একটি পরিবারে সব চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হলো পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন। নতুন সদস্যের আগমনে পুরো পরিবার একত্রিত হয়ে হবু মায়ের যত্ন নেন। এই সময়ে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন হবু মায়ের খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কি-না। কারণ, তার কোনো অনিয়ম হলে, সেটা বাচ্চার ওপরেও প্রভাব ফেলবে। তাই গর্ভাবস্থায় নারীর খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় নারীর ওজন বেড়ে যায়। ১০-১২ কেজি ওজন বাড়লে সেটা স্বাভাবিক। এই ওজন যদি বেশি বেড়ে যায়, তাহলে সেটা ক্ষতিকর। আবার ওজন কমে গেলেও সেটা ক্ষতিকর। তাই ওজন যেন স্বাভাবিক বাড়ে, সে-দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় নারীর জন্য তৈরি করতে হবে বিশেষ ডায়েট চার্ট।
চার্ট
সকালের দিকে কিছুটা শরীর খারাপ থাকে প্রায় সব গর্ভবতী মায়ের। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠে এক গøাস গরম গরুর দুধ খেতে হবে, এতে করে সকালের দুর্বলতা কেটে যাবে। গরুর দুধে সমস্যা হলে এক গ্লাস নারকেল-দুধ বা লেবুপানির শরবতও খাওয়া যাবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল বা বুক জ্বালা উপশমে সাহায্য করে। সকালের খাবার হবু মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালের খাবারের তালিকায় প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এই তালিকায় এক গ্লাস কমলালেবুর রস, একটি সবজিযুক্ত স্যান্ডউইচ রাখতে পারেন। এগুলো প্রোটিনের সর্বোত্তম উৎস। এছাড়া, আলু, গাজর, পালংশাক, ডাল বা দইয়ের সাথে মেশানো সবজিসহ ২টি পরোটা, হবু মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। ডাল, বিন, দানাশস্য, বিভিন্ন বাদাম ও শাক-সবজি দিয়ে খাবার প্রস্তুত করতে হবে। এতে করে ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ শরীরে সরবরাহ হবে। এছাড়া মুরগির মাংস কিংবা মাছও খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। রান্নায় স্বাস্থ্যকর তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
সকালের খাবারের পর এবং দুপুরের খাবারের আগে স্ন্যাকস হিসেবে এক বাটি স্যুপ বা সবজির সালাদ খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় নারীদের ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে। তাই রাতের খাবারের আগে সন্ধ্যায় তাদের নাস্তায় টাটকা ফল, এক মুঠো আখরোট, কাঠবাদাম বা খেজুর জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
শরীরের হাইড্রেড ঠিক রাখতে টাটকা ফলের রস প্রস্তুত করে রাখতে হবে, কিছুক্ষণ পর পর খেতে হবে। এছাড়া গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। গ্রিন টি-ও শরীরকে আরাম দেবে।
এরপর আসে রাতের খাবার। রাতের হালকা খাবার হতে হবে এবং তাড়াতাড়ি খাবার অভ্যাস করতে হবে। কারণ, এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি শরীর সুস্থ রাখবে এবং রাতে ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করবে। এছাড়া দুপুরের খাবারের আইডিয়াটি রাতেও ফলো করা যেতে পারে।
মা সুস্থ থাকলেই বাচ্চা সুস্থ থাকবে। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। মায়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
মায়িশা আতিয়া
অনলাইনে কাজ করে আয় করাটা অনেকেই ম্যাজিকের মতো মনে করেন। কোনোভাবে একটু কৌশলটা রপ্ত করলেই সব শেষ হয়ে যাবে না। মেধা ও পরিশ্রম করেই অনলাইনে আয় করতে হয়। বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক আয়ের জন্য অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ঝুঁকছেন। অনেকের মনে প্রশ্নÑ কীভাবে শুরু করা যায়, কী করলে নিজে যোগ্য হয়ে এভাবে আয় করা সম্ভব?
অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কমিশনের মাধ্যমে প্রচার ও বিক্রির প্রক্রিয়া হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে রেফারেল বা এফিলিয়েট ইনকাম করা যায়। এজন্য প্রথমেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কী নিয়ে বা কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করবেন। সেই ধরনের পণ্য সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেই অনুযায়ী আর্টিকেল বা বøগসহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
লিংক পাবেন যেভাবে
প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা এফিলিয়েট লিংক কোথায় পাব? এর উত্তর হচ্ছে, প্রতিটি বড় মার্কেটপ্লেসের ওয়েবসাইটে এফিলিয়েটের সুযোগ আছে। আপনি সেখানে ঢুঁ মারুন। ধৈর্যসহ বিস্তারিত পড়ে দেখুন। এতে কাজটি করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আমাজনসহ বড় বড় মার্কেটপ্লেসের এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন। এফিলিয়েটের এটাও একটা সুযোগ যে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের পণ্য নিয়ে কাজ করা যায়। ফলে নানা দিক থেকে আয়ের সুযোগ থাকে।
দক্ষতা থাকা চাই
যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চায়, তাদের ভালো বøগ বা আর্টিকেল লেখা বা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট বানানোর দক্ষতা থাকতে হবে। সেটা চর্চার মাধ্যমে বাড়িয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি এসইও-ডিজিটাল মার্কেটিং জানা থাকলে পথ চলাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। বøগিং, ইউটিউব, ইনফ্লুয়েন্সার এফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-মেইল এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা কুপন সাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব।
ইউটিউব
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। এতে ভিডিও ডেসক্রিপশনে এফিলিয়েট লিংক দিয়ে সেখান থেকে কমিশন পেতে পারেন।
ই-মেইল এফিলিয়েট মার্কেটিং
ই-মেইল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্টমেন্ট বিবেচনায় আয়ের সুবিধা বেশি বলে ধারণা করা হয়। নিউজলেটার কিংবা সাধারণ মেইলে এফিলিয়েট পণ্যের লিংক যুক্ত করে দিলে সেল জেনারেট করে আয় করতে পারবেন।
বøগিং
বøগিংয়ের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পুরোনো বিষয়। আগে থেকে এটি হয়ে আসছে। সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ফ্রি ট্রাফিক থেকে বøগ পোস্টে থাকা এফিলিয়েট লিংক থেকে আয় করা যাবে। টিউটোরিয়াল, রিভিউ কিংবা শিক্ষামূলক কনটেন্ট ব্যবহার করে এফিলিয়েট পণ্য প্রোমোট করা যায়।
ইনফ্লুয়েন্সার এফিলিয়েট মার্কেটিং
ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে আইকনদের এভাবে কাজ করা সহজ। সে ক্ষেত্রে আপনার ফলোয়াররা এফিলিয়েট সেল জেনারেট করে আপনাকে আয়ের পথ খুলে দিতে পারে।
কুপন সাইট
ই-কমার্স ও অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তার ফলে দিন দিন কুপন সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কুপন সাইটগুলোতে আপনার এফিলিয়েট লিংক পোস্ট করে কেনাকাটা ভালোবাসার মানুষদের সহায়তা করে আয় করা সম্ভব।
কয়েকটি জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের নাম
আমাজন অ্যাসোসিয়েটস এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম
দারাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম
টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম
এনভাটো এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম।
মো. সোলাইমান হোসেন আহাদ
তিন জোড়া কাপলের গল্প নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন সিনেমা ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। পিএইচ এন্টারটেইনমেন্ট এর কর্নধার ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়াল হোসেনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় সিনেমাটি নির্মিত হবে। পিয়াল হোসেনের গল্পে চিত্রনাট্য করেছেন শুভ্র সরকেল। সংলাপ লিখেছেন দিল। সম্প্রতি ধানমন্ডির এক রেস্তোরাঁয় সিনেমাটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা নিরব, অভিনেত্রী ববি, নিপুণ, কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার আরফিন রুমি, মেহরিন, শফিক তুহিন সহ আরও অনেকে।
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’-এ অভিনয় করবেন ববি, নিপুণ, নিরব, আসিফ আহমেদ খান সহ আরও অনেকে। সিনেমাটির কো-প্রডিউসর হিসেবে আছেন সাকিব সনেট, তপু খান এবং সেলিব্রেটি প্রোডাকশন হাউজ। ববি বলেন, ‘এ সিনেমার গল্প আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগছে। যে চরিত্রে অভিনয় করব সেই চরিত্রটির একটা লেয়ার আছে, যা দর্শকদের ভাবাবে। সিনেমাটি দেখতে দেখতে দর্শক বলবেনÑ সত্যিই লাইফ ইজ বিউটিফুল।’
এখন দর্শকরা ভালো গল্পের সিনেমা ছাড়া দেখতে চান না। সেসব দর্শক আশাহত হবেন না আশা করছি। পরিচালক পিয়াল হোসেন বলেন, ‘এ ছবির গল্প তিন জোড়া কাপলের গল্প নিয়ে। তাদের গল্পগুলো আলাদা আলাদা গল্প, কিন্তু এক সুতোয় গাঁথা। প্রতিটি গল্প আলাদা করে একটা সিনেমা মনে হবে। সিনেমাটির গল্প ভাবনা আমারই। লিখেছেন দিল। ব্যতিক্রম একটা কিছু হবে বলে আশা করছি।’ ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ সিনেমায় চারটি গানের কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার হলেন আফরিন রুমি, মেহরিন, শফিক তুহিন, কোনাল, সিথি সাহা, পূজা ও সৈয়দ অমি।
নিলুফা ইয়াসমিন
দক্ষতা উন্নয়ন, সামাজিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ, সাইবার নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি বাস্তবায়ন অসাধারণ ভ‚মিকা রাখায় গেøাবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট কর্তৃক ‘গেøাবাল ইয়ুথ অন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ অর্জন করেছেন ইয়েস ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও ইয়েস আইটি’র সিইও রাহাত হোসেন পল্লব।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী, ক‚টনীতিবিদ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত গেøাবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট-২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার।
সেইসঙ্গে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই সামিটে বাংলাদেশের তরুণ প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে তিনি তুলে ধরেন তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও এসডিজি গোল বাস্তবায়নে তরুণদের ভ‚মিকা সহ বিভিন্ন দিক।
ব্যাংককে রয়েল আর্মি থাই সেন্টারে অনুষ্ঠানে জমকালো অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে গেøাবাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট দিবাকর আরিয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওয়াংসুয়ান, শিক্ষামন্ত্রী ড. কালায়া সফনপা, ইউনাইটেড পিস কিপার্স ফেডারেল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ড. আফিনিতা চাইচানা, জাতিসংঘের রিজিওনাল ডিরেক্টর অটুস্ক ওকুডা সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সরকারের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাহাত হোসেন পল্লব বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব বিকাশের এই সময়ে আমাকে এই অ্যাওয়ার্ডে সম্মানীত করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস এই অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের তরুণদের উৎসাহ আরও বাড়াবে।’
স্বপ্নবাজ উদ্যমী তরুণ রাহাত হোসেন পল্লব ইয়েস ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি অনেক সংগঠনে দক্ষ নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল-৩২৮১ এর ইন্টারেক্ট ক্লাব অব পাবনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি হিমু পরিবহন, পাবনা বøাড নেটওয়ার্ক সহ বেশকিছু সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট বাংলাদেশ টেক হাব’র অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। এর আগেও রাহাত হোসেন পল্লব জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমÐলে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করে নিজের দেশ তথা নিজ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
তিনি ২০১৪ সালে এশিয়ার দেশগুলোর মেধাবী বাছাইকৃত যুবদের নিয়ে আয়োজিত ‘অ্যাক্ট এশিয়া-২০১৪’-তে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত খাদ্য অধিকার নিয়ে আয়োজিত ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ ইয়ুথ পার্লামেন্টে পাবনা-৫ আসনের ইয়ুথ প্রতিনিধি হিসেবে নিজ এলাকার কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। এছাড়া তিনি থার্ড নিউ জেনারেশন সেমিনার সাউথ এশিয়া ইয়ুথ একচেঞ্জ প্রোগ্রাম-২০১৮ কমনওয়েলথ ইয়ুথ ফোরাম ও ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ সহ বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছেন।
রাহাত হোসেন পল্লব তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বেস্ট ইন্টারেক্টর অ্যাওয়ার্ড, ২০১৫ সালে ইয়াং বাংলা সিআরআই আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, ২০১৭ সালে ইয়ুথ আইকন অ্যাওয়ার্ড সহ একাধিক সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছেন।
মো. সোলাইমান হোসেন আহাদ
সহজ, সরল, প্রকৃতিপ্রেমী একজন উদীয়মান তরুণী সুমাইয়া। পারিবারিক শিক্ষা ও ভালোবাসায় ছায়াঢাকা প্রকৃতির অপরূপ সুন্দরের লীলাভ‚মি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন সুমাইয়া। জীবন ও জগতের বাস্তব প্রয়োজনে একসময় তাকে পাড়ি জমাতে হয় বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা শহরে। গ্রামীণ লোকসংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবান্বিত সুমাইয়া ধীরে ধীরে ভালোবেসে ফেলেন আর্ট কার্লচার। মঞ্চনাটক দেখতে ভালো লাগে তার। অভিনয়ে কাজ করা এবং কাজ শেখার প্রতি ছিল তার প্রচুর আগ্রহ। সফল শিল্পীরা তার আদর্শ। তাদেরকে অনুকরণ ও অনুসরণ করতে চান তিনি সর্বদা। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অভিনয় ও মডেলিং এবং সেইসঙ্গে একজন সফল ভালো মানুষও হতে চান তিনি। মানুষের কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছে তার ছোটবেলা থেকেই। তিনি পছন্দ করেন বই পড়তে, গান শুনতে ও বেড়াতে। তিনি সবসময় ছোটবড় সবার কাছে দোয়া কামনা করেনÑ তিনি যেন ভালো কাজ করতে পারেন এবং সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে পারেন। তিনি আশা করেন সুশৃঙ্খলতা ও সুুসভ্যতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ একদিন পরিপূর্ণ মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
জেবা আতিয়া, এরইমধ্যে মিডিয়াতে পরিচিত হতে শুরু করেছে নামটি। সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় জেবার কোনো কমতি নেই। দোহারা গড়ন, মিষ্টি হাসি, ডাগর চোখের চাহনি, সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার এ মেয়েটি সবার নজর কেড়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে জেবা। বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই। জেবা কাজ করেছেন বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকে। এ নিয়ে জেবার উচ্ছ¡াসের কমতি নেই।
ইতিমধ্যে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেছেন। কেমন লাগছে?এ প্রশ্নের উত্তরে জেবা বলেন, ‘উবার’র বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করে বেশ সাড়া পেয়েছি। কিছু মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু ধারাবাহিক নাটকেও নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।’
এছাড়াও জেবা মডেল হিসাবে কাজ করেছেন অকোড, মানশা, ফ্যান্সি, রেড, ফক্স, ভারগো, প্রেম কালেকশন, ভিভা, আমিরা, ফ্রিডম, আনজারা ইত্যাদি ব্র্যান্ডের সাথে।
ফেস অফ এশিয়া ২০২২-এর টপ ফাইভ কুয়িন অফ বাংলাদেশ ২০২২-এর উইনার হিসাবে নিজেকে নিজেই সুপরিচিত করেছেন মিডিয়া অঙ্গনে।
শান্ত মারিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে অধ্যয়নরত জেবা। অগ্রজদের সহায়তা ও দর্শকের ভালোবাসায় সবাইকে ভালো কিছু করে দেখিয়ে দিতে প্রস্তুত মেয়েটি।
নায়িকা সংকটে মিডিয়া অঙ্গন, তাই জেবার আগমনকে বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছেন দর্শকরা।
জেবা ভালো মেয়ে। দেখতেও সুন্দরী; শিক্ষিত, স্মার্ট। আশা করি সে আগামীতেও ভালো করবে। কারণ ভালো কাজ উপহার দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জেবা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি : জাফরুল ইসলাম
অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান ক্রিয়েটিভ ইনস্টিটিউটের তত্তাবধানে শুরু হতে যাওয়া আনন্দ গ্রুমিং স্কুলের অংশ হিসেবে সমপ্রতি একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এতে অংশ নেন সাত জন মডেল এবং সাত জন মেকাপ আর্টিস্ট। এটি আনন্দ গ্রুমিং স্কুলের প্রথম ব্যাচের শুভ সূচনার অংশবিশেষ। অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বসুমতি গ্রুপের চেয়ারম্যান জিএম গোলাম নবী সিআইপি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দ লহরী ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক মহসীন সুপ্ত, শামসুল আলম, আনন্দ লহরীর সহযোগী সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বাবলু। কেক কেটে আনন্দ গ্রুমিং স্কুলের ব্রাইডাল ক্যাম্পেইন সিজন-১ এর উদ্বোধন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আনন্দ লহরীর প্রকাশক জাহিদ শাওন।
উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সকল মডেল ও মেকাপ আর্টিস্টকে বিশেষ সম্মাননাপূর্বক পাঁচ হাজার টাকা করে প্রদান করেন আনন্দ লহরীর উপদেষ্টা জিএম গোলাম নবী সিআইপি।
প্রথম মডেল বিজয়ী হয়েছেন মেহেরিন আফরোজ অঙ্কন। তাকে এই সুন্দরতম লুক দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মেকাপ আর্টিস্ট কঙ্কন। দ্বিতীয় মডেল বিজয়ী হয়েছেন মিতেরা মাহবুব শৈলী। তাকে মেকআপের মাধ্যমে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন মেকআপ আর্টিস্ট লাবনি হোসাইন।
অনুষ্ঠানে লেহেঙ্গা স্পনসর করেছে আঞ্জারা এবং জুয়েলারি স্পনসর করেছে শাম্মি’স। মেকওভার পার্টনার হিসেবে ছিল আলিফ মেকআপ স্টুডিও।
আলিফ নূর
ছবি : জাফরুল ইসলাম
মেকআপের প্রতি নিজের অধিক আকর্ষণ, শখ এবং ভালোলাগা থেকেই তৈরি হয় এক ধরনের প্যাশন। আর সে থেকেই প্যাশনকে প্রফেশন হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
বর্তমান সময়ের আলোচিত বিউটি এক্সপার্ট ও তরুণ উদ্যোক্তা আলিফনূর আলিফ। তবে এ অঙ্গনে ‘আলিফ’ নামে তিনি বেশ পরিচিত।
ছোটবেলা থেকেই মেকআপের প্রতি তার অন্যরকম টান, ভালোলাগা কাজ করত। খুব যতেœর সাথে সাজগুজ করে নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি করে রাখতে পছন্দ করতেন তিনি।
তার স্বপ্নÑএকজন দেশসেরা মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে তৈরি করা। সেই উদ্যম নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন।
আর এই হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়েই এক এক করে তিনি নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন।
স¤প্রতি তিনি তার নিজের প্রতিষ্ঠান ঢাকার আফতাবনগর রেসিডেন্সিয়াল এরিয়াতে আলিফ মেকআপ স্টুডিও ‘অষরভ'ং গধশব-ঁঢ় ঝঃঁফরড়’ নামে একটি বিউটি পারলার উদ্বোধন করেছেন।
বর্তমানে তিনি তার বিউটি পারলার আলিফ মেকআপ স্টুডিও নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি একজন অর্গনাইজার হিসেবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল শুট/ইভেন্ট বা প্রজেক্টের কাজও করেন।
তার পরবর্তী পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেকআপের জগতে এত ভালো ভালো মেকআপ আর্টিস্টের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখা এখন অনেক বড় কম্পিটেশন। তাই প্রতিনিয়ত আমি নিজের মেকআপ স্কিল আপডেট করে যাচ্ছি। বেশি বেশি ব্রাইডাল শুটের কাজ করছি। এবং বিভিন্ন ব্রাইডাল কম্পিটিশনে নিজেকে জড়িত রাখছি। সেইসঙ্গে আমার স্টুডিওতে ব্রাইডাল শুটের ব্যবস্থা রেখেছি।’
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘মেকআপকে প্রফেশন হিসেবে নিতে চাইলে প্রথমে নিজের মধ্যে লুক্কায়িত প্যাশনকে খুঁজে বের করতে হবে। যদি দেখেন, আপনার সাজগোছ কিংবা মেকআপ নিয়ে কাজ করতে অনেক ভালো লাগছে, তবেই আপনি এই প্রফেশনে আসুন। কেননা এই সেক্টরে ভালোলাগা যদি না থাকে, তাহলে মেকআপকে প্রফেশন হিসেবে ধরে রাখা খুবই কঠিন হবে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটা বিষয়, সেটা হলো পরিশ্রম। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। পরিশ্রম করলে যে কোনো প্রফেশনে সফলতা আসবেই। আর প্রফেসশনটা যদি প্যাশন হয়, সেক্ষেত্রে সাফল্য দ্রæত ধরা দেয়।’
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য টিপস হিসেবে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রেÑ
১. বেশি বেশি কাজের প্র্যাক্টিস/হোমওয়ার্ক করুন।
২. মেকআপ ট্রেন্ড সম্পর্কে সজাগ থাকুন। কেননা ট্রেন্ড অনুসরণ ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
৩. নিজেকে বেশি বেশি প্রচার করুন। এতে করে আপনার নিজের ব্র্যান্ডিং হবে এবং কাজের অফার বাড়বে।
৪. সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। এতে করে রিপিট কাস্টমার বাড়বে।
৫. নিজের একটি মেকআপ পোর্টফলিও তৈরি করুন। এতে আপনার কাজের নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করুন যেন প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট তালিকায় প্রথমদিকে আপনার নাম ওঠে আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদক