logo
Breaking News
আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ক্যাশলেস...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হলো একটি ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলা, যার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী - বছরেই হয়তো সব সরকারি সেবাও ডিজিটাইজড হয়ে যাবে।

গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্মবিনিময়উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশের জার্নির ওপর কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছিলাম। আজকে সেই বক্তব্যটি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আমাদের নিজেদের, হয়তো কিছু কিছু প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে বিদেশি কোম্পানি কাজ করেছে, কিন্তু পুরো পরিকল্পনা, ডিজাইন হয়েছে বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতায়।

বাংলাদেশের মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী সব আইটি সেবা বা সফটওয়্যার এখন আর বিদেশি কোম্পানির থেকে নিতে হয় না, দেশি বিভিন্ন কোম্পানির একঝাঁক মেধাবী তরুণের সফটওয়্যারেই বাংলাদেশের অধিকাংশ আইটি সার্ভিস পাওয়া যায়, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমাদের দেশের তৈরি সফটওয়্যারে এখন কাজ করছে অনেক বিদেশি কোম্পানিও।

আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হলোএকটি ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলা, যার জন্য ইতোমধ্যে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী - বছরেই হয়তো সব সরকারি সেবাও ডিজিটাইজড হয়ে যাবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কৃতিত্ব বাংলাদেশের সরকার, প্রতিটি আইটি কোম্পানি সর্বোপরি বাংলাদেশের জনগণের।

 

আমির কন্যা ইরা খানের বাগদান সম...

বলিউড সুপারস্টার আমির খানের কন্যা ইরা খানের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রেমিক নুপূর শিখারের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) তার বাগদান সম্পন্ন হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির খবরে তথ্য জানা গেছে।

এদিন মুম্বাইয়ে ইরা শিখারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বাগদান হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বগাদানের ছবি পোস্ট হতেই ভক্ত-অনুরাগীরা শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন তাদের। ইরাকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বলিউডের তারকারা।

আমির খান তার প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তর কন্যা ইরা খান। কন্যার বাগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমির রিনা দুজনেই। বাগদানে লাল রঙের পোশাকে সেজেছিলেন ইরা। সঙ্গে মানানসই গয়না। হালকা মেকআপে যে কোনো তারকার থেকে কম লাগছিলেন না তাকে, নেটিজেনরা এমনটিই বলছেন।

 

হবু স্বামী নুপূর শিখারের সঙ্গে হাতে হাত ধরে পোজ দেন আমির কন্যা। উপস্থিত অন্য অতিথিদের সঙ্গেও পোজ দেন তারা।

কিছুদিন আগেই ইরা খানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন প্রেমিক নুপূর। রোমান্টিক মুডে হাঁটু মুড়ে বসে বিয়ের প্রস্তাব দেন। টানা দুই বছর সম্পর্কে থাকার পর জিম প্রশিক্ষক নপুর শিখারেকে বিয়ের প্রস্তাবেহ্যাঁজানিয়েছেন ইরা।

সানির ‘স্প্লিটসভিলা’শোতে সুন্দ...

ভারতীয় জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এমটিভির অন্যতম দর্শকপ্রিয় রিয়েলিটি ডেটিং শোস্প্লিটসভিলা’- পরবর্তী সিজন এরই মধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর এর প্রথম সিজন প্রচারিত হয়েছে। শো উপস্থাপনা করছেন সানি লিওন অর্জুন বিজলানি। প্রত্যেকবারই শোয়ে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বেশ কিছু নতুন চমক থাকে। জেনে নেওয়া যাক এবছর কোন কোন সুন্দরী থাকছে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায়-

সানিরস্প্লিটসভিলাশোর এই তালিকায় সবার প্রথমেই যার নাম উঠে আসছে, তিনি হলেন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন উর্ফি জাভেদ। প্রায় প্রত্যেক দিনই বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত পোশাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা দেন তিনি। তার ফ্যাশন সেন্সের জন্য বহুবার ট্রোলেরও শিকার হতে হয়েছে তাকে। তবে বরাবরই সেগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে ফের নতুন রূপে হাজির হয়েছেন উর্ফি। শোয়ে ঢুকে এরই মধ্যে বাকিদের বেশ নাস্তানাবুদ করেছেন তিনি।

এমটিভির আরও এক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোরোডিসথেকে উঠে এসেছেন ২৭ বছর বয়সী সৌন্দস।রোডিস এরপর এবার তিনি একজন স্মার্ট, আত্মবিশ্বাসী ছেলের খোঁজে এই শোতে এসেছেন।

পেমা লিলানী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী বলে মনে করছেন সকলে। শোয়ে ঢুকেই তিনি তার সেন্স অফ হিউমার দিয়ে রীতিমতো মন জয় করে নিয়েছেনস্প্লিটসভিলা’-এর সকলের। তিনি এখন অপেক্ষায় রয়েছেন একজন আত্মবিশ্বাসী এবং হ্যান্ডসাম পার্টনারের।

কলকাতার বাসিন্দা আকাশলীনা চন্দ্র। মডেলের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী আকাশলীনা।আকাশলীনা কসমেটিকসনামে একটি কোম্পানির মালিক তিনি। এছাড়াও ফ্যাশন, লাইফস্টাইল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে।

২০ বছর বয়সী সাক্ষী দ্বিবেদী একজন মডেল এবং তার পাশাপাশি একজন অভিনেত্রী। এর আগে অনেক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন তিনি। ইন্সটাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি। শোয়ে ঢোকার পরপরই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন সাক্ষী।

২০ বছর বয়সী কাশিশ রতনানী, পেশায় একজন মডেল। অনেক সৌর্ন্দয প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এর আগে এমটিভির এমনই একটি শোসুপার মডেল অব দ্য ইয়ার’-এর সিজন টু -তে প্রতিযোগীর আসনে ছিলেন তিনি।

শোয়ের সবচেয়ে কমবয়সী প্রতিযোগী হলেন অভিয়া দরনাল। ১৯ বছর বয়সী অভিয়ালের ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় লাখেরও বেশি। সোশ্য়াল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সয়ার রূপেই পরিচিত এই সুন্দরী।

বাবা আর্মি অফিসার হওয়ার দরুণ ছোট থেকেই ভীষণ শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে বড় হন তিনি। মুম্বাইয়ের এনআইএফটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে মডেলিংকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন আরাধনা। তার কথায়, এই শোতে একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, ভালো ছেলের খোঁজেই তিনি এসেছেন।

সাক্ষী শ্রিবাস, পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গুগল থেকে শুরু করে লিঙ্কডিনের মতো বড় কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছেন সাক্ষী। এর পাশাপাশি তিনি একজন নৃত্যশিল্পী।

২২ বছর বয়সী শ্রিয়া প্রসাদ একজন মডেল এবং তার পাশাপাশি একজন সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার। এছাড়াও তিনি একজন মেকআপ আর্টিস্টও বটে। খুব সহজ সরলভাবেই থাকতে পছন্দ করেন শ্রিয়া। তার এই স্বভাবই এই কয়েকদিনের মধ্যেই তাকেস্পিলটসভিলা’-এর সকলের প্রিয় করে তুলেছে।

পেশায় ফ্যাশন মডেল ২৪ বছর বয়সী সৌম্যা ভান্ডারী। পরিবারসহ দিল্লিতে বসবাস করতেন সৌম্যা। সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে আর্কিটেক্ট হিসেবেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। বর্তমানে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা সৌম্যা।

 

চালের দাম কেজি প্রতি ৮-১৪ টাকা...

দেশে ধানচালের বাজারে কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছাতে পাঁচবার হাতবদল হয়। প্রতিবার হাতবদলের সময় যোগ হয় খরচ আর মুনাফা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক মুনাফা করছেন চাল কল মালিকেরা। তাঁরা প্রতি কেজি চাল এর উপজাত বিক্রি করে থেকে ১৩ টাকা ৬৬ পয়সা পর্যন্ত মুনাফা করছেন।

ধান থেকে চাল করার সময় যেসব উপজাত তৈরি হয়, চাল কল মালিকেরা তা আলাদাভাবে বিক্রি করেন। এতে বাড়তি মুনাফা করলেও চালের দাম কমাচ্ছেন না তাঁরা। বরং খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়লে হাটে ধানের দাম বাড়লে ওই সুযোগে তাঁরা মিলগেটে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশে চালের দাম বৃদ্ধির একটি সমীক্ষা: কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ের অবস্থা শীর্ষক ওই গবেষণা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের নেতৃত্বে হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি কেজি ধান ভাঙিয়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম চাল পাওয়া যায়। চাল কল মালিকেরা ওই পরিমাণ চালের ওপরে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত মুনাফা দেখান। কিন্তু ধান ভাঙিয়ে চাল করার ফলে উপজাত হিসেবে যে কুঁড়া, ভাঙা চাল চালের ওপরের ছেঁটে ফেলা অংশ তৈরি হয়, তা চালকলমালিকেরা প্রতি কেজি ছয় থেকে নয় টাকা দরে বিক্রি করেন। সেই হিসাবে চালকলমালিকেরা অস্বাভাবিক মুনাফা করছেন। গবেষণায় সুপারিশ হিসেবে চালকলমালিকদের মিলগেটে চালের দাম কমানো উচিত বলে মত দেওয়া হয়েছে।

ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবির বলেন, দেশে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণ বুঝতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে আমরা গবেষণাটি করেছি। চালের বাজার নিয়ে অন্যান্য গবেষণা পর্যালোচনা করেও আমরা দেখেছি, মূলত চালকলমালিকদের কারণে দাম দ্রুত বাড়ছে। ফলে চালকলগুলোর উচিত তারা কত দামে ধান কিনে তা কীভাবে চালে পরিণত করছে এবং ধান উপজাত বাবদ মোট কী পরিমাণ মুনাফা করছে, তার হিসাব দেওয়া। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত চালকলমালিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চালের মিলগেট দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া।

গবেষণাটির জন্য সংস্থাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থা খাদ্য পরিধারণ মূল্যায়ন বিভাগ, জাতিসংঘের খাদ্য কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) তথ্য কারিগরি সহায়তা নিয়েছে। গবেষণাটিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছেন ইরিবাংলাদেশের এদেশীয় প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম

জানতে চাইলে দেশের চালকলমালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক বলেন, গবেষণায় চালকলমালিকদের যে অস্বাভাবিক মুনাফা নেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে, তা ঠিক নয়।

কারণ, চালকলমালিকেরা একটি মিল চালাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে নানা খাতে অর্থ বিনিয়োগ করে। আমরা যদি এত মুনাফা করতাম, তাহলে ৯০ শতাংশ চালকলমালিক ব্যাংকের কাছে খেলাপি হতো না। দেশের বেশির ভাগ চালকল বন্ধ থাকত না। তাই গবেষকদের উচিত আরও ভালোমতো যাচাই-বাছাই করে গবেষণা করা।

বেড়েছে মোটা চালের ভাত খাওয়া

মাঠ জরিপে মাথাপিছু চালের ভোগ বা প্রতিটি মানুষ গড়ে দিনে কী পরিমাণে চালের ভাত খায়, সেই হিসাব নেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, করোনার আগে ২০১৯ সালে গড়পড়তায় একজন মানুষ দিনে ৩৮৪ গ্রাম করে চালের ভাত খেত। করোনা শুরু হওয়ার পর তা বেড়ে ২০২০, ২০২১ ২০২২ সালে ৪০৫, ৪১১ ৪০৯ গ্রাম হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামের মানুষের ভাত খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে দশমিক ১৩ শতাংশ আর শহরে তা বেড়েছে দশমিক ৪৮ শতাংশ।

মোটা চালের ভাত খাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বিপদে আছে। ২০১৯ সালে একজন শ্রমিক তাঁর দৈনিক মজুরি দিয়ে ১৩ কেজি চাল কিনতে পারতেন। ২০২২ সালে তা কমে সাড়ে কেজি হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মাঝারি মানের চালের ১০ শতাংশ ক্রেতা সবচেয়ে মোটা বা নিম্নমানের চাল কেনার দিকে ঝুকঁছেন। এর ফলে বাজারে মোটা চালের দামও নিয়মিতভাবে বাড়ছে।

 

খাদ্য পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে বা প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি করে সরবরাহ বাড়ালেই সবার জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। এটা করতে হলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে অথবা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে হবে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক, অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার চালকলমালিকদের ওপরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কী উদ্যোগ নিয়েছে, তা পরিষ্কার করুক। খাদ্য মন্ত্রণালয়েরও উচিত মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করা। আটা, তেল, ডালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ ভাত বেশি খাচ্ছে। যে কারণেও চালের দাম বাড়তে পারে। ফলে সামগ্রিকভাবে খাদ্যপণ্যের দামের প্রভাব গরিব মানুষের ওপরে কীভাবে পড়ছে, দাম কোথায় কী পরিমাণে বাড়ছে, তার একটি মূল্যায়ন হওয়া উচিত। তারপর সরকারের ব্যাপাারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন মানুষের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৫০ গ্রাম চালের ভাত খাওয়া দরকার। এর চেয়ে বেশি হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর, যা মানুষের কর্মশক্তি কমিয়ে দেয়, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে হাজার ২৮ জনের ওপরে সংস্থাটি জরিপ করে। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন কৃষক ভোক্তা। দলীয় আলোচনা, সাক্ষাৎকার এবং অন্যান্য সরকারিবেসরকারি গবেষণার তথ্যউপাত্ত মূল্যায়ন করে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে চাল উৎপাদিত হয়েছিল কোটি লাখ ৯০ হাজার টন। চলতি বছর তা কোটি ৬০ লাখ টন হবে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে চালের উৎপাদন বেশি হারে বাড়ছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দেশে প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণে চাল আছে।

ধানচালে কার কত মুনাফা

গবেষণাটিতে দেখা গেছে, দেশে সারা বছরে উৎপাদিত মোট কোটি ৬০ লাখ টন চালের মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ চাল বাজারে বিক্রি হয়। এর মধ্যে বোরো মৌসুমের সর্বোচ্চ ৬৬ দশমিক শতাংশ চাল বাজারে বিক্রি হয়। এর মধ্যে ২০১৯২০২০ সালে করোনার প্রভাবের পর বাজারে চালের সংকট দেখা দেয়। দাম মজুত নিয়ে শঙ্কা বা গুজব তৈরি হয়। এতে বড় চাষিরা ধান ব্যবসায়ীরা চাল বাজারে ছাড়েন ধীরে। ফলে বাজারে চালের সংকট দেখা দেয়, দাম যায় বেড়ে। সরকারের সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে ধানচালের ব্যবসায় মূলত পাঁচটি পক্ষ জড়িত। প্রথমত কৃষক নিজে, দ্বিতীয়ত ফড়িয়ারা, তৃতীয়ত আড়তদার, চতুর্থত চালকলমালিকেরা পঞ্চমত চালের খুচরা বিক্রেতারা। এর মধ্যে সবচেয়ে কম লাভ করেন ফড়িয়ারা। তাঁরা প্রতি কেজি ধানে গড়পড়তায় ৫০ থেকে ৬৫ পয়সা করে মুনাফা করেন। আড়তের মালিকেরা প্রতি কেজিতে টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত মুনাফা করে থাকেন। তাঁদের খরচ বলতে দোকান গুদামের ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি।

গবেষণাটিতে ধানচালের বাজারে সবচেয়ে প্রভাবশালী পক্ষ হিসেবে চালকলমালিকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁরা বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকেন। তাঁরা ধান থেকে চাল বানানোর যন্ত্রপাতি কেনা, ধান কেনা, গুদামে রাখা, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিককর্মচারীদের মজুরি, বাজারজাতকরণের খরচসহ অন্যান্য খরচ করে থাকেন। উপজাত মিলিয়ে তাঁরা প্রতি কেজি চালে টাকা থেকে ১৩ টাকা ৬৬ পয়সা পর্যন্ত মুনাফা করে থাকেন।

খুচরা বিক্রেতারা পাইকারদের কাছ থেকে চাল কিনে দোকানে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। তাঁরা মোটা চাল বিক্রিতে সবচেয়ে কম মুনাফা করেন। বেশি মুনাফা করেন সরু উন্নত মানের চালে। মোটা চালে আমন মৌসুমে টাকা থেকে টাকার ওপরে এবং বোরোতে টাকা থেকে টাকা ৬১ পয়সা পর্যন্ত মুনাফা করে থাকেন। ধরনের ব্যবসায়ীদের মূল খরচ হচ্ছে দোকানভাড়া, কর্মচারীর বেতন অন্যান্য উপকরণ বাবদ খরচ।

গবেষণায় বলা হয়, কৃষকেরা প্রতি কেজি ধানে থেকে সাড়ে টাকা লাভ করেন। তবে এই হিসাবে জমির ভাড়া এবং কৃষকের নিজের শ্রম বাদ দেওয়া হয়েছে। দুটি খাতের হিসাব যোগ করলে কৃষকের লাভ প্রতি কেজিতে থেকে টাকা।

গবেষণার তথ্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, চালকলমালিকেরা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন।

তাঁরা আর্থিক, সামাজিক রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান হওয়ায় বেশি বিনিয়োগ করে চালের বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চালকলমালিকদের সঙ্গে আলোচনা এবং দরকার হলে চাপ দিয়ে দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত

 

‘বাসন্তী রঙ শাড়ি’

গল্পটি দুই জোড়া নর-নারীর। গোলাম রসুল আর জাহানারা স্বামী-স্ত্রী। রসুল একটি অফিসে কেরানির চাকরি করে। টানাপোড়েনের সংসার কিন্তু ভালোবাসার কমতি নেই। জাহানারার ইচ্ছে শহরে বসন্ত উৎসব দেখতে যাবে। কিন্তু রসুলের একটা নতুন শাড়ি কিনে দেয়ার সামর্থ্য নেই!

এদিকে আরেক যুগল পিন্টু আর ডোনা। ডোনা বড়লোকের মেয়ে। পিন্টু বেকার বোহেমিয়ান। সে ডোনাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে কিন্তু সে তাকে কথায় কথায় পিন্টুর অবস্থা নিয়ে টিজ করে। পয়লা ফাল্গুনে ডোনা কালচারাল প্রোগ্রামে গান করবে। পিন্টু চায় তাকে একটা নতুন শাড়ি উপহার দিতে। কিন্তু তার সাধ্য নেই। 

এমন দুই দম্পতির পারিবারিক গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটকবাসন্তী রঙ শাড়ি শুভাশিস সিনহার রচনায় এটি নির্দেশনা দিয়েছেন হাসান রেজাউল। মাহফুজার রহমানের প্রযোজনায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর, নাবিলা ইসলাম, হাসনাত রিপন, সাবিহা রিংকু, হিন্দোল রায়, ফাহিমসহ অনেকে। 

নির্দেশক হাসান রেজাউল বলেন, ‘গল্পের এক পর্যায়ে গোলাম রসুল সততা ছেড়ে ঘুষের টাকায় বৌয়ের জন্য একটি বাসন্তী রংয়ের শাড়ি কেনে। অপরদিকে পিন্টু একটা খেলনা পিস্তল দিয়ে সেই সন্ধ্যায় রসুলের কাছ থেকে শাড়ি টাকা-পয়সা ছিনতাই করে নেয়! এরপর ঘটতে থাকে আরও জটিল সব ঘটনা। আশা করছি গল্পটি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

 

সেতুর কাজ বন্ধ এলাকাবাসির দুর্...

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শালতা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ ছয় মাসেও শেষ হয়নি। নদীর দুই পাশে আংশিকভাবে ১৮টি পিলার তৈরি হলেও গত চার মাসে পলি-মাটি জমে সেগুলো ঢাকা পড়েছে। এতে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

এলাকাবাসী সেতু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময়কার খরস্রোতা নদীটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ফলে সরকারি উদ্যোগে গত বছর আগে খনন করা হয়। বর্তমানে নদীটি ৩০-৪০ ফুট চওড়া খালে পরিণত হয়েছে। অনেক বছর আগে থেকেই ওই স্থানে বড় স্টিল বডি-কাঠের সেতু ছিল। আর ডুমুরিয়ার এই প্রধান সড়কের দুই পাশে অসংখ্য দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। কিন্তু নদী খননের সময় সেই কাঠের সেতুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচল দোকান পাটে ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে পড়ে। ওই সময় এলাকার ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে মাত্র ১২ জোড়া বাঁশের খুঁটির ওপর জোড়া-তালি দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য একটা কাঠ-বাঁশের সেতু গড়ে তোলা হয়। তখন এলাকাবাসীর ওই দুরাবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সাবেক মন্ত্রী খুলনা- আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এগিয়ে আসেন। তিনি সরকারের সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমেডুমুরিয়া বাজার হতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সড়কে শালতা নদীর ওপর ৫০ ফুট লম্বা ১৩ ফুট চওড়া সেতুটি নির্মাণের পরামর্শ দেন। 

অফিস গত ফেব্রুয়ারিতে একই প্রকল্পের মধ্যে উপজেলার আরও ছয়টি নদী-খালের ওপর গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজও শুরু করে। আর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদার শেখ ওমর ফারুক এই সেতুটি নির্মাণের জন্য ৭৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় কার্যাদেশ পান। কিন্তু নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে নদীর দুই পাশে মোট ১৮টি পিলারের অংশ বিশেষ তৈরি করে ফেলে রেখেছেন। আর চার মাস ধরে পলি-মাটি পড়ে পিলারগুলোও মাটির তলে চলে গেছে।

সেতু সড়কের পাশে মিষ্টির দোকান আছে গণেশ চন্দ্র পালের। তিনি বলেন, ‘কাঠের সেতুটি ভেঙে গেলে  চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় আমাদের বেচা-কেনাও বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমরা ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে কাঠ-বাঁশের একটা সেতু তৈরি করি। সেটার ওপর দিয়েই এখন কোনোরকমেযাতায়াত করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ী কানাই চক্রবর্তী বলেন, ‘সেতু নেই বলে আজ আমাদের এত বড় বাজারে বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে।

চায়ের দোকানদার আকব্বর মোড়ল বলেন, ‘ঠিকাদার চার মাস আগে ১৮টি পিলার তৈরি করেছিলেন। কিন্তু নদীর পলি পড়ে তা ঢাকা পড়ায় আজ পিলারের কোনও চিহ্নও নেই।

সমাজসেবক মোশাররফ হোসেন কচি বলেন, ‘এলাকাবাসীর কষ্টের কথা বিবেচনা করে এমপি সেতুটি দিলেন। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করে ফেলে রাখায় প্রতিদিন ডুমুরিয়া উপজেলার নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা সেতু দিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

ঠিকাদার শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সেতুর ১৮টি পিলার তৈরি করেছি। আর জোয়ার-ভাটার নদীতে গেলো বর্ষার পানির খুব চাপ থাকায় আমরা কাজটা করতে পারিনি। তবে দ্রুত কাজ শুরু করবো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন জানান, একই প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় সাতটি গার্ডার সেতু তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ওই সাতটির মধ্যে উপজেলার আন্ধারমানিক বয়ারসিং দোয়ানিয়ার খালের ওপর সেতুটি ঠিকাদার খন্দকার শহীদুল ইসলাম কাজ শুরুই করেননি। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডুমুরিয়া থানা সড়কের এই সেতুটি মেয়াদ শেষ হলেও আংশিক কাজ করেছে। তাই শর্ত ভঙ্গের জবাব চেয়ে দুই বার চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে কোনও বিলও দেওয়া হয়নি।

সাবেক মন্ত্রী খুলনা- (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘আমরা এলাকার মানুষের কষ্ট কমাতে অনেক চেষ্টা করছি, কিন্তু ঠিকাদারের কারণে এই অবস্থা মানা যায় না।

 

গানের ভুবনে দুই উজ্জল নক্ষত্র:...

গানের ভুবনে দুই উজ্জল নক্ষত্র  তাদের দুজনের ভূমিকা স্মরণীয়। যদিও দুজনের গানের ধারায় পার্থক্য বিদ্যমান। তবে কালের সীমানা অতিক্রম করে তাদের কণ্ঠ-কথা-সুর গেঁথে আছে শ্রোতাদের মনে। তারা হলেন সুবীর নন্দী সঞ্জীব চৌধুরী।

 
১৯ নভেম্বর তারিখটি বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য বিশেষ। কারণ এদিনটিতে একজনের জন্মদিন, আরেকজনের মৃত্যুবার্ষিকী। এর মধ্যে ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুবীর নন্দী। আর ২০০৭ সালের এই দিনে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন সঞ্জীব চৌধুরী। জন্ম-মৃত্যুর সন্ধি ছাড়াও সুবীর-সঞ্জীবের মধ্যে আরেকটি মিল রয়েছে। তা হলো- তাদের দুজনেরই জন্ম বেড়ে ওঠা হবিগঞ্জে।
 
হবিগঞ্জের হোকুমার তেলিয়াপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম বেড়ে ওঠা। মায়ের কাছেই সংগীতের প্রাথমিক দীক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে একাধিক ওস্তাদের কাছ থেকে তালিম নিয়েছিলেন। যা তাকে শুদ্ধ সংগীতের অন্যতম শিল্পীতে পরিণত করে।
 
সিনেমা, টিভি-বেতার, অডিও আর মঞ্চ- সব ক্ষেত্রেই সুরেলা কণ্ঠের মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন সুবীর নন্দী। সত্তরের দশকে তার প্লেব্যাক জীবন শুরু হয়সূর্য গ্রহণছবির মাধ্যমে। এর আগে ১৯৬৭ সালেই বেতারের জন্য গান করেছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারের বেশি গান কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন এই নন্দিত শিল্পী। তার গাওয়া কয়েকটি শ্রোতাপ্রিয় গান হলো- ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘একটা ছিলো সোনার কন্যা’, ‘ আমার উড়াল পঙ্খীরেইত্যাদি। 

শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন সুবীর নন্দী। এছাড়া রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকেও ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের মে মারা যান এই কিংবদন্তি গায়ক।
 
অন্যদিকে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেওয়া সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন নাগরিক গানের অন্যতম কবি। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কথাসমৃদ্ধ গানের প্রচলনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন এই শিল্পী।দলছুটব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতাও তিনিই। এই ব্যান্ডের হয়েআহ্’ (১৯৯৭), ‘হৃদয়পুর’ (২০০০), ‘আকাশচুরি’ (২০০২) জোছনা বিহার’ (২০০৭) অ্যালবামগুলো উপহার দিয়েছিলেন সঞ্জীব।

সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনার পর এই পেশাতেই চাকরি নিয়েছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। তবে ছাত্র থাকাকালীন গানের দল গঠন করেন, জড়িয়ে পড়েন সংগীতের মায়াজালে। সেই মায়া ছড়িয়ে দেন শ্রোতাদের মনেও। তার গাওয়াগাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘কথা বলবো না’, ‘এই নষ্ট শহরে’, ‘রিকশা’, ‘চোখটা এতো পোড়ায় কেনইত্যাদি গানগুলো এখনও শ্রোতাদের গভীর অনুভবে মিশে আছে। 

২০০৭ সালে বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সঞ্জীব চৌধুরী। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর গান-কবিতার ভুবন ছেড়ে না ফেরার দেশে উড়াল দেয় তার প্রাণপাখি।

 

কোরীয় সিরিজ ‘দ্য রেড স্লিভ’

১৮ শতকের শেষার্ধ্বের ঘটনা। অল্প বয়সেই সিংহাসনে বসতে বাধ্য হন যুবরাজ সান। সংকল্প করেন, মানুষের ভালোর জন্য কাজ করবেন। একসময় সিয়ং ডিয়ক ইম নামের এক রাজপরিচারিকার প্রেমে পড়ে যান সান। তাকে উপপত্নী হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সিয়ং ডিয়ক ইম স্বাধীনচেতা নারী। নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সে মরিয়া। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে রাজার মনে হয়, দেশের জায়গায় ভালোবাসার মানুষকে যদি বেছে নিতেন, তাহলে হয়তো তার জীবনটা অন্যরকম হতো।সত্য ঘটনা অবলম্বনে পরিচালক জাং জিইন সং ইয়নহুয়া নির্মাণ করেন কোরীয় সিরিজ দ্য রেড স্লিভ রোমান্টিক গল্প হলেও সিরিজটিতে তৎকালীন সময়ে রাজদাসীদের জীবন, সে সময়ের প্রেক্ষাপট সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ঐতিহাসিক রোমান্টিক ঘরানার সিরিজটি কোরীয় ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে। সিরিজটি এখন বাংলাতেও দেখা যাবে। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে গতকাল রাত আটটায় বাংলায় ডাব করা সিরিজটির প্রথম সাত পর্ব মুক্তি পেয়েছে। বাকি পর্বগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে।সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন লি জুনহো, লি সিইয়ং, কাং হুন প্রমুখ।