।
·
অস্বাস্থ্যকর খাবার যতই মুখরোচক হোক, এড়িয়ে চলা ভালো।
·
অনেকের খাবারদাবারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। অল্প সময়ের জন্য বেড়াতে গিয়ে সেগুলো না মেনে চললে তেমন ক্ষতি হবে না, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।
·
যাত্রার আগে ভরপেট না খাওয়াই ভালো।
· দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকাও উচিত নয়। দুর্গম এলাকায় গেলে সঙ্গে কিছু শুকনা খাবার ও পানি রাখুন। কম পরিমাণ খাবার বহন করলেও সেটির ক্যালরি এবং পুষ্টিমান যাতে পর্যাপ্ত থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। খেজুর রাখতে পারেন, মিষ্টি বিস্কুটও রাখা যায়। ডায়াবেটিসের রোগীর ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু বাড়তি খাবার রাখুন।
প্রয়োজনটা খেয়াল রাখুন
অনেকেরই নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। কোনো ওষুধ রোজকার, কোনোটি সাপ্তাহিক। কোনোটি আবার প্রয়োজন হয় মাঝেমধ্যে। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল তো বটেই, ইনহেলার বা ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় অনেকের। এই ওষুধগুলো সঙ্গেই রাখুন। কিছু ওষুধ (যেমন ইনসুলিন) নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। সেটির ব্যবস্থাও করতে হবে অবশ্যই। দেশের বাইরে গেলেও ওষুধ সঙ্গে রাখা ভালো, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও সঙ্গে নিয়ে নিন দেশের বাইরে যাওয়ার সময়।
·
প্রাথমিক চিকিৎসার টুকিটাকি রাখুন নিজের সঙ্গেই।
·
সঙ্গে বাড়তি মাস্ক রাখা ভালো। জীবাণু ও ধুলাবালু থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক যে কতটা প্রয়োজন, তা বোধ হয় নতুন করে আর বলার দরকার নেই। যেখানে–সেখানে মাস্ক ফেলবেন না।
·
নিয়মমাফিক হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির আদবকেতা মেনে চলা, যেখানে–সেখানে কফ-থুতু না ফেলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাসের টিকার নির্দেশিত ডোজ সম্পন্ন করে ফেলুন।
·
এমন জায়গায় না যাওয়াই ভালো, যেখানে খুব বেশি ভিড়।
·
খাওয়ার সময় তো মাস্ক খুলতেই হয়। অন্তত সেই সময় যাতে নিজের পরিবারের বাইরের অন্য মানুষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসা যায়, সেটি নিশ্চিত করুন। সম্ভব হলে হোটেলের খাবার ঘরে বসে না খেয়ে নিজেদের জন্য বরাদ্দ কক্ষে কিংবা একটু দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে খান।
·
আবাসিক হোটেলের কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন অবশ্যই। আলো-বাতাস প্রবেশ করে, এমন কক্ষ বেছে নেওয়া ভালো।
·
যেখানে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, যেমন বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুবাহী মশা রয়েছে, সেখানে মশার কামড় থেকে বাঁচতে কিছু আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ফুলহাতা পোশাক মশার কামড় থেকে কিছুটা সুরক্ষা তো দেবেই। এ ছাড়া মশা প্রতিরোধী সামগ্রী ব্যবহার করুন। তবে শিশুদের এমন সামগ্রী দেওয়ার আগে জেনে নিন, সেটি শিশুর উপযোগী কি না। কিছু কিছু পণ্য তিন বছর বয়স হওয়ার আগে প্রয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
·
শরীরের ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করে অল্প সময়ে অনেক জায়গা ঘুরে আসার প্রবণতা ভালো নয়। ‘অমুক জায়গায় সবাই ছবি তোলে বলে আমাকেও সেখানে যেতেই হবে’—এমন ভাবনা মনে ঠাঁই দেবেন না।
· অত্যন্ত দুর্গম এলাকার দুর্লভ সৌন্দর্য দেখার আশায় নিজের জীবন ও সুস্থতাকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। ঝোপ-জঙ্গলে ঢোকার ক্ষেত্রেও সাবধান। বেড়াতে গিয়ে অবশ্যই সেখানকার স্থানীয় দিকনির্দেশনা মেনে চলুন।
·
বেড়াতে গিয়ে মনের যত্ন নিতে ভুলবেন না। হাসি-আনন্দে সময় কাটান। বিষণ্নতাকে জায়গা দেবেন না। ব্যস্ততাকে ছুটি দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কম দিন, সম্ভব হলে ‘ছুটি’ নিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও। কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। মন ভালো থাকবে।
·
বেড়াতে গিয়ে আপনি কোনো জায়গা অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রেখে আসছেন না কিংবা পরিবেশের ক্ষতি করছেন না—এগুলোও খেয়াল করুন। এটি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে।
·
যাত্রাপথে বমিসংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন কেউ কেউ। এ সমস্যা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ সেবন করতে পারেন। যাঁদের এমন সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যাত্রার সময় বই পড়া এবং মুঠোফোনের পর্দায় তাকিয়ে থাকার মতো কাজ থেকে বিরত থাকুন। তার চেয়ে বরং দূরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারেন। বিকল্প যাতায়াতব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। যেমন বাসের বদলে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন।
·
ভ্রমণে গিয়ে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় পড়লে কাছের চিকিৎসাকেন্দ্রে যাবেন অবশ্যই। ‘নতুন জায়গা, কোথায় যাব? কেমন ডাক্তার পাব?’ এ ধরনের ভাবনা মনে ঠাঁই দেবেন না। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রোগীর কষ্ট কমাতে চেষ্টা করুন এবং আকস্মিক বিপদের মোকাবিলা করুন।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সময়ের আলোচিত বিষয় হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। সিনেমা হলের স্বল্পতা, চলচ্চিত্রাঙ্গনে অপকীর্তির আধিক্যের কারণে চলচ্চিত্র যখন বড় ধাক্কা খায়, তখনই ত্রাতা হয়ে উঠে আসে ওটিটি।’
গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে অনুষ্ঠিত ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রভাষক ও গবেষক শুভ কর্মকার।
প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় বিশিষ্ট অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, ওটিটি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। ভবিষ্যতে ওটিটির মাধ্যমে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নেতৃত্ব দেবে। ওটিটির চলচ্চিত্রের সেন্সরশিপের বিষয়টি আলোচনা করা বা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক চরকির নির্বাহী পরিচালক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি বলেন, ওটিটির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ওটিটি টিকিয়ে রাখতে হবে। এর নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ওটিটির গ্লোবাল বিজনেস প্ল্যাটফর্মকে মাথায় রেখে বাংলাদেশে ওটিটি নীতিমালা করা প্রয়োজন। এই নীতিমালা গ্লোবাল পলিসির সঙ্গে যেন সাংঘর্ষিক না হয়।
বর্তমান সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক রায়হান রাফী বলেন, কোভিডের সময় ওটিটির মাধ্যমে দর্শক তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সিনেমা হলে এত দর্শক আসছে এরা সবাই ওটিটি কন্টেন্ট দেখা মানুষ। ওটিটি ঘিরে নতুন নতুন নির্মাতা তৈরি হচ্ছেন। সেন্সরশিপ দিয়ে বা নীতিমালা দিয়ে এটাকে যেন বাধাগ্রস্ত না করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর। স্বাগত আলোচনা করেন আর্কাইভের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও গবেষকগণ।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যবসা সফল দুটি সিনেমা ‘পোড়ামন’ এবং ‘পোড়ামন-২’। এবার এই সিনেমার সিক্যুয়েল ‘পোড়ামন-৩’ নির্মাণ করতে যাচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। আজ ‘পোড়ামন-৩’ সিনেমার নায়িকা প্রেমা ইসলামের ছবি প্রকাশ করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সিনেমার নায়ক এখনও নির্বাচন করা হয়নি। গল্প লেখা শেষ হলে নায়ক ঠিক করা হবে। শুটিং শুরু হবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে। কাহিনি ও সংলাপ লিখবেন আবদুল আজিজ।
পোড়ামন-৩’ সিনেমাটি নির্মাণ করবেন পরিচালক রায়হান রাফি।
সিনেমার নায়িকা প্রেমাকে কীভাবে নির্বাচন করলেন-জানতে চাইলে আবদুল আজিজ বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে প্রেমা। তারপর তার অডিশন নিয়েছি। এরই মধ্যে তাকে অভিনয়ের যাবতীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণও দিয়েছি।
সিনেমা নির্মাণের বিষয়ে পরিচালক রায়হান রাফির বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি সিনেমার বিষয়ে কিছুই জানি না। আবদুল আজিজ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে তারপর আমি বিস্তারিত বলতে পারব। এখন সিনেমার বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে মৌসুমীর। প্রথম ছবিই তাঁকে এনে দেয় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। এরপর লম্বা সময় ঢালিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন মৌসুমী। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বড় পর্দায় আগের মতো সরব নন তিনি।
তবে একই দিনে দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। একটি ‘ভাঙন’ অন্যটি ‘দেশান্তর’। এর মধ্যে ‘ভাঙন’ ছবি নিয়ে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ছবি প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি উপস্থিত থাকা ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘নতুন অনেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আসছেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেক ভালো মানের কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে তাঁরা অনেক মেধাবী। আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে তাঁরা আরও অনেক ভালো কাজ করতে পারবেন। আপনারা যদি শুধু তাঁদের স্ক্যান্ডাল খোঁজেন, তাহলে তাঁরা এগিয়ে যেতে পারবেন না। তাঁদের অনেক উৎসাহ দিতে হবে।’
প্রযোজক ও পরিচালক সূত্রে পাওয়া খবরে গতকাল বুধবার মৌসুমী অভিনীত দুটি চলচ্চিত্র দেশের ৩০টির মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। ‘ভাঙন’ পরিচালনা করেছেন মির্জা সাখাওয়াত হোসেন। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, একটি রেলস্টেশনে জড়ো হওয়া কিছু প্রান্তিক ও ছিন্নমূল মানুষকে। এখানে আছে হকার, যৌনকর্মী, পকেটমার, বংশীবাদকসহ নানা ধরনের মানুষ। তাদের জীবনযাত্রা, বেঁচে থাকা, প্রত্যাশার গল্প নিয়েই ‘ভাঙন’। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়, রাশেদা চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যদিকে কবি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানের ছবি ‘দেশান্তর’ নির্মাণ করেছেন আশুতোষ সুজন। দেশভাগের ওপর লেখা ‘দেশান্তর’ উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্রের নাম অন্নপূর্ণা। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন আহমেদ রুবেল। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, শুভাশিস ভৌমিক, মোমেনা চৌধুরী, ইয়াশ রোহান ও টাপুর।
অনেকটা ক্ষোভ ঝেড়ে মৌসুমী তাঁর সময়ের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমরা কি ভুল করিনি? আমরাও অনেক ভুল করেছি। ভুল শুধরে নেওয়া, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া, এই কাজগুলো কিন্তু সাংবাদিক ভাইয়েরাই করেছেন। কিন্তু এখন যাঁরা কাজ করছেন, আপনারা সেটা করেন না। আপনার যা ইচ্ছা তা-ই নিউজ, ভিডিও করে উপস্থাপন করেন। তাতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভালো হওয়ার রাস্তা নেই। এ ছাড়া যাঁরা নতুন সম্ভাবনাময় কাজ করছেন, তাঁরাও আগ্রহ হারাবেন।’
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দেশে ফেরার পরই শোনা যাচ্ছিল, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ‘আগুন’ ছবির শুটিং শুরু করবেন। কবে সেই শুটিং শুরু হবে, নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যে শাকিব খানকে নিয়ে নতুন কয়েকটি ছবির ঘোষণাও আসে। এদিকে শাকিব খান চাইছিলেন, আটকে থাকা পুরোনো ছবির শুটিং শেষ করে তবেই নতুন ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত হবেন। হয়েছেও তা–ই। নতুন একাধিক ছবির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চললেও চলতি সপ্তাহে ‘আগুন’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। এই ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন জাহারা মিতু।
দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকার
অদূরে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে শুরু হয়েছে ‘আগুন’ ছবির শুটিং। টানা কয়েক দিন ধরে
শুটিং হয়েছে। ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও জাহারা মিত
‘আগুন’ ছবির শুটিংয়ে
শাকিব খানের সঙ্গে নবাগতা জাহারা মিতু। উপস্থাপক ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করলেও
প্রথমবার চলচ্চিত্রের জন্য ক্যামেরার সামনে মিতু দাঁড়িয়েছেন শাকিব খানের বিপরীতে।
শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করাকে নিজের সৌভাগ্যও মনে করছেন
ঢাকার একটি পাঁচ তারকা
হোটেলে মহরতের মধ্য দিয়ে আগুন ছবির শুটিংয়ের খবর জানান দেন প্রযোজক-পরিচালক। এরপর
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট শুটিং শুরু হয় ‘আগুন’ ছবির। সে বছরের অক্টোবরে শেষ হয় এর
দ্বিতীয় লটের কাজ। এরপর ছবির প্রযোজক ক্যাসিনো–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে
আগুন ছবির ভবিষ্যৎ। সব কাজ গুছিয়ে প্রায় দুই বছর পর আবারও শুটিং শুরু করেছে আগুন
ছবির ইউনিট। এবার টানা শুটিং শেষ করে ছবিটি মুক্তি দিতে চান বলে জানালেন পরিচালক
বদিউল আলম
‘আগুন’ ছবির নায়িকা
জাহারা মিতু ‘সুপার মডেল বাংলাদেশ ২০১৭’ বিজয়ী। এরপর ভারতে অনুষ্ঠিত ‘সুপার মডেল
ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭’-এরও তিনি একজন ফাইনালিস্ট। একই বছর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের
প্রথম আসরের প্রথম রানারআপ। এই মঞ্চেই তিনি জিতেছিলেন ‘মিস ফ্যাশন আইকন’ ও ‘মিস ন্যাশনাল
কস্টিউম’–এর খেতাব। প্রথম চলচ্চিত্রে তিনি সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন দেশের জনপ্রিয়
নায়ক
শাকিব খান ও জাহারা
মিতু—আগুন ছবির শুটিংয়ে। আগুন ছবির নায়িকা মিতু অভিনয় বা মডেলিং, সবকিছুর আগে
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করেছেন। এসএসসি ও এইচএসসি—দুটিতে ছিল জিপিএ–৫। এরপর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্সে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু মন পড়ে ছিল ফ্যাশন
ডিজাইনিংয়ে। তাই পরে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে
অনার্স করেন। এরপর স্কলারশিপ নিয়ে চীন থেকে মাস্টার্স করে আসেন। ফিরে এসে একটি
প্রতিষ্ঠানে ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এরপর কোনো এক বান্ধবী মিতুকে না জানিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন
করে দিল। আর তারপর হঠাৎ বদলে গেল মিতুর জীবন
সেদিন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন রানের জন্য দৌড়ানোর সময় বল হাতে না থাকার পরও থ্রোর ভান করেছিলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের পর বাংলাদেশ সহ–অধিনায়ক নুরুল হাসান কোহলির বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ আনেন, ভিডিও ফুটেজেও যার সত্যতা মেলে। আইন অনুযায়ী জরিমানা হিসেবে বাংলাদেশ দলের ৫ রান পাওয়ার কথা। ম্যাচে ভারতের কাছে বাংলাদেশ হারেও ৫ রানেই (ডিএল মেথডে)।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের সমর্থক মহলে আলোড়ন ওঠে। সমালোচনার শিকার হন কোহলি ও মাঠের আম্পায়াররা। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া স্বীকার করেন, কোহলির সেই থ্রোর ভান করাটা ফেক ফিল্ডিংই ছিল। আরেক ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে অবশ্য ফেক ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের ওপরই ছেড়ে দেন।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর সম্পূর্ণ ভিন্ন মত নিয়ে এলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার স্পোর্টস্টারে নিজের কলামে বলেন, ক্রিকেট আইনে ফেক ফিল্ডিংয়ের ধারাটিই থাকা উচিত নয়।
এ ক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে ব্যাটসম্যানদের বারবার জায়গা বদলের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি, ‘ক্রিকেট যদি হয় ছলচাতুরীর খেলা, যেখানে ব্যাটসম্যানকে আউট করেত বোলাররা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন। আবার ব্যাটসম্যানরাও বোলারদের ভ্রান্ত করতে বারবার জায়গা বদল করেন, যাতে ভালোভাবে মারা যায়। তাহলে বল হাতে না থাকলেও ফিল্ডিংয়ের ভান করলে সমস্যা কোথায়?’
ক্রিকেট আইনের ৪১.৫.১ ধারায় বলা আছে, ‘স্ট্রাইকার বল খেলার পর কোনো ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজ দ্বারা যেকোনো ব্যাটসম্যানের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার বা ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি “আনফেয়ার প্লে” বলে বিবেচ্য হবে।’
এ ক্ষেত্রে এমন কিছু হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়াররা। আম্পায়ার যদি মনে করেন, ফিল্ডার ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, তাহলে ওই বলকে ডেড ঘোষণা করা হবে, সঙ্গে ব্যাটিং দলের স্কোরে ৫টি পেনাল্টি রান যোগ হবে।
গাভাস্কারের মতে, ব্যাটসম্যান, বোলারের মতো ফিল্ডারেরও চাতুরীর আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। ফেক ফিল্ডিংয়ে জরিমানার বিধান উঠিয়ে এটিকে ক্রিকেটেরই অংশ বানিয়ে নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য তাঁর, ‘এ ব্যাপারটিকে (ফেক ফিল্ডিং) ক্রিকেটে চালু থাকা চাতুরীর অংশ বিবেচনা করা উচিত।’