logo
Breaking News
অভিনয়ে মন দিয়েছেন পূজা


পূজা চেরি ঢালিউডের এ প্রজন্মের তারকাদের অন্যতম। দর্শক মহলে তার জনপ্রিয়তা বেশ। এক সময় শিশুশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া পূজা এখন শীর্ষ চিত্রনায়িকাদের একজন। মুক্তির অপেক্ষায় তার নতুন ছবি ‘হৃদিতা’। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন যুগল নির্মাতা ইস্পাহানি আরিফ জাহান। গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায় ছবিটি। এতে পূজার বিপরীতে আছেন এবিএম সুমন। এ ছবির শুটিং করে বেশ তৃপ্ত পূজা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জের মনোরম পরিবেশে ছবির গানের শুটিং হয়েছে। এমন নয়নাভিরাম লোকেশনে শুটিংয়ের কথা কোনোদিন ভুলব না। অন্যান্য শুটিং শেষ হলে মনের মধ্যে কিছু না কিছু খচখচ করতে থাকে। কিন্তু ‘হৃদিতা’ সিনেমার শুটিং করে কী যে শান্তি পেয়েছিলাম তা বলে বোঝাতে পারব না। এই প্রথম সাহিত্যনির্ভর সিনেমায় কাজ করেছি। সেটিও আবার খুব জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হকের গল্পে। গল্পের মতোই নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। দর্শক ভালো কিছুই পেতে যাচ্ছেন। ‘হৃদিতা’ দর্শকদের নিরাশ করবে না।’ 

হালের আরেক জনপ্রিয় তারকা সিয়াম আহমেদের সাথে পূজার রসায়ন বেশ জমজমাট। এ জুটির মুক্তি পাওয়া তিনটি ছবিই সাড়া ফেলেছে দর্শক মহলে। ‘পোড়ামন-২’, ‘দহন’ ও ‘শান’ ছবিতে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত এম রাহিমের ‘শান’ তো দর্শকের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। পূজা সতর্ক পা ফেলেছেন বলেই এ জুটির ছবির সংখ্যা মাত্র তিনটি। জুটি প্রসঙ্গে পূজার ভাষ্য, অনেকদিন পর আমাদের জুটির মাধ্যমে ঢালিউড একটি জুটি পেয়ে যায়। জুটি তৈরি হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। হঠাৎ করে কিছু পেয়ে গেলে তা আগলে রাখতে হয়। 

পূজা আরও বলেন, ‘আমরা জুটির আমেজ ধরে রাখতে চেয়েছি। ‘পোড়ামন-২’ ও ‘দহন’র পরে দু’জনের কাছে প্রচুর ছবির প্রস্তাব এসেছে। আমি বলব নাÑছবিগুলো খারাপ। আমার মতে, সেসব ছবির জন্য সিয়াম-পূজা জুটি মানানসই ছিল না। হয় আমার জন্য, না হয় সিয়ামের জন্য উপযুক্ত ছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম সেই ছবির, যেটি দেখে দর্শক বলবে এ জুটির কাজ ভালো হয়। চাইলেই সব কাজ করতে পারতাম। প্রচুর টাকা-পয়সা আয় হতো জুটিতে ভর করে। কিন্তু আমরা মান ধরে রাখতে চেয়েছি। জুটিটিকে আগলে রাখতে চেয়েছি। যাতে করে এ জুটির ছবি দেখতে গিয়ে দর্শকের আস্থা বজায় থাকে।’

এদিকে পূজা অভিনয় করেছেন এসএ হক অলিকের ‘গলুই’ ছবিতে। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। পূজার সাথে শাকিবকে মানাবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। তবে ছবিতে তাদের রসায়ন দেখে বয়সের ব্যবধান টের পাননি দর্শক। পূজা উচ্ছ¡সিত এ নায়কের বিপরীতে অভিনয় করতে পেরে। তিনি বলেন, ‘একজন নতুন নায়ক বা নায়িকার বড় তারকার সাথে কাজ করা সৌভাগ্যের। সবাই চায় একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর সাথে কাজ করতে। কখনো ভাবিনি সুপারস্টার শাকিব খানের সাথে কাজ হবে, তাও এত তাড়াতাড়ি। প্রস্তাব আসার পর গল্প, সহশিল্পী ও পরিচালকÑ সবকিছু দেখে মনে হলো কাজটি করা যায়, তাই কাজটি করেছি। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।’

এদিকে সিনেপাড়ায় জোর গুঞ্জন শাকিব খানের সাথে ফের জুটি বাঁধছেন পূজা। স¤প্রতি শাকিব খান ‘মায়া’ শীর্ষক ছবির জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ। এ ছবিতে অভিনয় করবেন পূজা চেরিÑ এমন কথা শোনা যায় কান পাতলেই। নায়িকাও সায় দিয়েছেন এ গুঞ্জনে। তিনি জানান, ছবির গল্প অসাধারণ। বাংলাদেশে এমন গল্পে কাজ হয়েছে কি-না জানি না। কাজটি করার জন্য মুখিয়ে আছি। তাছাড়া শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রথমবার কাজ করতে যাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। তার মতো গুণী অভিনেতার সাথে ‘গলুই’র পর আরেকটি কাজ হতে যাচ্ছে, এটিও ভালো লাগার কারণ। 

জুটি গড়ে ওঠলে গুঞ্জনও সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে তার বক্তব্য, প্রথমদিকে খারাপ লাগত। এখন খারাপ লাগে না। আমাদের অভিনয় ভালো হয় বলেই দর্শক গুঞ্জন তোলে। 

পূজা বলেন, ‘আমি যে চরিত্রে অভিনয় করি সেই চরিত্র ধারণ করার চেষ্টা করি। যেন  দর্শক পূজা চেরিকে ভুলে যায়। সেই  চরিত্রকে মনে রাখে।’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক


স্বপ্নদলের জাপান পররাষ্ট্রমন্ত...

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত অত্যন্ত সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘জাপান ফরেন মিনিস্টার’স কমেনডেশন ২০১৯’ (Japan Foreign Minister's Commendation 2019) লাভ করেছে বাংলাদেশের প্রশংসিত ও দর্শকপ্রিয়  নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি, নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. রশীদ হারুনের উপস্থিতিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো তারো (kono Taro)’র পক্ষে স্বপ্নদলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক জাহিদ রিপনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা তুলে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের  রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (Ito Naoki)। কোভিড সংক্রমণের কারণে বেশ কিছুদিন বিলম্বে এ আনুষ্ঠানিকতা করা হলো বলে জানিয়েছে জাপান দূতাবাস।

স্বপ্নদলকে প্রদত্ত সনদপত্রে বলা হয়েছে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা প্রসারে, জাপান ও অন্যান্য দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ স্বপ্নদলকে গভীরতম শ্রদ্ধা জানায় (Minister for Foreign Affairs of Japan extends his deepest regards to Swapandal in recognition of its distinguished service in promoting mutual understanding between japan and People's Republic of Bangladesh, contributing to promoting friendly relations between Japan and Other nations)।

প্রসঙ্গত, স্বপ্নদল যুদ্ধ ও আণবিক অস্ত্রবিরোধী সচেতনতা সৃজনে ২০০২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলার বিয়োগান্তক ঘটনাভিত্তিক যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার নাট্য ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র প্রদর্শনী করে আসছে। অদ্যাবধি দেশ-বিদেশে ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র ১১৮টি প্রদর্শনীসহ গত ২১ বছর ধরে পৃথিবীর একমাত্র নাট্যসংগঠন হিসেবে নানা আনুষ্ঠানিকতায় ‘হিরোশিমা দিবস’ পালন করছে স্বপ্নদল। ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনাটি এশিয়ার বৃহত্তম ও ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যোৎসব ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব ২০১৫’ সহ ভারতের নানা উৎসব, ইংল্যান্ডের লন্ডনে ইউরোপের স্বনামখ্যাত নাট্যোৎসব ‘এ সিজন অব বাঙলা ড্রামা ২০১৫’, জাপানের টোকিওতে জাপানের বৃহত্তম নাট্যোৎসব ‘ফেস্টিভ্যাল টোকিও ২০১৮’-এ মঞ্চায়িত হয়েছে। স্বপ্নদলের আরেকটি প্রযোজনা ‘হেলেন কেলার’রও একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে হিরোশিমা-নাগসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ তথা যুদ্ধবিরোধী প্রসঙ্গ। স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’ প্রযোজনাটি ভারতের দর্শকপ্রিয় নাট্যদল ‘প্রাচ্য’ আয়োজিত ‘পূবের নাট্যগাথা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১৮’ ও ছয়টি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনী এবং ২০১৮ সালে জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে টোকিওতে মঞ্চায়িত হয়েছে। স্বপ্নদলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক জাহিদ রিপন ‘ফেস্টিভ্যাল টোকিও ২০১৬’-এর সেমিনারে ‘ট্রাডিশনাল অ্যান্ড কনটেম্পরারি থিয়েটার অব বাংলাদেশ’ এবং ‘ফেস্টিভ্যাল টোকিও ২০১৮’-এর  সেমিনারে ‘থিয়েটার অব বাংলাদেশ টুডে : কান্টিনিউয়েশন অব ট্রাডিশন অ্যান্ড মর্ডানিজম’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া জাহিদ রিপন ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের ‘কুইন মারি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন’র আমন্ত্রণে ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র আংশিক মঞ্চায়নসহ মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন।

সাহেদ সুলতান


চরিত্রের বৈচিত্র্যে ববি

এ সময়ে ঢালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা ববি। পুরো নাম ইয়ামিন হক ববি। করোনার দুই বছর শুটিং থেকে দূরে ছিলেন। দুই বছর পর কাজে ফিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম ও বিজ্ঞাপনচিত্রে খুবই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ নায়িকা। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন ববি। আন্তরিক আড্ডায় ওঠে এসেছে তার ভাবনা, পরবর্তী 

কাজের ফিরিস্তি

ইয়ামিন হক ববি। ঢালিউডে তার পথচলা প্রায় এক যুগ। ২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। এরপর উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকটি আলোচিত ও ব্যবসাসফল ছবি। সেই তালিকায় আছে ‘দেহরক্ষী’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’, ‘হিরো : দ্য সুপারস্টার’, ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’, ‘রাজাবাবু’, ‘বিজলি’,  ‘নোলক’, ‘বেপরোয়া’ ইত্যাদি। ক্রমশ নিজের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এখন তার ওপর ভরসা রাখতে পারেন প্রযোজক ও পরিচালক। তাকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হচ্ছে ছবি। নিজের যোগ্যতায় ববি পরিণত হয়েছেন ঢালিউডের শীর্ষস্থানীয় এক নায়িকায়। ববির হাতে আছে একাধিক ছবি। সেসব ছবিতে তার চরিত্রের মাঝে রয়েছে ভিন্নতা। শুরুতেই জানতে চাওয়া ববির নতুন ছবিগুলো প্রসঙ্গে। ববি শুরু করলেন তার নতুন ছবি ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘স¤প্রতি একটি নতুন ছবির সাথে যুক্ত হয়েছি। ছবির নাম ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। এ ছবির গল্পটা চমৎকার। ভিন্ন কিছু চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছে থেকেই ছবিটি করছি। আশা করছি, সব ঠিকঠাক থাকলে ভালো কিছু পাবে দর্শক।’

ববি বলে চললেন, ‘আবার রাশিদ পলাশের ‘ময়ূরাক্ষী’-তে আমি একজন চিত্রনায়িকার ভ‚মিকায় অভিনয় করেছি। এ ছবির দুটো গানের শুটিং এখনো বাকি। এ চরিত্রটি করে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি নিজেই একজন চিত্রনায়িকা। তবুও চিত্রনায়িকার চরিত্র ফুটিয়ে তোলা চ্যালেঞ্জিং ছিল। একজন নায়িকার জীবনে উত্থান-পতন আছে। তাদের কখনো কখনো পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একটা বিষয় না বললেই নয়, আমি ধূমপান পছন্দ করি না। কিন্তু এ ছবিতে আমাকে ধূমপান করতে হয়েছে। প্রথমে সমস্যা হলেও পরবর্তী সময়ে মানিয়ে নিয়েছি। দর্শকরা দেখে বলতে পারবে সবকিছু মিলিয়ে কেমন করেছি।’

‘ময়ূরাক্ষী’ ছবিটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ববি রূপদান করছেন চিত্রনায়িকা ‘সিমলা’র চরিত্রে। এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। মূল ঘটনা না দেখিয়ে কিছুটা তো রদবদল করা হচ্ছেই। 

অন্যদিকে শামীম আহমেদ রনির ‘এবার তোরা মানুষ হ’ ছবিতে একজন ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। এটিও একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। আবার সৈকত নাসিরের ‘পাপ’ ছবিতে আমি একজন ডিবি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রটিই শুধুমাত্র প্রোটাগনিস্ট। তাছাড়া সৈকত নাসির আমার পছন্দের একজন নির্মাতা। তার কাজ ভালো হয়। এটিও ভালো হবে বলে আশা করছি। ‘পাপ’র শুটিং শেষ হয়েছে। ডাবিং বাকি আছে শুধু।’ 

ববির আগামী ছবিগুলোয় তাকে পাওয়া যাবে ভিন্নধর্মী সব চরিত্রে। এমনসব চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে এ নায়িকা জানান, আমি কষ্ট করে ভিন্নধর্মী চরিত্র বেছে নিয়েছি। বেছে বেছে কাজ করছি। দর্শকরা যে সাপোর্ট ও ভালোবাসা দিয়েছেন, তার প্রতিদান দিতেই এ প্রচেষ্টা। কারণ, তাদের জন্যই আমি আজকের ববি।

দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারে প্রায় এক যুগ পার করছেন ববি। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে নিজেকে মূল্যায়ন করতে বললে ববি জানান, অনেককিছু শিখেছি। বুঝতে পেরেছি। অনেক সময় ঠকেছি; আবার জিতেছিও। চড়াই উৎরাই পেরিয়েই আজকের অবস্থানে এসেছি। তারা আমাকে এক নামে ‘ববি’ হিসেবে চিনে। দর্শকের কাছে আমার গুরুত্ব বেড়েছে। তারা আমাকে সম্মান দিয়েছে। ভালোবাসা দিয়েছে। তাদের এ সম্মান ও ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য এমন কাজ করে যেতে চাই যেন আমি বেঁচে না থাকলেও তারা আমাকে মনে রাখে।

খানিক ভেবে ববি যোগ করেন, ‘পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন থাকেন। তাদের সাথে মান-অভিমান হয়। এরকম পরিবার গড়ে ওঠেছে এ অঙ্গনেও। তাদের সাথেও এমনটি হয়। দিনশেষে সম্পর্কেরই জয় হয়। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আমার আরেকটি পরিবার। এ ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন আমার পরিবারের সদস্য।

কথার রেশ ধরে ববি জানান, তার কাছে ছোটপর্দায় কাজের প্রস্তাব এসেছিল। তিনি সেসব প্রস্তাবে বিনয়ের সাথে ‘না’ বলেছেন। ববি বলেন,  ‘কোভিডের সময় বিভিন্ন সিরিজ ও নাটকের প্রস্তাব এসেছে। আমি অপেক্ষা করেছি। দর্শক টাকা খরচ করে আমাকে দেখে অভ্যস্থ। সেই আমি নাটকে কাজ করলে, চ্যানেল ঘুরিয়ে দর্শক দেখতে পারবে। এত সহজলভ্য হওয়া ঠিক নয়। ফেসবুকেও অনেকে জানতে চেয়েছে, কবে আবার পর্দায় দেখবে। আমি বিরক্ত হইনি। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছি। তখন ধৈর্য ধরেছি বলেই, এখন হাতে এতগুলো ছবি। 

ববি অবশ্য মাঝে ওটিটি বা ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফর্মে কাজ করেছেন। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় ইমদাদুল হক মিলনের গল্পে নির্মিত ‘সুরভী’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। বঙ্গ প্ল্যাটফর্মে ‘বেজড অন বুক’ সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তিতে প্রচারিত এ কাজটি করার পেছনে যথেষ্ঠ ুকারণ আছে। ববি বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ কাজ। চয়নিকা চৌধুরী ভালো নির্মাতা। ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসের নামে আমার চরিত্রের নাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, ডলি জহুর ও শম্পা রেজা। তাদের সাথে কাজ করা বড় পাওয়া। তাছাড়া এ টেলিফিল্মে কোনো পুরুষ শিল্পী ছিলেন না। সবকিছু মিলিয়ে এ কাজটি করে ভালো লেগেছিল।’  

ওটিটির জন্য একটি কাজ করলেও ববির কাছে সিনেমার আবেদন অসীম। তা যেন ফুরাবে না কখনো। তার ভাষ্যে, ফিল্মের আবেদন আজীবন থাকবে। ওটিটি বা ওয়েব প্ল্যাটফর্ম সেই জায়গা নিতে পারবে না। বড় সিনেমা হলে গিয়েই দেখবে দর্শক। 

শাকিব খানের সাথে ববির জুটি দর্শক সাদরে গ্রহণ করেছে। এ জুটির সবকটি ছবি সফল। সে প্রসঙ্গ তুলতেই এক গাল হেসে ববি বলেন, ‘শাকিবের সাথে আমি ছয়টি ছবি করেছি। প্রতিটি ছবি ভালো চলেছে। হিট হয়েছে। দর্শক আমাকে তার সাথে দেখতে চায়। আগামীতে ভালো প্রজেক্ট এলে এ জুটিকে ফের পর্দায় দেখবে দর্শক। একটি কথা বলতে চাই, শাকিব খান দেশে ফেরার পর ভক্ত-দর্শকের উন্মাদনা ভীষণ ভালো লেগেছে। তার জন্য ভক্তদের এমন উচ্ছ¡াস দেখে মনে হয়েছে যোগ্য মানুষটিকেই সম্মান জানাচ্ছে তারা।’  

কথায় কথায় তোলা হলো এ সময়ে আলোচনায় থাকা সিনেমার কথা। দর্শক সিনেমা হলে ফিরেছে। এমন দৃশ্য দেখে ববি বেশ আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘সিনেমার এ জোয়ার খুব ভালো লাগছে। দর্শক হলে গিয়ে সিনেমা দেখছে। সে কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাচ্ছে। বিষয়টা সিনেমার জন্য ইতিবাচক। আমি ‘পরাণ’র জন্য মিমকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছি। আর ‘হাওয়া’-তে চঞ্চল চৌধুরী ভালো করেছেন। তিনিও আমার পছন্দের একজন অভিনেতা। সিনেমার এ সুসময় সবার জন্য স্বস্তিদায়ক।’ 

১৮ আগস্ট ছিল ববির জন্মদিন। এ দিনটি নিয়ে নায়িকার আগ্রহ না থাকলেও তার শুভাকাক্সক্ষীদের ভীষণ উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন তারা। ববিও জন্মদিন উদযাপন করেছেন কাছের মানুষদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। তবে কাছের মানুষজন সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। এবারও দিয়েছে। আম্মা দেশে আছেন। তাদের নিয়েই জন্মদিনের সময়টা কেটেছে।’  

ববি একজন প্রযোজকও। কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছেন। এ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা ফিল্ম ভালোবাসে তারা ফিল্মের সাথে জড়িত থাকতে ভালোবাসে। প্রতিটি সেক্টরে কাজ করতে চায়। আমিও চেয়েছি। ভবিষ্যতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবার প্রযোজনায় ফিরতে পারি।’ 

এদিকে একটি গুঞ্জন ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ববি প্রেম করছেন প্রযোজক-পরিচালক সাকিব সনেটের সাথে। হ্যাঁ কিংবা না কিছুই বলেননি তারা। তবে এবার জন্মদিনে প্রেমের বিষয়টি খোলাসা করলেন সাকিব সনেট। ববিকে নিয়ে তার আবেগঘন পোস্ট নিশ্চিত করল তারা প্রেম করছেন। পরবর্তী সময়ে ববিও স্বীকার করে নিলেন, তারা পরস্পর প্রেমিক-প্রেমিকা। 

প্রেমের বিষয়ে ববি বলেন, ‘সাকিব সনেটের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক দিনের। ‘নোলক’ সিনেমায় অভিনয় করার সময় তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। ছবিটি করতে গিয়ে সে সমস্যায় পড়ে। এরপর আমরা পরিশ্রম করেছি ছবি মুক্তি পর্যন্ত। এরপর দু’জনে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করি। তখন আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকেই পরস্পরকে ভালো লেগে যায়। কাছাকাছি আসি। ভালোবাসা ও বিশ্বাসের ফলে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’  

এক্ষুণি বিয়ে করছেন না ববি। সময়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বিয়ের ব্যাপারটা। যদিও গুঞ্জন আছে তারা বিয়ে করেছেন। ববির মতে, তারা সুন্দর একটি সম্পর্কের মাঝে আছেন। বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় ছবি প্রকাশ করেন ববি। তার ছবি দেখে নেটিজেনরা ভালো লাগার কথা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে ববি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই আছে। এ সময়ে দর্শকদের সাথে যোগাযোগের চমৎকার মাধ্যম ফেসবুক। তবে মাত্রা ছড়িয়ে গেলে নিজের গুরুত্ব কমে যায়। তাই জেনে বুঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা উচিত।


মোহাম্মদ তারেক


গণমানুষের নেতা, বাঙালির সূর্যস...

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে  মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস অন্যতম । অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক হিসেবে খ্যাত ছহিউদ্দিন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর। তিনি ছিলেন নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। আপামর বাংলার কৃষক-শ্রমিকের বন্ধু।

মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের জন্ম ১৯২৩ সালে তৎকালীন নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমায়। তেহট্ট জেলার লালবাজার গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোছা. সামসুননেছার কোল জুড়ে যখন ছহিউদ্দিনের জন্ম, তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মাত্র শেষ হয়েছে এবং পুরো ভারতবর্ষে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। ব্রিটিশদের অপশাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষ জুড়ে বিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠেছে। যে বিদ্রোহ দমাতে ব্রিটিশ শাসকদের নির্দয় আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ভারতবাসী।

এমনই এক অস্থির সময়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন অন্য দশটা শিশু-কিশোরের মতো ছিলেন না। চুয়াডাঙ্গা জেলার ভিজে হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার আগেই তার মনে প্রবল রাজনৈতিক বোধ তৈরি হয়। তিনি বুঝতে শেখেন, ব্রিটিশ শাসন নানা কালা কানুনের মাধ্যমে কিভাবে এই দেশের কৃষক-শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে। আর এই অপশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করার ভাবনায় নিজেকে তখনই প্রস্তুত করতে থাকেন তিনি।

রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজে ভর্তির পর রাজনীতির প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন। তুখোড় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দেশপ্রেম তাঁকে অল্প দিনের মধ্যেই নেতৃত্বে নিয়ে আসে। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচার্যে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধু তাঁর মধ্যে গভীর জাতীয়তাবোধ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখেছিলেন। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির গোড়াপত্তন করেন। মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৮ সালে মেহেরপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ১৯৬৯ সাল থেকে আমৃত্যু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

নির্লোভ, বিনয়ী ও জনদরদী মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন মানুষের অফুরান ভালোবাসা পেয়েছেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে তাঁর ভ‚মিকা ছিল দেশ ও দলের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ফলশ্রæতিতে ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে জাতির ক্রান্তিকালেও ত্রাতার ভ‚মিকায় দেখা যায় মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাসকে। এ সময় তাঁরই নির্বাচনী এলাকা মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে তিনি ৮ নম্বর সেক্টরে ‘৩-সি’  কোম্পানির রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন এবং বোই ইয়ুথ ক্যাম্প পরিচালনা করেন। মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট, ট্রেনিং, ক্যাম্প পরিচালনা এবং সংশ্লিষ্ট সাব-সেক্টরের যুদ্ধ পরিচালনা করে মুক্তিযুদ্ধে এক অনন্য সংগঠক ও পরিচালকের ভ‚মিকা পালন করেন তিনি। এ কারণে তাঁর অনুপস্থিতিতে যশোর সেনানিবাসে পাক হানাদার বাহিনীর সামরিক আদালতে মৃত্যুদÐ ঘোষণা করা হয়। 

স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনে মনোনিবেশ করেন মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কুষ্টিয়া-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে মেহেরপুরের গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। 

জাতির ইতিহাসে ঘটে যাওয়া বেদনাদায়ক ১৫ আগস্টের পর যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সংকটে পড়ে, তখনো মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে দলের পুনর্গঠন কার্যক্রম চালিয়ে যান। আর এ কারণে তাকে ক্ষমতাসীনদের বিরাগভাজন হতে হয়েছে। তাতে অবশ্য দমে যাননি অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন। ১৯৭৬-৭৭ সালে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে আব্দুল মালেক উকিল ও সৈয়দা জহুরা তাজউদ্দিনের সহযোদ্ধা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

অসাধারণ মানবিক গুণের এই রাজনীতিক ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তবে নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে যান এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। 

মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস জাতির সূর্যসন্তান। তাঁর মতো বীর বাঙলি  জাতির গর্ব। তাঁর এই বীরত্ব এবং দেশের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মৃত্যুর ৩২ বছর পর ২০২২ সালে তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভ‚ষিত করা হয়।

মোহাম্মদ ছহিউদ্দিনের সুযোগ্য পুত্র ফরহাদ হোসেন বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। বাবার নীতি-আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়া ফরহাদ হোসেন তার নির্বাচনী এলাকা মেহেরপুর-১ এর গণমানুষের প্রিয় নেতায় পরিণত হতে বেশি সময় নেননি। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরহাদ হোসেন বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। 

ফরহাদ হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর বাবা মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের আদর্শ লালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই দুই নেতার নীতি-আদর্শ ছড়িয়ে দিতে মনোযোগী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জাহিদ সুলতান


একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ

১৯৬৩ সাল। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সজাগ পূর্ব বাংলা। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন সংগ্রাম, চলছে তপ্ত রাজপথে মুক্তির মিছিল। এমনই তেজদীপ্ত সংগ্রামী চেতনার আলো ছুঁয়ে জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির স্বপ্নসারথী, নীতি নৈতিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, রাজপথের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, গণমানুষের নেতা ড.  মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক; গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

৫ জুন, ১৯৬৩ সাল। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আইনজীবী দম্পতি  অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার ও অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন হাছান মাহমুদ। বাবা নুরুচ্ছফা ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ছোটবেলা থেকে বই পড়তে ভালোবাসতেন হাছান মাহমুদ। রাজনীতিবিদ বাবার এনে দেওয়া সূর্য সেনের বিপ্লবী বই পড়ে নিজেকে সেভাবে গড়তে শুরু করেন এই মেধাবী রাজনীতিবিদ। তারই ধারাবাহিকতায় স্কুলপড়ুয়া দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হাছানের চট্টগ্রাম জামাল খান ওয়ার্ড ছাত্রলীগে  যোগদানের মধ্যদিয়ে সূচনা হয়  রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস প্রকাশের। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত হয় আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধে বিশ^াসী একটি নাম মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ।

ছাত্রজীবনে ড. হাছান মাহমুদ ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশে অধ্যয়নকালে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতক, ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর  শেষে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশ গমন করেন এই মেধাবী রাজনীতিবিদ। ১৯৯৬ সালে বেলজিয়ামের ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান ও একই বছর ইউনিভার্সিটি অব লিবহা ব্রাসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে মাস্টার্স করেন। পরবর্তী সময়ে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ২০০১ সালে লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পিএইচডি ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিগ্রি  অর্জন করেন ড. হাছান মাহমুদ।

সত্তরের দশকের শেষ ভাগে স্কুলশিক্ষার্থী অবস্থায় চট্টগ্রাম ওয়ার্ড ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক পথচলা। আর তখন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে  জড়িয়ে নেন নিজেকে। বর্ণাঢ্য এই সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে নানা অপশক্তির দ্বারা বারবার অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হন এই আদর্শ রাজনীতিবিদ। 

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঙ্গী করে এই মেধাবী রাজনীতিবিদ সফল ও আদর্শ নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তাঁর রাজনৈতিক বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। বারবার পাওয়া প্রাণনাশের হুমকি এতটুকু পিছু হটাতে পারেনি ড.  হাছান মাহমুদকে আন্দোলন সংগ্রামের পথ থেকে।

হাজারো প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলে হাছান মাহমুদের রাজনৈতিক পথচলা। ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের পর ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরবর্তীকালে ১৯৮৮ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন হাছান মাহমুদ। এসময় তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। নির্বাচনে হাছান মাহমুদ ছিলেন সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার কার্যকরী সংসদের সবচেয়ে  নবীনতম সদস্য মনোনীত হন। এরপর বেলজিয়ামে থাকাকালে হাছান মাহমুদ ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে ১৯৯৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভাসিটির সভাপতি, ১৯৯৩ সালে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. হাছান মাহমুদ। দেশে ফিরে তিনি ২০০১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির বিশেষ সহকারী এবং একইসঙ্গ ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হন। দলীয় দায়িত্ব পালনের ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর আর থেমে থাকা নয়Ñ ২০০৯ থেকে ২০১৩ সময়কালে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড.  হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা তৃৃতীয়বারের মতো  নির্বাচিত হয়ে ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়) দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ড. হাছান মাহমুদ  ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের হাতে গ্রেফতার হন। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন এই ত্যাগী ও আদর্শ রাজনীতিবিদ। আজও তাঁর শরীরে চল্লিশটি ¯িপ্লন্টারের দুঃসহ স্মৃতি বহন করে চলেছেন। ২০০৭ সালে সামরিক সমর্থিত সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে ড. হাছান মাহমুদ দলীয় সভাপতির মুখপাত্র হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ও  গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা প্রশংসিত হন।

তাঁর রাজনৈতিক জীবনে রয়েছে আন্দোলন ও সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস। তবে শত বাধায়ও কখনো নিজেকে পিছিয়ে রাখেননি, মনোবল হারাননি দূরদর্শী, নির্ভীক ও জনদরদী এই মেধাবী রাজনীতিবিদ। 

ওয়ার্ড ছাত্রলীগ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে সফলতাই প্রমাণ করে ড. হাছান মাহমুদ রাজনীতির এক উজ্জ্বল ও মেধাবী নেতৃত্বের যোগ্য ও সফল দৃষ্টান্ত এবং একজন আদর্শ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ।

জাহিদ সুলতান


আপন আলোয় রঙিন

বড় হয়েছেন দেশের বাইরে। পড়াশোনা ইংরেজি মাধ্যমে। বাংলা  চিত্রনাট্যকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে অভিনয় করতেন একটা সময়। তাই বলে তিনি বসে থাকেননি। নিজের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠেছেন। আর এখন তিনি ছোটপর্দার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী। বলছি মেহজাবীন চৌধুরীর কথা। প্রায় এক যুগ আগে তিনি হয়েছিলেন ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’। এ সময়ে নিজেকে ভেঙে গড়ে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মেহজাবীন। বহুমাত্রিক চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। টেলিভিশন নাটকের প্রায় সকল জনরায় অভিনয় করেছেন তিনি। এজন্যই তার এত চাহিদা। পরিচালকদের আস্থার নাম মেহজাবীন।


আজকের এ অবস্থানে আসা সহজ ছিল না মেহজাবীনের জন্য। নিজের সীমাবদ্ধতাকে জয় করার জন্য তিনি পাশে পেয়েছেন সহশিল্পী, পরিচালক ও অন্যান্যদের। তিনি বলেন, ‘ভাবলে অবাক হই, মনে হয় এই তো মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। আমার আজকের অবস্থানের পেছনে আমার বাবা- মায়ের সবচেয়ে বেশি। কারণ তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। আমার মা আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।’ 


তিনি যোগ করেন, ‘মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়েও নিয়মিত থাকব, এটা আগে ভাবিনি। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমি স্টিলেই ফোকাস দিয়েছি বেশি। আমার কাছে মনে হতো অভিনয় থেকে মডেলিংটা সহজ; তাই এখানেই থাকি। কিন্তু ২০১৩ সালের পর থেকে অভিনয়েই বেশি মনোযোগ দেই। তখনো যখন অভিনয় করতাম, কত কথা শুনতাম মানুষের কাছে! অনেকেই বলত, মডেলরা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারে না।’


বাংলা বলতে কষ্ট হতো মেহজাবীনের। তিনি অকপটে স্বীকার করেন সে কথা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার যেহেতু বাংলা বলতে অনেক কষ্ট হতো সেটা কাটিয়ে ওঠতেও সময় লেগেছে। যখন আমার স্পিচ স্পষ্ট হয়ে যায়, ফ্লুয়েন্টলি বাংলা বলতে শিখে যাই তখন অভিনয়ের দিকেই ফোকাস বেশি দিয়েছি। তখন নিজের মধ্যে কনফিডেন্ট বেড়ে গেল অনেকটা। সে সময় নিজেকে সেই  জায়গাটার জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করি এই ভেবে যে আমি অভিনয়েই থাকব।’ 


তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটা প্রমাণ করতে চেয়েছি যে, মডেলরাও আসলে অভিনয় করতে পারে; যদি তাদের মধ্যে অভিনয় সত্ত¡টা থাকে। সবারই একটা ধারণা থাকে যে, মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলে শতভাগ অভিনেতা বা অভিনেত্রী হওয়া সম্ভব নয়। আমি সেটাই ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছি এবং পেরেছিও। তবে এখনো যে আমার উচ্চারণে সমস্যা হয় না, তা নয়; তবুও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি সময়ের সাথে সাথে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে, মূল্যায়ন আছে। হয়তো সব কাজ সবার ভালো লাগে না, আবার কিছু কাজ ভালো লাগে। কিন্তু সবসময় ভালো কিছু করার চেষ্টার মধ্যেই থাকি।’


গত ঈদে অন্যবারের চেয়ে কমসংখ্যক নাটকে দেখা গেছে মেহজাবীনকে। তবে, যে ক’টি নাটকে অভিনয় করেছেন প্রায় প্রত্যেকটিতে পেয়েছেন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘এটাই তো আনন্দের। ‘ভয়েস ক্লিপ’, ‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’, ‘ব্যবধান’, ‘হারানো সংবাদ’ থেকে অসংখ্য সাড়া পেয়েছি। অনুভব করেছি, কাজ ভালো হলে সেটা দর্শক পছন্দ করবেই।’


২০১৭ সালে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’ নাটকে মেহজাবীন অভাবনীয় সাড়া ফেলেছিলেন। ভিকি জাহেদের ‘পুনর্জন্ম ‘ সিরিজে দেখা গেছে আরেক মেহজাবীনকে। চরিত্রের বিভিন্ন শেডে ধরা দিয়েছেন তিনি পর্দায়। তবে তাকে নিয়ে অভিযোগ, কান্না করতেই শুধু দেখা যায় নাটকে। এ নিয়ে মেহজাবীন বলেন, ‘আমি সবসময় একটা গল্প যখন হাতে নেই, সেটা যেমনই হোক না কেন; সেই গল্পটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি। আমি কখনোই ভাবি না কাঁদব নাকি হাসব! অন্য নাটকে কাঁদছি, এখানে কাঁদব না! আমি শুধু গল্পে আর চরিত্রে নিজেকে ধারণ করে গিয়েছি। গল্পে যেটা চেয়েছে আমি শুধু সেটা পারফর্ম করেছি বা করি। গল্পের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার, সেটা করতেই হবে। তা নাহলে তো কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ, কেউ যদি বলে মেহজাবীন ওই নাটকে আই লাভিউ বলেছে, এই নাটকেও আই লাভিউ বলেছে; এটা তো মিলে গেছে! এটা তো হতে পারে না আসলে। সো, আমি এগুলা কখনোই মাথায় নেই না। গল্পের প্রয়োজনে হাসি, কান্নাÑ যা করা প্রয়োজন আমি সেটাই করার চেষ্টা করি।’


‘রেডরাম’ খ্যাত এ তারকা বলেন, ‘দর্শক সমালোচনা যখন করে সেই ফিডব্যাকটা আমি অবশ্যই নেই। কিন্তু আমার তো আমার স্ক্রিপ্টটাকে শতভাগ পূর্ণতা দিতে হবে। কেউ আমার কাছ থেকে কমেডি কাজ চায়, আবার কেউ সিরিয়াস কাজ চায়! তাদের মধ্যে থেকেই আলাদা হয়ে এরকম মন্তব্যগুলো করে থাকে। কিন্তু আমার তো কয়েকজনকে নিয়ে ভাবলে হবে না। আমার সবাইকে নিয়েই ভাবতে হয়। মোটকথা, আমি স্ক্রিপ্টের ওপর পারফর্ম করি। স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনেই অতিরঞ্জিত কিছু করি, ওভার অ্যাক্টিং করলেও সেটা গল্পের প্রয়োজনেই। সুতরাং আমি গল্পের কাজটাই করি, সেটা যেমনই হোক।’


নিজের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বছর শেষে বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়ে থাকেন মেহজাবীন। এ অর্জন প্রসঙ্গে বলেন, ‘একেকটি পুরস্কার দর্শকের ভালোবাসা প্রকাশ করে। তারা আমার কাজ পছন্দ করেন বলেই এত সম্মান পাচ্ছি। পুরস্কারগুলো ভালো কাজ করার শক্তি জোগায়। নতুন উদ্যমে কাজের অনুপ্রেরণা পাই।’ মেহজাবীনকে বড়পর্দায় দেখার ইচ্ছে দর্শকের দীর্ঘদিনের। অভিনেত্রী নিজেও জানেন সে কথা। তবে এ প্রশ্নে তার সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘যদি ভালো চিত্রনাট্য ও চরিত্র পেয়ে যাই তাহলে দেখা যেতেও পারে।’  

জাবেদ জাহাঙ্গীর

‘গানের মাধ্যমেই সবার হৃদয় জয় ক...

ছোটবেলা থেকেই ছন্দ আর গানের প্রতি তার খুব টান। সেই টান থেকেই গানের প্রতি অসম্ভব ভালোলাগা এবং ভালোবাসা আর গানের জগতে পা রাখা তার। বলছি এ প্রজন্মের আলোচিত ও ব্যস্ত গীতিকবি রিপন মাহমুদের কথা।

একজন খ্যাতিমান গীতিকবি হওয়ার একবুক স্বপ্ন নিয়ে ২০০৪-০৫ সালের দিকে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার আঠারবাড়ী থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান স্বপ্নবাজ এই তরুণ। ঢাকা এসে দেশবরেণ্য গীতিকার, সুরকার মিল্টন খন্দকারের সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপর শুরু করেন গীতিকার ও সুরকার মিল্টন খন্দকারের গীতিকাব্য চর্চাকেন্দ্রে আসা যাওয়া। যেখানে হাতে ধরে শেখানো হয় গানের কবিতা লেখার নিয়ম কানুন। এককথায় খ্যাতিমান গীতিকার, সুরকার মিল্টন খন্দকারের হাতেই গীতিকার হিসেবে রিপন মাহমুদের হাতেখড়ি। তারপর ধীরে ধীরে সংগীত জগতে গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

সংগীত জীবনের এই দীর্ঘ পথচলায় গানের সংখ্যা কম হলেও বেশকিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়ে নিজের লেখনীর শক্তি প্রমাণ করেছেন তিনি। তার গীতিকথায় ইতিমধ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কুমার শানু, নচিকেতা সহ বাংলাদেশের কুমার বিশ্বজিৎ, মনির খান, বেলাল খান, কাজী শুভ, সালমা, নোলক, মোহাম্মদ মিলন, মাহতিম সাকিব, আকাশ মাহমুদ, ইমন খান, সামজ, মোহনা নিশাদ, প্রিন্স হাবীব, মন্টি সিনহা (বাংলাদেশ আইডলখ্যাত), কামরুজ্জামান রাব্বী, মুনিয়া মুন, সাদমান পাপ্পু, মায়া মনি, পুষ্পিতা মিত্র, সজীব শান, জীবন ওয়াসিফ, আতিফ আহমেদ নিলয়, হাবীব খান, মোহনা ইতি, তুবা, মুক্তি, আসিফ ইমরান, সুজন আহমেদ সহ এ প্রজন্মের আরও অনেকেই।

২০১১ সালের দিকে ‘যদি এক দেহেতে দুইজনারে দিতো বিধি দম’Ñ এক রশিতে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যার ভিডিওসহ ব্যাপক সাড়া জাগানো (ভাইরাল) গানটি দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। কিন্তু) সেই সময়ে চাকরির জন্য ও পারিবারিক কারণে গান থেকে দূরে সরে যান। তারপর আবার ২০১৬ সালের দিকে গানের বাজার কিছুটা চাঙ্গা হওয়ায় নতুন করে আবার শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতবছর প্রকাশিত হয় প্রবাসীদের নিয়ে লেখা আকাশ মাহমুদের কণ্ঠে ‘টাকার এক মেশিন’ শিরোনামের একটি গান, যা দিয়ে নতুন করে সকল শ্রেণির মানুষের কাছে প্রশংসিত হন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজ, চ্যানেল মিলিয়ে অন্তত কয়েক কোটি ভিউ হয়েছে গানটি। বিশেষ করে প্রবাসীদের কাছে গানটি যেন ঘুমের মহা ওষুধ।

বর্তমানে কুমার শানু, নচিকেতা, অবন্তী সিঁথী (সারেগামাপা), সৈয়দ অমি, সালমা, আকাশ মাহমুদ, এইসপি সোহাগ, আরমান (মীরাক্কেলীয়ান), সামজ, মাহতিম সাকিব, রিজভী সোহেল, নোলকবাবুসহ আরও বেশকিছু জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর গান ও সোহেল তালুকদারের ধারাবাহিক ‘মায়া’ নাটকের টাইটেল সং সহ বেশকিছু নাটকের গান ও স্ক্রিপ্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এর মধ্যে বেশকিছু গানের অডিও/ভিডিওর কাজও শেষ হয়েছে, যেগুলো প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। কিছুদিন আগে জাকির চৌধুরী পরিচালিত ‘তোর কারণে’ সিনেমার জন্য গান লিখেছেন।

শামীম মাহমুদের সুর ও সংগীত পরিচালনায় কণ্ঠ দিয়েছেন সাদমান পাপ্পু ও মায়া মনি।

এছাড়া সোহেল তালুকদারের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘ভ্যাজাইল্লা গ্রাম’ ‘ভেড়া পাত্র চাই’র টাইটেল সং সহ এম, কে প্রোডাকশনের বেশকিছু নাটকের গান ও টাইটেল সং লিখছেন বলে জানান তিনি। তার ধ্যানে জ্ঞানে শুধুই এগিয়ে যাওয়ার বাসনা। 

নিজের পথচলা নিয়ে রিপন মাহমুদ বলেন, ‘মানুষ বাঁচে তার কর্মে, আমিও সৃষ্টিশীল কর্মে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকতে চাই। তাই মিল্টন খন্দকার স্যারের নির্দেশনার পাশাপাশি আরেক খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান স্যারের কাছে ‘আধুনিক বাংলাগান রচনাকৌশল ও শুদ্ধতা’র ওপর চর্চা করছি। আমি বিশ্বাস করি, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। মানুষ অকৃতজ্ঞ হলেও সময় ঠিকই তার উপযুক্ত প্রাপ্তি দিবে। তবে নিজের কাজের প্রতি আত্ববিশ্বাস রাখতে হবে আর অবশ্যই চর্চা করতে হবে। আমি স্বপ্ন দেখি আমার কাজের মাধ্যমেই একদিন আমি অনেকের প্রিয় হয়ে ওঠব ইনশাআল্লাহ।

আনন্দ লহরীর মাধ্যমে ভালোবাসা জানাতে চাই বন্ধুদের, যাদের অনুপ্রেরণা আজও চলমান। বিশেষ করে রিয়েল, আতিক, বিশ্বজিৎ, সুমন, রফিক, ঝুমা, মাসুম, শাহীন, বাপ্পী, মাজু, মনজিলসহ ব্যাচের সকলকে। 

সেইসঙ্গে আমরণ কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই গানপ্রিয় সকল শ্রোতাদেরÑযারা হাজারো গানের ভীড়ে আমার লেখা গানের অপেক্ষায় থাকেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক


গান ও উপস্থাপনায় সমান তালে

সিঁথি সাহা গানের ভুবনে পরিচিত নাম। মিষ্টি কণ্ঠের গানে মাতিয়ে চলছেন শ্রোতাদের মন। তবে তিনি উপস্থাপনায়ও সমান পারদর্শী। যা টের পাওয়া যায় টেলিভিশন চালু করলেই কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারলে। মাছরাঙা টেলিভিশনের চ্যানেল ও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার হচ্ছে ‘সিঁথির অতিথি’। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন সিঁথি। কথা বলছেন গুণী অতিথিদের সাথে।

‘সিঁথির অতিথি’ শুরু হয়েছিল অতিমারির ঘরবন্দী সময়ে। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। মাঝে গান ও অন্যান্য ব্যস্ততায় অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। সিঁথি বলেন, ‘আমি মাঝে দেশের বাইরে ছিলাম। গান নিয়েও ব্যস্ততা ছিল। তাই ‘সিঁথির অতিথি’ করতে পারিনি। এখন শুরু করেছি। এ অনুষ্ঠানটি মন থেকে করি। আমার নামে প্রচার হচ্ছে। মনে হয়, নিজের বাড়ির কোনো অনুষ্ঠান করছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনাও আমার। তাই ভালো লাগাটাও বেশি। সামনে অনুষ্ঠানটি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা আছে। এতদিন যে প্যাটার্নে  করে এসেছি, সেটা বদলাতে পারে। অতিথি তার বাসায় বসে আমাদের আড্ডায় সামিল হচ্ছেন। স্টুডিওতে শুটিং শুরু করার ভাবনা আছে। শিগগির সেদিকে এগুব আমরা।’

গান ও উপস্থাপনা শুধু নয়, সিঁথিকে দেখা গেছে অভিনয়েও। সে বেশ কয়েক বছর আগে। ফের অভিনয়ে আসতে পারেন এ সুকণ্ঠী গায়িকা। সে সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে অভিনয়ের প্রচুর প্রস্তাব আছে। তবে আমি হুট করে অভিনয় শুরু করতে চাই না। নিজেকে প্রস্তুত করে অভিনয়ে আসব। গ্রæমিং চলছে। এমনভাবে আসার ইচ্ছে, যেন হাসির পাত্রী না হতে হয়।’ 

এর বাইরে গান নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে সিঁথির। যখন কথা হয়, তখন স্টুডিওতে তিনি। জানান, সামনে কিছু মিউজিক ভিডিও করতে হবে। বেশ কয়েকটি গান রেকর্ড করা হয়ে গেছে। গানগুলো দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে। ইউরোপে ঘোরাঘুরি করে ওজন বেড়েছে। সেজন্য জিম করছি। আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা অনুসরণ করছেন তারা বিষয়টি ইতোমধ্যেই আঁচ করতে পেরেছেন।

নিজের গানে সাধারণত নিজেই মডেল হন সিঁথি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে আগামীতেও। সিঁথি যোগ করলেন, ‘আমরা আগে রুনা লায়লা ম্যামকে দেখেছি নিজের গানে মডেল হতে। তার মতো পারফর্মার তো আমাদের আর নেই। এখন ট্রেন্ড বদলে গেছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মিউজিক ভিডিওতে পরিবর্তন এসেছে। কণ্ঠশিল্পী গানের পাশাপাশি পুরোদস্তুর মডেল হয়ে পড়ছেন। আমি অধিকাংশ গানের ভিডিওতে নিজেই মডেল হয়েছি। একটি বিষয় দেখুন, একটি মিউজিক ভিডিও যখন নিজে স্পন্সর করব, তখন তো স্বাভাবিকভাবেই চাইব নিজেকে প্রচার করতে। আবার অন্য স্পন্সরের মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছি। যেমন সর্বশেষ শাফকাত আমানত আলীর ‘রাত জাগা পাখি’ শীর্ষক গানে আমি আর এবিএম সুমন মডেল হয়েছি। দর্শক-শ্রোতারা গানটি পছন্দ করেছে। গানটির স্পন্সর ছিল মেরিল।’

এটি শাফকাতের গাওয়া প্রথম বাংলা গান। তার সাথে আরও কয়েকটি গানের পরিকল্পনা করছেন সিঁথি। যার একটি হিন্দি। উপমহাদেশের জনপ্রিয় এ গায়কের সাথে ২০১৫ সাল থেকে সিঁথির পরিচয়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শাফকাতের গানও কভার করেছেন। শ্রোতাদের পছন্দও হয়েছে। ফোক ফেস্টে সিঁথির সাথে শাফকাতের দেখা হয়। পরিচয়ের সেই সূত্র হতেই সৃষ্টি হয়েছে ‘রাত জাগা পাখি’। সিঁথি যোগ বলেন, ‘আসলে, যখন একজন শিল্পী নিজের গানে নিজে মডেল হন; তখন গান ও দৃশ্যের মেলবন্ধন চমৎকার হয়।’ 

এদিকে ক’মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেন সিঁথি। নেটাগরিকদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় হওয়া ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’ ছবির ‘সামি সামি’ গানটি বাংলায় গেয়ে। আদিত্য মিউজিকের ব্যানারে ২০ মে ইউটিউবে তার গাওয়া গানটি প্রকাশিত হয়। 

জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল কলকাতার ভাইব্রেশন স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়। সিঁথি তখন কলকাতায়। জি বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর শুটিং করতে গেছেন। এ প্রসঙ্গে সিঁথি বলেন, গানটির হিন্দি ভার্সন সুনিধি চৌহান গেয়েছেন। বাংলার জন্য কর্তৃপক্ষ আমাকে পছন্দ করেন। তারা আমাকে সে মানের শিল্পী ভেবেছেন বলেই ডেকেছেন। 

আদিত্য মিউজিক ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’র  অফিসিয়াল মিউজিক লেবেল। বাংলা মিউজিক ভিডিওতে আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে রয়েছে সিঁথি সাহার রেকর্ডিং দৃশ্য। বাংলা গানটি লিখেছেন রাজিব দত্ত। বাংলার জন্য সংগীত আয়োজন করেছেন তুবাই রায়। দেবী শ্রী প্রসাদের সংগীত পরিচালনায় তামিল ভাষার মূল গানটি গেয়েছেন মৌনিকা। এরপর হিন্দি ভাষায় গেয়েছেন সুনিধি চৌহান। 

সিঁথির চমক এখানেই শেষ নয়। এর আগে জি বাংলার জনপ্রিয় শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ অংশ নেন তিনি। সেখানকার একটি পর্বে বিজয়ীও হন তিনি। আসছে পূজায় কলকাতায় নতুন গানের কাজ সেরেছেন সিঁথি। বাকি আছে মিউজিক ভিডিওর কাজ। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে একটি গান রেকর্ড করেছি। উষা উত্থুপের কাজ। আমি কৃতজ্ঞ তিনি তার সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে বেছে নিয়েছেন।’ 

আহাম্মেদ শফিক